alt

opinion » editorial

সেতু না করেই বিল তুলে নেয়া প্রসঙ্গে

: বৃহস্পতিবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২২

বরগুনার তালতলী উপজেলার ঝাড়াখালি গ্রামের খালের উপর একটি লোহার সেতু নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নামে নির্মাণ কাজ শেষে টাকাও ছাড় করা হয়েছে। কিন্তু কাগজে-কলমে ছাড়া বাস্তবে এ সেতুর কোন অস্তিত্ব খুঁেজ পাওয়া যায়নি। সেতুর অভাবে স্থানীয়দের চরম ভোগান্তিরও শেষ হয়নি। ‘কাজির গরু কেতাবে আছে, গোয়ালে নেই’-সেখানে বহুল প্রচলিত প্রবাদটির বাস্তবে রূপ দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে গতকাল বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, সেতুটি নির্মাণের জন্য আরেকটি পুরনো সেতুর উপকরণসহ ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রায় চার লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) আওতায় বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিবি) অংশ হিসেবে সেতুটি নির্মাণ করার কথা ছিল। আকন্দ ট্রেডার্স নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এ সেতুর কাজ পায়। পরে চুক্তিতে কাজটি নেন তালতলী উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও তার এক সহযোগী। সেতু নির্মাণের সময়সীমা শেষ হলেও বাস্তবে নির্ধারিত স্থানে কোন সেতুই নির্মাণ করা হয়নি। কিন্তু কাগজে-কলমে সেতু নির্মাণ শেষ হয়েছে বলে বিলের পুরো টাকা তুলে নেয়া হয়েছে।

কোন প্রকল্পের কার্যাদেশ দেয়ার পরে কাজ শুরু করলে আংশিক বিল ছাড় দেয়া হয়। কাজ শেষ হওয়া পর্যন্ত ধাপে ধাপে বিলের বাকি অর্থ ছাড় দেয়া হয়। তাছাড়া প্রকল্প এলাকায় গিয়ে কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করার কথা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও)। প্রশ্ন হলো, কাজ না করে সংশ্লিষ্টরা টাকা উঠাল কীভাবে। ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা বলেই কি তাদের এ সুবিধা দেয়া হয়েছে? আর ছাত্রলীগ নেতা কীভাবে সেতু নির্মাণের কাজ পেল-সেটা একটা প্রশ্ন। কারণ তাদের তো এখন লেখাপড়া করার কথা।

অভিযোগ আছে, তালতলী এলজিইডি কার্যালয়ের এক শ্রেণীর কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজশে স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতারা এ কাজ করেছেন। যে-ই যেভাবে কাজটি করুক না কেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনভাবেই এর দায় এড়াতে পারেন না।

আমরা বলতে চাই, কাজ না করে বিল তোলার যে অভিযোগ পাওয়া গেছে সেটা আমলে নেয়া হবে। তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে এমনটাই আমরা দেখতে চাই।

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

গণঅভ্যুত্থানের এক বছর: প্রত্যাশায় কী প্রাপ্তি

tab

opinion » editorial

সেতু না করেই বিল তুলে নেয়া প্রসঙ্গে

বৃহস্পতিবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২২

বরগুনার তালতলী উপজেলার ঝাড়াখালি গ্রামের খালের উপর একটি লোহার সেতু নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নামে নির্মাণ কাজ শেষে টাকাও ছাড় করা হয়েছে। কিন্তু কাগজে-কলমে ছাড়া বাস্তবে এ সেতুর কোন অস্তিত্ব খুঁেজ পাওয়া যায়নি। সেতুর অভাবে স্থানীয়দের চরম ভোগান্তিরও শেষ হয়নি। ‘কাজির গরু কেতাবে আছে, গোয়ালে নেই’-সেখানে বহুল প্রচলিত প্রবাদটির বাস্তবে রূপ দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে গতকাল বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, সেতুটি নির্মাণের জন্য আরেকটি পুরনো সেতুর উপকরণসহ ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রায় চার লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) আওতায় বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিবি) অংশ হিসেবে সেতুটি নির্মাণ করার কথা ছিল। আকন্দ ট্রেডার্স নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এ সেতুর কাজ পায়। পরে চুক্তিতে কাজটি নেন তালতলী উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও তার এক সহযোগী। সেতু নির্মাণের সময়সীমা শেষ হলেও বাস্তবে নির্ধারিত স্থানে কোন সেতুই নির্মাণ করা হয়নি। কিন্তু কাগজে-কলমে সেতু নির্মাণ শেষ হয়েছে বলে বিলের পুরো টাকা তুলে নেয়া হয়েছে।

কোন প্রকল্পের কার্যাদেশ দেয়ার পরে কাজ শুরু করলে আংশিক বিল ছাড় দেয়া হয়। কাজ শেষ হওয়া পর্যন্ত ধাপে ধাপে বিলের বাকি অর্থ ছাড় দেয়া হয়। তাছাড়া প্রকল্প এলাকায় গিয়ে কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করার কথা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও)। প্রশ্ন হলো, কাজ না করে সংশ্লিষ্টরা টাকা উঠাল কীভাবে। ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা বলেই কি তাদের এ সুবিধা দেয়া হয়েছে? আর ছাত্রলীগ নেতা কীভাবে সেতু নির্মাণের কাজ পেল-সেটা একটা প্রশ্ন। কারণ তাদের তো এখন লেখাপড়া করার কথা।

অভিযোগ আছে, তালতলী এলজিইডি কার্যালয়ের এক শ্রেণীর কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজশে স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতারা এ কাজ করেছেন। যে-ই যেভাবে কাজটি করুক না কেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনভাবেই এর দায় এড়াতে পারেন না।

আমরা বলতে চাই, কাজ না করে বিল তোলার যে অভিযোগ পাওয়া গেছে সেটা আমলে নেয়া হবে। তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে এমনটাই আমরা দেখতে চাই।

back to top