alt

opinion » editorial

বেআইনিভাবে বালু তোলা বন্ধ করুন

: বুধবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৩

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে ঘাঘট নদ বালুদস্যুরা দখল করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই নদ থেকে তারা নির্বিচারে বালু তুলছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মূলত স্থানীয় প্রভাবশালীরা বছরের পর বছর ধরে বালু তুলছে।

বালু তোলা বন্ধে প্রশাসন কী করছে সেটা একটা প্রশ্ন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শুধু যে সাদুল্লাপুরে নদ দখল করে বালু তোলা হচ্ছে তা নয়। ঘাঘটের মতো এমন আরও অনেক নদ-নদী প্রভাবশালীরা দখলে নিয়ে নিয়েছে। এসব নদ-নদী থেকে নির্বিচারে তারা বালু তুলছে। এর প্রভাবে ভাঙছে নদীর পাড়। বিলীন হচ্ছে কৃষিজমি ও বসতবাড়ি।

নদী থেকে যে বালু তোলা যাবে না তা নয়। তবে বালু তোলার জন্য আইন রয়েছে। কেউ যদি আইন অমান্য করে বালু তোলে তাহলে সেটি হবে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আইনে বলা হয়েছে- বেআইনিভাবে সরকারি বা বেসরকারি ভূমি, নদীর পাড়, তলদেশ ইত্যাদি থেকে যদি বালু উত্তোলন করলে (কোন ক্ষতি হোক বা না হোক) তা অপরাধ বলে গণ্য হবে। সেজন্য ছয় মাস থেকে দুই বছর পর্যন্ত কারাদন্ড, ৫০ হাজার টাকা থেকে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয় দন্ড হতে পারে।

কিন্তু বালু তোলার ক্ষেত্রে এই আইন মানা হয় না বলেই চলে। আর সংশ্লিষ্ট কর্র্তৃপক্ষকে আইন মানানোর জন্য কার্যকর ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না। আইন অমান্য করে বালু তোলা বন্ধে কখনো কখনো অভিযান চালানো হলেও তা ফলপ্রসূ হয় না। অভিযোগ আছে- এসব অভিযোগে মূলত চুনোপুঁটিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়। বালু তোলা চক্রের গডফাদাররা থেকে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে। যে কারণে অভিযান শেষ হতে না হতেই আবারো বালু তোলা শুরু হয়।

আমরা বলতে চাই, বেআইনিভাবে বালু তোলা বন্ধ করতে হবে। মানুষের অবিমৃশ্যকারিতার জন্য নদী ভাঙন দেখা দেবে আর তার প্রভাবে কৃষিজমি, বসতবাড়ি বিলীন হবে সেটা কাম্য হতে পারে না। সাদুল্লাপুরসহ দেশের যেসব স্থানে নির্বিচারে বালু তোলা হচ্ছে তার বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিচ্ছে এমনটাই আমরা দেখতে চাই। বালু তুলতে হলে অবশ্যই আইন মেনে চলতে হবে। যারাই আইন অমান্য করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এক্ষেত্রে কোন বাছবিচার কাম্য নয়।

অ্যান্টিভেনম সংকট দূর করুন

বিলাসবহুল গাড়ি কেনার ‘অতিআগ্রহ’ নিয়ে প্রশ্ন, উত্তর কি মিলবে?

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

tab

opinion » editorial

বেআইনিভাবে বালু তোলা বন্ধ করুন

বুধবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৩

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে ঘাঘট নদ বালুদস্যুরা দখল করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই নদ থেকে তারা নির্বিচারে বালু তুলছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মূলত স্থানীয় প্রভাবশালীরা বছরের পর বছর ধরে বালু তুলছে।

বালু তোলা বন্ধে প্রশাসন কী করছে সেটা একটা প্রশ্ন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শুধু যে সাদুল্লাপুরে নদ দখল করে বালু তোলা হচ্ছে তা নয়। ঘাঘটের মতো এমন আরও অনেক নদ-নদী প্রভাবশালীরা দখলে নিয়ে নিয়েছে। এসব নদ-নদী থেকে নির্বিচারে তারা বালু তুলছে। এর প্রভাবে ভাঙছে নদীর পাড়। বিলীন হচ্ছে কৃষিজমি ও বসতবাড়ি।

নদী থেকে যে বালু তোলা যাবে না তা নয়। তবে বালু তোলার জন্য আইন রয়েছে। কেউ যদি আইন অমান্য করে বালু তোলে তাহলে সেটি হবে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আইনে বলা হয়েছে- বেআইনিভাবে সরকারি বা বেসরকারি ভূমি, নদীর পাড়, তলদেশ ইত্যাদি থেকে যদি বালু উত্তোলন করলে (কোন ক্ষতি হোক বা না হোক) তা অপরাধ বলে গণ্য হবে। সেজন্য ছয় মাস থেকে দুই বছর পর্যন্ত কারাদন্ড, ৫০ হাজার টাকা থেকে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয় দন্ড হতে পারে।

কিন্তু বালু তোলার ক্ষেত্রে এই আইন মানা হয় না বলেই চলে। আর সংশ্লিষ্ট কর্র্তৃপক্ষকে আইন মানানোর জন্য কার্যকর ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না। আইন অমান্য করে বালু তোলা বন্ধে কখনো কখনো অভিযান চালানো হলেও তা ফলপ্রসূ হয় না। অভিযোগ আছে- এসব অভিযোগে মূলত চুনোপুঁটিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়। বালু তোলা চক্রের গডফাদাররা থেকে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে। যে কারণে অভিযান শেষ হতে না হতেই আবারো বালু তোলা শুরু হয়।

আমরা বলতে চাই, বেআইনিভাবে বালু তোলা বন্ধ করতে হবে। মানুষের অবিমৃশ্যকারিতার জন্য নদী ভাঙন দেখা দেবে আর তার প্রভাবে কৃষিজমি, বসতবাড়ি বিলীন হবে সেটা কাম্য হতে পারে না। সাদুল্লাপুরসহ দেশের যেসব স্থানে নির্বিচারে বালু তোলা হচ্ছে তার বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিচ্ছে এমনটাই আমরা দেখতে চাই। বালু তুলতে হলে অবশ্যই আইন মেনে চলতে হবে। যারাই আইন অমান্য করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এক্ষেত্রে কোন বাছবিচার কাম্য নয়।

back to top