alt

সম্পাদকীয়

পরিবেশ রক্ষায় চাই সবার অংশগ্রহণ

: শনিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৩

পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে দেশের মানুষের জীবনে সংকট বাড়ছে। পরিবেশ রক্ষা করতে হলে বন ও নদীকে রক্ষা করতে হবে। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্ট নেটওয়ার্কের (বেন) জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বক্তারা। কেউ কেউ অভিযোগ করে বলেন, রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতাবান ও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা দেশের পরিবেশ ধ্বংস করছেন।

পরিবেশ দূষণ যে মানুষের জীবনে মারাত্মক প্রভাব ফেলে সেটা অতীতে বিভিন্ন গবেষণায় জানা গেছে। বিশ্বব্যাংকের ‘কান্ট্রি ক্লাইমেট ও ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ৩২ শতাংশ মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী পরিবেশ দূষণ। মাটি, পানি, বায়ু, শব্দসহ সব ধরনের দূষণই ঘটছে এখানে। রাজধানী ঢাকার পাশাপাশি দূষণ ছড়িয়ে পড়েছে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও। দেশের অর্থনীতিও এ কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। পরিবেশ দূষণে দেশের জিডিপির ৮ শতাংশ নষ্ট হয়।

দেশে যেভাবে উন্নয়ন হচ্ছে সেটা কতটা পরিবেশবান্ধব তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আমরা অবশ্যই উন্নয়ন চাই, কিন্তু সেই উন্নয়ন হতে হবে পরিবেশ রক্ষা করে। পরিবেশ না টিকলে উন্নয়নকে টেকসই করা যাবে না। বন, নদী, মাটি, বায়ু রক্ষা করার কোন বিকল্প নেই।

রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণ ছাড়া পরিবেশ রক্ষার কাজ কঠিন হবে। দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হচ্ছে, পরিবেশ দূষণের জন্য অভিযোগের আঙুল বেশি ওঠে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের একশ্রেণীর নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। নদ-নদী দখল, বন ধ্বংস, পাহাড় কাটা, অবৈধ ইটভাটা প্রভৃতি ইস্যুতে তাদের ভূমিকার ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটানো জরুরি। প্রশ্ন হচ্ছে, এই পরিবর্তন ঘটবে কীভাবে।

রাজনৈতিক নেতাদের কাছ থেকে পরিবেশ রক্ষায় অঙ্গীকার আদায় করতে হবে। এ কাজে জনগণকেই পালন করতে হবে সোচ্চার ভূমিকা। পাশাপাশি সব স্টেকহোল্ডারকে যার যার জায়গা থেকে জোরালো আওয়াজ তুলতে হবে। রাজনৈতিক নেতাদের কাছ থেকে শুধু অঙ্গীকার আদায় করলেই হবে না, সেটা বাস্তবায়নও করা জরুরি।

দেশের পরিবেশ রক্ষায় নাগরিকরা যথাযথ ভূমিকা রাখতে পারছে কিনা সেই প্রশ্নও রয়েছে। বায়ুদূষণ, শব্দদূষণ, পানিদূষণ এমনকি নদ-নদী বা জলাশয় দখলের ক্ষেত্রেও অনেক সময় সাধারণ নাগরিকরা জড়িত থাকেন। এই অবস্থার পরিবর্তন হওয়া জরুরি। সবাইকে পরিবেশের গুরুত্ব উপলব্ধি করতে হবে। পরিবেশ রক্ষায় সক্রিয়ভাবে কাজ করতে হবে।

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

হাতি শাবকের মৃত্যু ও সাফারি পার্কের দায়ভার

বায়ুদূষণ রোধে চাই টেকসই উদ্যোগ

মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন

চালের দামে অস্বস্তি : সরকারি তথ্য ও বাজারের বাস্তবতার ফারাক

অতিদারিদ্র্যের আশঙ্কা : সমাধান কোথায়?

ডিমলা উপজেলা হাসপাতালের অনিয়ম

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি : ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণের অপেক্ষা কবে ফুরাবে

হাইল হাওরের অস্তিত্ব সংকট

সমানাধিকারে আপত্তি কেন?

লেমুর চুরি : সাফারি পার্কের নিরাপত্তা সংকট

একটি হাসাহাসির ঘটনা, একটি হত্যাকাণ্ড : সমাজের সহিষ্ণুতার অবক্ষয়

চাই সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

মানুষ-হাতির সংঘাত : সমাধানের পথ খুঁজতে হবে

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সংকট দূর করুন

ফসলি জমি রক্ষায় কঠোর হোন

নিষ্ঠুরতার শিকার হাতি

বিশেষ ক্ষমতা আইন ও নাগরিক অধিকার

হালদায় অবৈধ মাছ শিকার বন্ধ করতে হবে

মশার উপদ্রব : বর্ষার আগেই সাবধান হতে হবে

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলা : মানবতার প্রতি এক অব্যাহত আঘাত

অবৈধ বৈদ্যুতিক ফাঁদে প্রাণহানি : দায় কার?

নদীর বাঁধ ভাঙার দুর্ভোগ : টেকসই সমাধানের জরুরি প্রয়োজন

মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা সংকট

সমবায় সমিতির নামে প্রতারণা : কঠোর নজরদারি ও আইনি পদক্ষেপ জরুরি

সড়ক দুর্ঘটনা নাকি অবহেলার পরিণতি

ভূমিকম্পের ধ্বংসযজ্ঞ ও আমাদের প্রস্তুতি

বার্ড ফ্লু : আতঙ্ক নয়, চাই সতর্কতা

tab

সম্পাদকীয়

পরিবেশ রক্ষায় চাই সবার অংশগ্রহণ

শনিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৩

পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে দেশের মানুষের জীবনে সংকট বাড়ছে। পরিবেশ রক্ষা করতে হলে বন ও নদীকে রক্ষা করতে হবে। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্ট নেটওয়ার্কের (বেন) জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বক্তারা। কেউ কেউ অভিযোগ করে বলেন, রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতাবান ও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা দেশের পরিবেশ ধ্বংস করছেন।

পরিবেশ দূষণ যে মানুষের জীবনে মারাত্মক প্রভাব ফেলে সেটা অতীতে বিভিন্ন গবেষণায় জানা গেছে। বিশ্বব্যাংকের ‘কান্ট্রি ক্লাইমেট ও ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ৩২ শতাংশ মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী পরিবেশ দূষণ। মাটি, পানি, বায়ু, শব্দসহ সব ধরনের দূষণই ঘটছে এখানে। রাজধানী ঢাকার পাশাপাশি দূষণ ছড়িয়ে পড়েছে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও। দেশের অর্থনীতিও এ কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। পরিবেশ দূষণে দেশের জিডিপির ৮ শতাংশ নষ্ট হয়।

দেশে যেভাবে উন্নয়ন হচ্ছে সেটা কতটা পরিবেশবান্ধব তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আমরা অবশ্যই উন্নয়ন চাই, কিন্তু সেই উন্নয়ন হতে হবে পরিবেশ রক্ষা করে। পরিবেশ না টিকলে উন্নয়নকে টেকসই করা যাবে না। বন, নদী, মাটি, বায়ু রক্ষা করার কোন বিকল্প নেই।

রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণ ছাড়া পরিবেশ রক্ষার কাজ কঠিন হবে। দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হচ্ছে, পরিবেশ দূষণের জন্য অভিযোগের আঙুল বেশি ওঠে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের একশ্রেণীর নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। নদ-নদী দখল, বন ধ্বংস, পাহাড় কাটা, অবৈধ ইটভাটা প্রভৃতি ইস্যুতে তাদের ভূমিকার ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটানো জরুরি। প্রশ্ন হচ্ছে, এই পরিবর্তন ঘটবে কীভাবে।

রাজনৈতিক নেতাদের কাছ থেকে পরিবেশ রক্ষায় অঙ্গীকার আদায় করতে হবে। এ কাজে জনগণকেই পালন করতে হবে সোচ্চার ভূমিকা। পাশাপাশি সব স্টেকহোল্ডারকে যার যার জায়গা থেকে জোরালো আওয়াজ তুলতে হবে। রাজনৈতিক নেতাদের কাছ থেকে শুধু অঙ্গীকার আদায় করলেই হবে না, সেটা বাস্তবায়নও করা জরুরি।

দেশের পরিবেশ রক্ষায় নাগরিকরা যথাযথ ভূমিকা রাখতে পারছে কিনা সেই প্রশ্নও রয়েছে। বায়ুদূষণ, শব্দদূষণ, পানিদূষণ এমনকি নদ-নদী বা জলাশয় দখলের ক্ষেত্রেও অনেক সময় সাধারণ নাগরিকরা জড়িত থাকেন। এই অবস্থার পরিবর্তন হওয়া জরুরি। সবাইকে পরিবেশের গুরুত্ব উপলব্ধি করতে হবে। পরিবেশ রক্ষায় সক্রিয়ভাবে কাজ করতে হবে।

back to top