alt

opinion » editorial

সংরক্ষিত বনের গাছ কাটা বন্ধ করুন

: মঙ্গলবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৩

কক্সবাজারের চকরিয়ার উপকূলে তৈরি হচ্ছে একাধিক ফিশিং ট্রলার; যার কোনটিরই নেই অনুমোদন। একে তো অনুমোদন নেই, তার ওপর এসব ট্রলার তৈরি হচ্ছে সংরক্ষিত বনের চোরাই গাছ দিয়ে। গর্জনসহ বনের বিভিন্ন গাছ কাটছে একটি চক্র। তাদের কাছ থেকেই আসছে ট্রলার তৈরির কাঁচামাল। গাছ কাটার জন্য বন বিভাগ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ গত সোমবার বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

শুধু কক্সবাজারেই নয়, দেশের অন্যান্য সংরক্ষিত বনাঞ্চলও ধ্বংস হচ্ছে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে বন বিভাগের প্রতিবেদনে বলা হয়- সারা দেশে বনভূমি দখল হয়ে গেছে ২ লাখ ৫৭ হাজার ১৫৮ একর। আর এসব করেছে ১ লাখ ৬০ হাজার ৫৬৬ জন প্রভাবশালী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান।

পরিবেশের ভারসাম্য ঠিক রাখতে বনকে বাঁচিয়ে রাখা জরুরি। সংরক্ষিত বনাঞ্চল ধ্বংস হলেও বন বিভাগের কর্তাব্যক্তিরা তা রক্ষায় যথাযথ ভূমিকা পালন করছেন কিনা- সেই প্রশ্ন রয়েছে। প্রায়ই অভিযোগ ওঠে যে, বন বিভাগের একশ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজশেই গাছ কাটা হয়। কক্সবাজারেও এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। যদিও এসব অভিযোগ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অস্বীকার করেছে। বন রক্ষায় ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হলে তারা লোকবল সংকটসহ নানা অভাব-অভিযোগের ফিরিস্তি দেন।

আমারা জানতে চাইব- যে লোকবল আছে বা যতটুকু সক্ষমতা বন বিভাগের আছে তা বন রক্ষায় যথাযথভাবে কাজে লাগানো হচ্ছে কিনা। বন রক্ষায় যদি ন্যূনতম চেষ্টাও থাকত তাহলে দিনের পর দিন নির্বিঘ্নে চোরাকারবারিরা গাছ কাটার সুযোগ পেত না বলে আমরা মনে করি। অন্ততপক্ষে গাছ কাটার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হতো; কিন্তু কক্সবাজারে গাছ কাটার জন্য কারো বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানা যায় না। সেখানে অনুমোদন ছাড়া ফিশিং ট্রলার তৈরি হচ্ছে। তার বিরুদ্ধেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয় না।

আমরা বলতে চাই- কক্সবাজারের চকোরিয়ার সংরক্ষিত বনের গাছ কাটার যে অভিযোগ পাওয়া গেছে তা আমলে নিতে হবে। বন রক্ষা করতে হলে অবৈধভাবে গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করতে হবে। গাছ কাটা এবং তা কেনাবেচার সঙ্গে যে বা যারাই জড়িত থাকুক না কেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ববস্থা নিতে হবে। আর সেখানে যে অবৈধভাবে অনুমোদনহীন ফিশিং ট্রলার তৈরি হচ্ছে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে- এটা আমরা দেখতে চাই।

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

গণঅভ্যুত্থানের এক বছর: প্রত্যাশায় কী প্রাপ্তি

tab

opinion » editorial

সংরক্ষিত বনের গাছ কাটা বন্ধ করুন

মঙ্গলবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৩

কক্সবাজারের চকরিয়ার উপকূলে তৈরি হচ্ছে একাধিক ফিশিং ট্রলার; যার কোনটিরই নেই অনুমোদন। একে তো অনুমোদন নেই, তার ওপর এসব ট্রলার তৈরি হচ্ছে সংরক্ষিত বনের চোরাই গাছ দিয়ে। গর্জনসহ বনের বিভিন্ন গাছ কাটছে একটি চক্র। তাদের কাছ থেকেই আসছে ট্রলার তৈরির কাঁচামাল। গাছ কাটার জন্য বন বিভাগ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ গত সোমবার বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

শুধু কক্সবাজারেই নয়, দেশের অন্যান্য সংরক্ষিত বনাঞ্চলও ধ্বংস হচ্ছে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে বন বিভাগের প্রতিবেদনে বলা হয়- সারা দেশে বনভূমি দখল হয়ে গেছে ২ লাখ ৫৭ হাজার ১৫৮ একর। আর এসব করেছে ১ লাখ ৬০ হাজার ৫৬৬ জন প্রভাবশালী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান।

পরিবেশের ভারসাম্য ঠিক রাখতে বনকে বাঁচিয়ে রাখা জরুরি। সংরক্ষিত বনাঞ্চল ধ্বংস হলেও বন বিভাগের কর্তাব্যক্তিরা তা রক্ষায় যথাযথ ভূমিকা পালন করছেন কিনা- সেই প্রশ্ন রয়েছে। প্রায়ই অভিযোগ ওঠে যে, বন বিভাগের একশ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজশেই গাছ কাটা হয়। কক্সবাজারেও এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। যদিও এসব অভিযোগ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অস্বীকার করেছে। বন রক্ষায় ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হলে তারা লোকবল সংকটসহ নানা অভাব-অভিযোগের ফিরিস্তি দেন।

আমারা জানতে চাইব- যে লোকবল আছে বা যতটুকু সক্ষমতা বন বিভাগের আছে তা বন রক্ষায় যথাযথভাবে কাজে লাগানো হচ্ছে কিনা। বন রক্ষায় যদি ন্যূনতম চেষ্টাও থাকত তাহলে দিনের পর দিন নির্বিঘ্নে চোরাকারবারিরা গাছ কাটার সুযোগ পেত না বলে আমরা মনে করি। অন্ততপক্ষে গাছ কাটার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হতো; কিন্তু কক্সবাজারে গাছ কাটার জন্য কারো বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানা যায় না। সেখানে অনুমোদন ছাড়া ফিশিং ট্রলার তৈরি হচ্ছে। তার বিরুদ্ধেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয় না।

আমরা বলতে চাই- কক্সবাজারের চকোরিয়ার সংরক্ষিত বনের গাছ কাটার যে অভিযোগ পাওয়া গেছে তা আমলে নিতে হবে। বন রক্ষা করতে হলে অবৈধভাবে গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করতে হবে। গাছ কাটা এবং তা কেনাবেচার সঙ্গে যে বা যারাই জড়িত থাকুক না কেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ববস্থা নিতে হবে। আর সেখানে যে অবৈধভাবে অনুমোদনহীন ফিশিং ট্রলার তৈরি হচ্ছে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে- এটা আমরা দেখতে চাই।

back to top