alt

সম্পাদকীয়

জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা বাতিল : একটি ভালো সিদ্ধান্ত

: বুধবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৩

চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা আর নেয়া হবে না। এই পরীক্ষা বাদ দেয়া সংক্রান্ত প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন করেছেন। নতুন শিক্ষাক্রমেও পরীক্ষা দুটি বাদ দেয়া হয়েছে। বৈশ্বিক মহামারী করোনার সংক্রমণের কারণে গত তিন বছর এই দুটি পাবলিক পরীক্ষা হয়নি।

এ বছর নতুন শিক্ষাক্রম চালু হয়েছে। নতুন শিক্ষাক্রমের লক্ষ্য হচ্ছে শিক্ষার্থীদের আনন্দময় শিক্ষা দেয়া, তাদের ওপর থেকে পরীক্ষার চাপ কমানো। এই শিক্ষাক্রমে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা রাখা হয়নি। তারপরও এই পরীক্ষা নিয়ে কিছু সংশয় রয়েই গিয়েছিল। কারণ ২০২৪ সাল থেকে অষ্টম শ্রেণীতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হবে।

কাজেই অনেকের মনে প্রশ্ন ছিল যে, চলতি শিক্ষবর্ষে এই পরীক্ষা হবে কিনা। এমন প্রশ্নের কারণও আছে। দেশে শিক্ষা নিয়ে অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে। হুট করেই একেক সময় শিক্ষার্থীদের ওপর পরীক্ষার বোঝা চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। প্রসঙ্গক্রমে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার (পিইসি) কথা বলা যায়। শিক্ষানীতিতে নেই কিন্তু নির্বাহী আদেশে নেয়া হচ্ছিল এই পরীক্ষা। এ বছর পিইসি না হলেও হুট করে বৃত্তি পরীক্ষা নেয়া হয়েছে।

শিক্ষার্থীদের ওপর থেকে পরীক্ষা নামক বোঝা কমানোর দাবি উঠেছে আরও আগ থেকেই। শিক্ষাবিদরা প্রাথমিক ও নিম্ন মাধ্যমিকে পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বারবার। শিক্ষাবিদরা বলছেন, বিদ্যমান পরীক্ষা পদ্ধতি শিক্ষার্থীদের ছোটবেলা থেকেই মুখস্থনির্ভর শিক্ষায় অভস্ত্য করে তুলছে। শিশুদের কোচিং, প্রাইভেট এবং নোট-গাইডে পিষ্ট হতে হচ্ছে। তথ্য মুখস্থ করে পরীক্ষার খাতায় উগড়ে দেয়া শিক্ষার লক্ষ্য হতে পারে না।

অভিভাবকরাও বলেছেন যে, পরীক্ষা নামক এই অত্যাচার থেকে শিশুরা মুক্তি পাক। এখন সরকার জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা না নেয়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাতে মানুষের দীর্ঘদিনের একটি দাবি পূরণ হলো। আমরা এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। শিক্ষার্থীরা অহেতুক পরীক্ষার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেয়েছে। তারা এখন আনন্দ নিয়ে পড়াশোনা করবে সেটাই আমাদের আশা।

উন্নত জাতি গড়তে হলে শিক্ষাব্যবস্থাকে যুগোপযোগী করতে হবে। আর দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে যুগোপযোগী করতে ২০১০ সালে জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন করেছে সরকার। সমস্যা হচ্ছে, দেশে শিক্ষা আইনের অভাবে জাতীয় শিক্ষানীতি পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না। তাই জরুরি হচ্ছে শিক্ষা আইন প্রণয়ন করা।

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

হাতি শাবকের মৃত্যু ও সাফারি পার্কের দায়ভার

বায়ুদূষণ রোধে চাই টেকসই উদ্যোগ

মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন

চালের দামে অস্বস্তি : সরকারি তথ্য ও বাজারের বাস্তবতার ফারাক

অতিদারিদ্র্যের আশঙ্কা : সমাধান কোথায়?

ডিমলা উপজেলা হাসপাতালের অনিয়ম

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি : ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণের অপেক্ষা কবে ফুরাবে

হাইল হাওরের অস্তিত্ব সংকট

সমানাধিকারে আপত্তি কেন?

লেমুর চুরি : সাফারি পার্কের নিরাপত্তা সংকট

একটি হাসাহাসির ঘটনা, একটি হত্যাকাণ্ড : সমাজের সহিষ্ণুতার অবক্ষয়

চাই সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

মানুষ-হাতির সংঘাত : সমাধানের পথ খুঁজতে হবে

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সংকট দূর করুন

ফসলি জমি রক্ষায় কঠোর হোন

নিষ্ঠুরতার শিকার হাতি

বিশেষ ক্ষমতা আইন ও নাগরিক অধিকার

হালদায় অবৈধ মাছ শিকার বন্ধ করতে হবে

মশার উপদ্রব : বর্ষার আগেই সাবধান হতে হবে

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলা : মানবতার প্রতি এক অব্যাহত আঘাত

অবৈধ বৈদ্যুতিক ফাঁদে প্রাণহানি : দায় কার?

নদীর বাঁধ ভাঙার দুর্ভোগ : টেকসই সমাধানের জরুরি প্রয়োজন

মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা সংকট

সমবায় সমিতির নামে প্রতারণা : কঠোর নজরদারি ও আইনি পদক্ষেপ জরুরি

সড়ক দুর্ঘটনা নাকি অবহেলার পরিণতি

ভূমিকম্পের ধ্বংসযজ্ঞ ও আমাদের প্রস্তুতি

বার্ড ফ্লু : আতঙ্ক নয়, চাই সতর্কতা

জাটকা রক্ষার প্রতিশ্রুতি কি শুধুই কাগজে-কলমে?

tab

সম্পাদকীয়

জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা বাতিল : একটি ভালো সিদ্ধান্ত

বুধবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৩

চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা আর নেয়া হবে না। এই পরীক্ষা বাদ দেয়া সংক্রান্ত প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন করেছেন। নতুন শিক্ষাক্রমেও পরীক্ষা দুটি বাদ দেয়া হয়েছে। বৈশ্বিক মহামারী করোনার সংক্রমণের কারণে গত তিন বছর এই দুটি পাবলিক পরীক্ষা হয়নি।

এ বছর নতুন শিক্ষাক্রম চালু হয়েছে। নতুন শিক্ষাক্রমের লক্ষ্য হচ্ছে শিক্ষার্থীদের আনন্দময় শিক্ষা দেয়া, তাদের ওপর থেকে পরীক্ষার চাপ কমানো। এই শিক্ষাক্রমে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা রাখা হয়নি। তারপরও এই পরীক্ষা নিয়ে কিছু সংশয় রয়েই গিয়েছিল। কারণ ২০২৪ সাল থেকে অষ্টম শ্রেণীতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হবে।

কাজেই অনেকের মনে প্রশ্ন ছিল যে, চলতি শিক্ষবর্ষে এই পরীক্ষা হবে কিনা। এমন প্রশ্নের কারণও আছে। দেশে শিক্ষা নিয়ে অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে। হুট করেই একেক সময় শিক্ষার্থীদের ওপর পরীক্ষার বোঝা চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। প্রসঙ্গক্রমে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার (পিইসি) কথা বলা যায়। শিক্ষানীতিতে নেই কিন্তু নির্বাহী আদেশে নেয়া হচ্ছিল এই পরীক্ষা। এ বছর পিইসি না হলেও হুট করে বৃত্তি পরীক্ষা নেয়া হয়েছে।

শিক্ষার্থীদের ওপর থেকে পরীক্ষা নামক বোঝা কমানোর দাবি উঠেছে আরও আগ থেকেই। শিক্ষাবিদরা প্রাথমিক ও নিম্ন মাধ্যমিকে পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বারবার। শিক্ষাবিদরা বলছেন, বিদ্যমান পরীক্ষা পদ্ধতি শিক্ষার্থীদের ছোটবেলা থেকেই মুখস্থনির্ভর শিক্ষায় অভস্ত্য করে তুলছে। শিশুদের কোচিং, প্রাইভেট এবং নোট-গাইডে পিষ্ট হতে হচ্ছে। তথ্য মুখস্থ করে পরীক্ষার খাতায় উগড়ে দেয়া শিক্ষার লক্ষ্য হতে পারে না।

অভিভাবকরাও বলেছেন যে, পরীক্ষা নামক এই অত্যাচার থেকে শিশুরা মুক্তি পাক। এখন সরকার জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা না নেয়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাতে মানুষের দীর্ঘদিনের একটি দাবি পূরণ হলো। আমরা এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। শিক্ষার্থীরা অহেতুক পরীক্ষার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেয়েছে। তারা এখন আনন্দ নিয়ে পড়াশোনা করবে সেটাই আমাদের আশা।

উন্নত জাতি গড়তে হলে শিক্ষাব্যবস্থাকে যুগোপযোগী করতে হবে। আর দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে যুগোপযোগী করতে ২০১০ সালে জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন করেছে সরকার। সমস্যা হচ্ছে, দেশে শিক্ষা আইনের অভাবে জাতীয় শিক্ষানীতি পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না। তাই জরুরি হচ্ছে শিক্ষা আইন প্রণয়ন করা।

back to top