alt

মতামত » সম্পাদকীয়

পাঠ্যবইয়ে ভুল : ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার সুযোগ নেই

: বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৩

দেশে পাঠ্যবই ছাপা হবে আর তাতে ভুল থাকবে, তথ্যের বিকৃতি ঘটবে- এটাই যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। নতুন শিক্ষাক্রমের বইয়েও ভুল রয়েছে, তথ্যের বিকৃতি ঘটেছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে চৌর্যবৃত্তি।

নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীতে নতুন পাঠ্যপুস্তক প্রকাশ করা হয়েছে। সপ্তম শ্রেণীর বিজ্ঞান বইয়ের পরীক্ষামূলক সংস্করণ ‘অনুসন্ধানী পাঠ’-এর কোনো কোনো অংশ ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক এডুকেশনাল সাইট থেকে নেওয়া হয়েছে। আর তা গুগল ট্রান্সলেটারের সহায়তায় হুবহু অনুবাদ করা হয়েছে। বইটি সম্পাদনার দায়িত্বে থাকা দু’জন এর দায় স্বীকার করেছেন।

পাঠ্যবইয়ে ভুল থাকবে, সেটা নিয়ে হইচই হবে, এনসিটিবি একসময় সংশোধনী দেবে- এভাবেই চলে আসছে। তবুও ভালো যে, এবার অন্তত বই সম্পাদনার সঙ্গে যুক্ত কেউ দায় স্বীকার করেছেন। প্রশ্ন হচ্ছে, স্বীকার করলেই কি দায় মিটে যায়। বিশেষ করে পাঠ্যবই রচনা বা সম্পাদনার মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজে এমন কিছু কি কাম্য হতে পারে; যা থেকে ভবিষ্যতের নাগরিকরা ভুল জিনিস শিখবে, চৌর্যবৃত্তিতে উদ্বুদ্ধ হবে- এটা একটা প্রশ্ন।

বই রচনা ও সম্পাদনায় কার কী ভূমিকা সেটা বুঝতে হবে। এক্ষেত্রে বড় দায়িত্ব কার সে বিষয়ে বিভ্রান্তির কোনো সুযোগ নেই। পাঠ্যবই সম্পাদনা করা গুরু দায়িত্ব। যারা বই সম্পাদনা করেন তারা যদি তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন থাকেন এবং সেই অনুযায়ী কাজ করেন তাহলে বই ছাপার আগেই ভুল, বিকৃতি, চুরি সবই ধরা পড়ার কথা। বই রচনায় ভুলভ্রান্তি ধরার জন্যই সম্পাদক নিয়োগ দেওয়া হয়।

অনেক অপরাধকেই ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার একটি সংস্কৃতি দেশে চালু আছে। এই দৃষ্টিভঙ্গির কারণে অনেকে গুরুতর অপরাধ করেও ‘ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টির’ তকমা লাগিয়ে পার পেয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। সমাজও তাদের দায় থেকে একসময় নিষ্কৃতি দেয়। আর এ কারণেই পাঠ্যবইয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে ভুলের এক দুষ্টচক্রে বাধা পড়েছে দেশ। এই দুষ্টচক্র ভাঙতে হবে।

পাঠ্যবই রচনায় ভুলের দুষ্টচক্র ভাঙতে হলে যারা ভুল করেন বা চৌর্যবৃত্তি করেন এবং যাদের কারণে সেই ভুল সংশোধন হয় না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। পাঠ্যবই রচনায় যা হয়েছে সেটাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করতে হবে এবং একে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার সুযোগ নেই। যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের প্রত্যেকেরই কোনো না কোনো শাস্তি দিয়ে সমাজে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা : ফল বিপর্যয় নাকি বাস্তবতা

কুমারভোগের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিন

বেহাল রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরী: ব্যবস্থা নিন

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি: যৌক্তিক পদক্ষেপ নিন

গার্মেন্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

টিআরএম প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ পেতে আর কত অপেক্ষা

জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে না কেন

টাইফয়েড টিকা: ভালো উদ্যোগ

হামাস-ইসরায়েল চুক্তি: শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ সফল হোক

বকুলতলায় স্থগিত শরৎ উৎসব!

সুন্দরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স টিকাদান কার্যক্রমে জনবল সংকট দূর করুন

বনভূমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

নন্দীগ্রামে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংকট

জরাজীর্ণ বিদ্যালয়গুলো সংস্কার করুন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

পাঠ্যবইয়ে ভুল : ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার সুযোগ নেই

বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৩

দেশে পাঠ্যবই ছাপা হবে আর তাতে ভুল থাকবে, তথ্যের বিকৃতি ঘটবে- এটাই যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। নতুন শিক্ষাক্রমের বইয়েও ভুল রয়েছে, তথ্যের বিকৃতি ঘটেছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে চৌর্যবৃত্তি।

নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীতে নতুন পাঠ্যপুস্তক প্রকাশ করা হয়েছে। সপ্তম শ্রেণীর বিজ্ঞান বইয়ের পরীক্ষামূলক সংস্করণ ‘অনুসন্ধানী পাঠ’-এর কোনো কোনো অংশ ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক এডুকেশনাল সাইট থেকে নেওয়া হয়েছে। আর তা গুগল ট্রান্সলেটারের সহায়তায় হুবহু অনুবাদ করা হয়েছে। বইটি সম্পাদনার দায়িত্বে থাকা দু’জন এর দায় স্বীকার করেছেন।

পাঠ্যবইয়ে ভুল থাকবে, সেটা নিয়ে হইচই হবে, এনসিটিবি একসময় সংশোধনী দেবে- এভাবেই চলে আসছে। তবুও ভালো যে, এবার অন্তত বই সম্পাদনার সঙ্গে যুক্ত কেউ দায় স্বীকার করেছেন। প্রশ্ন হচ্ছে, স্বীকার করলেই কি দায় মিটে যায়। বিশেষ করে পাঠ্যবই রচনা বা সম্পাদনার মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজে এমন কিছু কি কাম্য হতে পারে; যা থেকে ভবিষ্যতের নাগরিকরা ভুল জিনিস শিখবে, চৌর্যবৃত্তিতে উদ্বুদ্ধ হবে- এটা একটা প্রশ্ন।

বই রচনা ও সম্পাদনায় কার কী ভূমিকা সেটা বুঝতে হবে। এক্ষেত্রে বড় দায়িত্ব কার সে বিষয়ে বিভ্রান্তির কোনো সুযোগ নেই। পাঠ্যবই সম্পাদনা করা গুরু দায়িত্ব। যারা বই সম্পাদনা করেন তারা যদি তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন থাকেন এবং সেই অনুযায়ী কাজ করেন তাহলে বই ছাপার আগেই ভুল, বিকৃতি, চুরি সবই ধরা পড়ার কথা। বই রচনায় ভুলভ্রান্তি ধরার জন্যই সম্পাদক নিয়োগ দেওয়া হয়।

অনেক অপরাধকেই ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার একটি সংস্কৃতি দেশে চালু আছে। এই দৃষ্টিভঙ্গির কারণে অনেকে গুরুতর অপরাধ করেও ‘ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টির’ তকমা লাগিয়ে পার পেয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। সমাজও তাদের দায় থেকে একসময় নিষ্কৃতি দেয়। আর এ কারণেই পাঠ্যবইয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে ভুলের এক দুষ্টচক্রে বাধা পড়েছে দেশ। এই দুষ্টচক্র ভাঙতে হবে।

পাঠ্যবই রচনায় ভুলের দুষ্টচক্র ভাঙতে হলে যারা ভুল করেন বা চৌর্যবৃত্তি করেন এবং যাদের কারণে সেই ভুল সংশোধন হয় না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। পাঠ্যবই রচনায় যা হয়েছে সেটাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করতে হবে এবং একে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার সুযোগ নেই। যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের প্রত্যেকেরই কোনো না কোনো শাস্তি দিয়ে সমাজে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।

back to top