alt

opinion » editorial

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠার পথে বাধা দূর হোক

: বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৩

শান্তি নিকেতনের আদলে একটি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার স্বপ্ন নিয়ে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় পথচলা শুরু হয়। সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থীরা মুক্তচিন্তা ও সংস্কৃতি চর্চা করবে, রবীন্দ্র দর্শন সমাজে ছড়িয়ে দিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে- এমনটাই ছিল লক্ষ্য। আশা ছিল, শিক্ষা শেষে সনদপত্র পাওয়ার জন্য নয়, তারা সংস্কৃতিবান মানুষ হওয়ার জন্য সেখানে পড়ালেখা করবে।

স্থায়ী ক্যাম্পাস না হওয়ার কারণে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য-উদ্দেশ্য পূর্ণাঙ্গ রূপ পাচ্ছে না। স্থায়ী ক্যাম্পাস না থাকায় বেশ কয়েকটি বিষয়ে পড়ানোর অনুমতিই মিলছে না। হাতেগোনা কয়েকটি বিষয়ে পড়তে বাধ্য হচ্ছে সেখানকার শিক্ষার্থীরা। গুটিকয় বিষয়ে আটকে থাকলে বিশ্বভারতীর আদলে বিস্তৃত পরিসরে পাঠদান করাবে কী করে- সেটা একটা প্রশ্ন।

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পেছনে উদ্দেশ্যটা মহৎ। তবে এই মহৎ উদ্দেশ্যের বাস্তব রূপ দিতে হলে তার একটা নিজস্ব ক্যাম্পাস অবশ্যই চাই। নিজস্ব ক্যাম্পাস চালু রাখার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনেরও কিছু বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ইউজিসির আইন অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠার সাত বছরের মধ্যে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নিজস্ব স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে হবে। এজন্য ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরে এক একর ও অন্য এলাকায় দুই একর জমি থাকতে হবে। ২০১০ সালে আইন সংশোধন করে সময় বাড়ানো হয়। তবে তা মানেনি অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়। তারা এখনও ক্যাম্পাস ছাড়াই শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাচ্ছে।

২০১৮ ও ২০২১ সালে দুই দফায় সরকার ‘বুড়ি পোতাজিয়া’ মৌজায় ১১১ একর জমি বরাদ্দ দিলেও রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আজও তা বুঝে পায়নি। জমি বরাদ্দ দেয়ার পরও সেখানে ক্যাম্পাস তৈরি করা যাচ্ছে না কেন, সমস্যা কোথায় সেটা একটা প্রশ্ন।

জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্র্তৃপক্ষ বুড়ি পোতাজিয়া মৌজার ২৩৬ একর জমির চাহিদা দিয়েছে। কিন্তু জমির ১২৫ একর অবৈধ দখলদাররা জাল দলিলপত্র করে বেদখল করে রেখেছে। উপজেলা ভূমি দপ্তর কয়েকজন জাল দলিলকারীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। মামলাটি সিরাজগঞ্জ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।

আমরা চাইব যে, মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তি হোক। বরাদ্দকৃত জমিতে ক্যাম্পাস স্থাপনের পথে সব বাধা দূর হোক। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেবে- সেটা আমাদের প্রত্যাশা।

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি: যৌক্তিক পদক্ষেপ নিন

গার্মেন্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

টিআরএম প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ পেতে আর কত অপেক্ষা

জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে না কেন

টাইফয়েড টিকা: ভালো উদ্যোগ

হামাস-ইসরায়েল চুক্তি: শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ সফল হোক

বকুলতলায় স্থগিত শরৎ উৎসব!

সুন্দরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স টিকাদান কার্যক্রমে জনবল সংকট দূর করুন

বনভূমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

নন্দীগ্রামে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংকট

জরাজীর্ণ বিদ্যালয়গুলো সংস্কার করুন

কমছেই আলুর দাম, লোকসান বাড়ছে কৃষকের

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি কি পূরণ হলো?

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

কন্যাশিশু নিপীড়নের উদ্বেগজনক চিত্র

ট্রাম্পের পরিকল্পনা একটি সম্ভাবনাময় সূচনা, কিন্তু পথ এখনও দীর্ঘ

বিজয়া দশমী: সম্প্রীতি রক্ষার অঙ্গীকার

প্লাস্টিক দূষণের শিকার সুন্দরবন: চাই জনসচেতনতা

খাগড়াছড়িতে সহিংসতা কি এড়ানো যেত না

এক প্রবীণের আর্তনাদ: সমাজ কি শুনবে?

সাঁওতালদের বিদ্যালয় ও খেলার মাঠ রক্ষা করুন

সারের কৃত্রিম সংকট ও কৃষকদের দুর্ভোগ

কুড়িগ্রামে সার ও বীজ সংকট দূর করুন

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল পাচার: প্রশাসনের তৎপরতা ও প্রত্যাশা

অ্যান্টিভেনম সংকট দূর করুন

বিলাসবহুল গাড়ি কেনার ‘অতিআগ্রহ’ নিয়ে প্রশ্ন, উত্তর কি মিলবে?

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

tab

opinion » editorial

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠার পথে বাধা দূর হোক

বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৩

শান্তি নিকেতনের আদলে একটি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার স্বপ্ন নিয়ে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় পথচলা শুরু হয়। সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থীরা মুক্তচিন্তা ও সংস্কৃতি চর্চা করবে, রবীন্দ্র দর্শন সমাজে ছড়িয়ে দিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে- এমনটাই ছিল লক্ষ্য। আশা ছিল, শিক্ষা শেষে সনদপত্র পাওয়ার জন্য নয়, তারা সংস্কৃতিবান মানুষ হওয়ার জন্য সেখানে পড়ালেখা করবে।

স্থায়ী ক্যাম্পাস না হওয়ার কারণে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য-উদ্দেশ্য পূর্ণাঙ্গ রূপ পাচ্ছে না। স্থায়ী ক্যাম্পাস না থাকায় বেশ কয়েকটি বিষয়ে পড়ানোর অনুমতিই মিলছে না। হাতেগোনা কয়েকটি বিষয়ে পড়তে বাধ্য হচ্ছে সেখানকার শিক্ষার্থীরা। গুটিকয় বিষয়ে আটকে থাকলে বিশ্বভারতীর আদলে বিস্তৃত পরিসরে পাঠদান করাবে কী করে- সেটা একটা প্রশ্ন।

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পেছনে উদ্দেশ্যটা মহৎ। তবে এই মহৎ উদ্দেশ্যের বাস্তব রূপ দিতে হলে তার একটা নিজস্ব ক্যাম্পাস অবশ্যই চাই। নিজস্ব ক্যাম্পাস চালু রাখার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনেরও কিছু বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ইউজিসির আইন অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠার সাত বছরের মধ্যে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নিজস্ব স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে হবে। এজন্য ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরে এক একর ও অন্য এলাকায় দুই একর জমি থাকতে হবে। ২০১০ সালে আইন সংশোধন করে সময় বাড়ানো হয়। তবে তা মানেনি অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়। তারা এখনও ক্যাম্পাস ছাড়াই শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাচ্ছে।

২০১৮ ও ২০২১ সালে দুই দফায় সরকার ‘বুড়ি পোতাজিয়া’ মৌজায় ১১১ একর জমি বরাদ্দ দিলেও রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আজও তা বুঝে পায়নি। জমি বরাদ্দ দেয়ার পরও সেখানে ক্যাম্পাস তৈরি করা যাচ্ছে না কেন, সমস্যা কোথায় সেটা একটা প্রশ্ন।

জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্র্তৃপক্ষ বুড়ি পোতাজিয়া মৌজার ২৩৬ একর জমির চাহিদা দিয়েছে। কিন্তু জমির ১২৫ একর অবৈধ দখলদাররা জাল দলিলপত্র করে বেদখল করে রেখেছে। উপজেলা ভূমি দপ্তর কয়েকজন জাল দলিলকারীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। মামলাটি সিরাজগঞ্জ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।

আমরা চাইব যে, মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তি হোক। বরাদ্দকৃত জমিতে ক্যাম্পাস স্থাপনের পথে সব বাধা দূর হোক। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেবে- সেটা আমাদের প্রত্যাশা।

back to top