alt

opinion » editorial

চিংড়ি ঘেরকেন্দ্রিক চাঁদাবাজি বন্ধ করুন

: রোববার, ২২ জানুয়ারী ২০২৩

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার চিংড়ি জোনের চিংড়িচাষিদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতি একশ’ একর চিংড়ি ঘেরের জন্য চাঁদা দিতে হয় এক হাজার টাকা। চাঁদা দেয়া না হলে ঘেরের চিংড়ি লুট করে নিয়ে যায় চাঁদাবাজরা। এ নিয়ে আজ রোববার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

মাথার ঘাম পায়ে ফেলে নানা প্রতিকূল পরিবেশ মোকাবিলা করে চিংড়িচাষিরা চিংড়ি উৎপাদন করেন। ঘেরের ইজারা পাওয়া থেকে শুরু করে চিংড়ি বিক্রি করা পর্যন্ত প্রতিটি স্তরে তাদের অনেক প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হয়। তাদের কষ্ট আর ত্যাগের ওপর ভিত্তি করেই দাঁড়িয়ে আছে চিংড়িশিল্প। ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে হিমায়িত চিংড়ি রপ্তানি হয়েছে ২৯ কোটি ৪৯ লাখ ডলারের।

প্রশ্ন হচ্ছে, চিংড়িচাষিরা কতটুকু লাভবান হন। তাদের লাভের গুড় খেয়ে নিচ্ছে চাঁদাবাজ, দখলবাজ বা জবরদখলকারীরা। প্রায়ই মাছের ঘের দখল ও চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে সংঘাত-সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে দেখা যায়। এসব সংঘর্ষের ঘটনায় হতাহতের ঘটনাও ঘটে।

চিংড়ি ঘেরকেন্দ্রিক চাঁদাবাজি বন্ধে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন কী ব্যবস্থা নেয়, সেটা একটা প্রশ্ন। প্রশাসনের নাকের ডগার ওপর দিয়ে চাঁদাবাজি করা হলেও তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয় না বলে গুরুতর অভিযোগ আছে। চাঁদাবাজি যারা করে তারা সাধারণত স্থানীয়ভাবে রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তি হয়ে থাকে। এ কারণে তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয় না বা যায় না। আবার এমনও অভিযোগ পাওয়া যায় যে, চাঁদাবাজ চক্রের সঙ্গে প্রশাসনের আঁতাত রয়েছে।

আমরা বলতে চাই, চিংড়ি ঘেরকেন্দ্রিক চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হব। চিংড়িচাষিরা তাদের শ্রম ও ঘামের পূর্ণ সুফল পাক, তাদের লাভের গুড় পিঁপড়ায় খেয়ে না ফেলুক-এটাই আমাদের চাওয়া।

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

tab

opinion » editorial

চিংড়ি ঘেরকেন্দ্রিক চাঁদাবাজি বন্ধ করুন

রোববার, ২২ জানুয়ারী ২০২৩

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার চিংড়ি জোনের চিংড়িচাষিদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতি একশ’ একর চিংড়ি ঘেরের জন্য চাঁদা দিতে হয় এক হাজার টাকা। চাঁদা দেয়া না হলে ঘেরের চিংড়ি লুট করে নিয়ে যায় চাঁদাবাজরা। এ নিয়ে আজ রোববার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

মাথার ঘাম পায়ে ফেলে নানা প্রতিকূল পরিবেশ মোকাবিলা করে চিংড়িচাষিরা চিংড়ি উৎপাদন করেন। ঘেরের ইজারা পাওয়া থেকে শুরু করে চিংড়ি বিক্রি করা পর্যন্ত প্রতিটি স্তরে তাদের অনেক প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হয়। তাদের কষ্ট আর ত্যাগের ওপর ভিত্তি করেই দাঁড়িয়ে আছে চিংড়িশিল্প। ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে হিমায়িত চিংড়ি রপ্তানি হয়েছে ২৯ কোটি ৪৯ লাখ ডলারের।

প্রশ্ন হচ্ছে, চিংড়িচাষিরা কতটুকু লাভবান হন। তাদের লাভের গুড় খেয়ে নিচ্ছে চাঁদাবাজ, দখলবাজ বা জবরদখলকারীরা। প্রায়ই মাছের ঘের দখল ও চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে সংঘাত-সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে দেখা যায়। এসব সংঘর্ষের ঘটনায় হতাহতের ঘটনাও ঘটে।

চিংড়ি ঘেরকেন্দ্রিক চাঁদাবাজি বন্ধে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন কী ব্যবস্থা নেয়, সেটা একটা প্রশ্ন। প্রশাসনের নাকের ডগার ওপর দিয়ে চাঁদাবাজি করা হলেও তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয় না বলে গুরুতর অভিযোগ আছে। চাঁদাবাজি যারা করে তারা সাধারণত স্থানীয়ভাবে রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তি হয়ে থাকে। এ কারণে তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয় না বা যায় না। আবার এমনও অভিযোগ পাওয়া যায় যে, চাঁদাবাজ চক্রের সঙ্গে প্রশাসনের আঁতাত রয়েছে।

আমরা বলতে চাই, চিংড়ি ঘেরকেন্দ্রিক চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হব। চিংড়িচাষিরা তাদের শ্রম ও ঘামের পূর্ণ সুফল পাক, তাদের লাভের গুড় পিঁপড়ায় খেয়ে না ফেলুক-এটাই আমাদের চাওয়া।

back to top