alt

opinion » editorial

বাসের রং ও নাম বদলে কি সড়ককে নিরাপদ করা যাবে

: মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৩

রাজধানীর প্রগতি সরণিতে যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে চাপা দেওয়ার ঘটনায় সংশ্লিষ্ট বাসচালক ও তার সহকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত রোববার ঘটনাস্থলে একটি মোটরসাইকেলে বাসের ধাক্কা লাগলে উক্ত শিক্ষার্থী মারা যান। তার মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদ ও সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে। পরে কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে তারা সড়ক ছেড়ে যায়।

প্রগতি সরণিতে শিক্ষার্থীকে চাপা দেওয়া বাসটি ভিক্টর পরিবহন নামে সড়কে চলাচল করে। সংবাদমঙ্গলবার এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, একই পরিবহন কোম্পানি বছর তিনেক আগে সুপ্রভাত নামক বাস চালাত।

২০১৯ সালে সুপ্রভাত পরিবহনের একটি বাসের চাপায় রাজধানীতে মারা যায় এক শিক্ষার্থী। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে সুপ্রভাত কোম্পানির বাসের রুট পারমিট বাতিল করা হয়। পরে কোম্পানির সব বাসের রং ও নাম বদলে ফেলা হয়। ভিক্টর পরিবহন, ভিক্টর ক্ল্যাসিক পরিবহনসহ নানা নামে সেসব বাস চালানো হচ্ছে। নাম ও রং বদলালে কী হবে পরিবহনটির ড্রাইভারমঙ্গলবার হেলপারদের স্বভাব বদলায়নি।

দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ রয়েছে যে, পরিবহন শ্রমিকরা মানবিক আচরণ করতে পারছে না। তাদের মধ্যে যদি মানবিকতা বোধ জাগ্রত করা না যায়, তাদের স্বভাব যদি বদলানো না যায় তাহলে সড়ক নিরাপদ করা সম্ভব হবে না। বাসের রং বা নাম বদলে পরিস্থিতি বদলানো যাবে না। উন্নত প্রশিক্ষণ দিয়ে পরিবহন শ্রমিকদের প্রশিক্ষিত করার প্রচেষ্টা চালাতে হবে। বাসের ড্রাইভারমঙ্গলবার হেলপারদের পাশাপাশি পরিবহন মালিকদেরও উন্নত প্রশিক্ষণ দেয়া জরুরি।

নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাজধানীতে শিক্ষার্থীদের প্রায়ই রাস্তায় নামতে হচ্ছে। সড়ক দুর্ঘটনায় দেশে হতাহতদের বড় একটি অংশই শিক্ষার্থী। ২০১৮ সালের মাঝামাঝি সময়ে দেশে শিক্ষার্থীরা বড় ধরনের আন্দোলন গড়ে তোলে। তারপর ৪ বছরেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেছে। কিন্তু শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণ হয়নি, সড়কগুলো আর নিরাপদ হয়নি।

দেশে যে সড়ক আইন পাস হয়েছে তাতে অনেক দুর্বলতা আছে। আবার আইনের প্রয়োগেও শৈথিল্য দেখা যায়। আইন হয়েছে কিন্তু বিধিমালা হয়নি। বিশেষজ্ঞরা আইনের দুর্বলতা দূর করার দাবি জানিয়েছেন। কিন্তু পরিবহন মালিকমঙ্গলবার শ্রমিক সংগঠনগুলো আইন পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে আসছে।

সড়কে মৃত্যুর মিছিল বন্ধ হোক সেটাই আমাদের চাওয়া। সড়ক নিরাপদ করতে হলে, সড়কে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করতে হলে আইনের কঠোর প্রয়োগ করতে হবে। সড়ক দুর্ঘটনার জন্য দায়ীদের বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। সড়ক আইন বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় বিধিমালা দ্রুত প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে। এক্ষেত্রে কোন চক্রের কাছে নতি স্বীকার করা যাবে না।

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

গণঅভ্যুত্থানের এক বছর: প্রত্যাশায় কী প্রাপ্তি

tab

opinion » editorial

বাসের রং ও নাম বদলে কি সড়ককে নিরাপদ করা যাবে

মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৩

রাজধানীর প্রগতি সরণিতে যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে চাপা দেওয়ার ঘটনায় সংশ্লিষ্ট বাসচালক ও তার সহকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত রোববার ঘটনাস্থলে একটি মোটরসাইকেলে বাসের ধাক্কা লাগলে উক্ত শিক্ষার্থী মারা যান। তার মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদ ও সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে। পরে কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে তারা সড়ক ছেড়ে যায়।

প্রগতি সরণিতে শিক্ষার্থীকে চাপা দেওয়া বাসটি ভিক্টর পরিবহন নামে সড়কে চলাচল করে। সংবাদমঙ্গলবার এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, একই পরিবহন কোম্পানি বছর তিনেক আগে সুপ্রভাত নামক বাস চালাত।

২০১৯ সালে সুপ্রভাত পরিবহনের একটি বাসের চাপায় রাজধানীতে মারা যায় এক শিক্ষার্থী। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে সুপ্রভাত কোম্পানির বাসের রুট পারমিট বাতিল করা হয়। পরে কোম্পানির সব বাসের রং ও নাম বদলে ফেলা হয়। ভিক্টর পরিবহন, ভিক্টর ক্ল্যাসিক পরিবহনসহ নানা নামে সেসব বাস চালানো হচ্ছে। নাম ও রং বদলালে কী হবে পরিবহনটির ড্রাইভারমঙ্গলবার হেলপারদের স্বভাব বদলায়নি।

দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ রয়েছে যে, পরিবহন শ্রমিকরা মানবিক আচরণ করতে পারছে না। তাদের মধ্যে যদি মানবিকতা বোধ জাগ্রত করা না যায়, তাদের স্বভাব যদি বদলানো না যায় তাহলে সড়ক নিরাপদ করা সম্ভব হবে না। বাসের রং বা নাম বদলে পরিস্থিতি বদলানো যাবে না। উন্নত প্রশিক্ষণ দিয়ে পরিবহন শ্রমিকদের প্রশিক্ষিত করার প্রচেষ্টা চালাতে হবে। বাসের ড্রাইভারমঙ্গলবার হেলপারদের পাশাপাশি পরিবহন মালিকদেরও উন্নত প্রশিক্ষণ দেয়া জরুরি।

নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাজধানীতে শিক্ষার্থীদের প্রায়ই রাস্তায় নামতে হচ্ছে। সড়ক দুর্ঘটনায় দেশে হতাহতদের বড় একটি অংশই শিক্ষার্থী। ২০১৮ সালের মাঝামাঝি সময়ে দেশে শিক্ষার্থীরা বড় ধরনের আন্দোলন গড়ে তোলে। তারপর ৪ বছরেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেছে। কিন্তু শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণ হয়নি, সড়কগুলো আর নিরাপদ হয়নি।

দেশে যে সড়ক আইন পাস হয়েছে তাতে অনেক দুর্বলতা আছে। আবার আইনের প্রয়োগেও শৈথিল্য দেখা যায়। আইন হয়েছে কিন্তু বিধিমালা হয়নি। বিশেষজ্ঞরা আইনের দুর্বলতা দূর করার দাবি জানিয়েছেন। কিন্তু পরিবহন মালিকমঙ্গলবার শ্রমিক সংগঠনগুলো আইন পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে আসছে।

সড়কে মৃত্যুর মিছিল বন্ধ হোক সেটাই আমাদের চাওয়া। সড়ক নিরাপদ করতে হলে, সড়কে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করতে হলে আইনের কঠোর প্রয়োগ করতে হবে। সড়ক দুর্ঘটনার জন্য দায়ীদের বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। সড়ক আইন বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় বিধিমালা দ্রুত প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে। এক্ষেত্রে কোন চক্রের কাছে নতি স্বীকার করা যাবে না।

back to top