alt

সম্পাদকীয়

কারাগারে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হওয়ার সুযোগ মেলে কীভাবে

: বুধবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৩

জঙ্গিবাদে যুক্ত থাকার অভিযোগে কক্সবাজারের কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকা থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে একজন হচ্ছে নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র সামরিক শাখার প্রধান।

র‌্যাব বলছে, সামরিক শাখার প্রধান একসময় ডাকাতির সঙ্গে যুক্ত ছিল। তার বিরুদ্ধে ডাকাতির অভিযোগে একাধিক মামলা হয়েছে। কোন কোন মামলায় ২০০৭ সালের পরে তাকে কয়েক দফা গ্রেপ্তার করা হয়। কারাভোগ করার সময় জঙ্গি সংগঠন জেএমবির শীর্ষনেতাদের সংস্পর্শে এসে উক্ত ব্যক্তি জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হয়েছে বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খল রক্ষাকারী বাহিনী। প্রশ্ন হচ্ছে, কারাগারে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হওয়ার সুযোগ মেলে কীভাবে।

কারাগার শুধু অপরাধীদের সাজা কার্যকর করার স্থান নয়। সেখানে বন্দী ব্যক্তিদের সংশোধন করে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে-এমনটাই কাম্য। কিন্তু জঙ্গিবাদের অভিযোগে আটক বা সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা সেখানে কতটা সংশোধিত হচ্ছে সেই প্রশ্ন রয়েছে। আবার সাধারণ বন্দীরা কারাগারে গিয়ে জঙ্গিবাদের মতো ভয়াবহ অপরাধে যুক্ত হচ্ছে। এ কারণে প্রশ্ন উঠেছে যে, কারাগার কতটা সুরক্ষিত। যেটা হওয়ার কথা সংশোধনকেন্দ্র সেটা কোন কারণে জঙ্গিবাদের ‘প্রশিক্ষণকেন্দ্র’ হয়ে উঠেছে কিনা এমন প্রশ্ন উঠেছে।

কারাগারে যে সাধারণ অপরাধীরা জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে তা নয়। জানা গেছে, কারাগারেই গড়ে উঠেছে জঙ্গিদের নতুন সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া। সেখানে জঙ্গিবাদী কার্যক্রমের অনেক পরিকল্পনাই হয়। অভিযুক্ত বা দন্ডপ্রাপ্ত জঙ্গিরা কারাগারে বসে মোবাইল ব্যবহার করে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। ঢাকার আদালত থেকে যেসব জঙ্গি সদস্যকে ছিনিয়ে নেয়া হয় তারা কারাগারে মোবাইল ফোনে কথা বলত বলে জানা গেছে।

জঙ্গিবাদের অভিযোগে অভিযুক্ত বা দন্ডপ্রাপ্তদের কারাগারে নজরদারিতে রাখা জরুরি। সেখানে কেউ যেন জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হতে না পারে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। জঙ্গিবাদের পথ থেকে ফেরানোর জন্য কারাগারেই ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। যেন সেখান থেকে মুক্তি পাওয়ার পর তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারে। এজন্য থাকতে হবে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা। জঙ্গিদের শুধু গ্রেপ্তার করে সাজা দিলে জঙ্গিবাদ নির্মূল হয়ে যাবে না।

কারাগারে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো দরকার কিনা সেটা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। সেখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কোন গলদ থাকলে সেটা ভবিষ্যতে বড় ধরনের বিপদ ডেকে আনবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, জঙ্গিদের লক্ষ্য ছিল কাশিমপুর কারাগারে হামলা করা। বড় ধরনের হামলা করে আত্মপ্রকাশ করতে চেয়েছিল জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া। কাজেই কারাগারের নিরাপত্তার প্রশ্নে এখনই সতর্ক হতে হবে।

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

হাতি শাবকের মৃত্যু ও সাফারি পার্কের দায়ভার

বায়ুদূষণ রোধে চাই টেকসই উদ্যোগ

মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন

চালের দামে অস্বস্তি : সরকারি তথ্য ও বাজারের বাস্তবতার ফারাক

অতিদারিদ্র্যের আশঙ্কা : সমাধান কোথায়?

ডিমলা উপজেলা হাসপাতালের অনিয়ম

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি : ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণের অপেক্ষা কবে ফুরাবে

হাইল হাওরের অস্তিত্ব সংকট

সমানাধিকারে আপত্তি কেন?

লেমুর চুরি : সাফারি পার্কের নিরাপত্তা সংকট

একটি হাসাহাসির ঘটনা, একটি হত্যাকাণ্ড : সমাজের সহিষ্ণুতার অবক্ষয়

চাই সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

মানুষ-হাতির সংঘাত : সমাধানের পথ খুঁজতে হবে

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সংকট দূর করুন

ফসলি জমি রক্ষায় কঠোর হোন

নিষ্ঠুরতার শিকার হাতি

বিশেষ ক্ষমতা আইন ও নাগরিক অধিকার

হালদায় অবৈধ মাছ শিকার বন্ধ করতে হবে

মশার উপদ্রব : বর্ষার আগেই সাবধান হতে হবে

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলা : মানবতার প্রতি এক অব্যাহত আঘাত

অবৈধ বৈদ্যুতিক ফাঁদে প্রাণহানি : দায় কার?

নদীর বাঁধ ভাঙার দুর্ভোগ : টেকসই সমাধানের জরুরি প্রয়োজন

মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা সংকট

সমবায় সমিতির নামে প্রতারণা : কঠোর নজরদারি ও আইনি পদক্ষেপ জরুরি

সড়ক দুর্ঘটনা নাকি অবহেলার পরিণতি

ভূমিকম্পের ধ্বংসযজ্ঞ ও আমাদের প্রস্তুতি

বার্ড ফ্লু : আতঙ্ক নয়, চাই সতর্কতা

জাটকা রক্ষার প্রতিশ্রুতি কি শুধুই কাগজে-কলমে?

tab

সম্পাদকীয়

কারাগারে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হওয়ার সুযোগ মেলে কীভাবে

বুধবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৩

জঙ্গিবাদে যুক্ত থাকার অভিযোগে কক্সবাজারের কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকা থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে একজন হচ্ছে নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র সামরিক শাখার প্রধান।

র‌্যাব বলছে, সামরিক শাখার প্রধান একসময় ডাকাতির সঙ্গে যুক্ত ছিল। তার বিরুদ্ধে ডাকাতির অভিযোগে একাধিক মামলা হয়েছে। কোন কোন মামলায় ২০০৭ সালের পরে তাকে কয়েক দফা গ্রেপ্তার করা হয়। কারাভোগ করার সময় জঙ্গি সংগঠন জেএমবির শীর্ষনেতাদের সংস্পর্শে এসে উক্ত ব্যক্তি জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হয়েছে বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খল রক্ষাকারী বাহিনী। প্রশ্ন হচ্ছে, কারাগারে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হওয়ার সুযোগ মেলে কীভাবে।

কারাগার শুধু অপরাধীদের সাজা কার্যকর করার স্থান নয়। সেখানে বন্দী ব্যক্তিদের সংশোধন করে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে-এমনটাই কাম্য। কিন্তু জঙ্গিবাদের অভিযোগে আটক বা সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা সেখানে কতটা সংশোধিত হচ্ছে সেই প্রশ্ন রয়েছে। আবার সাধারণ বন্দীরা কারাগারে গিয়ে জঙ্গিবাদের মতো ভয়াবহ অপরাধে যুক্ত হচ্ছে। এ কারণে প্রশ্ন উঠেছে যে, কারাগার কতটা সুরক্ষিত। যেটা হওয়ার কথা সংশোধনকেন্দ্র সেটা কোন কারণে জঙ্গিবাদের ‘প্রশিক্ষণকেন্দ্র’ হয়ে উঠেছে কিনা এমন প্রশ্ন উঠেছে।

কারাগারে যে সাধারণ অপরাধীরা জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে তা নয়। জানা গেছে, কারাগারেই গড়ে উঠেছে জঙ্গিদের নতুন সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া। সেখানে জঙ্গিবাদী কার্যক্রমের অনেক পরিকল্পনাই হয়। অভিযুক্ত বা দন্ডপ্রাপ্ত জঙ্গিরা কারাগারে বসে মোবাইল ব্যবহার করে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। ঢাকার আদালত থেকে যেসব জঙ্গি সদস্যকে ছিনিয়ে নেয়া হয় তারা কারাগারে মোবাইল ফোনে কথা বলত বলে জানা গেছে।

জঙ্গিবাদের অভিযোগে অভিযুক্ত বা দন্ডপ্রাপ্তদের কারাগারে নজরদারিতে রাখা জরুরি। সেখানে কেউ যেন জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হতে না পারে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। জঙ্গিবাদের পথ থেকে ফেরানোর জন্য কারাগারেই ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। যেন সেখান থেকে মুক্তি পাওয়ার পর তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারে। এজন্য থাকতে হবে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা। জঙ্গিদের শুধু গ্রেপ্তার করে সাজা দিলে জঙ্গিবাদ নির্মূল হয়ে যাবে না।

কারাগারে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো দরকার কিনা সেটা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। সেখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কোন গলদ থাকলে সেটা ভবিষ্যতে বড় ধরনের বিপদ ডেকে আনবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, জঙ্গিদের লক্ষ্য ছিল কাশিমপুর কারাগারে হামলা করা। বড় ধরনের হামলা করে আত্মপ্রকাশ করতে চেয়েছিল জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া। কাজেই কারাগারের নিরাপত্তার প্রশ্নে এখনই সতর্ক হতে হবে।

back to top