alt

মতামত » সম্পাদকীয়

ভূ-গর্ভস্থ পানির অপচয় বন্ধে পদক্ষেপ নিন

: বৃহস্পতিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৩

শুষ্ক মৌসুম শুরু হতে না হতেই যশোর শহরের বেশিরভাগ নলকূপ থেকে পানি মিলছে না। মানুষ খাবার পানির সংকটে ভুগছে। গভীর নলকূপের পানির স্তর নেমে গেছে মাটির ৩৫ ফুট নিচে। গত বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে।

যশোর শহরের বাসিন্দারা দূর-দূরান্ত থেকে পানি সংগ্রহ করে নিত্যদিনের প্রয়োজন মেটাচ্ছেন। রাতে নলকূপে সামান্য পানি এলে তা ধরে রাখার জন্য রাত জেগে বসে থাকতে হয়। এতে তাদের দৈনন্দিন কাজে ব্যাঘাত ঘটছে।

এখন রবি মৌসুম। বোরো আবাদ সম্পূর্ণ সেচ নির্ভর। কিন্তু কৃষকরা অনেক সময় খেতে সেচ দিতে পারছেন না। আবার পৌরসভার সরবরাহকৃত পানিও চাহিদামতো পাওয়া যায় না। এসব কারণে সেখানকার মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই।

যশোর বিএডিসির (সেচ) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বলছেন, বছরে গড়ে ২০৩ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাত হলে সেখানে পানির স্বাভাবিক স্তর ঠিক থাকে। কিন্তু গত বর্ষায় কম বৃষ্টি হয়েছে। আবার ভূ-গর্ভ থেকে নলকূপ ও শ্যালো মেশিনের সাহায্যে পানি তোলা হয়। এসব কারণে পানির স্তর নিচে নেমে গেছে।

ভূ-গর্ভস্থ পানির স্বাভাবিক স্তর নেমে যাওয়ার ঘটনা শুধু যশোরে ঘটছে না। দেশের অনেক স্থানেই এমন ঘটনা ঘটছে। ২০২১ সালে রাজশাহী বিভাগে ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে গিয়েছিল। তখন মানুষের মধ্যে যেমন খাবার পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছিল, তেমনি কৃষকরাও খেতের পানির জন্য হাহাকার করেছিলেন।

অপরিকল্পিতভাবে ভূগর্ভস্থের পানির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। খালবিল, নদী ও জলাশয়ের পানির ব্যবহার বাড়াতে হবে। সেটা করা না গেলে ক্রমশ পানির স্তর আরও নিচে নেমে যাবে বলে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তখন পানি সংকট আরও তীব্র আকার ধারণ করবে।

বোরো আবাদে পানির অনেক অপচয় হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এই অপচয় রোধের উপায় খুঁজতে হবে। বিএডিসি’র কর্মকর্তারা বলছেন, যশোর জেলায় থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামের মতো উন্নত প্রযুক্তি বারিড পাইপের মাধ্যমে কৃষকের জমিতে সেচের ব্যবস্থা করে সফলতা পাওয়া গেছে। এতে পানির অপচয় অর্ধেকে নেমে এসেছে। আমরা বলতে চাই, এই প্রযুক্তির প্রসার বাড়াতে হবে। দেশের অন্যান্য স্থানে কৃষকদের এই প্রযুক্তি ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা : ফল বিপর্যয় নাকি বাস্তবতা

কুমারভোগের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিন

বেহাল রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরী: ব্যবস্থা নিন

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি: যৌক্তিক পদক্ষেপ নিন

গার্মেন্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

ভূ-গর্ভস্থ পানির অপচয় বন্ধে পদক্ষেপ নিন

বৃহস্পতিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৩

শুষ্ক মৌসুম শুরু হতে না হতেই যশোর শহরের বেশিরভাগ নলকূপ থেকে পানি মিলছে না। মানুষ খাবার পানির সংকটে ভুগছে। গভীর নলকূপের পানির স্তর নেমে গেছে মাটির ৩৫ ফুট নিচে। গত বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে।

যশোর শহরের বাসিন্দারা দূর-দূরান্ত থেকে পানি সংগ্রহ করে নিত্যদিনের প্রয়োজন মেটাচ্ছেন। রাতে নলকূপে সামান্য পানি এলে তা ধরে রাখার জন্য রাত জেগে বসে থাকতে হয়। এতে তাদের দৈনন্দিন কাজে ব্যাঘাত ঘটছে।

এখন রবি মৌসুম। বোরো আবাদ সম্পূর্ণ সেচ নির্ভর। কিন্তু কৃষকরা অনেক সময় খেতে সেচ দিতে পারছেন না। আবার পৌরসভার সরবরাহকৃত পানিও চাহিদামতো পাওয়া যায় না। এসব কারণে সেখানকার মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই।

যশোর বিএডিসির (সেচ) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বলছেন, বছরে গড়ে ২০৩ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাত হলে সেখানে পানির স্বাভাবিক স্তর ঠিক থাকে। কিন্তু গত বর্ষায় কম বৃষ্টি হয়েছে। আবার ভূ-গর্ভ থেকে নলকূপ ও শ্যালো মেশিনের সাহায্যে পানি তোলা হয়। এসব কারণে পানির স্তর নিচে নেমে গেছে।

ভূ-গর্ভস্থ পানির স্বাভাবিক স্তর নেমে যাওয়ার ঘটনা শুধু যশোরে ঘটছে না। দেশের অনেক স্থানেই এমন ঘটনা ঘটছে। ২০২১ সালে রাজশাহী বিভাগে ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে গিয়েছিল। তখন মানুষের মধ্যে যেমন খাবার পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছিল, তেমনি কৃষকরাও খেতের পানির জন্য হাহাকার করেছিলেন।

অপরিকল্পিতভাবে ভূগর্ভস্থের পানির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। খালবিল, নদী ও জলাশয়ের পানির ব্যবহার বাড়াতে হবে। সেটা করা না গেলে ক্রমশ পানির স্তর আরও নিচে নেমে যাবে বলে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তখন পানি সংকট আরও তীব্র আকার ধারণ করবে।

বোরো আবাদে পানির অনেক অপচয় হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এই অপচয় রোধের উপায় খুঁজতে হবে। বিএডিসি’র কর্মকর্তারা বলছেন, যশোর জেলায় থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামের মতো উন্নত প্রযুক্তি বারিড পাইপের মাধ্যমে কৃষকের জমিতে সেচের ব্যবস্থা করে সফলতা পাওয়া গেছে। এতে পানির অপচয় অর্ধেকে নেমে এসেছে। আমরা বলতে চাই, এই প্রযুক্তির প্রসার বাড়াতে হবে। দেশের অন্যান্য স্থানে কৃষকদের এই প্রযুক্তি ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।

back to top