alt

opinion » editorial

রেলের দখল হওয়া জমি উদ্ধার করতে হবে

: মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৩

রেলওয়ের মোট জমির পরিমাণ প্রায় ৫৮ হাজার ৪৭০ একর। এর মধ্যে বেদখলে রয়েছে ২ হাজার ৮১৭ একরেরও বেশি জমি। জমি বেশি দখল হয়েছে পশ্চিমাঞ্চলে। সেখানকার বিভিন্ন জেলায় দখল হওয়া জমির পরিমাণ ১ হাজার ৪৪ দশমিক ১০৩ হেক্টর। আর পূর্বাঞ্চলে ৯৬ দশমিক ৪৩২ হেক্টর জমি দখল হয়েছে। গত রোববার জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

রেলের বেদখল হওয়া জমিতে গড়ে উঠেছে দোকান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বস্তি, ঘরবাড়ি, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মন্দির, বিভিন্ন রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান, ক্লাব ইত্যাদি। মন্ত্রী বলেছেন, বেদখলকৃত জমি অবৈধ দখলমুক্ত করার জন্য উচ্ছেদ কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়।

রেলের জমি দখলে যেমন প্রভাবশালীদের নাম পাওয়া যায়, তেমনি সাধারণ মানুষের কথাও জানা যায়। অভিযোগ আছে, রেল বিভাগে কর্মরত একশ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সঙ্গে যোগসাজশে চলে এসব জমি দখল। রেলের জমি শর্তসাপেক্ষে লিজ নিয়ে অনেকে শর্ত লঙ্ঘন করছেন। হিসাব অনুযায়ী, রেলের ১৫ হাজার ৮৯ দশমিক ২২১৩ একর জমি লিজ দেওয়া হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের দায়িত্বহীনতার কারণেই রেলের সম্পত্তি বেদখল হয়ে যাচ্ছে বলে অনেকে মনে করেন। জমি বেদখল হওয়ার দায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনভাবেই এড়াতে পারে না। এজন্য রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিষ্ঠা, আন্তরিকতা, দায়িত্বশীলতা, স্বচ্ছতা, দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহিতা থাকা জরুরি। রেল বিভাগে দুর্নীতির আরও অভিযোগ পাওয়া যায়।

সারাদেশে রেলওয়ের জমি দখলের অবসান হোক সেটা আমাদের চাওয়া। দখলের অবসানে বিভিন্ন সময়ে অভিযান চালানো হয়, দখল হওয়া জমি উদ্ধারও করা হয়। তবে রক্ষণাবেক্ষণ এবং ব্যবস্থাপনার অভাবে তা আবার দখল হয়ে যাচ্ছে। উদ্ধারকৃত জমি যাতে পুনর্দখল না হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য নিয়মিত মনিটরিং করতে হবে, গড়ে তুলতে হবে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা। এ লক্ষ্যে রেলওয়ের ভূমি ব্যবস্থাপনা নীতিমালা সহজ করা জরুরি।

শুধু অভিযান চালিয়ে দখল উচ্ছেদ করলেই চলবে না। যারা জমি দখল করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। সব কিছুর আগে রেলের দুর্নীতি বন্ধ করা দরকার। দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

গণঅভ্যুত্থানের এক বছর: প্রত্যাশায় কী প্রাপ্তি

tab

opinion » editorial

রেলের দখল হওয়া জমি উদ্ধার করতে হবে

মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৩

রেলওয়ের মোট জমির পরিমাণ প্রায় ৫৮ হাজার ৪৭০ একর। এর মধ্যে বেদখলে রয়েছে ২ হাজার ৮১৭ একরেরও বেশি জমি। জমি বেশি দখল হয়েছে পশ্চিমাঞ্চলে। সেখানকার বিভিন্ন জেলায় দখল হওয়া জমির পরিমাণ ১ হাজার ৪৪ দশমিক ১০৩ হেক্টর। আর পূর্বাঞ্চলে ৯৬ দশমিক ৪৩২ হেক্টর জমি দখল হয়েছে। গত রোববার জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

রেলের বেদখল হওয়া জমিতে গড়ে উঠেছে দোকান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বস্তি, ঘরবাড়ি, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মন্দির, বিভিন্ন রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান, ক্লাব ইত্যাদি। মন্ত্রী বলেছেন, বেদখলকৃত জমি অবৈধ দখলমুক্ত করার জন্য উচ্ছেদ কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়।

রেলের জমি দখলে যেমন প্রভাবশালীদের নাম পাওয়া যায়, তেমনি সাধারণ মানুষের কথাও জানা যায়। অভিযোগ আছে, রেল বিভাগে কর্মরত একশ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সঙ্গে যোগসাজশে চলে এসব জমি দখল। রেলের জমি শর্তসাপেক্ষে লিজ নিয়ে অনেকে শর্ত লঙ্ঘন করছেন। হিসাব অনুযায়ী, রেলের ১৫ হাজার ৮৯ দশমিক ২২১৩ একর জমি লিজ দেওয়া হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের দায়িত্বহীনতার কারণেই রেলের সম্পত্তি বেদখল হয়ে যাচ্ছে বলে অনেকে মনে করেন। জমি বেদখল হওয়ার দায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনভাবেই এড়াতে পারে না। এজন্য রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিষ্ঠা, আন্তরিকতা, দায়িত্বশীলতা, স্বচ্ছতা, দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহিতা থাকা জরুরি। রেল বিভাগে দুর্নীতির আরও অভিযোগ পাওয়া যায়।

সারাদেশে রেলওয়ের জমি দখলের অবসান হোক সেটা আমাদের চাওয়া। দখলের অবসানে বিভিন্ন সময়ে অভিযান চালানো হয়, দখল হওয়া জমি উদ্ধারও করা হয়। তবে রক্ষণাবেক্ষণ এবং ব্যবস্থাপনার অভাবে তা আবার দখল হয়ে যাচ্ছে। উদ্ধারকৃত জমি যাতে পুনর্দখল না হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য নিয়মিত মনিটরিং করতে হবে, গড়ে তুলতে হবে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা। এ লক্ষ্যে রেলওয়ের ভূমি ব্যবস্থাপনা নীতিমালা সহজ করা জরুরি।

শুধু অভিযান চালিয়ে দখল উচ্ছেদ করলেই চলবে না। যারা জমি দখল করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। সব কিছুর আগে রেলের দুর্নীতি বন্ধ করা দরকার। দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

back to top