alt

সম্পাদকীয়

ভেজাল সার বিক্রি বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

: মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৩

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে অসাধু ব্যবসায়ীরা ভেজাল সার বিক্রি করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই সার কিনে কৃষকরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। ভেজাল সার বিক্রির অভিযোগে প্রশাসন ব্যবস্থা নিলেও তা বন্ধ করা যায়নি। এ নিয়ে গত সোমবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

শুধু রাজবাড়ীতেই নয় দেশের অনেক স্থানেই অসাধু চক্র ভেজাল সার বিক্রি করছে। অতীতে মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন অধিদপ্তরের (এসআরডিআই) করা এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, কৃষকরা যে সার কেনেন তার ৪০ শতাংশই ভেজাল।

সার (ব্যবস্থাপনা) (সংশোধন) আইন ২০১৮ অনুযায়ী, ভেজাল সার বিক্রিতে ২ বছরের সশ্রম কারাদন্ড বা সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ডের বিধান রাখা হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা অভিযোগ করে বলেছেন, গোপনে বা প্রভাব খাটিয়ে প্রতারক চক্র কারখানায় ভেজাল সার প্রস্তুত করে। তারপর বাজারে সেই সার কৃষকদের কাছে বিক্রি করে। এ ক্ষেত্রে তারা আইনের তোয়াক্কা করে না। ভেজাল সার প্রস্তুতের কারখানা গড়ে তুলতে এবং সেখানে উৎপাদিত ভেজাল সার বিক্রির কর্মকান্ডে অনেক সময় প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদেরও হাত থাকে বলে বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে।

মাথার ঘাম পায়ে ফেলে উপার্জন করা অর্থ দিয়ে এসব ভেজাল সার কিনে প্রতারিত হচ্ছেন কৃষকরা। ভালো ফলনের আশায় তারা গাঁটের পয়সা খরচ করে সার কেনেন। ভেজাল সার ব্যবহার করা হলে খেতের ফলন ভালো হওয়া তো দূরের কথা, উল্টো ফসল নষ্ট হয়।

রাসায়নিক সারের সঙ্গে ডলোমাইট, জিপসাম, ম্যাগনেশিয়াম সালফেট, লাল রঙের বালু ও সোডিয়াম সালফেটের মতো ক্ষতিকারক দ্রব্য মেশানো হচ্ছে। কৃষকরা ভালোমানের সার ভেবে সেগুলো খেতে ব্যবহার করছেন। ব্যবহারের পর দেখা যায় খেতের ফসলে পচন ধরছে। এতে একদিকে কৃষকরা যেমন আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, অন্যদিকে ফসলের উৎপাদন ক্ষমতাও দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে। পরিবেশের ক্ষতি তো হচ্ছেই। কৃষিবিজ্ঞানীরা বলছেন, ভেজাল সারে যেসব ক্ষতিকারক পদার্থ মেশানো হচ্ছে, সেসব পদার্থ মাটি ও মানবদেহের জন্য ক্ষতিকারক।

প্রশাসনকে কঠোর হাতে ভেজালকারীদের দমন করতে হবে। প্রতিনিয়ত বাজার মনিটরিং করতে হবে। এ সংক্রান্ত যে আইন আছে তা কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে হবে। ভেজালকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হলে অবস্থার উন্নতি হবে। কৃষকদের সঙ্গে যারা প্রতারণা করছে, যাদের কারণে দেশের কৃষি উৎপাদন হুমকির মুখে পড়ছে তাদের ছাড় দেয়া চলবে না।

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

হাতি শাবকের মৃত্যু ও সাফারি পার্কের দায়ভার

বায়ুদূষণ রোধে চাই টেকসই উদ্যোগ

মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন

চালের দামে অস্বস্তি : সরকারি তথ্য ও বাজারের বাস্তবতার ফারাক

অতিদারিদ্র্যের আশঙ্কা : সমাধান কোথায়?

ডিমলা উপজেলা হাসপাতালের অনিয়ম

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি : ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণের অপেক্ষা কবে ফুরাবে

হাইল হাওরের অস্তিত্ব সংকট

সমানাধিকারে আপত্তি কেন?

লেমুর চুরি : সাফারি পার্কের নিরাপত্তা সংকট

একটি হাসাহাসির ঘটনা, একটি হত্যাকাণ্ড : সমাজের সহিষ্ণুতার অবক্ষয়

চাই সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

মানুষ-হাতির সংঘাত : সমাধানের পথ খুঁজতে হবে

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সংকট দূর করুন

ফসলি জমি রক্ষায় কঠোর হোন

নিষ্ঠুরতার শিকার হাতি

বিশেষ ক্ষমতা আইন ও নাগরিক অধিকার

হালদায় অবৈধ মাছ শিকার বন্ধ করতে হবে

মশার উপদ্রব : বর্ষার আগেই সাবধান হতে হবে

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলা : মানবতার প্রতি এক অব্যাহত আঘাত

অবৈধ বৈদ্যুতিক ফাঁদে প্রাণহানি : দায় কার?

নদীর বাঁধ ভাঙার দুর্ভোগ : টেকসই সমাধানের জরুরি প্রয়োজন

মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা সংকট

সমবায় সমিতির নামে প্রতারণা : কঠোর নজরদারি ও আইনি পদক্ষেপ জরুরি

সড়ক দুর্ঘটনা নাকি অবহেলার পরিণতি

ভূমিকম্পের ধ্বংসযজ্ঞ ও আমাদের প্রস্তুতি

বার্ড ফ্লু : আতঙ্ক নয়, চাই সতর্কতা

জাটকা রক্ষার প্রতিশ্রুতি কি শুধুই কাগজে-কলমে?

ভেজাল কীটনাশক বন্ধে ব্যবস্থা নিন

tab

সম্পাদকীয়

ভেজাল সার বিক্রি বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৩

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে অসাধু ব্যবসায়ীরা ভেজাল সার বিক্রি করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই সার কিনে কৃষকরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। ভেজাল সার বিক্রির অভিযোগে প্রশাসন ব্যবস্থা নিলেও তা বন্ধ করা যায়নি। এ নিয়ে গত সোমবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

শুধু রাজবাড়ীতেই নয় দেশের অনেক স্থানেই অসাধু চক্র ভেজাল সার বিক্রি করছে। অতীতে মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন অধিদপ্তরের (এসআরডিআই) করা এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, কৃষকরা যে সার কেনেন তার ৪০ শতাংশই ভেজাল।

সার (ব্যবস্থাপনা) (সংশোধন) আইন ২০১৮ অনুযায়ী, ভেজাল সার বিক্রিতে ২ বছরের সশ্রম কারাদন্ড বা সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ডের বিধান রাখা হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা অভিযোগ করে বলেছেন, গোপনে বা প্রভাব খাটিয়ে প্রতারক চক্র কারখানায় ভেজাল সার প্রস্তুত করে। তারপর বাজারে সেই সার কৃষকদের কাছে বিক্রি করে। এ ক্ষেত্রে তারা আইনের তোয়াক্কা করে না। ভেজাল সার প্রস্তুতের কারখানা গড়ে তুলতে এবং সেখানে উৎপাদিত ভেজাল সার বিক্রির কর্মকান্ডে অনেক সময় প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদেরও হাত থাকে বলে বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে।

মাথার ঘাম পায়ে ফেলে উপার্জন করা অর্থ দিয়ে এসব ভেজাল সার কিনে প্রতারিত হচ্ছেন কৃষকরা। ভালো ফলনের আশায় তারা গাঁটের পয়সা খরচ করে সার কেনেন। ভেজাল সার ব্যবহার করা হলে খেতের ফলন ভালো হওয়া তো দূরের কথা, উল্টো ফসল নষ্ট হয়।

রাসায়নিক সারের সঙ্গে ডলোমাইট, জিপসাম, ম্যাগনেশিয়াম সালফেট, লাল রঙের বালু ও সোডিয়াম সালফেটের মতো ক্ষতিকারক দ্রব্য মেশানো হচ্ছে। কৃষকরা ভালোমানের সার ভেবে সেগুলো খেতে ব্যবহার করছেন। ব্যবহারের পর দেখা যায় খেতের ফসলে পচন ধরছে। এতে একদিকে কৃষকরা যেমন আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, অন্যদিকে ফসলের উৎপাদন ক্ষমতাও দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে। পরিবেশের ক্ষতি তো হচ্ছেই। কৃষিবিজ্ঞানীরা বলছেন, ভেজাল সারে যেসব ক্ষতিকারক পদার্থ মেশানো হচ্ছে, সেসব পদার্থ মাটি ও মানবদেহের জন্য ক্ষতিকারক।

প্রশাসনকে কঠোর হাতে ভেজালকারীদের দমন করতে হবে। প্রতিনিয়ত বাজার মনিটরিং করতে হবে। এ সংক্রান্ত যে আইন আছে তা কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে হবে। ভেজালকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হলে অবস্থার উন্নতি হবে। কৃষকদের সঙ্গে যারা প্রতারণা করছে, যাদের কারণে দেশের কৃষি উৎপাদন হুমকির মুখে পড়ছে তাদের ছাড় দেয়া চলবে না।

back to top