alt

opinion » editorial

কুড়িল বস্তিতে অগ্নিকাণ্ড

: মঙ্গলবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

আবারো আগুনে পুড়ল রাজধানীর মহাখালীর কড়াইল বস্তি। অগ্নিকাণ্ডে ৬০টি পরিবারের ঘর পুড়ে গেছে। তারা মাথা গোঁজার ঠাঁই ও সহায়-সম্বল হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে। সরকার এসব অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াবে সেটা আমাদের আশা।

ফায়ার সার্ভিস বলছে, গত দশ বছরে কুড়িল বস্তিতে ১৫ বারেরও বেশি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। সেখানে আগুন লাগার একাধিক কারণ রয়েছে। তবে অসচেতনতা ও অসতর্কতাই মূল কারণ। সেখানে অবৈধভাবে বিদ্যুতের সংযোগ নেয়া হয়েছে। এসব বিদ্যুতের তারও পুরোনো। এই তার কী পরিমাণ বিদ্যুৎ লোড নিতে পারে সেটাও ব্যবহারকারীরা জানেন না। চোরাই সংযোগে হিটার চালানো হয়। আছে চোরাই গ্যাস সংযোগ।

সাধারণত খেটে খাওয়া নানান পেশার মানুষ বস্তিতে একটু মাথা গোঁজার ঠাঁই খুঁজে নেয়। তারা অনেক সময় হিটারের চুলায় বা চোরাই গ্যাসের চুলায় রান্না করে। সেখান থেকে আগুন লাগার ঘটনা অতীতেও ঘটেছে। অগ্নিকাণ্ডে সর্বস্বান্ত হয় অনেক পরিবার। সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিরা তখন সেখানে ছুটে যান। ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যও দেয়া হয় কমবেশি। এবারও হয়তো দেয়া হবে। প্রশ্ন হচ্ছে, বস্তিতে এমন অগ্নিকাণ্ড কি ঘটতেই থাকবে?

বস্তিতে কী কারণে বারবার অগ্নিকাণ্ড ঘটছে তার তদন্ত করে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা কেন নেয়া হয় না- সেটা একটা প্রশ্ন। পরিকল্পনা নিয়ে কোনো বস্তি তৈরি করা হয় না। বস্তিগুলোর পরিবেশ হয়ে থাকে ঘিঞ্জি। কুড়িল বস্তিতে আগুন লাগলে তা নেভানোর জন্য ফায়ার সার্ভিসকে পাইপ ঘুরিয়ে আনতে হয় দেড় কিলোমিটার। ততক্ষণে অনেক ঘর পুড়ে যায়।

এখন মৌসুম শুষ্ক। অতীতে দেখা গেছে এ মৌসুমে প্রতিদিন দেশের কোথাও না কোথাও অগ্নিকাণ্ডের মতো ঘটনা ঘটেছে। এসব অগ্নিকাণ্ডে মানুষ শুধু বসতভিটাই হারায় না, প্রাণহানিও ঘটে। মানুষ একটু সতর্ক ও সচেতন হলে এসব অগ্নিকাণ্ড এড়ানো কঠিন কিছু নয়। এক্ষেত্রে বস্তির বাসিন্দাদের অগ্নিনির্বাপণের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নিলে আগুনে ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি কম ঘটবে বলে বিশেষজ্ঞরা বলছেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অগ্নিকাণ্ড প্রতিকারে সতর্কতা ও সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেবে বলে আমরা আশা করি।

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

tab

opinion » editorial

কুড়িল বস্তিতে অগ্নিকাণ্ড

মঙ্গলবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

আবারো আগুনে পুড়ল রাজধানীর মহাখালীর কড়াইল বস্তি। অগ্নিকাণ্ডে ৬০টি পরিবারের ঘর পুড়ে গেছে। তারা মাথা গোঁজার ঠাঁই ও সহায়-সম্বল হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে। সরকার এসব অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াবে সেটা আমাদের আশা।

ফায়ার সার্ভিস বলছে, গত দশ বছরে কুড়িল বস্তিতে ১৫ বারেরও বেশি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। সেখানে আগুন লাগার একাধিক কারণ রয়েছে। তবে অসচেতনতা ও অসতর্কতাই মূল কারণ। সেখানে অবৈধভাবে বিদ্যুতের সংযোগ নেয়া হয়েছে। এসব বিদ্যুতের তারও পুরোনো। এই তার কী পরিমাণ বিদ্যুৎ লোড নিতে পারে সেটাও ব্যবহারকারীরা জানেন না। চোরাই সংযোগে হিটার চালানো হয়। আছে চোরাই গ্যাস সংযোগ।

সাধারণত খেটে খাওয়া নানান পেশার মানুষ বস্তিতে একটু মাথা গোঁজার ঠাঁই খুঁজে নেয়। তারা অনেক সময় হিটারের চুলায় বা চোরাই গ্যাসের চুলায় রান্না করে। সেখান থেকে আগুন লাগার ঘটনা অতীতেও ঘটেছে। অগ্নিকাণ্ডে সর্বস্বান্ত হয় অনেক পরিবার। সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিরা তখন সেখানে ছুটে যান। ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যও দেয়া হয় কমবেশি। এবারও হয়তো দেয়া হবে। প্রশ্ন হচ্ছে, বস্তিতে এমন অগ্নিকাণ্ড কি ঘটতেই থাকবে?

বস্তিতে কী কারণে বারবার অগ্নিকাণ্ড ঘটছে তার তদন্ত করে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা কেন নেয়া হয় না- সেটা একটা প্রশ্ন। পরিকল্পনা নিয়ে কোনো বস্তি তৈরি করা হয় না। বস্তিগুলোর পরিবেশ হয়ে থাকে ঘিঞ্জি। কুড়িল বস্তিতে আগুন লাগলে তা নেভানোর জন্য ফায়ার সার্ভিসকে পাইপ ঘুরিয়ে আনতে হয় দেড় কিলোমিটার। ততক্ষণে অনেক ঘর পুড়ে যায়।

এখন মৌসুম শুষ্ক। অতীতে দেখা গেছে এ মৌসুমে প্রতিদিন দেশের কোথাও না কোথাও অগ্নিকাণ্ডের মতো ঘটনা ঘটেছে। এসব অগ্নিকাণ্ডে মানুষ শুধু বসতভিটাই হারায় না, প্রাণহানিও ঘটে। মানুষ একটু সতর্ক ও সচেতন হলে এসব অগ্নিকাণ্ড এড়ানো কঠিন কিছু নয়। এক্ষেত্রে বস্তির বাসিন্দাদের অগ্নিনির্বাপণের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নিলে আগুনে ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি কম ঘটবে বলে বিশেষজ্ঞরা বলছেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অগ্নিকাণ্ড প্রতিকারে সতর্কতা ও সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেবে বলে আমরা আশা করি।

back to top