alt

মতামত » সম্পাদকীয়

নিত্যপণ্যের বাজারে স্বস্তি মিলবে কীভাবে

: শনিবার, ০৪ মার্চ ২০২৩

রোজা শুরু হবে সপ্তাহ দুয়েক পর। তার আগেই নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। তবে একাধিক মন্ত্রী আশ্বাস দিয়ে বলেছিলেন যে, এবারের রোজায় নিত্যপণ্যের দাম বাড়বে না। অবশ্য এমন কথা প্রতিবারই রোজার আগে শোনা যায়। বাস্তবতা হচ্ছে, এবারও নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে সাধারণ মানুষের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার অবসান হয়নি। চিনির দাম আরও আগেই বেড়ে গেছে। বেড়েছে ব্রয়লার মুরগি ও ডিমসহ আরও কিছু পণ্যের দাম। দাম কমার কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। দাম যে এক জায়গায় স্থিতিশীল হবে সেটার আশাও করা যাচ্ছে না।

নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে অনেক দিন ধরে। সাধারণ মানুষকে সংসার চালাতে হচ্ছে অনেক হিসাব কষে, কাটছাঁট করে। সরকারের দেয়া স্বল্পমূল্যের পণ্য কেনার জন্য অপেক্ষমাণ মানুষের দীর্ঘ সারিতে দেখা যায় নতুন নতুন মুখ। তারা বলছেন, নিত্যপণ্যের দাম তাদের নাগালের বাইরে চলে গেছে।

রোজায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখার কথা প্রতিবারই বলা হয়। সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় যে, দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের পর্যাপ্ত মজুত আছে। কেউ সিন্ডিকেট করে দাম বাড়ালে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথাও বলা হয়।

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারকে বিভিন্ন সময় কিছু পদক্ষেপ নিতে দেখা গেছে। এর আগে মজুতদারির বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়েছে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কিছু পণ্য নিয়মিত বিক্রি করা হয়। তা সত্ত্বেও দ্রব্যমূল্যের লাগাম টানা যাচ্ছে না। এর কারণ কী? অনেকে অভিযোগ করে বলেন যে, সুশাসনের অভাব এবং সরকারি সংস্থাগুলোর অদক্ষতা ও সমন্বয়হীনতার কারণে নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না।

ডলার সংকট, জ্বালানি বা বিদ্যুতের দাম বাড়ার কারণে নিত্যপণ্যের দামও বাড়ে। বিশ্ববাজারে দাম বাড়া বা অভ্যন্তরীণ মজুতদারির কারণেও দ্রব্যমূল্য বাড়তে পারে অস্বাভাবিক হারে। কিন্তু এর বাইরেও দ্রব্যমূল্য বাড়ার আরও কিছু কারণ রয়েছে। বিশ্ববাজারে দাম বাড়েনি কিন্তু দেশে দাম বাড়ছে-এমন ঘটনা অতীতে ঘটতে দেখা গেছে। যে কারণে প্রশ্ন ওঠে যে, সমস্যার শেকড়ের সন্ধান মিলেছে কিনা। নাকি সমস্যার চূড়ায় হাত দিয়ে তা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। দ্রব্যমূল্য বাড়ার মূল কারণ খুঁজে বের করা এবং সে অনুযায়ী সর্বাত্মক ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। সমস্যার গভীরে পৌঁছাতে না পারলে নিত্যপণ্যের দামে লাগাম টানা কঠিন হবে।

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা : ফল বিপর্যয় নাকি বাস্তবতা

কুমারভোগের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিন

বেহাল রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরী: ব্যবস্থা নিন

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি: যৌক্তিক পদক্ষেপ নিন

গার্মেন্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

টিআরএম প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ পেতে আর কত অপেক্ষা

জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে না কেন

টাইফয়েড টিকা: ভালো উদ্যোগ

হামাস-ইসরায়েল চুক্তি: শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ সফল হোক

বকুলতলায় স্থগিত শরৎ উৎসব!

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

নিত্যপণ্যের বাজারে স্বস্তি মিলবে কীভাবে

শনিবার, ০৪ মার্চ ২০২৩

রোজা শুরু হবে সপ্তাহ দুয়েক পর। তার আগেই নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। তবে একাধিক মন্ত্রী আশ্বাস দিয়ে বলেছিলেন যে, এবারের রোজায় নিত্যপণ্যের দাম বাড়বে না। অবশ্য এমন কথা প্রতিবারই রোজার আগে শোনা যায়। বাস্তবতা হচ্ছে, এবারও নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে সাধারণ মানুষের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার অবসান হয়নি। চিনির দাম আরও আগেই বেড়ে গেছে। বেড়েছে ব্রয়লার মুরগি ও ডিমসহ আরও কিছু পণ্যের দাম। দাম কমার কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। দাম যে এক জায়গায় স্থিতিশীল হবে সেটার আশাও করা যাচ্ছে না।

নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে অনেক দিন ধরে। সাধারণ মানুষকে সংসার চালাতে হচ্ছে অনেক হিসাব কষে, কাটছাঁট করে। সরকারের দেয়া স্বল্পমূল্যের পণ্য কেনার জন্য অপেক্ষমাণ মানুষের দীর্ঘ সারিতে দেখা যায় নতুন নতুন মুখ। তারা বলছেন, নিত্যপণ্যের দাম তাদের নাগালের বাইরে চলে গেছে।

রোজায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখার কথা প্রতিবারই বলা হয়। সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় যে, দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের পর্যাপ্ত মজুত আছে। কেউ সিন্ডিকেট করে দাম বাড়ালে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথাও বলা হয়।

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারকে বিভিন্ন সময় কিছু পদক্ষেপ নিতে দেখা গেছে। এর আগে মজুতদারির বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়েছে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কিছু পণ্য নিয়মিত বিক্রি করা হয়। তা সত্ত্বেও দ্রব্যমূল্যের লাগাম টানা যাচ্ছে না। এর কারণ কী? অনেকে অভিযোগ করে বলেন যে, সুশাসনের অভাব এবং সরকারি সংস্থাগুলোর অদক্ষতা ও সমন্বয়হীনতার কারণে নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না।

ডলার সংকট, জ্বালানি বা বিদ্যুতের দাম বাড়ার কারণে নিত্যপণ্যের দামও বাড়ে। বিশ্ববাজারে দাম বাড়া বা অভ্যন্তরীণ মজুতদারির কারণেও দ্রব্যমূল্য বাড়তে পারে অস্বাভাবিক হারে। কিন্তু এর বাইরেও দ্রব্যমূল্য বাড়ার আরও কিছু কারণ রয়েছে। বিশ্ববাজারে দাম বাড়েনি কিন্তু দেশে দাম বাড়ছে-এমন ঘটনা অতীতে ঘটতে দেখা গেছে। যে কারণে প্রশ্ন ওঠে যে, সমস্যার শেকড়ের সন্ধান মিলেছে কিনা। নাকি সমস্যার চূড়ায় হাত দিয়ে তা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। দ্রব্যমূল্য বাড়ার মূল কারণ খুঁজে বের করা এবং সে অনুযায়ী সর্বাত্মক ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। সমস্যার গভীরে পৌঁছাতে না পারলে নিত্যপণ্যের দামে লাগাম টানা কঠিন হবে।

back to top