alt

opinion » editorial

পঞ্চগড়ে সাম্প্রদায়িক হামলা প্রশাসনের প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা

: রোববার, ০৫ মার্চ ২০২৩

পঞ্চগড়ে আহমদিয়া জামাতের ‘সালানা জলসা’কে কেন্দ্র করে যে হামলার ঘটনা ঘটেছে তাতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও পুলিশ যথাযথ ভূমিকা রাখতে পেরেছে কিনা সেই প্রশ্ন উঠেছে। সেখানে আকস্মিকভাবে জলসার আয়োজন করা হয়নি। আয়োজকরা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে জানিয়েই জলসার দিনক্ষণ নির্ধারণ করেছে এবং সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি নিয়েছে। আর এটাই সেখানে প্রথম জলসা নয়। সেটি ছিল ৯৮তম জলসা।

জলসা বন্ধের দাবিও উঠেছিল জোরেশোরে, প্রকাশ্যে। যারা এই আয়োজনের বিরোধিতা করছিল তারা ডিসি বরাবর স্মারকলিপিও দিয়েছে বলে জানা যায়।

আয়োজকরা বলছেন, প্রশাসনের সবুজ সংকেত পেয়েই তারা তাদের কর্মসূচি এগিয়ে নিয়েছেন।

পুলিশ দাবি করছে, অনুষ্ঠান আয়োজনে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল। আমরা জানতে চাইব, পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়ার পরও একাধিক দিন সেখানে হামলা হলো কীভাবে। লুটপাট, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটল কীভাবে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যাচ্ছে, পুলিশের উপস্থিতিতেই আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। ঘটনার আগে-পরে অনেক গুজব ছড়িয়েছে। গুজব প্রতিরোধেও প্রশাসন যথেষ্ট তৎপর ছিল না বলে অভিযোগ উঠেছে।

অতীতেও দেখা গেছে,সাম্প্রদায়িক হামলার আশঙ্কার কথা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে আগে জানানো হলেও তারা সময়মতো প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয় না বা কালক্ষেপণ করে। কোন কোন ক্ষেত্রে হামলার কয়েক ঘন্টা পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘটনস্থালে পৌঁছায়। আবার ঘটনাস্থলে থাকলেও নীরব ভূমিকা পালনের অভিযোগ ওঠে। সাম্প্রদায়িক হামলা প্রতিরোধে ব্যর্থতার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের বিরুদ্ধে সরকারকে কঠোর কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না। মাঝেমধ্যে নামমাত্র প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হয়।

সংশ্লিষ্ট প্রশাসন সময়মতো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিলে শুধু পঞ্চগড়েই নয় অতীতে ঘটা অনেক সাম্প্রদায়িক হামলাই প্রতিরোধ করা সম্ভব হতো বলে আমরা মনে করি। সাম্প্রদায়িক হামলার ‘পূর্ব পরিকল্পনা’ জানা ও তা নস্যাৎ করা প্রশাসনের দায়িত্ব। প্রশাসন এ ধরনের আগাম তথ্য জানতে পারে কিনা, জানলে কী ব্যবস্থা নেয় সেটা খতিয়ে দেখা দরকার।

প্রশাসনকে কেউ উদ্যোগী হয়ে সাম্প্রদায়িক হামলার কথা জানালেও তারা গদাইলস্করি চালে কাজ করে। স্থানীয় প্রশাসনের গদাইলস্করি চালের কারণে কারা লাভবান হয় আর কারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে সেই হিসাব করতে হবে।

পঞ্চগড়ে সাম্প্রদায়িক হামলা প্রতিরোধে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে যে প্রশ্ন উঠেছে তা আমলে নিতে হবে। হামলা প্রতিরোধে কারও কোন ব্যর্থতা থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা জরুরি।

অ্যান্টিভেনম সংকট দূর করুন

বিলাসবহুল গাড়ি কেনার ‘অতিআগ্রহ’ নিয়ে প্রশ্ন, উত্তর কি মিলবে?

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

tab

opinion » editorial

পঞ্চগড়ে সাম্প্রদায়িক হামলা প্রশাসনের প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা

রোববার, ০৫ মার্চ ২০২৩

পঞ্চগড়ে আহমদিয়া জামাতের ‘সালানা জলসা’কে কেন্দ্র করে যে হামলার ঘটনা ঘটেছে তাতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও পুলিশ যথাযথ ভূমিকা রাখতে পেরেছে কিনা সেই প্রশ্ন উঠেছে। সেখানে আকস্মিকভাবে জলসার আয়োজন করা হয়নি। আয়োজকরা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে জানিয়েই জলসার দিনক্ষণ নির্ধারণ করেছে এবং সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি নিয়েছে। আর এটাই সেখানে প্রথম জলসা নয়। সেটি ছিল ৯৮তম জলসা।

জলসা বন্ধের দাবিও উঠেছিল জোরেশোরে, প্রকাশ্যে। যারা এই আয়োজনের বিরোধিতা করছিল তারা ডিসি বরাবর স্মারকলিপিও দিয়েছে বলে জানা যায়।

আয়োজকরা বলছেন, প্রশাসনের সবুজ সংকেত পেয়েই তারা তাদের কর্মসূচি এগিয়ে নিয়েছেন।

পুলিশ দাবি করছে, অনুষ্ঠান আয়োজনে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল। আমরা জানতে চাইব, পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়ার পরও একাধিক দিন সেখানে হামলা হলো কীভাবে। লুটপাট, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটল কীভাবে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যাচ্ছে, পুলিশের উপস্থিতিতেই আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। ঘটনার আগে-পরে অনেক গুজব ছড়িয়েছে। গুজব প্রতিরোধেও প্রশাসন যথেষ্ট তৎপর ছিল না বলে অভিযোগ উঠেছে।

অতীতেও দেখা গেছে,সাম্প্রদায়িক হামলার আশঙ্কার কথা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে আগে জানানো হলেও তারা সময়মতো প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয় না বা কালক্ষেপণ করে। কোন কোন ক্ষেত্রে হামলার কয়েক ঘন্টা পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘটনস্থালে পৌঁছায়। আবার ঘটনাস্থলে থাকলেও নীরব ভূমিকা পালনের অভিযোগ ওঠে। সাম্প্রদায়িক হামলা প্রতিরোধে ব্যর্থতার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের বিরুদ্ধে সরকারকে কঠোর কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না। মাঝেমধ্যে নামমাত্র প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হয়।

সংশ্লিষ্ট প্রশাসন সময়মতো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিলে শুধু পঞ্চগড়েই নয় অতীতে ঘটা অনেক সাম্প্রদায়িক হামলাই প্রতিরোধ করা সম্ভব হতো বলে আমরা মনে করি। সাম্প্রদায়িক হামলার ‘পূর্ব পরিকল্পনা’ জানা ও তা নস্যাৎ করা প্রশাসনের দায়িত্ব। প্রশাসন এ ধরনের আগাম তথ্য জানতে পারে কিনা, জানলে কী ব্যবস্থা নেয় সেটা খতিয়ে দেখা দরকার।

প্রশাসনকে কেউ উদ্যোগী হয়ে সাম্প্রদায়িক হামলার কথা জানালেও তারা গদাইলস্করি চালে কাজ করে। স্থানীয় প্রশাসনের গদাইলস্করি চালের কারণে কারা লাভবান হয় আর কারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে সেই হিসাব করতে হবে।

পঞ্চগড়ে সাম্প্রদায়িক হামলা প্রতিরোধে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে যে প্রশ্ন উঠেছে তা আমলে নিতে হবে। হামলা প্রতিরোধে কারও কোন ব্যর্থতা থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা জরুরি।

back to top