alt

opinion » editorial

রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে অগ্নিকান্ড প্রসঙ্গে

: সোমবার, ০৬ মার্চ ২০২৩

কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে ১১ নম্বর ক্যাম্পের বি ব্লকে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। পরে ৯, ১০, ১২ ব্লকেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। অগ্নিকান্ডে দুই হাজারের বেশি ঘর পুড়ে গেছে। গৃহহারা হয়েছে প্রায় ১২ হাজার রোহিঙ্গা। আগুনের ঘটনাকে নাশকতা বলে দাবি করছে রোহিঙ্গারা।

ক্যাম্পে নিয়োজিত পুলিশ সূত্র বলছে, কিভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সন্দেহজনক এক যুবককে আটক করা হয়েছে। আগুনের রহস্য উদ্ঘাটনে অনুসন্ধান চলছে।

রোহিঙ্গারা বলছে, আগুনে পুড়ে যাওয়া তিনটি ব্লকের ঘরে কিছুদিন ধরে রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের (আরএসও) কিছু সদস্যের আনাগোনা ছিল। তাদের ওপর দোষ চাপানোর জন্য পরিকল্পিতভাবে প্রতিপক্ষ সশস্ত্রগোষ্ঠী আরাকান স্যালভেশন আর্মির (আরসা) সদস্যরা এ অগ্নিকান্ড ঘটাতে পারে। এ ঘটনার সঙ্গে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির শূন্যরেখার আশ্রয় শিবিরে গত ১৮ জানুয়ারি ঘটা অগ্নিকান্ডের যোগসূত্র থাকতে পারে।

আগুন লাগার ব্যাপারে রোহিঙ্গারা যে নাশকতার দাবি করছে তা উড়িয়ে দেয়া যায় না। রোহিঙ্গা ক্যাম্পকে ঘিরে একাধিক স্বার্থান্বেষীগোষ্ঠী সক্রিয় আছে। আগুন লাগার পেছনে এসব গোষ্ঠীর যোগসূত্র আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে। একটি চক্র চায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পকে ঘিরে অস্থিতিশীলতা ও অরাজকতা তৈরি হোক। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সতর্ক থাকতে হবে।

একই ক্যাম্পে ২০২১ সালের ২২ মার্চ ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছিল। ওই সময় ১১ জন মারা যায়, ৫ শতাধিক আহত হয়। পুড়ে গিয়েছিল ৯ হাজারের বেশি ঘর। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সূত্র বলছে, ২০২১ সালে রোহিঙ্গা শিবিরে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে ২২২টি। এর মধ্যে ৯৯টি দুর্ঘটনাজনিত।

রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের ঘরগুলো মূলত বাঁশ, খড়, ছনের তৈরি। যা সহজেই আগুনে ভস্মীভূত হয়। ক্যাম্পে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল কিনা ও থাকলেও সেগুলোর ভূমিকা কী ছিল তাও খতিয়ে দেখতে হবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে। অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার ত্রুটি-বিচ্যুতিগুলো খুঁজে বের করা জরুরি।

বাড়িঘর, সহায়-সম্বল হারিয়ে রোহিঙ্গাদের অনেকেই এখন খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়েছে। কেউ কেউ রাত কাটাচ্ছে রাস্তার পাশে। ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গাদের জন্য দ্রুত শুকনো খাবার ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরবরাহ করতে হবে। তাদের আশ্রয়ের জন্য আবাসের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

অ্যান্টিভেনম সংকট দূর করুন

বিলাসবহুল গাড়ি কেনার ‘অতিআগ্রহ’ নিয়ে প্রশ্ন, উত্তর কি মিলবে?

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

tab

opinion » editorial

রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে অগ্নিকান্ড প্রসঙ্গে

সোমবার, ০৬ মার্চ ২০২৩

কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে ১১ নম্বর ক্যাম্পের বি ব্লকে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। পরে ৯, ১০, ১২ ব্লকেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। অগ্নিকান্ডে দুই হাজারের বেশি ঘর পুড়ে গেছে। গৃহহারা হয়েছে প্রায় ১২ হাজার রোহিঙ্গা। আগুনের ঘটনাকে নাশকতা বলে দাবি করছে রোহিঙ্গারা।

ক্যাম্পে নিয়োজিত পুলিশ সূত্র বলছে, কিভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সন্দেহজনক এক যুবককে আটক করা হয়েছে। আগুনের রহস্য উদ্ঘাটনে অনুসন্ধান চলছে।

রোহিঙ্গারা বলছে, আগুনে পুড়ে যাওয়া তিনটি ব্লকের ঘরে কিছুদিন ধরে রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের (আরএসও) কিছু সদস্যের আনাগোনা ছিল। তাদের ওপর দোষ চাপানোর জন্য পরিকল্পিতভাবে প্রতিপক্ষ সশস্ত্রগোষ্ঠী আরাকান স্যালভেশন আর্মির (আরসা) সদস্যরা এ অগ্নিকান্ড ঘটাতে পারে। এ ঘটনার সঙ্গে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির শূন্যরেখার আশ্রয় শিবিরে গত ১৮ জানুয়ারি ঘটা অগ্নিকান্ডের যোগসূত্র থাকতে পারে।

আগুন লাগার ব্যাপারে রোহিঙ্গারা যে নাশকতার দাবি করছে তা উড়িয়ে দেয়া যায় না। রোহিঙ্গা ক্যাম্পকে ঘিরে একাধিক স্বার্থান্বেষীগোষ্ঠী সক্রিয় আছে। আগুন লাগার পেছনে এসব গোষ্ঠীর যোগসূত্র আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে। একটি চক্র চায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পকে ঘিরে অস্থিতিশীলতা ও অরাজকতা তৈরি হোক। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সতর্ক থাকতে হবে।

একই ক্যাম্পে ২০২১ সালের ২২ মার্চ ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছিল। ওই সময় ১১ জন মারা যায়, ৫ শতাধিক আহত হয়। পুড়ে গিয়েছিল ৯ হাজারের বেশি ঘর। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সূত্র বলছে, ২০২১ সালে রোহিঙ্গা শিবিরে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে ২২২টি। এর মধ্যে ৯৯টি দুর্ঘটনাজনিত।

রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের ঘরগুলো মূলত বাঁশ, খড়, ছনের তৈরি। যা সহজেই আগুনে ভস্মীভূত হয়। ক্যাম্পে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল কিনা ও থাকলেও সেগুলোর ভূমিকা কী ছিল তাও খতিয়ে দেখতে হবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে। অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার ত্রুটি-বিচ্যুতিগুলো খুঁজে বের করা জরুরি।

বাড়িঘর, সহায়-সম্বল হারিয়ে রোহিঙ্গাদের অনেকেই এখন খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়েছে। কেউ কেউ রাত কাটাচ্ছে রাস্তার পাশে। ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গাদের জন্য দ্রুত শুকনো খাবার ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরবরাহ করতে হবে। তাদের আশ্রয়ের জন্য আবাসের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

back to top