alt

মতামত » সম্পাদকীয়

সুন্দরগঞ্জের সাব-প্রাণিসম্পদ কল্যাণ কেন্দ্রটির সংকট নিরসন করুন

: শুক্রবার, ১০ মার্চ ২০২৩

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের সাব-প্রাণিসম্পদ কল্যাণ কেন্দ্রটি কয়েক বছর ধরে বন্ধ। ফলে খামারিরা তাদের হাঁস-মুরগি ও গবাদিপশুর চিকিৎসা করাতে পারছেন না। তারা নিরুপায় হয়ে অপেশাদার পশু চিকিৎসকদের শরণাপন্ন হচ্ছেন। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

খামারিরা বলছেন, আগে প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৫০ জন খামারী তাদের প্রাণীদের কৃত্রিম প্রজনন, পশুর ঠান্ডা-কাশির ভ্যাক্সিনসহ নানা রোগের চিকিৎসা নিতে আসতেন। স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি বন্ধ থাকায় তারা এখন অপেশাদার চিকিৎসকদের শরণাপন্ন হচ্ছেন। সরকারি সেবার এই দৈন্যদশার সুযোগ নিচ্ছে কোনো কোনো অপেশাদার চিকিৎসক।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর বলছে, এলাকার মানুষদের পশুপাখির চিকিৎসার একমাত্র ভরসা ছিল সাব-প্রাণিসম্পদ কল্যাণ কেন্দ্রটি। কিন্তু এখন সেখানে সেবা কার্যক্রম বন্ধ। পশুপাখি সেবা কেন্দ্রটি বামনডাঙ্গা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে অবস্থিত হওয়ায় খামারিরা এখানে আসতে চায় না। জরাজীর্ণ অবকাঠামো, প্রয়োজনীয় উপকরণ, ওষুধ ও জনবল সংকটে কার্যক্রম বন্ধ। ভবনটি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র থেকে অন?্য কোথাও স্থানান্তর করলে সেখানে যেতে খামারিরা হয়তো আবার আগ্রহী হবেন ।

সরকার দেশকে দারিদ্র্যমুক্ত ও বেকার সমস্যা দূর করতে পশুপাখি-গবাদিপশু পালনে মানুষদের উৎসাহিত করছে। গবাদি পশুর রোগবালাই প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের জন্য উপজেলায় সাব-প্রাণিসম্পদ কল্যাণ কেন্দ্র চালুর ব্যবস্থা করেছে। কিন্তু সুন্দরগঞ্জের খামারিরা সেই সেবা পাচ্ছেন না।

খামারিরা তাদের পশুপাখির চিকিৎসা নিতে নানা সময়ে ভোগান্তির শিকার হন। এমন চিত্র শুধু গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের খামারিদের ক্ষেত্রেই নয়, অন্যান্য স্থানের খামারিরাও নানান সমস্যার সম্মুখীন হন। সরকারিভাবে একটি উপজেলায় খামারিদের পশুপাখি চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকবে না, সেটা কাম্য নয়।

খামারিরা যেন স্বল্পমূল্যে তাদের পশুপাখিদের চিকিৎসার সুযোগ পায় সেই ব্যবস্থা করতে হবে। এজন্য পূর্ণাঙ্গ আকারে আবার গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের সাব-প্রাণিসম্পদ কল্যাণ কেন্দ্রটি চালু করা দরকার। কেন্দ্রটি চালু করার ক্ষেত্রে যে বাধা আছে তা দূর করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রয়োজনীয় লোকবল ঘাটতি, সরঞ্জামাদির অভাব থাকলে সেটা দূর করতে হবে। সাব-প্রাণিসম্পদ কল্যাণ কেন্দ্রটির অবস্থান নিয়ে যে সমস্যা দেখা দিয়েছে তার যৌক্তিক সমাধান খুঁজতে হবে। কেন্দ্রটি সুবিধাজনক কোনো জায়গায় স্থানান্তর করা যায় কিনা সেটা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করেবে- সেটা আমাদের আশা।

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা : ফল বিপর্যয় নাকি বাস্তবতা

কুমারভোগের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিন

বেহাল রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরী: ব্যবস্থা নিন

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি: যৌক্তিক পদক্ষেপ নিন

গার্মেন্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

টিআরএম প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ পেতে আর কত অপেক্ষা

জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে না কেন

টাইফয়েড টিকা: ভালো উদ্যোগ

হামাস-ইসরায়েল চুক্তি: শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ সফল হোক

বকুলতলায় স্থগিত শরৎ উৎসব!

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

সুন্দরগঞ্জের সাব-প্রাণিসম্পদ কল্যাণ কেন্দ্রটির সংকট নিরসন করুন

শুক্রবার, ১০ মার্চ ২০২৩

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের সাব-প্রাণিসম্পদ কল্যাণ কেন্দ্রটি কয়েক বছর ধরে বন্ধ। ফলে খামারিরা তাদের হাঁস-মুরগি ও গবাদিপশুর চিকিৎসা করাতে পারছেন না। তারা নিরুপায় হয়ে অপেশাদার পশু চিকিৎসকদের শরণাপন্ন হচ্ছেন। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

খামারিরা বলছেন, আগে প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৫০ জন খামারী তাদের প্রাণীদের কৃত্রিম প্রজনন, পশুর ঠান্ডা-কাশির ভ্যাক্সিনসহ নানা রোগের চিকিৎসা নিতে আসতেন। স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি বন্ধ থাকায় তারা এখন অপেশাদার চিকিৎসকদের শরণাপন্ন হচ্ছেন। সরকারি সেবার এই দৈন্যদশার সুযোগ নিচ্ছে কোনো কোনো অপেশাদার চিকিৎসক।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর বলছে, এলাকার মানুষদের পশুপাখির চিকিৎসার একমাত্র ভরসা ছিল সাব-প্রাণিসম্পদ কল্যাণ কেন্দ্রটি। কিন্তু এখন সেখানে সেবা কার্যক্রম বন্ধ। পশুপাখি সেবা কেন্দ্রটি বামনডাঙ্গা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে অবস্থিত হওয়ায় খামারিরা এখানে আসতে চায় না। জরাজীর্ণ অবকাঠামো, প্রয়োজনীয় উপকরণ, ওষুধ ও জনবল সংকটে কার্যক্রম বন্ধ। ভবনটি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র থেকে অন?্য কোথাও স্থানান্তর করলে সেখানে যেতে খামারিরা হয়তো আবার আগ্রহী হবেন ।

সরকার দেশকে দারিদ্র্যমুক্ত ও বেকার সমস্যা দূর করতে পশুপাখি-গবাদিপশু পালনে মানুষদের উৎসাহিত করছে। গবাদি পশুর রোগবালাই প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের জন্য উপজেলায় সাব-প্রাণিসম্পদ কল্যাণ কেন্দ্র চালুর ব্যবস্থা করেছে। কিন্তু সুন্দরগঞ্জের খামারিরা সেই সেবা পাচ্ছেন না।

খামারিরা তাদের পশুপাখির চিকিৎসা নিতে নানা সময়ে ভোগান্তির শিকার হন। এমন চিত্র শুধু গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের খামারিদের ক্ষেত্রেই নয়, অন্যান্য স্থানের খামারিরাও নানান সমস্যার সম্মুখীন হন। সরকারিভাবে একটি উপজেলায় খামারিদের পশুপাখি চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকবে না, সেটা কাম্য নয়।

খামারিরা যেন স্বল্পমূল্যে তাদের পশুপাখিদের চিকিৎসার সুযোগ পায় সেই ব্যবস্থা করতে হবে। এজন্য পূর্ণাঙ্গ আকারে আবার গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের সাব-প্রাণিসম্পদ কল্যাণ কেন্দ্রটি চালু করা দরকার। কেন্দ্রটি চালু করার ক্ষেত্রে যে বাধা আছে তা দূর করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রয়োজনীয় লোকবল ঘাটতি, সরঞ্জামাদির অভাব থাকলে সেটা দূর করতে হবে। সাব-প্রাণিসম্পদ কল্যাণ কেন্দ্রটির অবস্থান নিয়ে যে সমস্যা দেখা দিয়েছে তার যৌক্তিক সমাধান খুঁজতে হবে। কেন্দ্রটি সুবিধাজনক কোনো জায়গায় স্থানান্তর করা যায় কিনা সেটা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করেবে- সেটা আমাদের আশা।

back to top