alt

সম্পাদকীয়

সুনামগঞ্জে বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

: বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ ২০২৩

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার নলুয়ার হাওরে নির্মিত বাঁধ নিয়ে কৃষকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। অভিযোগ উঠেছে যে, হাওরটির দুটি স্থানের প্রায় ১ কিলোমিটার জায়গা ফাঁকা রয়েছে। বন্যার সময় ফাঁকা স্থান দিয়ে পানি ঢুকলে ফসল তলিয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। বাঁধ নির্মাণে কিছু ত্রুটি আছে বলে তারা দাবি করেছেন। এ নিয়ে গত বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

একই জেলার শাল্লায় হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের কাজে অনিয়ম, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগ উঠেছে। বর্ধিত সময়েও বাঁধের কাজ শেষ হয়নি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সেখানে বাঁধের কাজে নীতিমালা উপেক্ষা করে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। অক্ষত ও স্বল্প ক্ষতিগ্রস্ত প্রকল্পে বিপুল বরাদ্দ দিয়ে সরকারের অর্থ অপচয়ের অভিযোগও তারা করেছেন।

হাওরের একমাত্র ফসল বোরো ধানের রক্ষাকবজ হচ্ছে বাঁধ। সেখানে বাঁধ নির্মাণ করাই হয় কৃষকের ফসলকে আগাম বন্যার ক্ষতি থেকে রক্ষা করার জন্য। কিন্তু এ নিয়ে হাওরাঞ্চলের কৃষকের রয়েছে তিক্ত অভিজ্ঞতা। প্রায় প্রতি বছরই দেখা যায় বাঁধ ভেঙে হাওরে পানি ঢুকছে। বোরো মৌসুমে ধান কাটার আগে বাঁধ ভাঙলে কৃষককে চেয়ে চেয়ে ফসলডুবি দেখতে হয়, নয়তো কাঁচা ধান কাটতে হয়।

প্রশ্ন হচ্ছে, হাওরের বাঁধগুলো কেন টেকসই হয় না। এর নির্মাণ বা সংস্কারে কোথাও কি ত্রুটি আছে? নাকি বাঁধ ব্যবস্থাপনাতে রয়েছে গলদ? প্রতি বছরই দেখা যায় নির্ধারিত সময়ে বাঁধ নির্মাণের কাজ শেষ হয় না। অথচ পাহাড়ি ঢল বা আগাম বন্যার হাত থেকে হাওরাঞ্চলের কৃষকের বোরো ধান রক্ষা করার জন্য নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করা জরুরি। আবার বাঁধ তৈরি হলেও তাতে নানা ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকে। ফসলের আবাদ করে কৃষক নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারেন না। তাদের বাঁধ রক্ষার আন্দোলনে নামতে হয়।

সুনামগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় বাঁধ নির্মাণ নিয়ে যে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে তা আমলে নিতে হবে। অভিযোগ সুষ্ঠু তদন্তে করে দেখতে হবে। বাঁধ নির্মাণে কেউ অনিয়ম করলে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে হবে।

নলুয়ার হাওরে প্রায় ১ কিলোমিটার জায়গা ফাঁকা রেখে বাঁধ তৈরির ফলে সেখানকার কৃষকের মাঝে যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে তা দূর করতে হবে। অবিলম্বে ফাঁকা স্থানে বাঁধ তৈরি করতে হবে। শাল্লায় যেসব অভিযোগ উঠেছে তার যৌক্তিক বিহিত করা হচ্ছে এমনটাই আমরা দেখতে চাই।

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

হাতি শাবকের মৃত্যু ও সাফারি পার্কের দায়ভার

বায়ুদূষণ রোধে চাই টেকসই উদ্যোগ

মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন

চালের দামে অস্বস্তি : সরকারি তথ্য ও বাজারের বাস্তবতার ফারাক

অতিদারিদ্র্যের আশঙ্কা : সমাধান কোথায়?

ডিমলা উপজেলা হাসপাতালের অনিয়ম

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি : ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণের অপেক্ষা কবে ফুরাবে

হাইল হাওরের অস্তিত্ব সংকট

সমানাধিকারে আপত্তি কেন?

লেমুর চুরি : সাফারি পার্কের নিরাপত্তা সংকট

একটি হাসাহাসির ঘটনা, একটি হত্যাকাণ্ড : সমাজের সহিষ্ণুতার অবক্ষয়

চাই সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

মানুষ-হাতির সংঘাত : সমাধানের পথ খুঁজতে হবে

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সংকট দূর করুন

ফসলি জমি রক্ষায় কঠোর হোন

নিষ্ঠুরতার শিকার হাতি

বিশেষ ক্ষমতা আইন ও নাগরিক অধিকার

হালদায় অবৈধ মাছ শিকার বন্ধ করতে হবে

মশার উপদ্রব : বর্ষার আগেই সাবধান হতে হবে

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলা : মানবতার প্রতি এক অব্যাহত আঘাত

অবৈধ বৈদ্যুতিক ফাঁদে প্রাণহানি : দায় কার?

নদীর বাঁধ ভাঙার দুর্ভোগ : টেকসই সমাধানের জরুরি প্রয়োজন

মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা সংকট

সমবায় সমিতির নামে প্রতারণা : কঠোর নজরদারি ও আইনি পদক্ষেপ জরুরি

সড়ক দুর্ঘটনা নাকি অবহেলার পরিণতি

ভূমিকম্পের ধ্বংসযজ্ঞ ও আমাদের প্রস্তুতি

বার্ড ফ্লু : আতঙ্ক নয়, চাই সতর্কতা

জাটকা রক্ষার প্রতিশ্রুতি কি শুধুই কাগজে-কলমে?

tab

সম্পাদকীয়

সুনামগঞ্জে বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ ২০২৩

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার নলুয়ার হাওরে নির্মিত বাঁধ নিয়ে কৃষকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। অভিযোগ উঠেছে যে, হাওরটির দুটি স্থানের প্রায় ১ কিলোমিটার জায়গা ফাঁকা রয়েছে। বন্যার সময় ফাঁকা স্থান দিয়ে পানি ঢুকলে ফসল তলিয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। বাঁধ নির্মাণে কিছু ত্রুটি আছে বলে তারা দাবি করেছেন। এ নিয়ে গত বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

একই জেলার শাল্লায় হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের কাজে অনিয়ম, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগ উঠেছে। বর্ধিত সময়েও বাঁধের কাজ শেষ হয়নি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সেখানে বাঁধের কাজে নীতিমালা উপেক্ষা করে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। অক্ষত ও স্বল্প ক্ষতিগ্রস্ত প্রকল্পে বিপুল বরাদ্দ দিয়ে সরকারের অর্থ অপচয়ের অভিযোগও তারা করেছেন।

হাওরের একমাত্র ফসল বোরো ধানের রক্ষাকবজ হচ্ছে বাঁধ। সেখানে বাঁধ নির্মাণ করাই হয় কৃষকের ফসলকে আগাম বন্যার ক্ষতি থেকে রক্ষা করার জন্য। কিন্তু এ নিয়ে হাওরাঞ্চলের কৃষকের রয়েছে তিক্ত অভিজ্ঞতা। প্রায় প্রতি বছরই দেখা যায় বাঁধ ভেঙে হাওরে পানি ঢুকছে। বোরো মৌসুমে ধান কাটার আগে বাঁধ ভাঙলে কৃষককে চেয়ে চেয়ে ফসলডুবি দেখতে হয়, নয়তো কাঁচা ধান কাটতে হয়।

প্রশ্ন হচ্ছে, হাওরের বাঁধগুলো কেন টেকসই হয় না। এর নির্মাণ বা সংস্কারে কোথাও কি ত্রুটি আছে? নাকি বাঁধ ব্যবস্থাপনাতে রয়েছে গলদ? প্রতি বছরই দেখা যায় নির্ধারিত সময়ে বাঁধ নির্মাণের কাজ শেষ হয় না। অথচ পাহাড়ি ঢল বা আগাম বন্যার হাত থেকে হাওরাঞ্চলের কৃষকের বোরো ধান রক্ষা করার জন্য নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করা জরুরি। আবার বাঁধ তৈরি হলেও তাতে নানা ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকে। ফসলের আবাদ করে কৃষক নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারেন না। তাদের বাঁধ রক্ষার আন্দোলনে নামতে হয়।

সুনামগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় বাঁধ নির্মাণ নিয়ে যে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে তা আমলে নিতে হবে। অভিযোগ সুষ্ঠু তদন্তে করে দেখতে হবে। বাঁধ নির্মাণে কেউ অনিয়ম করলে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে হবে।

নলুয়ার হাওরে প্রায় ১ কিলোমিটার জায়গা ফাঁকা রেখে বাঁধ তৈরির ফলে সেখানকার কৃষকের মাঝে যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে তা দূর করতে হবে। অবিলম্বে ফাঁকা স্থানে বাঁধ তৈরি করতে হবে। শাল্লায় যেসব অভিযোগ উঠেছে তার যৌক্তিক বিহিত করা হচ্ছে এমনটাই আমরা দেখতে চাই।

back to top