alt

opinion » editorial

নদী খননে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

: শনিবার, ১৮ মার্চ ২০২৩

খুলনার ডুমুরিয়ার তালতলা-বাগআচড়া নদী খননে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ না করেই দায়সারাভাবে চলছে খনন কাজ। কাজ তদারকির দায়িত্বে থাকা পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিরুদ্ধে অনিয়মের নানা অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে গত শুক্রবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

ডুমুরিয়ার তালতলা-বাগআচড়া নদীটি খননের অভাবে পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ফলে, বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার শিকার হতো স্থানীয়রা। কৃষকদের ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হতো। জলাবদ্ধতা নিরসন, চাষাবাদে সেচ ব্যবস্থা ও মাছের আধার তৈরির উদ্দেশ্যে সরকার নদীটির ৫ দশমিক ৮০ কিলোমিটার খননের কাজ শুরু করেছে। নদীটি খনন করা হলে এখানকার হাজার হাজার কৃষক চাষাবাদে উপকৃত হবেন।

কিন্তু নদীর তীর বাদ দিয়ে মাঝ বরাবর খনন করা, খনন করা মাটি ফসলি জমিতে ফেলে কৃষকের খেত নষ্ট করা, ভাটা মালিকদের কাছে মাটি বিক্রি করার মতো ঘটনা ঘটছে। স্থানীয় প্রভাবশালীদের দখল করে গড়ে তোলা বাড়ি-দোকানপাটও উচ্ছেদ করা হয়নি। অবশ্য নদীর পাড়ে আশ্রয় নেয়া অসহায় মানুষদের ঠিকই উচ্ছেদ করেছে পাউবো।

নদী খননে তদারকির দায়িত্বে ছিল খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ড। তাদের নাকের ডগায় এতসব অনিয়ম ঘটছে কিভাবে সেই প্রশ্ন উঠেছে।

শুধু খুলনাতেই নয়, সারাদেশেই নদ-নদী খননে সংশ্লিষ্ট দপ্তর, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান, প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ গণমাধ্যমে পাওয়া যায়। রাষ্ট্রের কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে নদী খননের কাজ করা হয় কিন্তু দেখা যায় বছর না ঘুরতেই সেসব নদী আগের যা তা-ই হয়ে গেছে। এসব অনিয়মের নিরসন ঘটানো জরুরি। না হলে সরকারের নদী বাঁচাও কর্মসূচি মুখ থুবড়ে পড়বে।

খুলনায় নদী খননে যে অভিযোগ পাওয়া গেছে তা আমলে নিতে হবে। সেখানে দখলদারদের উচ্ছেদ করে খনন কাজ সম্পন্ন করতে হবে। পুনর্দখল বন্ধে তদারকি নিশ্চিত করতে হবে। নদী তীরে যেসব দরিদ্র মানুষ বাস করছিল তাদের পুনর্বাসনের ব্যাবস্থা করা জরুরি।

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

গণঅভ্যুত্থানের এক বছর: প্রত্যাশায় কী প্রাপ্তি

tab

opinion » editorial

নদী খননে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

শনিবার, ১৮ মার্চ ২০২৩

খুলনার ডুমুরিয়ার তালতলা-বাগআচড়া নদী খননে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ না করেই দায়সারাভাবে চলছে খনন কাজ। কাজ তদারকির দায়িত্বে থাকা পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিরুদ্ধে অনিয়মের নানা অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে গত শুক্রবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

ডুমুরিয়ার তালতলা-বাগআচড়া নদীটি খননের অভাবে পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ফলে, বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার শিকার হতো স্থানীয়রা। কৃষকদের ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হতো। জলাবদ্ধতা নিরসন, চাষাবাদে সেচ ব্যবস্থা ও মাছের আধার তৈরির উদ্দেশ্যে সরকার নদীটির ৫ দশমিক ৮০ কিলোমিটার খননের কাজ শুরু করেছে। নদীটি খনন করা হলে এখানকার হাজার হাজার কৃষক চাষাবাদে উপকৃত হবেন।

কিন্তু নদীর তীর বাদ দিয়ে মাঝ বরাবর খনন করা, খনন করা মাটি ফসলি জমিতে ফেলে কৃষকের খেত নষ্ট করা, ভাটা মালিকদের কাছে মাটি বিক্রি করার মতো ঘটনা ঘটছে। স্থানীয় প্রভাবশালীদের দখল করে গড়ে তোলা বাড়ি-দোকানপাটও উচ্ছেদ করা হয়নি। অবশ্য নদীর পাড়ে আশ্রয় নেয়া অসহায় মানুষদের ঠিকই উচ্ছেদ করেছে পাউবো।

নদী খননে তদারকির দায়িত্বে ছিল খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ড। তাদের নাকের ডগায় এতসব অনিয়ম ঘটছে কিভাবে সেই প্রশ্ন উঠেছে।

শুধু খুলনাতেই নয়, সারাদেশেই নদ-নদী খননে সংশ্লিষ্ট দপ্তর, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান, প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ গণমাধ্যমে পাওয়া যায়। রাষ্ট্রের কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে নদী খননের কাজ করা হয় কিন্তু দেখা যায় বছর না ঘুরতেই সেসব নদী আগের যা তা-ই হয়ে গেছে। এসব অনিয়মের নিরসন ঘটানো জরুরি। না হলে সরকারের নদী বাঁচাও কর্মসূচি মুখ থুবড়ে পড়বে।

খুলনায় নদী খননে যে অভিযোগ পাওয়া গেছে তা আমলে নিতে হবে। সেখানে দখলদারদের উচ্ছেদ করে খনন কাজ সম্পন্ন করতে হবে। পুনর্দখল বন্ধে তদারকি নিশ্চিত করতে হবে। নদী তীরে যেসব দরিদ্র মানুষ বাস করছিল তাদের পুনর্বাসনের ব্যাবস্থা করা জরুরি।

back to top