alt

opinion » editorial

আবার সড়ক দুর্ঘটনা, আবার মৃত্যু

: সোমবার, ২০ মার্চ ২০২৩

মাদারীপুরে পদ্মা সেতুর এক্সপ্রেসওয়ে থেকে ইমাদ পরিবহন নামক বাস ছিটকে পড়ে মারা গেছেন ১৯ জন, অনেকে আহত হয়েছেন। হতাহতের এই পরিবহন মালিককে আসামি করে একটি মামলা হয়েছে। আমরা দুর্ঘটনায় নিহতদের স্বজনদের প্রতি সমবেদনা জানাই। আহতরা দ্রুত সুস্থ হবেন সেই কামনা করি।

ওই পরিবহন এর আগেও দুর্ঘটনা ঘটিয়েছিল বলে জানা যাচ্ছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে বাসটির রুট পারমিট স্থগিত করা হয়েছিল। প্রশ্ন হচ্ছে, অনুমোদন না থাকা একটি পরিবহন সড়কে এতদিন চলল কিভাবে।

বাসটির যে শুধু রুট পারমিট স্থগিত হয়েছিল তা নয়। সেটির ফিটনেসও ছিল না। মাস দুয়েক আগে পরিবহনটির ফিটনেস সনদের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে। সনদ নবায়ন না করেই সেটি যাত্রী পরিবহন করেছে। দুর্ঘটনার দিন বাসটি খুলনা থেকে ছাড়ার আগে সেটার ব্রেক ঠিকমতো কাজ করছিল না বলে যাত্রীরা জানিয়েছে। ব্রেকের ত্রুটির কথা জেনেই ড্রাইভার-হেল্পার পরিবহন চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়।

অনিয়মের শেষ সেখানেই ঘটেনি। বাসটি পুরু পথ ধরেই উচ্চগতিতে চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা। বৃষ্টিভেজা এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠার পর গতি আরও বাড়ানো হয়। গতি কমানোর জন্য যাত্রীরা অনুরোধ করলেও সেটা কানে তোলেনি ড্রাইভার-হেল্পার। তাদের বেপরোয়া মনোভাবের খেসারত দিতে হয়েছে যাত্রীদের। দুর্ঘটনায় ড্রাইভার-হেল্পারও মারা গেছে।

যানবাহনের ফিটনেস নিশ্চিত করা না হলে, ড্রাইভার-হেল্পারদের বেপরোয়া মনোভাব না বদলালে, তাদের প্রশিক্ষণ ও লাইসেন্স নিশ্চিত করা না হলে সড়ক দুর্ঘটনা কমবে কিভাবে সেটা একটা প্রশ্ন।

সড়ক শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় আইন করা হয়েছে কিন্তু বিধিমালা করা যায়নি। সড়কসংক্রান্ত এ পর্যন্ত অনেক সুপারিশ পাওয়া গেছে, নেয়া হয়েছে সিদ্ধান্ত। কিন্তু তা কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করা হয়নি। অতীতে প্রধানমন্ত্রী বা আদালতকে অনেক নির্দেশনা দিতে দেখা গেছে। সেসব নির্দেশনা উপেক্ষিতই থেকে যায়। আর সড়ক দুর্ঘটনাও বন্ধ হয় না।

সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানোর কাজ কেন করা যাচ্ছে না, সমস্যাটা কোথায় সেটা জানা জরুরি। অভিযোগ রয়েছে, পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা কোন আদেশ-নির্দেশেরই তোয়াক্কা করে না। কারণ তারা রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তি। স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর কাছে সরকার জিম্মি হয়ে পড়লে সড়কে শৃঙ্খলা রক্ষায় শক্ত কোন ব্যবস্থা নেয়া কঠিন হবে। সড়ককে নিরাপদ করতে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন করতে হবে। দ্রুত বিধিমালা তৈরির কাজ শেষ হচ্ছে সেটাই আমরা দেখতে চাই। পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা যেন আইন মেনে চলে সেটা যেকোন মূল্যে নিশ্চিত করতে হবে।

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

tab

opinion » editorial

আবার সড়ক দুর্ঘটনা, আবার মৃত্যু

সোমবার, ২০ মার্চ ২০২৩

মাদারীপুরে পদ্মা সেতুর এক্সপ্রেসওয়ে থেকে ইমাদ পরিবহন নামক বাস ছিটকে পড়ে মারা গেছেন ১৯ জন, অনেকে আহত হয়েছেন। হতাহতের এই পরিবহন মালিককে আসামি করে একটি মামলা হয়েছে। আমরা দুর্ঘটনায় নিহতদের স্বজনদের প্রতি সমবেদনা জানাই। আহতরা দ্রুত সুস্থ হবেন সেই কামনা করি।

ওই পরিবহন এর আগেও দুর্ঘটনা ঘটিয়েছিল বলে জানা যাচ্ছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে বাসটির রুট পারমিট স্থগিত করা হয়েছিল। প্রশ্ন হচ্ছে, অনুমোদন না থাকা একটি পরিবহন সড়কে এতদিন চলল কিভাবে।

বাসটির যে শুধু রুট পারমিট স্থগিত হয়েছিল তা নয়। সেটির ফিটনেসও ছিল না। মাস দুয়েক আগে পরিবহনটির ফিটনেস সনদের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে। সনদ নবায়ন না করেই সেটি যাত্রী পরিবহন করেছে। দুর্ঘটনার দিন বাসটি খুলনা থেকে ছাড়ার আগে সেটার ব্রেক ঠিকমতো কাজ করছিল না বলে যাত্রীরা জানিয়েছে। ব্রেকের ত্রুটির কথা জেনেই ড্রাইভার-হেল্পার পরিবহন চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়।

অনিয়মের শেষ সেখানেই ঘটেনি। বাসটি পুরু পথ ধরেই উচ্চগতিতে চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা। বৃষ্টিভেজা এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠার পর গতি আরও বাড়ানো হয়। গতি কমানোর জন্য যাত্রীরা অনুরোধ করলেও সেটা কানে তোলেনি ড্রাইভার-হেল্পার। তাদের বেপরোয়া মনোভাবের খেসারত দিতে হয়েছে যাত্রীদের। দুর্ঘটনায় ড্রাইভার-হেল্পারও মারা গেছে।

যানবাহনের ফিটনেস নিশ্চিত করা না হলে, ড্রাইভার-হেল্পারদের বেপরোয়া মনোভাব না বদলালে, তাদের প্রশিক্ষণ ও লাইসেন্স নিশ্চিত করা না হলে সড়ক দুর্ঘটনা কমবে কিভাবে সেটা একটা প্রশ্ন।

সড়ক শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় আইন করা হয়েছে কিন্তু বিধিমালা করা যায়নি। সড়কসংক্রান্ত এ পর্যন্ত অনেক সুপারিশ পাওয়া গেছে, নেয়া হয়েছে সিদ্ধান্ত। কিন্তু তা কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করা হয়নি। অতীতে প্রধানমন্ত্রী বা আদালতকে অনেক নির্দেশনা দিতে দেখা গেছে। সেসব নির্দেশনা উপেক্ষিতই থেকে যায়। আর সড়ক দুর্ঘটনাও বন্ধ হয় না।

সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানোর কাজ কেন করা যাচ্ছে না, সমস্যাটা কোথায় সেটা জানা জরুরি। অভিযোগ রয়েছে, পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা কোন আদেশ-নির্দেশেরই তোয়াক্কা করে না। কারণ তারা রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তি। স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর কাছে সরকার জিম্মি হয়ে পড়লে সড়কে শৃঙ্খলা রক্ষায় শক্ত কোন ব্যবস্থা নেয়া কঠিন হবে। সড়ককে নিরাপদ করতে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন করতে হবে। দ্রুত বিধিমালা তৈরির কাজ শেষ হচ্ছে সেটাই আমরা দেখতে চাই। পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা যেন আইন মেনে চলে সেটা যেকোন মূল্যে নিশ্চিত করতে হবে।

back to top