alt

সম্পাদকীয়

আসন্ন বর্ষায় চট্টগ্রাম নগরে জলাবদ্ধতার আশঙ্কা

: মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩

চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন এলাকার ৬৪ পয়েন্টে কালভার্ট ও ব্রিজের নিচে ওয়াসা ও কর্ণফুলী গ্যাস লাইনের ১০৩টি পাইপ লাইন রয়েছে। এই পাইপ লাইনগুলোর সঙ্গে ময়লা-আবর্জনা আটকে ব্রিজ ও কালভার্টসমূহ বন্ধ হয়ে গেছে। বর্ষার আগেই এসব পাইপ লাইন সরানো না হলে মহানগরীতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে বলে আশঙ্কা করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

সাধারণভাবে মনে করা হয় বৃষ্টির পানিতে শুধু রাজধানীতেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়; কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে রাজধানী ঢাকার বাইরে চট্টগ্রামের মতো মহানগরীতেও নিয়মিত জলাবদ্ধতা হচ্ছে। আর যখন চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়, তখন নগরবাসীকে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়। সামান্য বৃষ্টির পানিতেই নগরীর রাস্তা ও গলি পানিতে ডুবে যায়। সেখানে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা নাজুক। নালা-নর্দমাগুলো ময়লা-আবর্জনায় ভর্তি। ময়লা আবর্জনার স্তূপে খাল ও কালভার্ট ভরাট হয়ে যাওয়ায় বৃষ্টির পানি নামতে সময় লাগে। তখন নগরবাসীর দুর্ভোগের শেষ থাকে না।

চট্টগ্রামে অতীতে জলাবদ্ধতার কারণে একাধিকবার মানুষের প্রাণহানির মতো মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। ২০২১ সালের ২৫ আগস্ট চট্টগ্রাম মহানগরের পানিমগ্ন ফুটপাথ দিয়ে হাঁটতে গিয়ে এক ব্যক্তি পা পিছলে পড়ে যান নালার ভেতরে; তার সলিল সমাধি হয়েছে।

চট্টগ্রাম নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে সংশ্লিষ্ট সিটি করপোরেশন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও পানি উন্নয়ন বোর্ড ১১ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ৪টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। বছরে পর বছর ধরে এসব প্রকল্পের কাজ চলছে; কিন্তু জলাবদ্ধতার সমস্যার তেমন উন্নতি হয়নি।

চট্টগ্রামে মহানগরে অতীতে জলাবদ্ধতার অভিজ্ঞতা মোটেও সুখকর নয়। চট্টগ্রাম নগরে কী কারণে জলাবদ্ধতা হয় তা কারও অজানা নয়। সেবা সংস্থাগুলো নগরবাসীদের সেবায় আন্তরিক হলেই জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ নিরসন হবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।

এবারের বর্ষায় নগরবাসীকে যেন জলাবদ্ধতার শিকার হতে না হয় সেজন্য এখন থেকেই সতর্ক থাকতে হবে। যেসব কারণে জলাবদ্ধতা হয় সেগুলো চিহ্নিত করে এখনই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। নগরীর বিভিন্ন এলাকার যেসব পয়েন্টে কালভার্ট ও ব্রিজের নিচে পাইপ লাইন রয়েছে, সেসব পাইপ লাইন বর্ষার আগেই সরিয়ে নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যথাযথ পদক্ষেপ নেবে- এটাই আমরা আশা করি।

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

হাতি শাবকের মৃত্যু ও সাফারি পার্কের দায়ভার

বায়ুদূষণ রোধে চাই টেকসই উদ্যোগ

মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন

চালের দামে অস্বস্তি : সরকারি তথ্য ও বাজারের বাস্তবতার ফারাক

অতিদারিদ্র্যের আশঙ্কা : সমাধান কোথায়?

ডিমলা উপজেলা হাসপাতালের অনিয়ম

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি : ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণের অপেক্ষা কবে ফুরাবে

হাইল হাওরের অস্তিত্ব সংকট

সমানাধিকারে আপত্তি কেন?

লেমুর চুরি : সাফারি পার্কের নিরাপত্তা সংকট

একটি হাসাহাসির ঘটনা, একটি হত্যাকাণ্ড : সমাজের সহিষ্ণুতার অবক্ষয়

চাই সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

মানুষ-হাতির সংঘাত : সমাধানের পথ খুঁজতে হবে

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সংকট দূর করুন

ফসলি জমি রক্ষায় কঠোর হোন

নিষ্ঠুরতার শিকার হাতি

বিশেষ ক্ষমতা আইন ও নাগরিক অধিকার

হালদায় অবৈধ মাছ শিকার বন্ধ করতে হবে

মশার উপদ্রব : বর্ষার আগেই সাবধান হতে হবে

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলা : মানবতার প্রতি এক অব্যাহত আঘাত

অবৈধ বৈদ্যুতিক ফাঁদে প্রাণহানি : দায় কার?

নদীর বাঁধ ভাঙার দুর্ভোগ : টেকসই সমাধানের জরুরি প্রয়োজন

মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা সংকট

সমবায় সমিতির নামে প্রতারণা : কঠোর নজরদারি ও আইনি পদক্ষেপ জরুরি

সড়ক দুর্ঘটনা নাকি অবহেলার পরিণতি

ভূমিকম্পের ধ্বংসযজ্ঞ ও আমাদের প্রস্তুতি

বার্ড ফ্লু : আতঙ্ক নয়, চাই সতর্কতা

জাটকা রক্ষার প্রতিশ্রুতি কি শুধুই কাগজে-কলমে?

ভেজাল কীটনাশক বন্ধে ব্যবস্থা নিন

অতিরিক্ত ভাড়া : যাত্রীদের দুর্ভোগ আর কতকাল?

tab

সম্পাদকীয়

আসন্ন বর্ষায় চট্টগ্রাম নগরে জলাবদ্ধতার আশঙ্কা

মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩

চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন এলাকার ৬৪ পয়েন্টে কালভার্ট ও ব্রিজের নিচে ওয়াসা ও কর্ণফুলী গ্যাস লাইনের ১০৩টি পাইপ লাইন রয়েছে। এই পাইপ লাইনগুলোর সঙ্গে ময়লা-আবর্জনা আটকে ব্রিজ ও কালভার্টসমূহ বন্ধ হয়ে গেছে। বর্ষার আগেই এসব পাইপ লাইন সরানো না হলে মহানগরীতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে বলে আশঙ্কা করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

সাধারণভাবে মনে করা হয় বৃষ্টির পানিতে শুধু রাজধানীতেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়; কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে রাজধানী ঢাকার বাইরে চট্টগ্রামের মতো মহানগরীতেও নিয়মিত জলাবদ্ধতা হচ্ছে। আর যখন চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়, তখন নগরবাসীকে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়। সামান্য বৃষ্টির পানিতেই নগরীর রাস্তা ও গলি পানিতে ডুবে যায়। সেখানে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা নাজুক। নালা-নর্দমাগুলো ময়লা-আবর্জনায় ভর্তি। ময়লা আবর্জনার স্তূপে খাল ও কালভার্ট ভরাট হয়ে যাওয়ায় বৃষ্টির পানি নামতে সময় লাগে। তখন নগরবাসীর দুর্ভোগের শেষ থাকে না।

চট্টগ্রামে অতীতে জলাবদ্ধতার কারণে একাধিকবার মানুষের প্রাণহানির মতো মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। ২০২১ সালের ২৫ আগস্ট চট্টগ্রাম মহানগরের পানিমগ্ন ফুটপাথ দিয়ে হাঁটতে গিয়ে এক ব্যক্তি পা পিছলে পড়ে যান নালার ভেতরে; তার সলিল সমাধি হয়েছে।

চট্টগ্রাম নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে সংশ্লিষ্ট সিটি করপোরেশন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও পানি উন্নয়ন বোর্ড ১১ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ৪টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। বছরে পর বছর ধরে এসব প্রকল্পের কাজ চলছে; কিন্তু জলাবদ্ধতার সমস্যার তেমন উন্নতি হয়নি।

চট্টগ্রামে মহানগরে অতীতে জলাবদ্ধতার অভিজ্ঞতা মোটেও সুখকর নয়। চট্টগ্রাম নগরে কী কারণে জলাবদ্ধতা হয় তা কারও অজানা নয়। সেবা সংস্থাগুলো নগরবাসীদের সেবায় আন্তরিক হলেই জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ নিরসন হবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।

এবারের বর্ষায় নগরবাসীকে যেন জলাবদ্ধতার শিকার হতে না হয় সেজন্য এখন থেকেই সতর্ক থাকতে হবে। যেসব কারণে জলাবদ্ধতা হয় সেগুলো চিহ্নিত করে এখনই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। নগরীর বিভিন্ন এলাকার যেসব পয়েন্টে কালভার্ট ও ব্রিজের নিচে পাইপ লাইন রয়েছে, সেসব পাইপ লাইন বর্ষার আগেই সরিয়ে নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যথাযথ পদক্ষেপ নেবে- এটাই আমরা আশা করি।

back to top