alt

মতামত » সম্পাদকীয়

করতোয়ার পানিপ্রবাহ স্বাভাবিক করতে পদক্ষেপ নিন

: শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩

করতোয়া নদী নাকি পানিশূন্য একটা শুকনো নালা সেটা বোঝা দায়। একসময় যে নদীর বুকে চলত নৌকা সেখানে এখন চর পড়েছে। দখল-দূষণে নদীটি মৃতপ্রায়। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বন্যানিয়ন্ত্রণে ৯০ দশকে নদীতে স্লুইসগেট নির্মাণ করেছিল। এর প্রভাবে নদীর স্বাভাবিক পানিপ্রবাহ বন্ধ হয় গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে গত বুধবার সংবাদ-এ সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

নদী পানিশূন্য হয়ে গেলে এর ওপর নির্ভর মানুষের জীবন-জীবিকা ঝুঁকির মুখে পড়ে। শুধু যে মানুষের জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়ে তা নয়, পরিবেশ-প্রতিবেশও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, দেশের অনেক নদ-নদী হারিয়ে যাওয়ার কারণে লাখ লাখ পরিবার জীবিকাও হারিয়েছে। তাই নিয়মিত নদ-নদী খনন জরুরি।

প্রশ্ন হচ্ছে, করতোয়া বা এর মতো দেশের অন্য নদ-নদীগুলো অস্তিত্ব সংকটে কেন পড়েছে? পলি জমে নদী নাব্য হারায়। তখন পানির অভাবে নদী শুকিয়ে যায়। শুকনো মৌসুমে নদ-নদী শুকিয়ে গেলে নদীতীর দখলের হিড়িক পড়ে যায়। এতে নদী ছোট হয়ে আসে। নদীতে বর্জ্য ফেলা হলেও নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে এর অস্তিত্ব হারিয়ে যায়। কারখানার রাসায়নিক বর্জ্য, নদীতে চলাচলকারী নৌযানের পোড়া তেল, পয়োবর্জ্য ও গৃহস্থালি বর্জ্যওে নদী দূষণ হয়।

করতোয়াও দখল-দূষণের শিকার হয়েছে। তার সঙ্গে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন যে স্লুইসগেট নির্মাণের কারণে নদীটির অবস্থা আরও সঙ্গীন হয়েছে। তারা বিশ্বাস করেন যে স্লুইসগেটটি না থাকলে নদীর দশা এমন হতো না।

নদীতে স্লুইসগেট নির্মাণ নিয়ে বিতর্ক আছে। কিছু জায়গায় তৈরি করা বাঁধ বন্যানিয়ন্ত্রণে হয়তো কাজে আসছে। আবার অপ্রয়োজনীয় স্থানেও স্লুইসগেট নির্মাণ করা হয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।

দেশের অনেক স্লুইসগেট ঠিকমতো কাজ করে না বলে জানা যায়। এর রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে যথাযথ স্টাডি নেই। এসব দিক ভেবে ২০২০ সালে দেশে আর নতুন করে স্লুইস গেট নির্মাণ না করার নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এর কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, আগের তুলনায় দেশে পানির প্রবাহ কমে গেছে। ফারাক্কা বাঁধ, জলবায়ু ইত্যাদি কারণে এখন কম পানি পাওয়া যায়। মাঝে মাঝে বন্যা হয়। তাই স্লুইস গেট দরকার নেই। দেশে যেসব স্লুইস গেট বানানো হয়েছে তার মধ্যে কয়টা সচল রয়েছে সেটাও সে সময় খতিয়ে দেখতে বলেন প্রধানমন্ত্রী।

আমরা বলতে চাই, করতোয়া নদীর পানি প্রবাহ স্বাভাবিক করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। নদীকে দখল-দূষণমুক্ত করতে হবে। স্লুইসগেট আদৌ কোনো কাজে আসছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে সেটা আমাদের আশা।

পথ হারাচ্ছে রেলপথে পণ্যপরিবহন

মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের আন্দোলন: আলোচনায় সমাধান খুঁজতে হবে

জয়ন্তীপুর ঘাটে সেতু নির্মাণে বিলম্ব কাম্য নয়

শিক্ষকদের আন্দোলন, সরকারের কঠোরতা এবং শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ

রায়গঞ্জের ক্ষতিগ্রস্ত বেইলি ব্রিজ দ্রুত সংস্কার করুন

সওজের জমি দখল : ব্যবস্থা নিন

পার্বত্য চুক্তি: পাহাড়ে শান্তি কি ফিরল?

রাজধানী কি অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রস্তুত?

সেতু নির্মাণের কাজ কবে শেষ হবে

খুলনায় আদালতের সামনে হত্যাকাণ্ড

মীরসরাইয়ে বন রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

পুরান ঢাকায় রাসায়নিক ঝুঁকি

মহেশপুরে অনুমোদনহীন করাত কল

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

থমকে আছে সেতু নির্মাণের কাজ

হাকালুকি হাওরে মাছ লুট: প্রশাসন কী করছে

রাঙ্গাবালীর সংরক্ষিত বন ধ্বংসের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি কাম্য নয়

কক্সবাজারে পাহাড়ের মাটি কাটা বন্ধ করুন

দারিদ্র্যের নতুন ঢেউ

তাজরীনের ১৩ বছরের ক্ষত ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার কোথায়?

অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চরাঞ্চলের বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান নিশ্চিত করুন

অসহিষ্ণুতার সংস্কৃতি থামাতে হবে

কাঠ পাচার বন্ধে ব্যবস্থা নিন

ফিরে এল তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে জিও ব্যাগ ব্যবহারে অনিয়মের অভিযোগ

দুই দফা ভূমিকম্প: এখনই প্রস্তুতির সময়

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

গভীর রাতে সাংবাদিককে তুলে নেয়ার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে হবে

সাময়িকী কবিতা

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ

স্কুল ফিডিং কর্মসূচিতে অনিয়ম কাম্য নয়

ছবি

শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

গাজনার বিলে জলাবদ্ধতা দূর করতে ব্যবস্থা নিন

বাল্যবিয়ে: সংকট এখনো গভীর

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

করতোয়ার পানিপ্রবাহ স্বাভাবিক করতে পদক্ষেপ নিন

শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩

করতোয়া নদী নাকি পানিশূন্য একটা শুকনো নালা সেটা বোঝা দায়। একসময় যে নদীর বুকে চলত নৌকা সেখানে এখন চর পড়েছে। দখল-দূষণে নদীটি মৃতপ্রায়। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বন্যানিয়ন্ত্রণে ৯০ দশকে নদীতে স্লুইসগেট নির্মাণ করেছিল। এর প্রভাবে নদীর স্বাভাবিক পানিপ্রবাহ বন্ধ হয় গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে গত বুধবার সংবাদ-এ সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

নদী পানিশূন্য হয়ে গেলে এর ওপর নির্ভর মানুষের জীবন-জীবিকা ঝুঁকির মুখে পড়ে। শুধু যে মানুষের জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়ে তা নয়, পরিবেশ-প্রতিবেশও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, দেশের অনেক নদ-নদী হারিয়ে যাওয়ার কারণে লাখ লাখ পরিবার জীবিকাও হারিয়েছে। তাই নিয়মিত নদ-নদী খনন জরুরি।

প্রশ্ন হচ্ছে, করতোয়া বা এর মতো দেশের অন্য নদ-নদীগুলো অস্তিত্ব সংকটে কেন পড়েছে? পলি জমে নদী নাব্য হারায়। তখন পানির অভাবে নদী শুকিয়ে যায়। শুকনো মৌসুমে নদ-নদী শুকিয়ে গেলে নদীতীর দখলের হিড়িক পড়ে যায়। এতে নদী ছোট হয়ে আসে। নদীতে বর্জ্য ফেলা হলেও নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে এর অস্তিত্ব হারিয়ে যায়। কারখানার রাসায়নিক বর্জ্য, নদীতে চলাচলকারী নৌযানের পোড়া তেল, পয়োবর্জ্য ও গৃহস্থালি বর্জ্যওে নদী দূষণ হয়।

করতোয়াও দখল-দূষণের শিকার হয়েছে। তার সঙ্গে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন যে স্লুইসগেট নির্মাণের কারণে নদীটির অবস্থা আরও সঙ্গীন হয়েছে। তারা বিশ্বাস করেন যে স্লুইসগেটটি না থাকলে নদীর দশা এমন হতো না।

নদীতে স্লুইসগেট নির্মাণ নিয়ে বিতর্ক আছে। কিছু জায়গায় তৈরি করা বাঁধ বন্যানিয়ন্ত্রণে হয়তো কাজে আসছে। আবার অপ্রয়োজনীয় স্থানেও স্লুইসগেট নির্মাণ করা হয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।

দেশের অনেক স্লুইসগেট ঠিকমতো কাজ করে না বলে জানা যায়। এর রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে যথাযথ স্টাডি নেই। এসব দিক ভেবে ২০২০ সালে দেশে আর নতুন করে স্লুইস গেট নির্মাণ না করার নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এর কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, আগের তুলনায় দেশে পানির প্রবাহ কমে গেছে। ফারাক্কা বাঁধ, জলবায়ু ইত্যাদি কারণে এখন কম পানি পাওয়া যায়। মাঝে মাঝে বন্যা হয়। তাই স্লুইস গেট দরকার নেই। দেশে যেসব স্লুইস গেট বানানো হয়েছে তার মধ্যে কয়টা সচল রয়েছে সেটাও সে সময় খতিয়ে দেখতে বলেন প্রধানমন্ত্রী।

আমরা বলতে চাই, করতোয়া নদীর পানি প্রবাহ স্বাভাবিক করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। নদীকে দখল-দূষণমুক্ত করতে হবে। স্লুইসগেট আদৌ কোনো কাজে আসছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে সেটা আমাদের আশা।

back to top