alt

মতামত » সম্পাদকীয়

রেলওয়ের জমি দখলমুক্ত হোক

: রোববার, ২৬ মার্চ ২০২৩

চট্টগ্রামে রেলওয়ের জায়গা দখল করে করেছে একটি চক্র। অভিযোগ উঠেছে যে, রেলওয়ের কিছু অসাধু কর্মকর্তাকে তারা টাকা দিয়ে ম্যানেজ করেছে। এ কারণে দখল হয়ে যাওয়া জমি উদ্ধারে কর্তৃপক্ষ কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না। এ নিয়ে গত শুক্রবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

রেল কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, বাংলাদেশ রেলওয়ে নতুন করে কারো নামে কোনো জায়গা লিজ দেয়নি। চট্টগ্রাম স্টেশন রোডের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। যারা অবৈধভাবে রেলওয়ের জায়গা জবরদখল করে রেখেছে তাদের বিরুদ্ধে শীঘ্রই অভিযান চালিয়ে জবরদখলকৃত জায়গা দখল মুক্ত করার ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শুধু চট্টগ্রামেই যে রেলওয়ের জমি প্রভাবশালীরা দখল করে নিয়েছে তা নয়। সারাদেশেই রেলওয়ের জমি কম-বেশি দখল হয়েছে। দখলদাররা রেলওয়ের জায়গায় নানান ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, বসতঘর নির্মাণ করছে।

সরকারি হিসাব জানাচ্ছে, সারাদেশে রেলওয়ের জমি ৬২ হাজার একর। এর মধ্যে দখলে ৫৮ হাজার ৬০৬ দশমিক ৫৭ একর। প্রায় ৩ হাজার ৬১৪ একর জমি বেদখলে। রেলের হিসাবে, ২০১৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত সংস্থাটি সারাদেশে ৬৩২টি অবৈধ দখলবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় সোয়া লাখ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।

তবে রেলের অনেক জমি প্রভাবশালীদের দখলে রয়েছে। সেক্ষেত্রে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ কী ব্যবস্থা নেয় সেটা জানা জরুরি। জমি উদ্ধার অভিযানে দখল উচ্ছেদ করাই যথেষ্ট নয়। দখলদারদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে। বিশেষ করে প্রভাবশালী দখলদারদের আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। নইলে রেলের জমি দখলের অপসংস্কৃতির অবসান হবে না। পাশাপাশি যেসব রেলওয়ে কর্মকর্তার যোগসাজশে সিন্ডিকেটরা জমি দখল করেছে তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা দরকার।

রেলওয়ের অব্যবহৃত জমি কোথায় কী পরিমাণ আছে, সেটা সমীক্ষার মাধ্যমে বের করতে হবে। এসব জমির সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। জমি উদ্ধারে রেলওয়ের কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। জমি উদ্ধার কিংবা অবৈধ স্থাপনা সরানোর জন্য রেলের নিজস্ব কোনো যান-সরঞ্জাম নেই। বুলডোজার ও সরঞ্জাম ভাড়া করে আনতে হয়। এসব সীমাবদ্ধতা দূর করতে কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে সেটা আমাদের আশা।

এক খ্রিস্টান পরিবারের জমি দখলের চেষ্টা: ব্যবস্থা নিন

অবৈধ ইটভাটা: প্রশাসন কী করছে

পথ হারাচ্ছে রেলপথে পণ্যপরিবহন

মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের আন্দোলন: আলোচনায় সমাধান খুঁজতে হবে

জয়ন্তীপুর ঘাটে সেতু নির্মাণে বিলম্ব কাম্য নয়

শিক্ষকদের আন্দোলন, সরকারের কঠোরতা এবং শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ

রায়গঞ্জের ক্ষতিগ্রস্ত বেইলি ব্রিজ দ্রুত সংস্কার করুন

সওজের জমি দখল : ব্যবস্থা নিন

পার্বত্য চুক্তি: পাহাড়ে শান্তি কি ফিরল?

রাজধানী কি অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রস্তুত?

সেতু নির্মাণের কাজ কবে শেষ হবে

খুলনায় আদালতের সামনে হত্যাকাণ্ড

মীরসরাইয়ে বন রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

পুরান ঢাকায় রাসায়নিক ঝুঁকি

মহেশপুরে অনুমোদনহীন করাত কল

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

থমকে আছে সেতু নির্মাণের কাজ

হাকালুকি হাওরে মাছ লুট: প্রশাসন কী করছে

রাঙ্গাবালীর সংরক্ষিত বন ধ্বংসের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি কাম্য নয়

কক্সবাজারে পাহাড়ের মাটি কাটা বন্ধ করুন

দারিদ্র্যের নতুন ঢেউ

তাজরীনের ১৩ বছরের ক্ষত ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার কোথায়?

অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চরাঞ্চলের বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান নিশ্চিত করুন

অসহিষ্ণুতার সংস্কৃতি থামাতে হবে

কাঠ পাচার বন্ধে ব্যবস্থা নিন

ফিরে এল তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে জিও ব্যাগ ব্যবহারে অনিয়মের অভিযোগ

দুই দফা ভূমিকম্প: এখনই প্রস্তুতির সময়

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

গভীর রাতে সাংবাদিককে তুলে নেয়ার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে হবে

সাময়িকী কবিতা

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ

স্কুল ফিডিং কর্মসূচিতে অনিয়ম কাম্য নয়

ছবি

শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

রেলওয়ের জমি দখলমুক্ত হোক

রোববার, ২৬ মার্চ ২০২৩

চট্টগ্রামে রেলওয়ের জায়গা দখল করে করেছে একটি চক্র। অভিযোগ উঠেছে যে, রেলওয়ের কিছু অসাধু কর্মকর্তাকে তারা টাকা দিয়ে ম্যানেজ করেছে। এ কারণে দখল হয়ে যাওয়া জমি উদ্ধারে কর্তৃপক্ষ কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না। এ নিয়ে গত শুক্রবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

রেল কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, বাংলাদেশ রেলওয়ে নতুন করে কারো নামে কোনো জায়গা লিজ দেয়নি। চট্টগ্রাম স্টেশন রোডের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। যারা অবৈধভাবে রেলওয়ের জায়গা জবরদখল করে রেখেছে তাদের বিরুদ্ধে শীঘ্রই অভিযান চালিয়ে জবরদখলকৃত জায়গা দখল মুক্ত করার ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শুধু চট্টগ্রামেই যে রেলওয়ের জমি প্রভাবশালীরা দখল করে নিয়েছে তা নয়। সারাদেশেই রেলওয়ের জমি কম-বেশি দখল হয়েছে। দখলদাররা রেলওয়ের জায়গায় নানান ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, বসতঘর নির্মাণ করছে।

সরকারি হিসাব জানাচ্ছে, সারাদেশে রেলওয়ের জমি ৬২ হাজার একর। এর মধ্যে দখলে ৫৮ হাজার ৬০৬ দশমিক ৫৭ একর। প্রায় ৩ হাজার ৬১৪ একর জমি বেদখলে। রেলের হিসাবে, ২০১৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত সংস্থাটি সারাদেশে ৬৩২টি অবৈধ দখলবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় সোয়া লাখ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।

তবে রেলের অনেক জমি প্রভাবশালীদের দখলে রয়েছে। সেক্ষেত্রে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ কী ব্যবস্থা নেয় সেটা জানা জরুরি। জমি উদ্ধার অভিযানে দখল উচ্ছেদ করাই যথেষ্ট নয়। দখলদারদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে। বিশেষ করে প্রভাবশালী দখলদারদের আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। নইলে রেলের জমি দখলের অপসংস্কৃতির অবসান হবে না। পাশাপাশি যেসব রেলওয়ে কর্মকর্তার যোগসাজশে সিন্ডিকেটরা জমি দখল করেছে তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা দরকার।

রেলওয়ের অব্যবহৃত জমি কোথায় কী পরিমাণ আছে, সেটা সমীক্ষার মাধ্যমে বের করতে হবে। এসব জমির সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। জমি উদ্ধারে রেলওয়ের কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। জমি উদ্ধার কিংবা অবৈধ স্থাপনা সরানোর জন্য রেলের নিজস্ব কোনো যান-সরঞ্জাম নেই। বুলডোজার ও সরঞ্জাম ভাড়া করে আনতে হয়। এসব সীমাবদ্ধতা দূর করতে কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে সেটা আমাদের আশা।

back to top