alt

সম্পাদকীয়

খুলনায় সেতু নির্মাণের কাজ দ্রুত শেষ করুন

: রোববার, ২৬ মার্চ ২০২৩

খুলনায় এলজিইডির প্রকল্প গ্রহণ করা হয় ২০২১ সালে। কিন্তু অধিকাংশ সেতুর কাজ এখনও শুরু হয়নি। ১০টি সেতুর মধ্যে ২৫ শতাংশ কাজ হয়েছে ৫টির এবং বাকি ৫টির কোনো কাজই শুরু হয়নি। প্রকল্প বাস্তবায়ন না হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

দেশে যথাসময়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন না হওয়ার অপসংস্কৃতি রয়েছে। নির্ধারিত সময় ও ব্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়নের নজির খুবই কম। প্রকল্প নেয়া হবে কিন্তু যথাসময়ে বাস্তবায়ন হবে না, এর ব্যয় বাড়বে এবং সময়ও বাড়বে- এটাই যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। যথাসময়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন না হওয়ারও আরেকটি উদাহরণ হচ্ছে খুলনায় এলজিইডির প্রকল্পের সেতু নির্মাণকাজ।

জানা গেছে, সেখানে কোনো কোনো ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে একাধিক কাজ দেয়া হয়েছে। অর্থের অভাবে কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রকল্পের অর্থছাড় হচ্ছে। মেয়াদ বাড়িয়ে প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করার কথা বলেছে এলজিইডি কর্তৃপক্ষ।

কোনো প্রকল্প নেয়া হয় জনগণের কল্যাণের উদ্দেশ্যে। কিন্তু যথাসময়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা না হলে সেই উদ্দেশ্য পূর্ণতা পায় না। পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রকল্প বাস্তবায়ন করা না হলে রাষ্ট্রের টাকার অপচয় হয়। শেষ পর্যন্ত যার ঘানি সাধারণ মানুষকেই টানতে হয়। মানুষ কাক্সিক্ষত সেবা থেকে বঞ্চিত হয়। প্রকল্পের ব্যয় ও সময় বাড়ানো হলে একটি গোষ্ঠী লাভবান হয়।

খুলনার ১০টি সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হলে সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষের যাতায়াত-যোগাযোগ সহজ হবে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পর্যটন, শিল্প ও বাণিজ্যে প্রসার ঘটবে। খুলনার সঙ্গে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা ত্বরান্বিত হবে। ব্যবসায়ীদের পণ্য পরিবহনে সময় ও খরচ বাঁচবে।

শুধু যে খুলনায় সেতু নির্মাণের কাজ থমকে আছে তা নয়। নানান জটিলতায় দেশের অনেক সেতু বা সড়কের কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া যায়। প্রধানমন্ত্রী নির্ধারিত সময়ে প্রকল্প বাস্তবায়নে নির্দেশনা দিয়েছেন। কিন্তু সেই নির্দেশনা বাস্তবায়ন হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা কেন মানা হচ্ছে না সেটা একটা প্রশ্ন।

আমরা বলতে চাই, খুলনায় ১০টি সেতু নির্মাণে যে প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে সেগুলোর নির্মাণকাজ দ্রুত শেষ করতে হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নের পথে যেসব বাধা রয়েছে তা দূর করতে হবে।

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

হাতি শাবকের মৃত্যু ও সাফারি পার্কের দায়ভার

বায়ুদূষণ রোধে চাই টেকসই উদ্যোগ

মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন

চালের দামে অস্বস্তি : সরকারি তথ্য ও বাজারের বাস্তবতার ফারাক

অতিদারিদ্র্যের আশঙ্কা : সমাধান কোথায়?

ডিমলা উপজেলা হাসপাতালের অনিয়ম

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি : ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণের অপেক্ষা কবে ফুরাবে

হাইল হাওরের অস্তিত্ব সংকট

সমানাধিকারে আপত্তি কেন?

লেমুর চুরি : সাফারি পার্কের নিরাপত্তা সংকট

একটি হাসাহাসির ঘটনা, একটি হত্যাকাণ্ড : সমাজের সহিষ্ণুতার অবক্ষয়

চাই সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

মানুষ-হাতির সংঘাত : সমাধানের পথ খুঁজতে হবে

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সংকট দূর করুন

ফসলি জমি রক্ষায় কঠোর হোন

নিষ্ঠুরতার শিকার হাতি

বিশেষ ক্ষমতা আইন ও নাগরিক অধিকার

হালদায় অবৈধ মাছ শিকার বন্ধ করতে হবে

মশার উপদ্রব : বর্ষার আগেই সাবধান হতে হবে

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলা : মানবতার প্রতি এক অব্যাহত আঘাত

অবৈধ বৈদ্যুতিক ফাঁদে প্রাণহানি : দায় কার?

নদীর বাঁধ ভাঙার দুর্ভোগ : টেকসই সমাধানের জরুরি প্রয়োজন

মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা সংকট

সমবায় সমিতির নামে প্রতারণা : কঠোর নজরদারি ও আইনি পদক্ষেপ জরুরি

সড়ক দুর্ঘটনা নাকি অবহেলার পরিণতি

ভূমিকম্পের ধ্বংসযজ্ঞ ও আমাদের প্রস্তুতি

বার্ড ফ্লু : আতঙ্ক নয়, চাই সতর্কতা

জাটকা রক্ষার প্রতিশ্রুতি কি শুধুই কাগজে-কলমে?

ভেজাল কীটনাশক বন্ধে ব্যবস্থা নিন

অতিরিক্ত ভাড়া : যাত্রীদের দুর্ভোগ আর কতকাল?

করতোয়া নদীতে রাবার ড্যাম স্থাপনের দাবি

tab

সম্পাদকীয়

খুলনায় সেতু নির্মাণের কাজ দ্রুত শেষ করুন

রোববার, ২৬ মার্চ ২০২৩

খুলনায় এলজিইডির প্রকল্প গ্রহণ করা হয় ২০২১ সালে। কিন্তু অধিকাংশ সেতুর কাজ এখনও শুরু হয়নি। ১০টি সেতুর মধ্যে ২৫ শতাংশ কাজ হয়েছে ৫টির এবং বাকি ৫টির কোনো কাজই শুরু হয়নি। প্রকল্প বাস্তবায়ন না হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

দেশে যথাসময়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন না হওয়ার অপসংস্কৃতি রয়েছে। নির্ধারিত সময় ও ব্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়নের নজির খুবই কম। প্রকল্প নেয়া হবে কিন্তু যথাসময়ে বাস্তবায়ন হবে না, এর ব্যয় বাড়বে এবং সময়ও বাড়বে- এটাই যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। যথাসময়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন না হওয়ারও আরেকটি উদাহরণ হচ্ছে খুলনায় এলজিইডির প্রকল্পের সেতু নির্মাণকাজ।

জানা গেছে, সেখানে কোনো কোনো ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে একাধিক কাজ দেয়া হয়েছে। অর্থের অভাবে কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রকল্পের অর্থছাড় হচ্ছে। মেয়াদ বাড়িয়ে প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করার কথা বলেছে এলজিইডি কর্তৃপক্ষ।

কোনো প্রকল্প নেয়া হয় জনগণের কল্যাণের উদ্দেশ্যে। কিন্তু যথাসময়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা না হলে সেই উদ্দেশ্য পূর্ণতা পায় না। পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রকল্প বাস্তবায়ন করা না হলে রাষ্ট্রের টাকার অপচয় হয়। শেষ পর্যন্ত যার ঘানি সাধারণ মানুষকেই টানতে হয়। মানুষ কাক্সিক্ষত সেবা থেকে বঞ্চিত হয়। প্রকল্পের ব্যয় ও সময় বাড়ানো হলে একটি গোষ্ঠী লাভবান হয়।

খুলনার ১০টি সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হলে সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষের যাতায়াত-যোগাযোগ সহজ হবে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পর্যটন, শিল্প ও বাণিজ্যে প্রসার ঘটবে। খুলনার সঙ্গে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা ত্বরান্বিত হবে। ব্যবসায়ীদের পণ্য পরিবহনে সময় ও খরচ বাঁচবে।

শুধু যে খুলনায় সেতু নির্মাণের কাজ থমকে আছে তা নয়। নানান জটিলতায় দেশের অনেক সেতু বা সড়কের কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া যায়। প্রধানমন্ত্রী নির্ধারিত সময়ে প্রকল্প বাস্তবায়নে নির্দেশনা দিয়েছেন। কিন্তু সেই নির্দেশনা বাস্তবায়ন হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা কেন মানা হচ্ছে না সেটা একটা প্রশ্ন।

আমরা বলতে চাই, খুলনায় ১০টি সেতু নির্মাণে যে প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে সেগুলোর নির্মাণকাজ দ্রুত শেষ করতে হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নের পথে যেসব বাধা রয়েছে তা দূর করতে হবে।

back to top