খোকসা পৌরসভায় বিশুদ্ধ পানির প্রকল্প চালু করুন

কুষ্টিয়ার খোকসা পৌরসভায় বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের পাইপ লাইন ও পাম্প হাউস নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। প্রকল্পটির মেয়াদ ৩ বছর পেরিয়ে গেছে কিন্তু সেটা এখনও চালু হয়নি। দ্রুত প্রকল্পটি চালুর দাবি জানিয়েছেন পৌরসভার বাসিন্দারা। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে পাইপ লাইন নির্মাণ কাজ ও একটি পাম্প হাউস নির্মাণের কার্যাদেশ দেয়। কাজটির মেয়াদ বেঁধে দেয়া হয় ১০ মাস; কিন্তু গত ৩ বছরে ৫ দফায় সময় বাড়িয়ে নিয়েও কাজ শেষ করেনি ঠিকাদার। বিলের ৯০ শতাংশ টাকাও পরিশোধ করা হয়েছে ঠিকাদারকে। বিশুদ্ধ পানি না পেয়ে পৌরসভার প্রায় ১২ হাজার বাসিন্দা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, পানির পাইপ স্থাপনের সময় আট কিলোমিটার রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি করা হয়। সেগুলো সংস্কার করা হয়নি। বৃষ্টিতে রাস্তাগুলো কাদা-জলে তলিয়ে যায়।

নগরজীবনে বিশুদ্ধ পানির সংকট হলে জীবন হয়ে ওঠে দুর্বিষহ। রান্নাসহ দৈনন্দিন কাজে বিশুদ্ধ পানির খুবই প্রয়োজন। পানের অযোগ্য পানি খেয়ে মানুষ নানা রোগে ভোগে। তাই নিত্যদিনের প্রয়োজনে বিশুদ্ধ পানি সংগ্রহ করেতে হয়। আর এই পানি সংগ্রহ কাজটি নারীদেরই করতে হয়। দিনের বেশিরভাগ সময় কেটে যায় পানি সংগ্রহের কাজে।

অনেক কষ্টেসৃষ্টে মানুষ দূর-দূরান্ত থেকে বিশুদ্ধ পানি সংগ্রহ করে থাকে। এসব কষ্ট লাঘবে বাসিন্দাদের বিশুদ্ধ পানি দেয়ার উদ্যোগ নেয় পৌর কর্তৃপক্ষ। এ খবরে বাসিন্দারা আশায় বুক বেঁধেছিলেন এবার তাদের কষ্টের দিন শেষ হবে। কিন্তু প্রকল্পটি এখন যে অবস্থায় আছে তাতে মানুষের উপকার হবে কী, উল্টো দুর্ভোগই হচ্ছে। আর পৌরবাসীদের বিশুদ্ধ পানির স্বপ্ন অধরাই থেকে গেছে। কার গাফিলতির কারণে প্রকল্প চালু হতে দেরি হচ্ছে সেই প্রশ্ন আমরা করতে চাই।

অভিযোগ উঠেছে, প্রকল্পটি চালু না হওয়ার পেছনে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীর গাফিলতিই প্রধানত দায়ী। এ অভিযোগ খতিয়ে দেখতে হবে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে। যে সমস্যাই থাক সেটা সমন্বিতভাবে সুরাহা করতে হবে।

জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, পৌরসভার বাসিন্দাদের বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহে যে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছিল তার সিংহভাগ কাজ শেষ। এখন পাম্প হাউস নির্মাণের কাজ চলছে। মাস দুয়েক পরেই পৌর এলাকার জনসাধারণ বিশুদ্ধ পানির সুবিধা ভোগ করবেন।

আমরা আশা করব, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের আশ্বাস অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে প্রকল্প চালু করবে। এর মধ্য দিয়ে খোকসা পৌরসভার বাসিন্দারা উপকৃত হচ্ছে, তাদের দীর্ঘ দিনের সমস্যা নিরসন হয়েছে- এটাই আমরা দেখতে চাই।

‘সম্পাদকীয়’ : আরও খবর

» সেচযন্ত্র চুরি রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

» শীতজনিত রোগ: চাই সমন্বিত পদক্ষেপ

» সারের কৃত্রিম সংকট: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

» প্রান্তিক আদিবাসীদের অধিকার সুরক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি

» দুস্থ নারীদের অধিকার নিয়ে অনৈতিক বাণিজ্য কাম্য নয়

» দুমকিতে প্রাণিসম্পদ সেবার সংকট: দ্রুত পদক্ষেপ জরুরি

» চুনারুঘাটে প্রশাসনিক শূন্যতা: ব্যবস্থা নিন

» এক খ্রিস্টান পরিবারের জমি দখলের চেষ্টা: ব্যবস্থা নিন

» অবৈধ ইটভাটা: প্রশাসন কী করছে

» পথ হারাচ্ছে রেলপথে পণ্যপরিবহন

» মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের আন্দোলন: আলোচনায় সমাধান খুঁজতে হবে

» জয়ন্তীপুর ঘাটে সেতু নির্মাণে বিলম্ব কাম্য নয়

সম্প্রতি