alt

opinion » editorial

খোকসা পৌরসভায় বিশুদ্ধ পানির প্রকল্প চালু করুন

: বুধবার, ২৯ মার্চ ২০২৩

কুষ্টিয়ার খোকসা পৌরসভায় বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের পাইপ লাইন ও পাম্প হাউস নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। প্রকল্পটির মেয়াদ ৩ বছর পেরিয়ে গেছে কিন্তু সেটা এখনও চালু হয়নি। দ্রুত প্রকল্পটি চালুর দাবি জানিয়েছেন পৌরসভার বাসিন্দারা। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে পাইপ লাইন নির্মাণ কাজ ও একটি পাম্প হাউস নির্মাণের কার্যাদেশ দেয়। কাজটির মেয়াদ বেঁধে দেয়া হয় ১০ মাস; কিন্তু গত ৩ বছরে ৫ দফায় সময় বাড়িয়ে নিয়েও কাজ শেষ করেনি ঠিকাদার। বিলের ৯০ শতাংশ টাকাও পরিশোধ করা হয়েছে ঠিকাদারকে। বিশুদ্ধ পানি না পেয়ে পৌরসভার প্রায় ১২ হাজার বাসিন্দা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, পানির পাইপ স্থাপনের সময় আট কিলোমিটার রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি করা হয়। সেগুলো সংস্কার করা হয়নি। বৃষ্টিতে রাস্তাগুলো কাদা-জলে তলিয়ে যায়।

নগরজীবনে বিশুদ্ধ পানির সংকট হলে জীবন হয়ে ওঠে দুর্বিষহ। রান্নাসহ দৈনন্দিন কাজে বিশুদ্ধ পানির খুবই প্রয়োজন। পানের অযোগ্য পানি খেয়ে মানুষ নানা রোগে ভোগে। তাই নিত্যদিনের প্রয়োজনে বিশুদ্ধ পানি সংগ্রহ করেতে হয়। আর এই পানি সংগ্রহ কাজটি নারীদেরই করতে হয়। দিনের বেশিরভাগ সময় কেটে যায় পানি সংগ্রহের কাজে।

অনেক কষ্টেসৃষ্টে মানুষ দূর-দূরান্ত থেকে বিশুদ্ধ পানি সংগ্রহ করে থাকে। এসব কষ্ট লাঘবে বাসিন্দাদের বিশুদ্ধ পানি দেয়ার উদ্যোগ নেয় পৌর কর্তৃপক্ষ। এ খবরে বাসিন্দারা আশায় বুক বেঁধেছিলেন এবার তাদের কষ্টের দিন শেষ হবে। কিন্তু প্রকল্পটি এখন যে অবস্থায় আছে তাতে মানুষের উপকার হবে কী, উল্টো দুর্ভোগই হচ্ছে। আর পৌরবাসীদের বিশুদ্ধ পানির স্বপ্ন অধরাই থেকে গেছে। কার গাফিলতির কারণে প্রকল্প চালু হতে দেরি হচ্ছে সেই প্রশ্ন আমরা করতে চাই।

অভিযোগ উঠেছে, প্রকল্পটি চালু না হওয়ার পেছনে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীর গাফিলতিই প্রধানত দায়ী। এ অভিযোগ খতিয়ে দেখতে হবে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে। যে সমস্যাই থাক সেটা সমন্বিতভাবে সুরাহা করতে হবে।

জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, পৌরসভার বাসিন্দাদের বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহে যে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছিল তার সিংহভাগ কাজ শেষ। এখন পাম্প হাউস নির্মাণের কাজ চলছে। মাস দুয়েক পরেই পৌর এলাকার জনসাধারণ বিশুদ্ধ পানির সুবিধা ভোগ করবেন।

আমরা আশা করব, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের আশ্বাস অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে প্রকল্প চালু করবে। এর মধ্য দিয়ে খোকসা পৌরসভার বাসিন্দারা উপকৃত হচ্ছে, তাদের দীর্ঘ দিনের সমস্যা নিরসন হয়েছে- এটাই আমরা দেখতে চাই।

অ্যান্টিভেনম সংকট দূর করুন

বিলাসবহুল গাড়ি কেনার ‘অতিআগ্রহ’ নিয়ে প্রশ্ন, উত্তর কি মিলবে?

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

tab

opinion » editorial

খোকসা পৌরসভায় বিশুদ্ধ পানির প্রকল্প চালু করুন

বুধবার, ২৯ মার্চ ২০২৩

কুষ্টিয়ার খোকসা পৌরসভায় বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের পাইপ লাইন ও পাম্প হাউস নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। প্রকল্পটির মেয়াদ ৩ বছর পেরিয়ে গেছে কিন্তু সেটা এখনও চালু হয়নি। দ্রুত প্রকল্পটি চালুর দাবি জানিয়েছেন পৌরসভার বাসিন্দারা। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে পাইপ লাইন নির্মাণ কাজ ও একটি পাম্প হাউস নির্মাণের কার্যাদেশ দেয়। কাজটির মেয়াদ বেঁধে দেয়া হয় ১০ মাস; কিন্তু গত ৩ বছরে ৫ দফায় সময় বাড়িয়ে নিয়েও কাজ শেষ করেনি ঠিকাদার। বিলের ৯০ শতাংশ টাকাও পরিশোধ করা হয়েছে ঠিকাদারকে। বিশুদ্ধ পানি না পেয়ে পৌরসভার প্রায় ১২ হাজার বাসিন্দা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, পানির পাইপ স্থাপনের সময় আট কিলোমিটার রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি করা হয়। সেগুলো সংস্কার করা হয়নি। বৃষ্টিতে রাস্তাগুলো কাদা-জলে তলিয়ে যায়।

নগরজীবনে বিশুদ্ধ পানির সংকট হলে জীবন হয়ে ওঠে দুর্বিষহ। রান্নাসহ দৈনন্দিন কাজে বিশুদ্ধ পানির খুবই প্রয়োজন। পানের অযোগ্য পানি খেয়ে মানুষ নানা রোগে ভোগে। তাই নিত্যদিনের প্রয়োজনে বিশুদ্ধ পানি সংগ্রহ করেতে হয়। আর এই পানি সংগ্রহ কাজটি নারীদেরই করতে হয়। দিনের বেশিরভাগ সময় কেটে যায় পানি সংগ্রহের কাজে।

অনেক কষ্টেসৃষ্টে মানুষ দূর-দূরান্ত থেকে বিশুদ্ধ পানি সংগ্রহ করে থাকে। এসব কষ্ট লাঘবে বাসিন্দাদের বিশুদ্ধ পানি দেয়ার উদ্যোগ নেয় পৌর কর্তৃপক্ষ। এ খবরে বাসিন্দারা আশায় বুক বেঁধেছিলেন এবার তাদের কষ্টের দিন শেষ হবে। কিন্তু প্রকল্পটি এখন যে অবস্থায় আছে তাতে মানুষের উপকার হবে কী, উল্টো দুর্ভোগই হচ্ছে। আর পৌরবাসীদের বিশুদ্ধ পানির স্বপ্ন অধরাই থেকে গেছে। কার গাফিলতির কারণে প্রকল্প চালু হতে দেরি হচ্ছে সেই প্রশ্ন আমরা করতে চাই।

অভিযোগ উঠেছে, প্রকল্পটি চালু না হওয়ার পেছনে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীর গাফিলতিই প্রধানত দায়ী। এ অভিযোগ খতিয়ে দেখতে হবে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে। যে সমস্যাই থাক সেটা সমন্বিতভাবে সুরাহা করতে হবে।

জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, পৌরসভার বাসিন্দাদের বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহে যে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছিল তার সিংহভাগ কাজ শেষ। এখন পাম্প হাউস নির্মাণের কাজ চলছে। মাস দুয়েক পরেই পৌর এলাকার জনসাধারণ বিশুদ্ধ পানির সুবিধা ভোগ করবেন।

আমরা আশা করব, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের আশ্বাস অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে প্রকল্প চালু করবে। এর মধ্য দিয়ে খোকসা পৌরসভার বাসিন্দারা উপকৃত হচ্ছে, তাদের দীর্ঘ দিনের সমস্যা নিরসন হয়েছে- এটাই আমরা দেখতে চাই।

back to top