alt

সম্পাদকীয়

বায়ুদূষণ বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে

: বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩

দেশে মানুষের অকাল মৃত্যুর অন্যতম বড় কারণ বায়ুদূষণ। বিশ্বব্যাংকের এক গবেষণা থেকে জানা গেছে, বাংলাদেশে অকালমৃত্যুর ২০ শতাংশই হয় বায়ুদূষণের কারণে। এ নিয়ে গত বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

বছরের সিংহভাগ সময়ই ঢাকার বাতাস দূষিত থাকে। এক গবেষণা থেকে জানা যায়, বছরে গড়ে ৩১৭ দিন ঢাকার বাতাস বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্মল বায়ুর মানমাত্রার চেয়েও খারাপ অবস্থায় থাকে। সম্প্রতি বিশ্বের দূষিত শহরগুলোর তালিকায় ঢাকার অবস্থান হয়েছে শীর্ষে। ‘বিশুদ্ধ বায়ু পাওয়ার চেষ্টা : দক্ষিণ এশিয়ায় বায়ুদূষণ ও জনস্বাস্থ্য’ শীর্ষক বিশ্বব্যাংক যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেখানে বলা হয়েছে, বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত দশ শহরের মধ্যে ঢাকা একটি।

দূষিত বাতাসে অ্যামোনিয়া, নাইট্রিক অক্সাইড, সালফার ডাই অক্সাইড, সিসা, কার্বন, ভোলাটাইল অর্গানিক কম্পাউন্ড, ওজোন গ্যাসের মতো ক্ষতিকর অতি সূক্ষ্ম পদার্থ যেমন থাকে, তেমন অতি ক্ষুদ্র প্লাস্টিক কণাও থাকে। এটা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি। দূষণের মারাত্মক প্রভাবে শিশুদের বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়। দূষণের শিকার মানুষ শ্বাসনালির বিভিন্ন রোগসহ দীর্ঘস্থায়ী স্বাস্থ্যঝুঁকি পড়ে। যেটা দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। কারণ দূষণজনিত রোগ মোকাবিলা করতে গিয়ে স্বাস্থ্যসেবার খরচ বেড়ে যায়, উৎপাদনশীলতা কমে, কর্মঘণ্টার অপচয় হয়।

সমস্যা হচ্ছে, বায়দুষণ শুধু অভ্যন্তরীণ কারণে ঘটে না। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো একই এয়ারশেডে অবস্থিত। গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, ঢাকার দূষিত বায়ুর ৩০ শতাংশই আসে ভারত থেকে। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে এই অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে আন্তঃসম্পর্ক বাড়ানো দরকার বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।

বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে-বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল এবং পাকিস্তানের বায়ুমানের উন্নয়ন ঘটাতে ‘কাঠমান্ডু রোডম্যাপ’ তৈরি করা হয়েছে। আমরা আশা করব, এই অঞ্চলের জনগণের স্বার্থে সংশ্লিষ্ট দেশগুলো সমন্বিত ব্যবস্থা নেবে। সম্মিলিতভাবে প্রচেষ্টা চালালে কার্যকর ও টেকসই সমাধান মিলতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।

আঞ্চলিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ দূষণ কমাতেও পদক্ষেপ নিতে হবে। অভ্যন্তরীণ যেসব কারণে দূষণ ঘটে সেগুলো নিয়ন্ত্রণ করা গেলে বায়ুদূষণ কমতে পারে। দীর্ঘমেয়াদে টেকসইভাবে দূষণ মোকাবিলা করতে হলে দূষণের উৎস চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। দেশজুড়ে পরিকল্পিত বনায়ন করতে হবে। নদ-নদীসহ সব জলাশয় রক্ষা করতে হবে।

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

হাতি শাবকের মৃত্যু ও সাফারি পার্কের দায়ভার

বায়ুদূষণ রোধে চাই টেকসই উদ্যোগ

মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন

চালের দামে অস্বস্তি : সরকারি তথ্য ও বাজারের বাস্তবতার ফারাক

অতিদারিদ্র্যের আশঙ্কা : সমাধান কোথায়?

ডিমলা উপজেলা হাসপাতালের অনিয়ম

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি : ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণের অপেক্ষা কবে ফুরাবে

হাইল হাওরের অস্তিত্ব সংকট

সমানাধিকারে আপত্তি কেন?

লেমুর চুরি : সাফারি পার্কের নিরাপত্তা সংকট

একটি হাসাহাসির ঘটনা, একটি হত্যাকাণ্ড : সমাজের সহিষ্ণুতার অবক্ষয়

চাই সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

মানুষ-হাতির সংঘাত : সমাধানের পথ খুঁজতে হবে

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সংকট দূর করুন

ফসলি জমি রক্ষায় কঠোর হোন

নিষ্ঠুরতার শিকার হাতি

বিশেষ ক্ষমতা আইন ও নাগরিক অধিকার

হালদায় অবৈধ মাছ শিকার বন্ধ করতে হবে

মশার উপদ্রব : বর্ষার আগেই সাবধান হতে হবে

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলা : মানবতার প্রতি এক অব্যাহত আঘাত

অবৈধ বৈদ্যুতিক ফাঁদে প্রাণহানি : দায় কার?

নদীর বাঁধ ভাঙার দুর্ভোগ : টেকসই সমাধানের জরুরি প্রয়োজন

মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা সংকট

সমবায় সমিতির নামে প্রতারণা : কঠোর নজরদারি ও আইনি পদক্ষেপ জরুরি

সড়ক দুর্ঘটনা নাকি অবহেলার পরিণতি

ভূমিকম্পের ধ্বংসযজ্ঞ ও আমাদের প্রস্তুতি

বার্ড ফ্লু : আতঙ্ক নয়, চাই সতর্কতা

জাটকা রক্ষার প্রতিশ্রুতি কি শুধুই কাগজে-কলমে?

ভেজাল কীটনাশক বন্ধে ব্যবস্থা নিন

tab

সম্পাদকীয়

বায়ুদূষণ বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে

বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩

দেশে মানুষের অকাল মৃত্যুর অন্যতম বড় কারণ বায়ুদূষণ। বিশ্বব্যাংকের এক গবেষণা থেকে জানা গেছে, বাংলাদেশে অকালমৃত্যুর ২০ শতাংশই হয় বায়ুদূষণের কারণে। এ নিয়ে গত বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

বছরের সিংহভাগ সময়ই ঢাকার বাতাস দূষিত থাকে। এক গবেষণা থেকে জানা যায়, বছরে গড়ে ৩১৭ দিন ঢাকার বাতাস বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্মল বায়ুর মানমাত্রার চেয়েও খারাপ অবস্থায় থাকে। সম্প্রতি বিশ্বের দূষিত শহরগুলোর তালিকায় ঢাকার অবস্থান হয়েছে শীর্ষে। ‘বিশুদ্ধ বায়ু পাওয়ার চেষ্টা : দক্ষিণ এশিয়ায় বায়ুদূষণ ও জনস্বাস্থ্য’ শীর্ষক বিশ্বব্যাংক যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেখানে বলা হয়েছে, বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত দশ শহরের মধ্যে ঢাকা একটি।

দূষিত বাতাসে অ্যামোনিয়া, নাইট্রিক অক্সাইড, সালফার ডাই অক্সাইড, সিসা, কার্বন, ভোলাটাইল অর্গানিক কম্পাউন্ড, ওজোন গ্যাসের মতো ক্ষতিকর অতি সূক্ষ্ম পদার্থ যেমন থাকে, তেমন অতি ক্ষুদ্র প্লাস্টিক কণাও থাকে। এটা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি। দূষণের মারাত্মক প্রভাবে শিশুদের বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়। দূষণের শিকার মানুষ শ্বাসনালির বিভিন্ন রোগসহ দীর্ঘস্থায়ী স্বাস্থ্যঝুঁকি পড়ে। যেটা দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। কারণ দূষণজনিত রোগ মোকাবিলা করতে গিয়ে স্বাস্থ্যসেবার খরচ বেড়ে যায়, উৎপাদনশীলতা কমে, কর্মঘণ্টার অপচয় হয়।

সমস্যা হচ্ছে, বায়দুষণ শুধু অভ্যন্তরীণ কারণে ঘটে না। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো একই এয়ারশেডে অবস্থিত। গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, ঢাকার দূষিত বায়ুর ৩০ শতাংশই আসে ভারত থেকে। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে এই অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে আন্তঃসম্পর্ক বাড়ানো দরকার বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।

বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে-বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল এবং পাকিস্তানের বায়ুমানের উন্নয়ন ঘটাতে ‘কাঠমান্ডু রোডম্যাপ’ তৈরি করা হয়েছে। আমরা আশা করব, এই অঞ্চলের জনগণের স্বার্থে সংশ্লিষ্ট দেশগুলো সমন্বিত ব্যবস্থা নেবে। সম্মিলিতভাবে প্রচেষ্টা চালালে কার্যকর ও টেকসই সমাধান মিলতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।

আঞ্চলিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ দূষণ কমাতেও পদক্ষেপ নিতে হবে। অভ্যন্তরীণ যেসব কারণে দূষণ ঘটে সেগুলো নিয়ন্ত্রণ করা গেলে বায়ুদূষণ কমতে পারে। দীর্ঘমেয়াদে টেকসইভাবে দূষণ মোকাবিলা করতে হলে দূষণের উৎস চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। দেশজুড়ে পরিকল্পিত বনায়ন করতে হবে। নদ-নদীসহ সব জলাশয় রক্ষা করতে হবে।

back to top