alt

মতামত » সম্পাদকীয়

সমুদ্রদূষণ বন্ধে ব্যবস্থা নিন

: শনিবার, ০১ এপ্রিল ২০২৩

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে প্লাস্টিক, ছেঁড়া জাল, রশিসহ নানান ধরনের বর্জ্য ভেসে এসেছে। এসব বর্জ্য সৈকতের কয়েক কিলোমিটারজুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে। সমুদ্রে নিম্নচাপের কারণে বর্জ্য ভেসে এসেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট প্রশাসন বর্জ্য অপসারণের কাজ শুরু করেছে।

সমুদ্রসৈকতে বর্জ্য ভেসে আসার খবরটি উদ্বেগজনক। এর মধ্যদিয়ে সমুদ্রদূষণের ভয়াবহ চিত্র প্রকাশ পায়। প্রশ্ন হচ্ছে, সমুদ্রদূষণের দায় কার। বঙ্গপোসাগরের দূষণে কোন কোন দেশের দায় রয়েছে সেটা জানা জরুরি। সমুদ্রদূষণ কার্যিকরভাবে মোকাবিলা করতে হলে দূষণের প্রকৃত কারণ ও উৎস চিহ্নিত করতে হবে। এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।

দূষণের কারণে সমুদ্রের প্রাণবৈচিত্র্য বিপন্ন হচ্ছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। কক্সবাজারের সৈকতে প্রায়ই মৃত মাছ ভেসে আসে। অনেকে মনে করেন, এর সঙ্গে দূষণের সম্পর্ক রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ২টি মৃত ইরাবতি ডলফিন সৈকতে ভেসে এসেছিল। বিভিন্ন সময় অসংখ্য মৃত জেলিফিশ সৈকত পাড়ে ভেসে এসেছিল। বিষয়টি উদ্বেগজনক।

সমুদ্রে যেসব নৌযান চলে সেগুলো নিয়ম মানে কিনা সেটা কঠোরভাবে মনিটর করা দরকার। বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় ভিনদেশী নৌযান চলাচলেও নজরদারি করতে হবে। সমুদ্রদূষণ ঘটায় এমন কোন কর্মকান্ড কেউ যেন না করতে পারে সেটা নিশ্চিত করতে হবে।

দেশের নদ-নদী, খাল-জলাশয় ইতোমধ্যে দখল-দূষণে ধুঁকছে। এরসঙ্গে ব্যাপক আকারে শুরু হয়েছে সমুদ্রদূষণ। অভিযোগ রয়েছে, পর্যটন নগরী কক্সবাজারে পাঁচ শতাধিক হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউজের কোন পরিবেশ ছাড়পত্র নেই। হোটেলগুলোতে স্বাস্থ্যসম্মত পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় পয়ঃবর্জ্য বিভিন্ন নালা, জলাশয়, খাল ও নদী হয়ে সরাসরি সমুদ্রে গিয়ে মিশছে।

কক্সবাজারের টেকনাফে সেন্টমার্টিনের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য নানা কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের এক হিসাব অনুযায়ী, দ্বীপটিতে ব্যক্তি মালিকানাধীন হোটেল, মোটেল ও রিসোর্ট রয়েছে ১৬৬টি। তবে এগুলোর কোনটিরই পরিবেশগত ছাড়পত্র নেই। এগুলোও সমুদ্রদূষণের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

এখনই কঠোর ব্যবস্থা না নিলে সমুদ্রকে রক্ষা করা যাবে না। আমরা আশা করব, সমুদ্রদূষণ রোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। এক্ষেত্রে কোন ছাড় দেয়া চলবে না।

লালমনিরহাটের বিসিক শিল্পনগরীর দুরবস্থা

তৃণমূলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবস্থা নিন

শ্রীপুরের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ক্লাস, পদক্ষেপ জরুরি

শিশু ধর্ষণচেষ্টা: সালিসের নামে প্রহসন কাম্য নয়

বিশুদ্ধ পানির প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

সুপেয় পানির জন্য মোরেলগঞ্জের মানুষের অপেক্ষার অবসান হবে কবে

কেন একজন নিরপরাধ মানুষকে কিসের আগুনে পুড়ে মরতে হলো

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

রাজধানীতে প্রকাশ্যে হত্যা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

নলবিলা খাল খনন করুন

অগ্নি-নিরাপত্তায় উদাসীনতা কাম্য নয়

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

সমুদ্রদূষণ বন্ধে ব্যবস্থা নিন

শনিবার, ০১ এপ্রিল ২০২৩

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে প্লাস্টিক, ছেঁড়া জাল, রশিসহ নানান ধরনের বর্জ্য ভেসে এসেছে। এসব বর্জ্য সৈকতের কয়েক কিলোমিটারজুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে। সমুদ্রে নিম্নচাপের কারণে বর্জ্য ভেসে এসেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট প্রশাসন বর্জ্য অপসারণের কাজ শুরু করেছে।

সমুদ্রসৈকতে বর্জ্য ভেসে আসার খবরটি উদ্বেগজনক। এর মধ্যদিয়ে সমুদ্রদূষণের ভয়াবহ চিত্র প্রকাশ পায়। প্রশ্ন হচ্ছে, সমুদ্রদূষণের দায় কার। বঙ্গপোসাগরের দূষণে কোন কোন দেশের দায় রয়েছে সেটা জানা জরুরি। সমুদ্রদূষণ কার্যিকরভাবে মোকাবিলা করতে হলে দূষণের প্রকৃত কারণ ও উৎস চিহ্নিত করতে হবে। এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।

দূষণের কারণে সমুদ্রের প্রাণবৈচিত্র্য বিপন্ন হচ্ছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। কক্সবাজারের সৈকতে প্রায়ই মৃত মাছ ভেসে আসে। অনেকে মনে করেন, এর সঙ্গে দূষণের সম্পর্ক রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ২টি মৃত ইরাবতি ডলফিন সৈকতে ভেসে এসেছিল। বিভিন্ন সময় অসংখ্য মৃত জেলিফিশ সৈকত পাড়ে ভেসে এসেছিল। বিষয়টি উদ্বেগজনক।

সমুদ্রে যেসব নৌযান চলে সেগুলো নিয়ম মানে কিনা সেটা কঠোরভাবে মনিটর করা দরকার। বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় ভিনদেশী নৌযান চলাচলেও নজরদারি করতে হবে। সমুদ্রদূষণ ঘটায় এমন কোন কর্মকান্ড কেউ যেন না করতে পারে সেটা নিশ্চিত করতে হবে।

দেশের নদ-নদী, খাল-জলাশয় ইতোমধ্যে দখল-দূষণে ধুঁকছে। এরসঙ্গে ব্যাপক আকারে শুরু হয়েছে সমুদ্রদূষণ। অভিযোগ রয়েছে, পর্যটন নগরী কক্সবাজারে পাঁচ শতাধিক হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউজের কোন পরিবেশ ছাড়পত্র নেই। হোটেলগুলোতে স্বাস্থ্যসম্মত পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় পয়ঃবর্জ্য বিভিন্ন নালা, জলাশয়, খাল ও নদী হয়ে সরাসরি সমুদ্রে গিয়ে মিশছে।

কক্সবাজারের টেকনাফে সেন্টমার্টিনের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য নানা কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের এক হিসাব অনুযায়ী, দ্বীপটিতে ব্যক্তি মালিকানাধীন হোটেল, মোটেল ও রিসোর্ট রয়েছে ১৬৬টি। তবে এগুলোর কোনটিরই পরিবেশগত ছাড়পত্র নেই। এগুলোও সমুদ্রদূষণের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

এখনই কঠোর ব্যবস্থা না নিলে সমুদ্রকে রক্ষা করা যাবে না। আমরা আশা করব, সমুদ্রদূষণ রোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। এক্ষেত্রে কোন ছাড় দেয়া চলবে না।

back to top