alt

মতামত » সম্পাদকীয়

কর্মসংস্থান কর্মসূচি প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

: বুধবার, ১০ মে ২০২৩

রাজবাড়ীর মূলঘরে কর্মসংস্থান কর্মসূচি প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ওই ইউনিয়নে দুটি প্রকল্পের অধীনে কাজ করার কথা ৫৯ জন শ্রমিকের। বাস্তবে ৩২ জন শ্রমিক কাজ করছে বলে জানা গেছে। তাদের অনেকেই প্রকল্পের কাজে অনুপস্থিত থাকছে বলে জানা গেছে। এ নিয়ে গত মঙ্গলবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকারের নানান কর্মসূচি রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কার্যক্রম হচ্ছে ‘অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি (ইজিপিপি)। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর এটা পরিচালনা করে।

হতদরিদ্র মানুষদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে কর্মসৃজন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। প্রান্তিক মানুষ যেন একটি নির্দিষ্ট সময় কর্মহীন না থাকে সেটা এই প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য। বলা হয়, কর্মসূচি বাস্তবায়ন হলে কর্মক্ষম প্রান্তিক দুস্থ পরিবারের মানুষদের স্বল্পমেয়াদি কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়। কিন্তু নির্ধারিত সংখ্যক শ্রমিক যদি নিয়োগ দেয়া না হয় তাহলে সরকারের উদ্দেশ্য পূরণ হবে কীভাবে?

কর্মসংস্থান কর্মসূচি প্রকল্পের গ্রামীণ অবকাঠামো নির্মাণ, মেরামত, সংস্কার, রাস্তা, ড্রেন, বাজার পরিষ্কারের মতো কার্যক্রম চালানো হয়। কিন্তু লোকবলে ঘাটতি থাকলে প্রকল্পের কাজের মান নিশ্চিত করা যাবে কিনা সেটা ভেবে দেখার বিষয়। এর আগের বছর ওই প্রকল্পে মানসম্মত কাজ করা হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে। নির্ধারিত শ্রমিকের চেয়ে কমসংখ্যক শ্রমিক দিয়ে প্রকল্পের কাজ করানোর কারণ কী সেটা আমরা জানতে চাইব। কম শ্রমিক দিয়ে কাজ করানোর ফলে বরাদ্দকৃত টাকার কী হবে সেই প্রশ্ন উঠেছে।

আমরা বলতে চাই, রাজবাড়ীতে কর্মসংস্থান কর্মসূচি প্রকল্পে অনিয়মের যে অভিযোগ উঠেছে সেটা খতিয়ে দেখতে হবে। নির্ধারিত সংখ্যার চেয়ে কম শ্রমিক নিয়োগ দেয়ার কারণ খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। শ্রমিকদের মজুরি নিয়ে যেন নয়-ছয় না হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকা জরুরি। আর যে কোনো মূল্যে প্রকল্পের কাজের মান নিশ্চিত করতে হবে। যেনতেনভাবে কাজ সারলে চলবে না। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে সেটা আমাদের আশা।

কক্সবাজারে পাহাড়ের মাটি কাটা বন্ধ করুন

দারিদ্র্যের নতুন ঢেউ

তাজরীনের ১৩ বছরের ক্ষত ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার কোথায়?

অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চরাঞ্চলের বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান নিশ্চিত করুন

অসহিষ্ণুতার সংস্কৃতি থামাতে হবে

কাঠ পাচার বন্ধে ব্যবস্থা নিন

ফিরে এল তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে জিও ব্যাগ ব্যবহারে অনিয়মের অভিযোগ

দুই দফা ভূমিকম্প: এখনই প্রস্তুতির সময়

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

গভীর রাতে সাংবাদিককে তুলে নেয়ার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে হবে

সাময়িকী কবিতা

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ

স্কুল ফিডিং কর্মসূচিতে অনিয়ম কাম্য নয়

ছবি

শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

গাজনার বিলে জলাবদ্ধতা দূর করতে ব্যবস্থা নিন

বাল্যবিয়ে: সংকট এখনো গভীর

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়: সব প্রশ্নের কি মীমাংসা হলো?

কুষ্টিয়ায় গাছ কাটার ‘গোপন টেন্ডার’ নিয়ে বিতর্কের অবসান হোক

ধান কেনায় অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

লালমনিরহাটের বিসিক শিল্পনগরীর দুরবস্থা

তৃণমূলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবস্থা নিন

শ্রীপুরের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ক্লাস, পদক্ষেপ জরুরি

শিশু ধর্ষণচেষ্টা: সালিসের নামে প্রহসন কাম্য নয়

বিশুদ্ধ পানির প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

সুপেয় পানির জন্য মোরেলগঞ্জের মানুষের অপেক্ষার অবসান হবে কবে

কেন একজন নিরপরাধ মানুষকে কিসের আগুনে পুড়ে মরতে হলো

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

রাজধানীতে প্রকাশ্যে হত্যা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

নলবিলা খাল খনন করুন

অগ্নি-নিরাপত্তায় উদাসীনতা কাম্য নয়

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

কর্মসংস্থান কর্মসূচি প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

বুধবার, ১০ মে ২০২৩

রাজবাড়ীর মূলঘরে কর্মসংস্থান কর্মসূচি প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ওই ইউনিয়নে দুটি প্রকল্পের অধীনে কাজ করার কথা ৫৯ জন শ্রমিকের। বাস্তবে ৩২ জন শ্রমিক কাজ করছে বলে জানা গেছে। তাদের অনেকেই প্রকল্পের কাজে অনুপস্থিত থাকছে বলে জানা গেছে। এ নিয়ে গত মঙ্গলবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকারের নানান কর্মসূচি রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কার্যক্রম হচ্ছে ‘অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি (ইজিপিপি)। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর এটা পরিচালনা করে।

হতদরিদ্র মানুষদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে কর্মসৃজন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। প্রান্তিক মানুষ যেন একটি নির্দিষ্ট সময় কর্মহীন না থাকে সেটা এই প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য। বলা হয়, কর্মসূচি বাস্তবায়ন হলে কর্মক্ষম প্রান্তিক দুস্থ পরিবারের মানুষদের স্বল্পমেয়াদি কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়। কিন্তু নির্ধারিত সংখ্যক শ্রমিক যদি নিয়োগ দেয়া না হয় তাহলে সরকারের উদ্দেশ্য পূরণ হবে কীভাবে?

কর্মসংস্থান কর্মসূচি প্রকল্পের গ্রামীণ অবকাঠামো নির্মাণ, মেরামত, সংস্কার, রাস্তা, ড্রেন, বাজার পরিষ্কারের মতো কার্যক্রম চালানো হয়। কিন্তু লোকবলে ঘাটতি থাকলে প্রকল্পের কাজের মান নিশ্চিত করা যাবে কিনা সেটা ভেবে দেখার বিষয়। এর আগের বছর ওই প্রকল্পে মানসম্মত কাজ করা হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে। নির্ধারিত শ্রমিকের চেয়ে কমসংখ্যক শ্রমিক দিয়ে প্রকল্পের কাজ করানোর কারণ কী সেটা আমরা জানতে চাইব। কম শ্রমিক দিয়ে কাজ করানোর ফলে বরাদ্দকৃত টাকার কী হবে সেই প্রশ্ন উঠেছে।

আমরা বলতে চাই, রাজবাড়ীতে কর্মসংস্থান কর্মসূচি প্রকল্পে অনিয়মের যে অভিযোগ উঠেছে সেটা খতিয়ে দেখতে হবে। নির্ধারিত সংখ্যার চেয়ে কম শ্রমিক নিয়োগ দেয়ার কারণ খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। শ্রমিকদের মজুরি নিয়ে যেন নয়-ছয় না হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকা জরুরি। আর যে কোনো মূল্যে প্রকল্পের কাজের মান নিশ্চিত করতে হবে। যেনতেনভাবে কাজ সারলে চলবে না। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে সেটা আমাদের আশা।

back to top