alt

মতামত » সম্পাদকীয়

মশারি জালের ব্যবহার বন্ধে আইনের কঠোর প্রয়োগ চাই

: বুধবার, ১০ মে ২০২৩

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপকূলীয় এলাকায় নিষিদ্ধ মশারি জাল দিয়ে বাগদা ও গলদা চিংড়ির পোনা ধরা হচ্ছে।

অভিযোগ উঠেছে, দরিদ্র জেলেদের চিংড়ির পোনা ধরতে অন্যায় উৎসাহ দিচ্ছে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চিংড়িসহ বিভিন্ন প্রজাতির মা মাছ বৈশাখ থেকে জ্যৈষ্ঠ মাসে উপকূলে এসে ডিম ছাড়ে। ডিম ফুটে বের হওয়া পোনা উপকূলের পাশে অগভীর পানিতে বেড়ে ওঠে। মশারি জাল ব্যবহার করলে, এসব পোনা বড় হওয়ার সুযোগ পায় না। পাশাপাশি অন্যান্য জলজ প্রাণীও ধরা পড়ে। বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের জরিপ অনুযায়ী, একটি গলদা চিংড়ির পোনা ধরতে গিয়ে ধ্বংস হচ্ছে ৩৮ প্রজাতির চিংড়ি, ছয় প্রজাতির অন্যান্য মাছ ও ১০০ প্রজাতির জলজ প্রাণীর পোনা বা লার্ভা।

শুধু পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপকূলীয় এলাকায়ই যে নিষিদ্ধ মশারি জাল দিয়ে মাছ শিকার করা হচ্ছে তা নয়। দেশের অনেক স্থানেই এমনটা হচ্ছে। সামুদ্রিক মৎস্য সংরক্ষণ অধ্যাদেশ অনুযায়ী, উপকূলীয় এলাকায় চিংড়ির পোনাসহ সব ধরনের পোনা ধরা নিষিদ্ধ। আইন থাকলেও তার প্রয়োগে রয়েছে শৈথিল্য। কোস্টগার্ড ও সংশ্লিষ্ট বিভাগ মশারি জাল দিয়ে মাছ মারার বিষয়টি জানে। কখনো কখনো তারা নামমাত্র অভিযান চালায়। তাতে মশারি জালের ব্যবহার টেকসইভাবে বন্ধ হয়নি।

মাৎস্যবিজ্ঞানীরা বলছেন, এভাবে মশারি জালে মাছের পোনা নিধন চলতে থাকালে, সেটা উকূলীয় মৎস্য ভান্ডারের জন্য বিরাট হুমকিস্বরূপ। এ বিষয়ে এখনই কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। মশারি জালের ব্যবহার বন্ধে আইনের বাস্তবায়ন করতে হবে। শুধু দরিদ্র জেলেদের ধরে জেল-জরিমানা করলেই হবে না। যারা জেলেদের পোনা শিকারে প্রলুব্ধ করছে, তাদের কাছ থেকে পোনা কিনছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। নিষিদ্ধ জাল যারা উৎপাদন করছে ও জেলেদের কাছে সরবরাহ করছে তাদেরও আইনের আওতায় আনতে হবে।

উপকূল এলাকার হতদরিদ্র জেলেদের প্রধান পেশা পোনা আহরণ। এতে আয় করা অর্থ দিয়েই সংসার চলে। পোনা ধরা বন্ধ করতে হলে তাদের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থানেরও ব্যবস্থা করতে হবে।

রাঙ্গাবালীর সংরক্ষিত বন ধ্বংসের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি কাম্য নয়

কক্সবাজারে পাহাড়ের মাটি কাটা বন্ধ করুন

দারিদ্র্যের নতুন ঢেউ

তাজরীনের ১৩ বছরের ক্ষত ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার কোথায়?

অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চরাঞ্চলের বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান নিশ্চিত করুন

অসহিষ্ণুতার সংস্কৃতি থামাতে হবে

কাঠ পাচার বন্ধে ব্যবস্থা নিন

ফিরে এল তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে জিও ব্যাগ ব্যবহারে অনিয়মের অভিযোগ

দুই দফা ভূমিকম্প: এখনই প্রস্তুতির সময়

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

গভীর রাতে সাংবাদিককে তুলে নেয়ার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে হবে

সাময়িকী কবিতা

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ

স্কুল ফিডিং কর্মসূচিতে অনিয়ম কাম্য নয়

ছবি

শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

গাজনার বিলে জলাবদ্ধতা দূর করতে ব্যবস্থা নিন

বাল্যবিয়ে: সংকট এখনো গভীর

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়: সব প্রশ্নের কি মীমাংসা হলো?

কুষ্টিয়ায় গাছ কাটার ‘গোপন টেন্ডার’ নিয়ে বিতর্কের অবসান হোক

ধান কেনায় অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

লালমনিরহাটের বিসিক শিল্পনগরীর দুরবস্থা

তৃণমূলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবস্থা নিন

শ্রীপুরের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ক্লাস, পদক্ষেপ জরুরি

শিশু ধর্ষণচেষ্টা: সালিসের নামে প্রহসন কাম্য নয়

বিশুদ্ধ পানির প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

সুপেয় পানির জন্য মোরেলগঞ্জের মানুষের অপেক্ষার অবসান হবে কবে

কেন একজন নিরপরাধ মানুষকে কিসের আগুনে পুড়ে মরতে হলো

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

রাজধানীতে প্রকাশ্যে হত্যা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

নলবিলা খাল খনন করুন

অগ্নি-নিরাপত্তায় উদাসীনতা কাম্য নয়

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

মশারি জালের ব্যবহার বন্ধে আইনের কঠোর প্রয়োগ চাই

বুধবার, ১০ মে ২০২৩

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপকূলীয় এলাকায় নিষিদ্ধ মশারি জাল দিয়ে বাগদা ও গলদা চিংড়ির পোনা ধরা হচ্ছে।

অভিযোগ উঠেছে, দরিদ্র জেলেদের চিংড়ির পোনা ধরতে অন্যায় উৎসাহ দিচ্ছে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চিংড়িসহ বিভিন্ন প্রজাতির মা মাছ বৈশাখ থেকে জ্যৈষ্ঠ মাসে উপকূলে এসে ডিম ছাড়ে। ডিম ফুটে বের হওয়া পোনা উপকূলের পাশে অগভীর পানিতে বেড়ে ওঠে। মশারি জাল ব্যবহার করলে, এসব পোনা বড় হওয়ার সুযোগ পায় না। পাশাপাশি অন্যান্য জলজ প্রাণীও ধরা পড়ে। বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের জরিপ অনুযায়ী, একটি গলদা চিংড়ির পোনা ধরতে গিয়ে ধ্বংস হচ্ছে ৩৮ প্রজাতির চিংড়ি, ছয় প্রজাতির অন্যান্য মাছ ও ১০০ প্রজাতির জলজ প্রাণীর পোনা বা লার্ভা।

শুধু পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপকূলীয় এলাকায়ই যে নিষিদ্ধ মশারি জাল দিয়ে মাছ শিকার করা হচ্ছে তা নয়। দেশের অনেক স্থানেই এমনটা হচ্ছে। সামুদ্রিক মৎস্য সংরক্ষণ অধ্যাদেশ অনুযায়ী, উপকূলীয় এলাকায় চিংড়ির পোনাসহ সব ধরনের পোনা ধরা নিষিদ্ধ। আইন থাকলেও তার প্রয়োগে রয়েছে শৈথিল্য। কোস্টগার্ড ও সংশ্লিষ্ট বিভাগ মশারি জাল দিয়ে মাছ মারার বিষয়টি জানে। কখনো কখনো তারা নামমাত্র অভিযান চালায়। তাতে মশারি জালের ব্যবহার টেকসইভাবে বন্ধ হয়নি।

মাৎস্যবিজ্ঞানীরা বলছেন, এভাবে মশারি জালে মাছের পোনা নিধন চলতে থাকালে, সেটা উকূলীয় মৎস্য ভান্ডারের জন্য বিরাট হুমকিস্বরূপ। এ বিষয়ে এখনই কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। মশারি জালের ব্যবহার বন্ধে আইনের বাস্তবায়ন করতে হবে। শুধু দরিদ্র জেলেদের ধরে জেল-জরিমানা করলেই হবে না। যারা জেলেদের পোনা শিকারে প্রলুব্ধ করছে, তাদের কাছ থেকে পোনা কিনছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। নিষিদ্ধ জাল যারা উৎপাদন করছে ও জেলেদের কাছে সরবরাহ করছে তাদেরও আইনের আওতায় আনতে হবে।

উপকূল এলাকার হতদরিদ্র জেলেদের প্রধান পেশা পোনা আহরণ। এতে আয় করা অর্থ দিয়েই সংসার চলে। পোনা ধরা বন্ধ করতে হলে তাদের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থানেরও ব্যবস্থা করতে হবে।

back to top