সৌদি আরবে কর্মরত একজন প্রবাসী বাংলাদেশি নারী শ্রমিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তার স্বজনরা বলছেন, তাকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে না আনলে তার পক্ষে আত্মহত্যা ছাড়া গত্যান্তর নেই। এ নিয়ে গত বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
সৌদি আরবে শুধু যে একজন প্রবাসী নারী শ্রমিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তা নয়। ভাগ্য বদলাতে দেশের অনেক নারী শ্রমিক সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে কাজ করতে গিয়ে নির্যাতিত হচ্ছেন। নির্যাতনের শিকার হয়ে অনেকে মারাও গেছেন। বাংলাদেশ জনশক্তি রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্যমতে, ১৯৯১ সাল থেকে ২০২০ পর্যন্ত ৩ লাখ ৫৩ হাজার ৭০০ নারীকর্মী সৌদি আরবে গেছেন। নির্যাতনের কারণে দেশে ফিরেছেন ২ হাজার ৩৩৬ জন। জাতীয় সংসদেও প্রবাসী নারী শ্রমিকদের নির্যাতন নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
দেশের নীতিনির্ধারকরা অতীতে আশ্বাস দিয়ে বলেছেন, সৌদি আরবে নারীরা যাতে সম্মানের সঙ্গে কাজ করতে পারেন সে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বলেছে, বাংলাদেশি নারী শ্রমিকরা সৌদি আরবে যাতে কোন বিপদে না পড়ে সেজন্য তারা সর্বোচ্চ সতর্ক থাকবে। বাস্তবতা হচ্ছে, এখনো সেখানে প্রবাসী নারী শ্রমিকরা নির্যাতিত হচ্ছেন। সৌদি আরবে নারী শ্রমিকরা নির্যাতিত হলে সংশ্লিষ্ট দূতাবাসের পক্ষ থেকে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হয় না বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এই অভিযোগের সুরাহা হওয়া দরকার।
সৌদি আরবে নির্যাতিত উক্ত নারী শ্রমিককে দেশে ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশ দূতাবাসের সহযোগিতা চেয়েছেন তার স্বজনরা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নির্যাতনের অভিযোগ খতিয়ে দেখে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে- সেটা আমাদের আশা। মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রবাসে যেসব নারী নির্যাতনের শিকার হন, তাদের সঠিকভাবে পুনর্বাসন করতে হবে। না হলে তাদের সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে আনা সম্ভব না।
সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যে নারী শ্রমিক পাঠানোর ক্ষেত্রে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো প্রতারণার আশ্রয় নেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রবাসে নারী শ্রমিক নির্যাতনের বড় একটা কারণ রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর প্রতারণা। তাই তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। অনেকে বলছেন, দালাল ও রিক্রুটিং এজেন্সির ওপর দায়িত্ব না দিয়ে আইনি প্রক্রিয়ায় নারী শ্রমিক পাঠানোর ব্যবস্থা করা হলে অবস্থার উন্নতি হতে পারে। সংশ্লিষ্টরা বিষয়টি ভেবে দেখতে পারে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
বৃহস্পতিবার, ১১ মে ২০২৩
সৌদি আরবে কর্মরত একজন প্রবাসী বাংলাদেশি নারী শ্রমিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তার স্বজনরা বলছেন, তাকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে না আনলে তার পক্ষে আত্মহত্যা ছাড়া গত্যান্তর নেই। এ নিয়ে গত বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
সৌদি আরবে শুধু যে একজন প্রবাসী নারী শ্রমিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তা নয়। ভাগ্য বদলাতে দেশের অনেক নারী শ্রমিক সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে কাজ করতে গিয়ে নির্যাতিত হচ্ছেন। নির্যাতনের শিকার হয়ে অনেকে মারাও গেছেন। বাংলাদেশ জনশক্তি রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্যমতে, ১৯৯১ সাল থেকে ২০২০ পর্যন্ত ৩ লাখ ৫৩ হাজার ৭০০ নারীকর্মী সৌদি আরবে গেছেন। নির্যাতনের কারণে দেশে ফিরেছেন ২ হাজার ৩৩৬ জন। জাতীয় সংসদেও প্রবাসী নারী শ্রমিকদের নির্যাতন নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
দেশের নীতিনির্ধারকরা অতীতে আশ্বাস দিয়ে বলেছেন, সৌদি আরবে নারীরা যাতে সম্মানের সঙ্গে কাজ করতে পারেন সে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বলেছে, বাংলাদেশি নারী শ্রমিকরা সৌদি আরবে যাতে কোন বিপদে না পড়ে সেজন্য তারা সর্বোচ্চ সতর্ক থাকবে। বাস্তবতা হচ্ছে, এখনো সেখানে প্রবাসী নারী শ্রমিকরা নির্যাতিত হচ্ছেন। সৌদি আরবে নারী শ্রমিকরা নির্যাতিত হলে সংশ্লিষ্ট দূতাবাসের পক্ষ থেকে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হয় না বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এই অভিযোগের সুরাহা হওয়া দরকার।
সৌদি আরবে নির্যাতিত উক্ত নারী শ্রমিককে দেশে ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশ দূতাবাসের সহযোগিতা চেয়েছেন তার স্বজনরা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নির্যাতনের অভিযোগ খতিয়ে দেখে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে- সেটা আমাদের আশা। মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রবাসে যেসব নারী নির্যাতনের শিকার হন, তাদের সঠিকভাবে পুনর্বাসন করতে হবে। না হলে তাদের সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে আনা সম্ভব না।
সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যে নারী শ্রমিক পাঠানোর ক্ষেত্রে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো প্রতারণার আশ্রয় নেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রবাসে নারী শ্রমিক নির্যাতনের বড় একটা কারণ রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর প্রতারণা। তাই তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। অনেকে বলছেন, দালাল ও রিক্রুটিং এজেন্সির ওপর দায়িত্ব না দিয়ে আইনি প্রক্রিয়ায় নারী শ্রমিক পাঠানোর ব্যবস্থা করা হলে অবস্থার উন্নতি হতে পারে। সংশ্লিষ্টরা বিষয়টি ভেবে দেখতে পারে।