alt

মতামত » সম্পাদকীয়

দশমিনার খালগুলো রক্ষা করুন

: সোমবার, ১৫ মে ২০২৩

সরকারি হিসাবে পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় খালের সংখ্যা দুইশ। এর মধ্যে দেড় শতাধিক খাল নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার পথে। এসব খাল নামে-বেনামে দখল করে নিয়েছে একটি চক্র। দখলকৃত খাল ভরাট করে ও বাঁধ দিয়ে চলছে ফসল আর মাছ চাষ। ফলে বর্ষাকালে সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা আর শুষ্ক মৌসুমে দেখা দিচ্ছে সেচ কাজের জন্য তীব্র পানি সংকট। বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে পরিবেশ-প্রকৃতি।

দশমিনার খালগুলো ছিল পানি নিষ্কাশন এবং সেচ কাজের একমাত্র মাধ্যম। খালগুলোতে এখন আর পানিপ্রবাহ নেই। শুকিয়ে গেছে। শুষ্ক মৌসুমে দেখা দিয়েছে তীব্র পানি সংকট। আগে খালগুলোতে মালামাল পরিবহনের জন্য নৌকা-ট্রলার চলত। সেটাও কালক্রমে এখন বন্ধ। ফসলি জমিতে পলি মাটি জমে বর্ষা মৌসুমে। খাল শুকিয়ে যাওয়ার কারণে জমিও উর্বরতা হারিয়েছে। ফলে কৃষকরা চরম বেকায়দায় পড়েছেন।

একটি দুটি নয়, দেড় শতাধিক খাল দখল হয়ে গেছে। সেই খাল ভরাট করে কেউ ফসলি জমি তৈরি করেছেন। আবার কেউ খালের ওপর বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করছেন। এটা তো আর একদিনে হয়নি। দিনের পর দিন, বছরের পর বছর ধরে হয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে, এসব দেখার কি কেউ নেই। খাল দখলের চিত্র দেশের অন্যান্য স্থানেও দেখা যায়। জলাশয় রক্ষায় দেশে আইন আছে। তারপরও জলাশয়গুলো দখল বা ভরাট হচ্ছে কিভাবে?

২০০০ সালের ‘প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন’ অনুযায়ী নদী, খাল, বিল, দীঘি, ঝরনা বা জলাশয়, বন্যাপ্রবাহ এলাকা এবং বৃষ্টির পানি ধারণ করে এমন কোনো ভূমির শ্রেণী পরিবর্তন করা যাবে না। অর্থাৎ সেগুলো ভরাট করা যাবে না। যে কেউ করলে সেটি আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় জলাশয়গুলোর ভূমিকা কম নয়। এগুলো পরিবেশকে শীতল রাখে। দেশে সম্প্রতি বয়ে চলা তাপপ্রবাহের পেছনে পর্যাপ্ত জলাশয় না থাকাকেও দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা আরো বলছেন, জলাশয়গুলো রক্ষা না করলে মৎস্যসম্পদ ধ্বংস, ফসল উৎপাদন হ্রাস, ভূমিকম্পের মতো ভয়াবহ দুর্যোগও দেখা দিতে পারে। জলাশয়গুলো বর্ষা মৌসুমে বন্যা প্রতিরোধ, শহরে জলাবদ্ধতা নিরসন, পানির চাহিদা পূরণ ও আবর্জনা পরিশোধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। উদ্ভিদ ও প্রাণিকুলের টিকে থাকার অবলম্বন এই জলাশয়।

জলাভূমি রক্ষায় আইন প্রয়োগে সংশ্লিষ্টদের কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। যারা আইন ভেঙে জলাশয় ভরাট করেছে, শ্রেণী পরিবর্তন করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। যেসব জলাশয় দখলে চলে গেছে তা উদ্ধার করতে হবে। ভরাট জলাশয়গুলো পুনর্খনন করার ব্যবস্থা নিতে হবে।

নলবিলা খাল খনন করুন

অগ্নি-নিরাপত্তায় উদাসীনতা কাম্য নয়

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

দশমিনার খালগুলো রক্ষা করুন

সোমবার, ১৫ মে ২০২৩

সরকারি হিসাবে পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় খালের সংখ্যা দুইশ। এর মধ্যে দেড় শতাধিক খাল নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার পথে। এসব খাল নামে-বেনামে দখল করে নিয়েছে একটি চক্র। দখলকৃত খাল ভরাট করে ও বাঁধ দিয়ে চলছে ফসল আর মাছ চাষ। ফলে বর্ষাকালে সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা আর শুষ্ক মৌসুমে দেখা দিচ্ছে সেচ কাজের জন্য তীব্র পানি সংকট। বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে পরিবেশ-প্রকৃতি।

দশমিনার খালগুলো ছিল পানি নিষ্কাশন এবং সেচ কাজের একমাত্র মাধ্যম। খালগুলোতে এখন আর পানিপ্রবাহ নেই। শুকিয়ে গেছে। শুষ্ক মৌসুমে দেখা দিয়েছে তীব্র পানি সংকট। আগে খালগুলোতে মালামাল পরিবহনের জন্য নৌকা-ট্রলার চলত। সেটাও কালক্রমে এখন বন্ধ। ফসলি জমিতে পলি মাটি জমে বর্ষা মৌসুমে। খাল শুকিয়ে যাওয়ার কারণে জমিও উর্বরতা হারিয়েছে। ফলে কৃষকরা চরম বেকায়দায় পড়েছেন।

একটি দুটি নয়, দেড় শতাধিক খাল দখল হয়ে গেছে। সেই খাল ভরাট করে কেউ ফসলি জমি তৈরি করেছেন। আবার কেউ খালের ওপর বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করছেন। এটা তো আর একদিনে হয়নি। দিনের পর দিন, বছরের পর বছর ধরে হয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে, এসব দেখার কি কেউ নেই। খাল দখলের চিত্র দেশের অন্যান্য স্থানেও দেখা যায়। জলাশয় রক্ষায় দেশে আইন আছে। তারপরও জলাশয়গুলো দখল বা ভরাট হচ্ছে কিভাবে?

২০০০ সালের ‘প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন’ অনুযায়ী নদী, খাল, বিল, দীঘি, ঝরনা বা জলাশয়, বন্যাপ্রবাহ এলাকা এবং বৃষ্টির পানি ধারণ করে এমন কোনো ভূমির শ্রেণী পরিবর্তন করা যাবে না। অর্থাৎ সেগুলো ভরাট করা যাবে না। যে কেউ করলে সেটি আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় জলাশয়গুলোর ভূমিকা কম নয়। এগুলো পরিবেশকে শীতল রাখে। দেশে সম্প্রতি বয়ে চলা তাপপ্রবাহের পেছনে পর্যাপ্ত জলাশয় না থাকাকেও দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা আরো বলছেন, জলাশয়গুলো রক্ষা না করলে মৎস্যসম্পদ ধ্বংস, ফসল উৎপাদন হ্রাস, ভূমিকম্পের মতো ভয়াবহ দুর্যোগও দেখা দিতে পারে। জলাশয়গুলো বর্ষা মৌসুমে বন্যা প্রতিরোধ, শহরে জলাবদ্ধতা নিরসন, পানির চাহিদা পূরণ ও আবর্জনা পরিশোধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। উদ্ভিদ ও প্রাণিকুলের টিকে থাকার অবলম্বন এই জলাশয়।

জলাভূমি রক্ষায় আইন প্রয়োগে সংশ্লিষ্টদের কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। যারা আইন ভেঙে জলাশয় ভরাট করেছে, শ্রেণী পরিবর্তন করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। যেসব জলাশয় দখলে চলে গেছে তা উদ্ধার করতে হবে। ভরাট জলাশয়গুলো পুনর্খনন করার ব্যবস্থা নিতে হবে।

back to top