alt

সম্পাদকীয়

তারাকান্দার সড়কটি সংস্কার করুন

: বুধবার, ১৭ মে ২০২৩

মানুষের যোগাযোগ-যাতায়াতের অন্যতম প্রধান মাধ্যম সড়ক। ময়মনসিংহের তারাকান্দা সড়ক এখন যানবাহন চলাচলের অনুপোযোগী। সড়কের বিভিন্ন স্থানের পিচ ও খোয়া উঠে গেছে। সৃষ্টি হয়েছে খানাখন্দ। ফলে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সড়কটি সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন এলাকার মানুষ। এ নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট এলাকার ৪০টি গ্রামের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ৫০ হাজার মানুষ এ সড়কে যাতায়াত করেন। কেউ অসুস্থ হলে জেলা হাসপাতালে নেওয়ার জন্য এ সড়কই তাদের কাছে একমাত্র ভরসা। এবড়ো-খেবড়ো সড়কে যানবাহনের ঝাঁকুনিতে রোগীর অবস্থা সঙ্গীন হয়ে পড়ে। কৃষক ও ব্যবসায়ীরা পণ্য আনা-নেওয়ার কাজে চরম ভোগান্তি পোহান। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি স্বীকারও করেছেন সড়কের এ করুণ অবস্থার কথা। তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে জানিয়েছেন বলেও দাবি করছেন।

দেশের গ্রামীণ সড়কগুলো নির্মাণ করে থাকে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর বা এলজিইডি। বর্ষা মৌসুম শুরু হচ্ছে। তখন ভাঙা সড়ক নিয়ে তারাকান্দার বাসিন্দারের দুর্ভোগের শেষ থাকবে না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তারাকান্দার সড়কটি সংস্কারের ব্যাপারে কী ব্যবস্থা নিয়েছেÑ সেটা আমরা জানতে চাই।

সরকার দাবি করে, সড়ক যোগাযোগে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটেছে। শুধু তারাকান্দার ১১ কিলোমিটার সড়ক খানাখন্দে ব্যবহার অনুপোযোগী তা নয়, দেশের অসংখ্য সড়কের অবস্থা নাজুক। গ্রামীণ সড়কের ৫৫ শতাংশ এখনো কাঁচা। গ্রামীণ সড়ক শুধু স্থানীয়দের দৈনন্দিন জীবনযাপনই নয়, দেশের অর্থনীতির চাকাকেও সচল রাখতে সহায়তা করে।

রাস্তা নির্মাণ বা সংস্কারের পর সেটা টেকসই হয় না কেন- সেটা একটা প্রশ্ন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একটি নতুন সড়ক নির্মাণের পাঁচ বছরের মধ্যে সংস্কারের কথা নয়; কিন্তু দেশে গ্রামীণ সড়কগুলো নির্মাণ শেষ হতে না হতেই পিচ ও খোয়া উঠতে শুরু করে! তারপর আর চলাচলের উপযুক্ত থাকে না। টেকসই সড়ক নির্মাণ বা সংস্কারের জন্য যেসব উপকরণ, যে পরিমাণে দেয়ার কথা তা দেয়া হয় না। ফলে সড়ক টেকসই হয় না।

সড়ক নির্মাণের সময় পেভমেন্টে বন্ধনি হিসেবে বিটুমিন ব্যবহার করা হয়। ৭০ থেকে ৮০ গ্রেডের গাঢ় বিটুমিন দিয়ে সড়ক নির্মাণ করতে হবে। তাহলে এসব সড়ক বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টি এবং গ্রীষ্মের তাপ সহনীয় হবে। সড়ক ভাঙাও কমবে।

সেতু নির্মাণে গাফিলতি : জনদুর্ভোগের শেষ কোথায়?

ধর্ষণ, মব ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা : শুধু যেন কথার কথা না হয়

নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ জরুরি

গণরোষের নামে নৃশংসতা : কোথায় সমাধান?

গাছের জীবন রক্ষায় এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

প্রকাশ্যে ধূমপান, মবের সংস্কৃতি এবং স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বয়ান

চট্টগ্রামে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংকট

লামায় শ্রমিক অপহরণ : প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা

রেলওয়ের তেল চুরি ও কর্তৃপক্ষের দায়িত্বহীনতা

মহাসড়কে নিরাপত্তাহীনতা ও পুলিশের দায়িত্বে শৈথিল্য

দেওয়ানগঞ্জ ডাম্পিং স্টেশন প্রকল্প : দায়িত্বহীনতার প্রতিচ্ছবি

রেলপথে নিরাপত্তাহীনতা : চুরি ও অব্যবস্থাপনার দুষ্টচক্র

সবজি সংরক্ষণে হিমাগার : কৃষকদের বাঁচানোর জরুরি পদক্ষেপ

অমর একুশে

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ রক্ষায় উদাসীনতা কাম্য নয়

আইনশৃঙ্খলার অবনতি : নাগরিক নিরাপত্তা কোথায়?

বাগাতিপাড়ার বিদ্যালয়গুলোর শৌচাগার সংকট দূর করুন

হাসপাতালগুলোতে জনবল সংকট দূর করুন

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ রক্ষায় উদাসীনতা কাম্য নয়

নতুন পাঠ্যবই বিতরণে ধীরগতি : শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন ব্যাহত হচ্ছে

সরকারি জমি রক্ষায় উদাসীনতা কাম্য নয়

সার বিপণনে অনিয়মের অভিযোগ, ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতার অভিশাপ : পরিকল্পনাহীন উন্নয়ন ও দুর্ভোগ

সেতুর জন্য আর কত অপেক্ষা

শবে বরাত: আত্মশুদ্ধির এক মহিমান্বিত রাত

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবই সংকট : ব্যর্থতার দায় কার?

মাদারীপুর পৌরসভায় ডাম্পিং স্টেশন কবে হবে

বায়ুদূষণ : আর উপেক্ষা করা যায় না

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কাঁকড়া শিকার : সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে

যৌতুকের বলি : বৈশাখীর নির্মম পরিণতি ও আমাদের করণীয়

কেশবপুরে ওএমএস কর্মসূচির সংকট

শিক্ষক সংকট : প্রাথমিক শিক্ষার চ্যালেঞ্জ

নদীভাঙনের শিকার শিক্ষার্থীরা কোথায় যাবে?

আবারও অপহরণের ঘটনা : সমাধান কী

সারের কালোবাজারি বন্ধ করতে হবে

tab

সম্পাদকীয়

তারাকান্দার সড়কটি সংস্কার করুন

বুধবার, ১৭ মে ২০২৩

মানুষের যোগাযোগ-যাতায়াতের অন্যতম প্রধান মাধ্যম সড়ক। ময়মনসিংহের তারাকান্দা সড়ক এখন যানবাহন চলাচলের অনুপোযোগী। সড়কের বিভিন্ন স্থানের পিচ ও খোয়া উঠে গেছে। সৃষ্টি হয়েছে খানাখন্দ। ফলে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সড়কটি সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন এলাকার মানুষ। এ নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট এলাকার ৪০টি গ্রামের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ৫০ হাজার মানুষ এ সড়কে যাতায়াত করেন। কেউ অসুস্থ হলে জেলা হাসপাতালে নেওয়ার জন্য এ সড়কই তাদের কাছে একমাত্র ভরসা। এবড়ো-খেবড়ো সড়কে যানবাহনের ঝাঁকুনিতে রোগীর অবস্থা সঙ্গীন হয়ে পড়ে। কৃষক ও ব্যবসায়ীরা পণ্য আনা-নেওয়ার কাজে চরম ভোগান্তি পোহান। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি স্বীকারও করেছেন সড়কের এ করুণ অবস্থার কথা। তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে জানিয়েছেন বলেও দাবি করছেন।

দেশের গ্রামীণ সড়কগুলো নির্মাণ করে থাকে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর বা এলজিইডি। বর্ষা মৌসুম শুরু হচ্ছে। তখন ভাঙা সড়ক নিয়ে তারাকান্দার বাসিন্দারের দুর্ভোগের শেষ থাকবে না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তারাকান্দার সড়কটি সংস্কারের ব্যাপারে কী ব্যবস্থা নিয়েছেÑ সেটা আমরা জানতে চাই।

সরকার দাবি করে, সড়ক যোগাযোগে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটেছে। শুধু তারাকান্দার ১১ কিলোমিটার সড়ক খানাখন্দে ব্যবহার অনুপোযোগী তা নয়, দেশের অসংখ্য সড়কের অবস্থা নাজুক। গ্রামীণ সড়কের ৫৫ শতাংশ এখনো কাঁচা। গ্রামীণ সড়ক শুধু স্থানীয়দের দৈনন্দিন জীবনযাপনই নয়, দেশের অর্থনীতির চাকাকেও সচল রাখতে সহায়তা করে।

রাস্তা নির্মাণ বা সংস্কারের পর সেটা টেকসই হয় না কেন- সেটা একটা প্রশ্ন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একটি নতুন সড়ক নির্মাণের পাঁচ বছরের মধ্যে সংস্কারের কথা নয়; কিন্তু দেশে গ্রামীণ সড়কগুলো নির্মাণ শেষ হতে না হতেই পিচ ও খোয়া উঠতে শুরু করে! তারপর আর চলাচলের উপযুক্ত থাকে না। টেকসই সড়ক নির্মাণ বা সংস্কারের জন্য যেসব উপকরণ, যে পরিমাণে দেয়ার কথা তা দেয়া হয় না। ফলে সড়ক টেকসই হয় না।

সড়ক নির্মাণের সময় পেভমেন্টে বন্ধনি হিসেবে বিটুমিন ব্যবহার করা হয়। ৭০ থেকে ৮০ গ্রেডের গাঢ় বিটুমিন দিয়ে সড়ক নির্মাণ করতে হবে। তাহলে এসব সড়ক বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টি এবং গ্রীষ্মের তাপ সহনীয় হবে। সড়ক ভাঙাও কমবে।

back to top