alt

মতামত » সম্পাদকীয়

প্রান্তিক দরিদ্রদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হবে

: শুক্রবার, ১৯ মে ২০২৩

বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে রোগীদের প্যারাসিটামল ছাড়া আর কোনো ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে না। তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে চলছে এ অবস্থা। রেগীদের স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বাইরে থেকে ওষুধ কিনতে হচ্ছে। এতে দরিদ্র প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যব্যয় বাড়ছে। উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র যে শুধু ওষুধ সংকটেই ভুগছে তা নয়। সেখানে চিকিৎসকসহ জনবল সংকটও রয়েছে। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

দেশের স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে অভাব-অভিযোগের অন্ত নেই। বিশেষ করে প্রান্তিক মানুষের জন্য সরকার যে স্বাস্থ্যসেবা দেয় সেটা নিয়ে বরাবরই প্রশ্ন আছে। স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রয়োজনীয় লোকবলের তুলনায় নিয়োগ দেয়া হয় কমসংখ্যক। যাদের নিয়োগ দেয়া হয় তাদের অনেকেই নিয়মিত স্বাস্থ্যসেবা দেন না বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।

সরকারের তরফ থেকে নির্দিষ্ট কিছু ওষুধ সরবরাহ করা হয়। ওষুধ নিয়ে নানান অনিয়ম-দুর্নীতি হয়। বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও ওষুধ সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য কেন্দ্র বা হাসপাতালে সরবরাহ করা হয় না। সরবরাহ করা হলেও অনেক সময় তা রোগীদের হাত পর্যন্ত পৌঁছায় না। আবার যেসব রোগী সৌভাগ্যক্রমে ওষুধ পান তাদের অনেকের কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দাম নেয়ার অভিযোগও কখনো কখনো পাওয়া যায়। এসব অভিযোগের টেকসই কোনো সমাধান হয় না।

সরকারি চিকিৎসা কেন্দ্রের অবকাঠামো ও চিকিৎসা সরঞ্জাম নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। কোথাও কোথাও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম নেই। আবার এমন অনেক চিকিৎসা কেন্দ্র আছে যেখানে সরঞ্জাম আছে কিন্তু তা ব্যবহার করা হয় না। কারণ ব্যবহার করার মতো দক্ষ জনবল নেই। যন্ত্রপাতি যে দেখভাল করে রাখা হবে সেটাও করা হয় না। অব্যবহৃত যন্ত্রপাতি অবহেলা-অযত্নে নষ্ট হয়।

চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান নানান সংকটে ভুগলে তার খেসারত দিতে হয় সেখানে সেবা নিতে আসা রোগীদের। প্রান্তিক দরিদ্রদের চিকিৎসার জন্য সরকারি স্বাস্থ্যসেবার ওপর নির্ভর করতে হয়। তারা যদি সেখানে গিয়ে সেবা না পান, তাহলে চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিতই থেকে যাবেন।

আমরা বলতে চাই, কচুয়ায় উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে ওষুধ সংকটসহ যেসব সমস্যা দেখা দিয়েছে তা দ্রুত সমাধান করতে হবে। স্থানীয় মানুষ যেন যথাযথভাবে সরকারি স্বাস্থ্যসেবা পায় সেটা নিশ্চিত করা জরুরি। এ বিষয়ে আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

কুষ্টিয়ায় গাছ কাটার ‘গোপন টেন্ডার’ নিয়ে বিতর্কের অবসান হোক

ধান কেনায় অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

লালমনিরহাটের বিসিক শিল্পনগরীর দুরবস্থা

তৃণমূলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবস্থা নিন

শ্রীপুরের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ক্লাস, পদক্ষেপ জরুরি

শিশু ধর্ষণচেষ্টা: সালিসের নামে প্রহসন কাম্য নয়

বিশুদ্ধ পানির প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

সুপেয় পানির জন্য মোরেলগঞ্জের মানুষের অপেক্ষার অবসান হবে কবে

কেন একজন নিরপরাধ মানুষকে কিসের আগুনে পুড়ে মরতে হলো

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

রাজধানীতে প্রকাশ্যে হত্যা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

নলবিলা খাল খনন করুন

অগ্নি-নিরাপত্তায় উদাসীনতা কাম্য নয়

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

প্রান্তিক দরিদ্রদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হবে

শুক্রবার, ১৯ মে ২০২৩

বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে রোগীদের প্যারাসিটামল ছাড়া আর কোনো ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে না। তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে চলছে এ অবস্থা। রেগীদের স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বাইরে থেকে ওষুধ কিনতে হচ্ছে। এতে দরিদ্র প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যব্যয় বাড়ছে। উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র যে শুধু ওষুধ সংকটেই ভুগছে তা নয়। সেখানে চিকিৎসকসহ জনবল সংকটও রয়েছে। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

দেশের স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে অভাব-অভিযোগের অন্ত নেই। বিশেষ করে প্রান্তিক মানুষের জন্য সরকার যে স্বাস্থ্যসেবা দেয় সেটা নিয়ে বরাবরই প্রশ্ন আছে। স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রয়োজনীয় লোকবলের তুলনায় নিয়োগ দেয়া হয় কমসংখ্যক। যাদের নিয়োগ দেয়া হয় তাদের অনেকেই নিয়মিত স্বাস্থ্যসেবা দেন না বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।

সরকারের তরফ থেকে নির্দিষ্ট কিছু ওষুধ সরবরাহ করা হয়। ওষুধ নিয়ে নানান অনিয়ম-দুর্নীতি হয়। বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও ওষুধ সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য কেন্দ্র বা হাসপাতালে সরবরাহ করা হয় না। সরবরাহ করা হলেও অনেক সময় তা রোগীদের হাত পর্যন্ত পৌঁছায় না। আবার যেসব রোগী সৌভাগ্যক্রমে ওষুধ পান তাদের অনেকের কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দাম নেয়ার অভিযোগও কখনো কখনো পাওয়া যায়। এসব অভিযোগের টেকসই কোনো সমাধান হয় না।

সরকারি চিকিৎসা কেন্দ্রের অবকাঠামো ও চিকিৎসা সরঞ্জাম নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। কোথাও কোথাও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম নেই। আবার এমন অনেক চিকিৎসা কেন্দ্র আছে যেখানে সরঞ্জাম আছে কিন্তু তা ব্যবহার করা হয় না। কারণ ব্যবহার করার মতো দক্ষ জনবল নেই। যন্ত্রপাতি যে দেখভাল করে রাখা হবে সেটাও করা হয় না। অব্যবহৃত যন্ত্রপাতি অবহেলা-অযত্নে নষ্ট হয়।

চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান নানান সংকটে ভুগলে তার খেসারত দিতে হয় সেখানে সেবা নিতে আসা রোগীদের। প্রান্তিক দরিদ্রদের চিকিৎসার জন্য সরকারি স্বাস্থ্যসেবার ওপর নির্ভর করতে হয়। তারা যদি সেখানে গিয়ে সেবা না পান, তাহলে চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিতই থেকে যাবেন।

আমরা বলতে চাই, কচুয়ায় উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে ওষুধ সংকটসহ যেসব সমস্যা দেখা দিয়েছে তা দ্রুত সমাধান করতে হবে। স্থানীয় মানুষ যেন যথাযথভাবে সরকারি স্বাস্থ্যসেবা পায় সেটা নিশ্চিত করা জরুরি। এ বিষয়ে আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

back to top