alt

মতামত » সম্পাদকীয়

অগ্নিদুর্ঘটনা প্রতিরোধে ফায়ার সার্ভিসের সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে

: মঙ্গলবার, ২৩ মে ২০২৩

রাজধানী ঢাকার গাউছিয়া সুপার মার্কেটকে অগ্নিঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করেছে ফায়ার সার্ভিস। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, তিতাস, ঢাকা ওয়াসা এবং জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা (এনএসআই) সমন্বিত পরিদর্শন করে এ ঘোষণা দেয়। মার্কেটটিকে নিরাপদ রাখতে ২০টি সুপারিশও করা হয়েছে। গত মাসের শুরুর দিকেও মার্কেটটিকে একবার ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

গত মাসে শুধু গাউছিয়া সুপার মার্কেটকেই অগ্নিঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করা হয়নি। ওই সময় রাজধানীর ৫৮টি বিপণিবিতানকে অগ্নিদুর্ঘটনার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ বলে তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল। বঙ্গবাজার ও নিউ সুপার মার্কেটে অগ্নিকান্ডের পর রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিপণিবিতান পরিদর্শন করে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর।

অগ্নিকান্ডকে শুধুই দুর্ঘটনা বলা চলে না। অনেকেই এটাকে মানবসৃষ্ট দুর্যোগ বলে চিহ্নিত করেন। দেশে প্রায়ই ছোট-বড় অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। যার বেশিরভাগই ঘটে সংশ্লিষ্টদের অবহেলা আর অসতর্কতার কারণে। দেশে বড় কোন অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটলে অবহেলা আর অনিয়মের কথা জানা যায়। হতাহতের ঘটনা ঘটার পর জানা যায়, দুর্ঘটনাকবলিত ভবনে বা মার্কেটে অগ্নিঝুঁকি নিরসনের তেমন কোনো ব্যবস্থা ছিল না।

রাজধানীতে অগ্নিঝুঁকিতে থাকা মার্কেট চিহ্নিত করা হয়েছে সেটা ভালো কথা। অগ্নিকান্ডের ঝুঁকিতে থাকা ভবনগুলোর মালিক বা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয় সেটা এখন দেখার বিষয়। ভবন পরিদর্শন করে ভবনের ঝুঁকি চিহ্নিত করে, তালিকা করে বা সংশ্লিষ্টদের চিঠি দিয়ে দায়িত্ব সারলে চলবে না। সংশ্লিষ্টরা অগ্নিঝুঁকি নিরসনে ব্যবস্থা নিল কি নিল না- সেটা নিশ্চিত করতে হবে। সুপারিশ ফাইলবন্দি করে রাখলে সমস্যার সমাধান হবে না।

বিপণিবিতানগুলো ফায়ার সার্ভিসের সুপারিশগুলো মেনে চলবে সেটা আমাদের আশা। কেউ যদি সুপারিশ না মানে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়াই কাম্য। অতীতে অগ্নিকান্ডের বিভিন্ন ঘটনা তদন্ত করে বা ভবন পরিদর্শন করে ফায়ার সার্ভিস বিভিন্ন সময় অনেক সুপারিশ করেছে; যার বেশিরভাগই বাস্তবায়ন করা হয়নি।

আমরা চাই, মার্কেটগুলোতে অগ্নিঝুঁকি প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হোক। এজন্য সংশ্লিষ্টদের সময় বেঁধে দিতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া না হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রয়োজনে অগ্নিকান্ডের অতি ঝুঁকিতে থাকা মার্কেট বন্ধ করে দিতে হবে। কারো গাফিলতিতে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটবে, জানমাল ক্ষতিগ্রস্ত হবে- সেটা কাম্য নয়।

পথ হারাচ্ছে রেলপথে পণ্যপরিবহন

মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের আন্দোলন: আলোচনায় সমাধান খুঁজতে হবে

জয়ন্তীপুর ঘাটে সেতু নির্মাণে বিলম্ব কাম্য নয়

শিক্ষকদের আন্দোলন, সরকারের কঠোরতা এবং শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ

রায়গঞ্জের ক্ষতিগ্রস্ত বেইলি ব্রিজ দ্রুত সংস্কার করুন

সওজের জমি দখল : ব্যবস্থা নিন

পার্বত্য চুক্তি: পাহাড়ে শান্তি কি ফিরল?

রাজধানী কি অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রস্তুত?

সেতু নির্মাণের কাজ কবে শেষ হবে

খুলনায় আদালতের সামনে হত্যাকাণ্ড

মীরসরাইয়ে বন রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

পুরান ঢাকায় রাসায়নিক ঝুঁকি

মহেশপুরে অনুমোদনহীন করাত কল

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

থমকে আছে সেতু নির্মাণের কাজ

হাকালুকি হাওরে মাছ লুট: প্রশাসন কী করছে

রাঙ্গাবালীর সংরক্ষিত বন ধ্বংসের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি কাম্য নয়

কক্সবাজারে পাহাড়ের মাটি কাটা বন্ধ করুন

দারিদ্র্যের নতুন ঢেউ

তাজরীনের ১৩ বছরের ক্ষত ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার কোথায়?

অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চরাঞ্চলের বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান নিশ্চিত করুন

অসহিষ্ণুতার সংস্কৃতি থামাতে হবে

কাঠ পাচার বন্ধে ব্যবস্থা নিন

ফিরে এল তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে জিও ব্যাগ ব্যবহারে অনিয়মের অভিযোগ

দুই দফা ভূমিকম্প: এখনই প্রস্তুতির সময়

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

গভীর রাতে সাংবাদিককে তুলে নেয়ার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে হবে

সাময়িকী কবিতা

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ

স্কুল ফিডিং কর্মসূচিতে অনিয়ম কাম্য নয়

ছবি

শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

গাজনার বিলে জলাবদ্ধতা দূর করতে ব্যবস্থা নিন

বাল্যবিয়ে: সংকট এখনো গভীর

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

অগ্নিদুর্ঘটনা প্রতিরোধে ফায়ার সার্ভিসের সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে

মঙ্গলবার, ২৩ মে ২০২৩

রাজধানী ঢাকার গাউছিয়া সুপার মার্কেটকে অগ্নিঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করেছে ফায়ার সার্ভিস। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, তিতাস, ঢাকা ওয়াসা এবং জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা (এনএসআই) সমন্বিত পরিদর্শন করে এ ঘোষণা দেয়। মার্কেটটিকে নিরাপদ রাখতে ২০টি সুপারিশও করা হয়েছে। গত মাসের শুরুর দিকেও মার্কেটটিকে একবার ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

গত মাসে শুধু গাউছিয়া সুপার মার্কেটকেই অগ্নিঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করা হয়নি। ওই সময় রাজধানীর ৫৮টি বিপণিবিতানকে অগ্নিদুর্ঘটনার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ বলে তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল। বঙ্গবাজার ও নিউ সুপার মার্কেটে অগ্নিকান্ডের পর রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিপণিবিতান পরিদর্শন করে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর।

অগ্নিকান্ডকে শুধুই দুর্ঘটনা বলা চলে না। অনেকেই এটাকে মানবসৃষ্ট দুর্যোগ বলে চিহ্নিত করেন। দেশে প্রায়ই ছোট-বড় অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। যার বেশিরভাগই ঘটে সংশ্লিষ্টদের অবহেলা আর অসতর্কতার কারণে। দেশে বড় কোন অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটলে অবহেলা আর অনিয়মের কথা জানা যায়। হতাহতের ঘটনা ঘটার পর জানা যায়, দুর্ঘটনাকবলিত ভবনে বা মার্কেটে অগ্নিঝুঁকি নিরসনের তেমন কোনো ব্যবস্থা ছিল না।

রাজধানীতে অগ্নিঝুঁকিতে থাকা মার্কেট চিহ্নিত করা হয়েছে সেটা ভালো কথা। অগ্নিকান্ডের ঝুঁকিতে থাকা ভবনগুলোর মালিক বা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয় সেটা এখন দেখার বিষয়। ভবন পরিদর্শন করে ভবনের ঝুঁকি চিহ্নিত করে, তালিকা করে বা সংশ্লিষ্টদের চিঠি দিয়ে দায়িত্ব সারলে চলবে না। সংশ্লিষ্টরা অগ্নিঝুঁকি নিরসনে ব্যবস্থা নিল কি নিল না- সেটা নিশ্চিত করতে হবে। সুপারিশ ফাইলবন্দি করে রাখলে সমস্যার সমাধান হবে না।

বিপণিবিতানগুলো ফায়ার সার্ভিসের সুপারিশগুলো মেনে চলবে সেটা আমাদের আশা। কেউ যদি সুপারিশ না মানে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়াই কাম্য। অতীতে অগ্নিকান্ডের বিভিন্ন ঘটনা তদন্ত করে বা ভবন পরিদর্শন করে ফায়ার সার্ভিস বিভিন্ন সময় অনেক সুপারিশ করেছে; যার বেশিরভাগই বাস্তবায়ন করা হয়নি।

আমরা চাই, মার্কেটগুলোতে অগ্নিঝুঁকি প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হোক। এজন্য সংশ্লিষ্টদের সময় বেঁধে দিতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া না হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রয়োজনে অগ্নিকান্ডের অতি ঝুঁকিতে থাকা মার্কেট বন্ধ করে দিতে হবে। কারো গাফিলতিতে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটবে, জানমাল ক্ষতিগ্রস্ত হবে- সেটা কাম্য নয়।

back to top