alt

opinion » editorial

বিএসটিআইর সক্ষমতা বাড়ানো জরুরি

: মঙ্গলবার, ২৩ মে ২০২৩

দেশে সপ্তাহে অন্তত একবার প্যাকেটজাত খাবার খান ৯৭ শতাংশ মানুষ। প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত লবণ রয়েছে ৬২ শতাংশ প্যাকেটজাত খাবারে। এ অতিরিক্ত লবণযুক্ত খাবার খেয়ে প্রতি বছর বিশ্বে প্রাণ হারাচ্ছে প্রায় ১৯ লাখ মানুষ।

প্যাকেটজাত খাদ্যপণ্যের গায়ে লেবেল আঁটা থাকে। অনেক কোম্পানি এসব খাদ্যপণ্য বাজারজাত করার সময় লেবেলে খাদ্যপণ্যের উপাদান ও মাত্রার পরিমাণ লেখে না। এসব খাদ্যপণ্য কিনে ভোক্তারা প্রতারিত হচ্ছেন। পাশাপাশি স্বাস্থ্যগত নানা সমস্যায় ভুগছেন। গত রোববার ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে আয়োজিত ‘প্রক্রিয়াজাত প্যাকেটকৃত খাবারে লবণ নিয়ন্ত্রণ’ শীর্ষক সভায় এসব বিষয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

গবেষণার তথ্য জানাচ্ছে, দেশের বাজারে এক হাজার ৩৯৭ ধরনের প্যাকেটজাত খাদ্যপণ্য রয়েছে। এর মধ্য থেকে ১০৫ ধরনের প্যাকেটজাত খাদ্যপণ্য ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়েছে। ফলাফলে দেখা গেছে ৬২ শতাংশ খাদ্যপণ্যে প্রয়োজনের অতিরিক্ত মাত্রায় লবণ রয়েছে।

প্রক্রিয়াজাত খাবারে মাত্রাতিরিক্ত লবণের এ সমস্যা নতুন নয়। এ ধরনের খাবারে যে মাত্রাতিরিক্ত লবণের ব্যবহার হচ্ছে তা না, খাবারের অন্যান্য গুণগত মান নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। নিয়ম হচ্ছে, এসব খাবারের মান নিয়মিত পরীক্ষা করতে হবে। অভিযোগ আছে যে, প্যাকেটজাত খাবারের মান যথাযথভাবে পরীক্ষা করা হয় না। প্যাকেটজাত পণ্যের লেবেলে যেসব তথ্য থাকে, তা কতটুকু সত্য সেটা নিয়েও সন্দেহ আছে।

প্যাকেটজাত খাবারের গুণগতমান মান পরীক্ষা করার কথা যাদের তারা কাজটি যথাযথভাবে করে না বলেও অভিযোগ রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) সামর্থ্য, উদ্যম-আন্তরিকতার ঘাটতি রয়েছে। বিএসটিআইকে কার্যকর করার জন্য সরকারের জরুরি পদক্ষেপ নেয়া উচিত।

বিএসটিআইয়ের অনেক সীমাবদ্ধতা আছে- এটা সবাই জানে। বহু বছর ধরে এসব সীমাবদ্ধতার কথা বলা হচ্ছে। আমরা জানতে চাইব, বিএসটিআইর সক্ষমতা কেন বাড়ানো হচ্ছে না। এর যে বর্তমান সক্ষমতা আছে তার সর্বোচ্চ ব্যবহার হচ্ছে কিনা- সেটাও আমরা জানতে চাইব।

প্যাকেটজাত খাদ্যপণ্যে মাত্রাতিরিক্ত লবণের যে অভিযোগ পাওয়া গেছে তা আমলে নিতে হবে। এখনই যদি এর বিরুদ্ধে কঠোরভাবে পদক্ষেপ নেয়া না হয়, তবে জনস্বাস্থ্য মারাত্মক হুমকিতে পড়তে পারে।

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

গণঅভ্যুত্থানের এক বছর: প্রত্যাশায় কী প্রাপ্তি

tab

opinion » editorial

বিএসটিআইর সক্ষমতা বাড়ানো জরুরি

মঙ্গলবার, ২৩ মে ২০২৩

দেশে সপ্তাহে অন্তত একবার প্যাকেটজাত খাবার খান ৯৭ শতাংশ মানুষ। প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত লবণ রয়েছে ৬২ শতাংশ প্যাকেটজাত খাবারে। এ অতিরিক্ত লবণযুক্ত খাবার খেয়ে প্রতি বছর বিশ্বে প্রাণ হারাচ্ছে প্রায় ১৯ লাখ মানুষ।

প্যাকেটজাত খাদ্যপণ্যের গায়ে লেবেল আঁটা থাকে। অনেক কোম্পানি এসব খাদ্যপণ্য বাজারজাত করার সময় লেবেলে খাদ্যপণ্যের উপাদান ও মাত্রার পরিমাণ লেখে না। এসব খাদ্যপণ্য কিনে ভোক্তারা প্রতারিত হচ্ছেন। পাশাপাশি স্বাস্থ্যগত নানা সমস্যায় ভুগছেন। গত রোববার ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে আয়োজিত ‘প্রক্রিয়াজাত প্যাকেটকৃত খাবারে লবণ নিয়ন্ত্রণ’ শীর্ষক সভায় এসব বিষয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

গবেষণার তথ্য জানাচ্ছে, দেশের বাজারে এক হাজার ৩৯৭ ধরনের প্যাকেটজাত খাদ্যপণ্য রয়েছে। এর মধ্য থেকে ১০৫ ধরনের প্যাকেটজাত খাদ্যপণ্য ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়েছে। ফলাফলে দেখা গেছে ৬২ শতাংশ খাদ্যপণ্যে প্রয়োজনের অতিরিক্ত মাত্রায় লবণ রয়েছে।

প্রক্রিয়াজাত খাবারে মাত্রাতিরিক্ত লবণের এ সমস্যা নতুন নয়। এ ধরনের খাবারে যে মাত্রাতিরিক্ত লবণের ব্যবহার হচ্ছে তা না, খাবারের অন্যান্য গুণগত মান নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। নিয়ম হচ্ছে, এসব খাবারের মান নিয়মিত পরীক্ষা করতে হবে। অভিযোগ আছে যে, প্যাকেটজাত খাবারের মান যথাযথভাবে পরীক্ষা করা হয় না। প্যাকেটজাত পণ্যের লেবেলে যেসব তথ্য থাকে, তা কতটুকু সত্য সেটা নিয়েও সন্দেহ আছে।

প্যাকেটজাত খাবারের গুণগতমান মান পরীক্ষা করার কথা যাদের তারা কাজটি যথাযথভাবে করে না বলেও অভিযোগ রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) সামর্থ্য, উদ্যম-আন্তরিকতার ঘাটতি রয়েছে। বিএসটিআইকে কার্যকর করার জন্য সরকারের জরুরি পদক্ষেপ নেয়া উচিত।

বিএসটিআইয়ের অনেক সীমাবদ্ধতা আছে- এটা সবাই জানে। বহু বছর ধরে এসব সীমাবদ্ধতার কথা বলা হচ্ছে। আমরা জানতে চাইব, বিএসটিআইর সক্ষমতা কেন বাড়ানো হচ্ছে না। এর যে বর্তমান সক্ষমতা আছে তার সর্বোচ্চ ব্যবহার হচ্ছে কিনা- সেটাও আমরা জানতে চাইব।

প্যাকেটজাত খাদ্যপণ্যে মাত্রাতিরিক্ত লবণের যে অভিযোগ পাওয়া গেছে তা আমলে নিতে হবে। এখনই যদি এর বিরুদ্ধে কঠোরভাবে পদক্ষেপ নেয়া না হয়, তবে জনস্বাস্থ্য মারাত্মক হুমকিতে পড়তে পারে।

back to top