alt

সম্পাদকীয়

শিশুর বিকাশে চাই পুষ্টি সচেতনতা

: রোববার, ২৮ মে ২০২৩

শিশুর উচ্চতার সঙ্গে পুষ্টির সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর। অপুষ্টিতে ভুগছে এমন শিশুর উচ্চতা স্বাভাবিকের তুলনায় কম হয়। এ ধরনের শিশুর কেবল শারীরিক বিকাশই বাধাগ্রস্ত হয় না, তাদের মানসিক বিকাশও ব্যহত হয়।

দেশে খর্বকায় শিশুর সংখ্যা কত তার একটি পরিসংখ্যান যৌথভাবে প্রকাশ করেছে ইউনিসেফ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং বিশ্বব্যাংক। ‘শিশু অপুষ্টির মাত্রা ও প্রবণতা’ শীর্ষক বৈশ্বিক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বাংলাদেশে ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের ২৬ শতাংশ খর্বকায়।প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে গত ২৩ মে।

এর আগে বাংলাদেশ জনমিতি ও স্বাস্থ্য জরিপ ২০২২-এর প্রাথমিক ফলাফল থেকে জানা গিয়েছিল যে, দেশে ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের ২৪ শতাংশ খর্বকায়।

বিভিন্ন পরিসংখ্যান থেকে জানা যাচ্ছে, দেশে খর্বকায় শিশুর সংখ্যা কমছে। ২০১২ সালে খর্বকায শিশু ছিল ৩৯ শতাংশ। শিশুর পুষ্টি পরিস্থিতির উন্নতি হলেও আত্মতৃপ্তির সুযোগ নেই। কারণ এখনো যে পরিমাণ শিশু খর্বকায় তা বৈশ্বিক মানদন্ডে অনেক অনেক বেশি।

একটি শিশুর জীবনে অপুষ্টি বা উচ্চতা বাধাপ্রাপ্ত হওয়ার সমস্যার প্রভাব অনেক গভীর। এতে তার স্বাভাবিক জীবনযাপন ব্যাহত হয়। অপুষ্টির সমস্যার সমাধান হওয়া জরুরি। পুষ্টি প্রতিটি শিশুর অধিকার। এ অধিকার নিশ্চিত করার পথে দেশকে এখনো অনেক পথ পারি দিতে হবে।

অপুষ্টির পেছনে সুষম খাবার না খাওয়ার সম্পর্ক রয়েছে। সমস্যা হচ্ছে, অনেক মানুষেরই সুষম খাবার সম্পর্কে যথাযথ ধারণা নেই। অনেকে মনে করেন, পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার খেতে হলে তাদের অনেক ব্যয় করতে হবে। বাস্তবে দেশে উৎপাদিত অনেক সহজলভ্য খাদ্য পুষ্টি ঘাটতি মেটাতে সক্ষম। এক্ষেত্রে জরুরি হচ্ছে সচেতনতা। মানুষকে সচেতন করা গেলে পুষ্টি সমস্যার টেকসই সমাধান হতে পারে।

শুধু পুষ্টির ঘাটতিই শিশুর স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে না। পুষ্টির আধিক্যও তাদের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণের ফলে দেখা দেয় স্থূলতা। এতে অনেক অসংক্রামক রোগ দেখা দেয়। এ কারণেও অনেক শিশু খর্বকায় হতে পারে। পুষ্টির বাহুল্য সম্পর্কেও মানুষকে সচেতন করতে হবে। দেশের শিশুদের পুষ্টি ঘাটতি মেটাতে সঠিক পরিকল্পনা ও তার বাস্তবায়ন জরুরি।

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

হাতি শাবকের মৃত্যু ও সাফারি পার্কের দায়ভার

বায়ুদূষণ রোধে চাই টেকসই উদ্যোগ

মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন

চালের দামে অস্বস্তি : সরকারি তথ্য ও বাজারের বাস্তবতার ফারাক

অতিদারিদ্র্যের আশঙ্কা : সমাধান কোথায়?

ডিমলা উপজেলা হাসপাতালের অনিয়ম

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি : ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণের অপেক্ষা কবে ফুরাবে

হাইল হাওরের অস্তিত্ব সংকট

সমানাধিকারে আপত্তি কেন?

লেমুর চুরি : সাফারি পার্কের নিরাপত্তা সংকট

একটি হাসাহাসির ঘটনা, একটি হত্যাকাণ্ড : সমাজের সহিষ্ণুতার অবক্ষয়

চাই সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

মানুষ-হাতির সংঘাত : সমাধানের পথ খুঁজতে হবে

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সংকট দূর করুন

ফসলি জমি রক্ষায় কঠোর হোন

নিষ্ঠুরতার শিকার হাতি

বিশেষ ক্ষমতা আইন ও নাগরিক অধিকার

হালদায় অবৈধ মাছ শিকার বন্ধ করতে হবে

মশার উপদ্রব : বর্ষার আগেই সাবধান হতে হবে

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলা : মানবতার প্রতি এক অব্যাহত আঘাত

অবৈধ বৈদ্যুতিক ফাঁদে প্রাণহানি : দায় কার?

নদীর বাঁধ ভাঙার দুর্ভোগ : টেকসই সমাধানের জরুরি প্রয়োজন

মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা সংকট

সমবায় সমিতির নামে প্রতারণা : কঠোর নজরদারি ও আইনি পদক্ষেপ জরুরি

সড়ক দুর্ঘটনা নাকি অবহেলার পরিণতি

ভূমিকম্পের ধ্বংসযজ্ঞ ও আমাদের প্রস্তুতি

বার্ড ফ্লু : আতঙ্ক নয়, চাই সতর্কতা

জাটকা রক্ষার প্রতিশ্রুতি কি শুধুই কাগজে-কলমে?

ভেজাল কীটনাশক বন্ধে ব্যবস্থা নিন

অতিরিক্ত ভাড়া : যাত্রীদের দুর্ভোগ আর কতকাল?

করতোয়া নদীতে রাবার ড্যাম স্থাপনের দাবি

tab

সম্পাদকীয়

শিশুর বিকাশে চাই পুষ্টি সচেতনতা

রোববার, ২৮ মে ২০২৩

শিশুর উচ্চতার সঙ্গে পুষ্টির সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর। অপুষ্টিতে ভুগছে এমন শিশুর উচ্চতা স্বাভাবিকের তুলনায় কম হয়। এ ধরনের শিশুর কেবল শারীরিক বিকাশই বাধাগ্রস্ত হয় না, তাদের মানসিক বিকাশও ব্যহত হয়।

দেশে খর্বকায় শিশুর সংখ্যা কত তার একটি পরিসংখ্যান যৌথভাবে প্রকাশ করেছে ইউনিসেফ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং বিশ্বব্যাংক। ‘শিশু অপুষ্টির মাত্রা ও প্রবণতা’ শীর্ষক বৈশ্বিক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বাংলাদেশে ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের ২৬ শতাংশ খর্বকায়।প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে গত ২৩ মে।

এর আগে বাংলাদেশ জনমিতি ও স্বাস্থ্য জরিপ ২০২২-এর প্রাথমিক ফলাফল থেকে জানা গিয়েছিল যে, দেশে ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের ২৪ শতাংশ খর্বকায়।

বিভিন্ন পরিসংখ্যান থেকে জানা যাচ্ছে, দেশে খর্বকায় শিশুর সংখ্যা কমছে। ২০১২ সালে খর্বকায শিশু ছিল ৩৯ শতাংশ। শিশুর পুষ্টি পরিস্থিতির উন্নতি হলেও আত্মতৃপ্তির সুযোগ নেই। কারণ এখনো যে পরিমাণ শিশু খর্বকায় তা বৈশ্বিক মানদন্ডে অনেক অনেক বেশি।

একটি শিশুর জীবনে অপুষ্টি বা উচ্চতা বাধাপ্রাপ্ত হওয়ার সমস্যার প্রভাব অনেক গভীর। এতে তার স্বাভাবিক জীবনযাপন ব্যাহত হয়। অপুষ্টির সমস্যার সমাধান হওয়া জরুরি। পুষ্টি প্রতিটি শিশুর অধিকার। এ অধিকার নিশ্চিত করার পথে দেশকে এখনো অনেক পথ পারি দিতে হবে।

অপুষ্টির পেছনে সুষম খাবার না খাওয়ার সম্পর্ক রয়েছে। সমস্যা হচ্ছে, অনেক মানুষেরই সুষম খাবার সম্পর্কে যথাযথ ধারণা নেই। অনেকে মনে করেন, পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার খেতে হলে তাদের অনেক ব্যয় করতে হবে। বাস্তবে দেশে উৎপাদিত অনেক সহজলভ্য খাদ্য পুষ্টি ঘাটতি মেটাতে সক্ষম। এক্ষেত্রে জরুরি হচ্ছে সচেতনতা। মানুষকে সচেতন করা গেলে পুষ্টি সমস্যার টেকসই সমাধান হতে পারে।

শুধু পুষ্টির ঘাটতিই শিশুর স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে না। পুষ্টির আধিক্যও তাদের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণের ফলে দেখা দেয় স্থূলতা। এতে অনেক অসংক্রামক রোগ দেখা দেয়। এ কারণেও অনেক শিশু খর্বকায় হতে পারে। পুষ্টির বাহুল্য সম্পর্কেও মানুষকে সচেতন করতে হবে। দেশের শিশুদের পুষ্টি ঘাটতি মেটাতে সঠিক পরিকল্পনা ও তার বাস্তবায়ন জরুরি।

back to top