ডেঙ্গু রোগ যে এবার বাড়ছে তার একটি আভাস পাওয়া যাচ্ছিল। চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীদের ভিড় বাড়ার খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এখন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের মাধ্যমে জানা গেল যে, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে দেশে ডেঙ্গু রোগী বেড়েছে পাঁচগুণ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া তথ্য থেকে জানা গেছে, গত বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৮ মে পর্যন্ত ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে ৩১০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। এবার একই সময়ে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ৭৭১ জন।
সাধারণত বর্ষা মৌসুমে ডেঙ্গুর সংক্রমণ বাড়ে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশে জুন থেকে সেপ্টেম্বর অর্থাৎ বর্ষা মৌসুমেই এ জ্বরের প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যায়। তবে সারা বছরই যে কেউ এই রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। বর্ষা এখনো আসেনি। আগামী দিনগুলোতে বৃষ্টি শুরু হলে ডেঙ্গু কী রূপ ধারণ করবে সেটা ভেবে নাগরিকরা উদ্বিগ্ন। ডেঙ্গু প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলছে। তবে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তের সংখ্যায় লাগাম টানা যাচ্ছে না। ডেঙ্গু বাড়ার খবরে যেন আতঙ্ক না ছড়ায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
দেশে বড় ধরনের ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয় ২০০০ সালে। মশা নিয়ন্ত্রণ করায় এর পরের বছরগুলোতে প্রকোপ খুব বেশি একটা দেখা না গেলেও ২০১৯ সালে ঢাকায় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। সরকারি হিসাবে সে সময় দেশে এক লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত ও দেড় শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।
ডেঙ্গু রোধ করার একমাত্র উপায় এডিস মশার বংশ বিস্তার রোধ করা। তবে এডিস মশার বংশবিস্তারের যে ধরন তাতে সিটি করপোরেশনের চেয়ে নগরের বাসিন্দাদের দায়িত্ব বেশি। বৃষ্টিপাতের কারণে ঘরের ভেতরে ও বাইরে দুই জায়গায়ই এ মশা জন্মাতে পারে। ঘরের ভেতরে খালি পাত্রে জমে থাকা পানি এবং ঘরের বাইরে ডাবের খোসা, নির্মাণাধীন ভবনে জমা পানিতে এ মশা বংশ বিস্তার করে। এজন্য নগরবাসীর দায়িত্ব অনেক। তাদের সতর্কতা ও সচেতনা জরুরি। এডিস মশার আবাসস্থল ধ্বংসে তাদের এগিয়ে আসতে হবে।
তবে শুধু নাগরিকদের আহ্বান করে বা প্রচার চালিয়ে দায়িত্ব সারলে চলবে না। সিটি করপোরেশনকে নিয়মিত মশা নিধন প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে হবে। লোক দেখানো নিধন বা অভিযান চালালে হবে না। আমরা আশা করব, সিটি করপোরেশন ও নগরবাসী সম্মিলিতভাবে ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
বুধবার, ৩১ মে ২০২৩
ডেঙ্গু রোগ যে এবার বাড়ছে তার একটি আভাস পাওয়া যাচ্ছিল। চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীদের ভিড় বাড়ার খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এখন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের মাধ্যমে জানা গেল যে, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে দেশে ডেঙ্গু রোগী বেড়েছে পাঁচগুণ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া তথ্য থেকে জানা গেছে, গত বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৮ মে পর্যন্ত ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে ৩১০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। এবার একই সময়ে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ৭৭১ জন।
সাধারণত বর্ষা মৌসুমে ডেঙ্গুর সংক্রমণ বাড়ে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশে জুন থেকে সেপ্টেম্বর অর্থাৎ বর্ষা মৌসুমেই এ জ্বরের প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যায়। তবে সারা বছরই যে কেউ এই রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। বর্ষা এখনো আসেনি। আগামী দিনগুলোতে বৃষ্টি শুরু হলে ডেঙ্গু কী রূপ ধারণ করবে সেটা ভেবে নাগরিকরা উদ্বিগ্ন। ডেঙ্গু প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলছে। তবে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তের সংখ্যায় লাগাম টানা যাচ্ছে না। ডেঙ্গু বাড়ার খবরে যেন আতঙ্ক না ছড়ায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
দেশে বড় ধরনের ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয় ২০০০ সালে। মশা নিয়ন্ত্রণ করায় এর পরের বছরগুলোতে প্রকোপ খুব বেশি একটা দেখা না গেলেও ২০১৯ সালে ঢাকায় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। সরকারি হিসাবে সে সময় দেশে এক লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত ও দেড় শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।
ডেঙ্গু রোধ করার একমাত্র উপায় এডিস মশার বংশ বিস্তার রোধ করা। তবে এডিস মশার বংশবিস্তারের যে ধরন তাতে সিটি করপোরেশনের চেয়ে নগরের বাসিন্দাদের দায়িত্ব বেশি। বৃষ্টিপাতের কারণে ঘরের ভেতরে ও বাইরে দুই জায়গায়ই এ মশা জন্মাতে পারে। ঘরের ভেতরে খালি পাত্রে জমে থাকা পানি এবং ঘরের বাইরে ডাবের খোসা, নির্মাণাধীন ভবনে জমা পানিতে এ মশা বংশ বিস্তার করে। এজন্য নগরবাসীর দায়িত্ব অনেক। তাদের সতর্কতা ও সচেতনা জরুরি। এডিস মশার আবাসস্থল ধ্বংসে তাদের এগিয়ে আসতে হবে।
তবে শুধু নাগরিকদের আহ্বান করে বা প্রচার চালিয়ে দায়িত্ব সারলে চলবে না। সিটি করপোরেশনকে নিয়মিত মশা নিধন প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে হবে। লোক দেখানো নিধন বা অভিযান চালালে হবে না। আমরা আশা করব, সিটি করপোরেশন ও নগরবাসী সম্মিলিতভাবে ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে।