alt

সম্পাদকীয়

ভৈরবে খাল খননে বাধা দূর করুন

: সোমবার, ০৫ জুন ২০২৩

প্রভাবশালীদের দখলে থাকা দেশের নদ-নদী, খাল-বিল ও জলাশয় রক্ষায় কাজ করছে সরকার। কিশোরগঞ্জের ভৈরবে অনেক খাল-বিল প্রভাবশালীরা দখলে নিয়েছে। এসব খাল-বিল রক্ষায় সরকারিভাবে পুনর্খননের ব্যবস্থা নেয়া হলেও একটি স্বার্থান্বেষী মহলের বাধার মুখে ঠিকাদাররা বন্ধ করে দিয়েছেন খনন কাজ।

স্থানীয় প্রভাবশালীরা খালগুলো তাদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি হিসেবে দাবি করছেন। তাদের জমিতে খাল কাটা হচ্ছে- এ দাবিতে ঠিকাদারদের খাল খননে বাধা দিচ্ছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানাচ্ছে, জনগণের সুবিধার জন্যই খালগুলো পুনর্খনন করা হচ্ছে। আর সরকারি খাসজমি নির্ধারণ করেই খননের কাজ চলছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রভাবশালীদের দাপটে যদি খাল খনন বন্ধ হয়ে যায়; তাহলে কৃষকরা পানির অভাবে চাষাবাদ করতে পারবেন না। বর্ষার বন্যায় বাড়িঘরও তলিয়ে যাবে। পয়ঃনিষ্কাশনের অভাবে মানুষের ভোগান্তি বাড়বে।

খালগুলো খনন করা হলে ভৈরবে কৃষিকাজের ব্যাপক প্রসার ঘটবে। পাশাপাশি জেলেরাও মাছ চাষ করতে পারবেন। এটা ভালো খবর যে সরকার খাল খননের উদ্যোগ নিয়েছে। খালের যেটুকু পুনর্খনন করা হয়েছে তার সুফল মানুষ পেতেও শুরু করেছে।

আমরা আশা করব খাল নিয়ে প্রশাসন ও স্থানীয় প্রভাবশালীলের মধ্যে যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে তা দ্রুত নিষ্পত্তি হবে। কোনো কারণে আটকে থাকবে না খালগুলোর খনন কাজ। প্রভাবশালীরা খাল দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করবে তা হতে দেয়া যায় না। নদী খাল-বিলের নাব্য রক্ষা, সেচ সুবিধা বৃদ্ধি এবং পানি সংরক্ষণ, জলাবদ্ধতা দূরীকরণ ও পয়ঃনিষ্কাশনের জন্য খালগুলো প্রাণ ফিরে পাবে- এটাই আমাদের কাম্য।

শুধু ভৈরবেই প্রভাবশালীরা খালবিল দখল করেছেন তা নয়। দেশের অনেক নদ-নদী, খাল-বিল ও জলাশয় ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। প্রশাসন অনেক সময় ব্যবস্থা নিতে চাইলেও দখলদাররা প্রভাবশালী বলে আর এগোতে পারে না। যত বাধাই আসুক খাল-বিল পুনর্খনন যেন বন্ধ না হয় সেটা আমরা আশা করব।

কেউ যদি উদ্দেশ্যমূলকভাবে খাল খননে বাধা দিয়ে থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় রাজনৈতিক দলের নাম ভাঙিয়ে প্রভাবশালীরা খাল-বিল ও নদী-নালা দখল করে নেন। প্রশাসনকে ম্যানেজ করে তারা জাল কাগজপত্র তৈরি করে মালিকানাও দাবি করে। এই অন্যায়ের অবসান হওয়া জরুরি।

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

হাতি শাবকের মৃত্যু ও সাফারি পার্কের দায়ভার

বায়ুদূষণ রোধে চাই টেকসই উদ্যোগ

মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন

চালের দামে অস্বস্তি : সরকারি তথ্য ও বাজারের বাস্তবতার ফারাক

অতিদারিদ্র্যের আশঙ্কা : সমাধান কোথায়?

ডিমলা উপজেলা হাসপাতালের অনিয়ম

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি : ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণের অপেক্ষা কবে ফুরাবে

হাইল হাওরের অস্তিত্ব সংকট

সমানাধিকারে আপত্তি কেন?

লেমুর চুরি : সাফারি পার্কের নিরাপত্তা সংকট

একটি হাসাহাসির ঘটনা, একটি হত্যাকাণ্ড : সমাজের সহিষ্ণুতার অবক্ষয়

চাই সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

মানুষ-হাতির সংঘাত : সমাধানের পথ খুঁজতে হবে

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সংকট দূর করুন

ফসলি জমি রক্ষায় কঠোর হোন

নিষ্ঠুরতার শিকার হাতি

বিশেষ ক্ষমতা আইন ও নাগরিক অধিকার

হালদায় অবৈধ মাছ শিকার বন্ধ করতে হবে

মশার উপদ্রব : বর্ষার আগেই সাবধান হতে হবে

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলা : মানবতার প্রতি এক অব্যাহত আঘাত

অবৈধ বৈদ্যুতিক ফাঁদে প্রাণহানি : দায় কার?

নদীর বাঁধ ভাঙার দুর্ভোগ : টেকসই সমাধানের জরুরি প্রয়োজন

মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা সংকট

সমবায় সমিতির নামে প্রতারণা : কঠোর নজরদারি ও আইনি পদক্ষেপ জরুরি

সড়ক দুর্ঘটনা নাকি অবহেলার পরিণতি

ভূমিকম্পের ধ্বংসযজ্ঞ ও আমাদের প্রস্তুতি

বার্ড ফ্লু : আতঙ্ক নয়, চাই সতর্কতা

জাটকা রক্ষার প্রতিশ্রুতি কি শুধুই কাগজে-কলমে?

ভেজাল কীটনাশক বন্ধে ব্যবস্থা নিন

অতিরিক্ত ভাড়া : যাত্রীদের দুর্ভোগ আর কতকাল?

করতোয়া নদীতে রাবার ড্যাম স্থাপনের দাবি

tab

সম্পাদকীয়

ভৈরবে খাল খননে বাধা দূর করুন

সোমবার, ০৫ জুন ২০২৩

প্রভাবশালীদের দখলে থাকা দেশের নদ-নদী, খাল-বিল ও জলাশয় রক্ষায় কাজ করছে সরকার। কিশোরগঞ্জের ভৈরবে অনেক খাল-বিল প্রভাবশালীরা দখলে নিয়েছে। এসব খাল-বিল রক্ষায় সরকারিভাবে পুনর্খননের ব্যবস্থা নেয়া হলেও একটি স্বার্থান্বেষী মহলের বাধার মুখে ঠিকাদাররা বন্ধ করে দিয়েছেন খনন কাজ।

স্থানীয় প্রভাবশালীরা খালগুলো তাদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি হিসেবে দাবি করছেন। তাদের জমিতে খাল কাটা হচ্ছে- এ দাবিতে ঠিকাদারদের খাল খননে বাধা দিচ্ছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানাচ্ছে, জনগণের সুবিধার জন্যই খালগুলো পুনর্খনন করা হচ্ছে। আর সরকারি খাসজমি নির্ধারণ করেই খননের কাজ চলছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রভাবশালীদের দাপটে যদি খাল খনন বন্ধ হয়ে যায়; তাহলে কৃষকরা পানির অভাবে চাষাবাদ করতে পারবেন না। বর্ষার বন্যায় বাড়িঘরও তলিয়ে যাবে। পয়ঃনিষ্কাশনের অভাবে মানুষের ভোগান্তি বাড়বে।

খালগুলো খনন করা হলে ভৈরবে কৃষিকাজের ব্যাপক প্রসার ঘটবে। পাশাপাশি জেলেরাও মাছ চাষ করতে পারবেন। এটা ভালো খবর যে সরকার খাল খননের উদ্যোগ নিয়েছে। খালের যেটুকু পুনর্খনন করা হয়েছে তার সুফল মানুষ পেতেও শুরু করেছে।

আমরা আশা করব খাল নিয়ে প্রশাসন ও স্থানীয় প্রভাবশালীলের মধ্যে যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে তা দ্রুত নিষ্পত্তি হবে। কোনো কারণে আটকে থাকবে না খালগুলোর খনন কাজ। প্রভাবশালীরা খাল দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করবে তা হতে দেয়া যায় না। নদী খাল-বিলের নাব্য রক্ষা, সেচ সুবিধা বৃদ্ধি এবং পানি সংরক্ষণ, জলাবদ্ধতা দূরীকরণ ও পয়ঃনিষ্কাশনের জন্য খালগুলো প্রাণ ফিরে পাবে- এটাই আমাদের কাম্য।

শুধু ভৈরবেই প্রভাবশালীরা খালবিল দখল করেছেন তা নয়। দেশের অনেক নদ-নদী, খাল-বিল ও জলাশয় ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। প্রশাসন অনেক সময় ব্যবস্থা নিতে চাইলেও দখলদাররা প্রভাবশালী বলে আর এগোতে পারে না। যত বাধাই আসুক খাল-বিল পুনর্খনন যেন বন্ধ না হয় সেটা আমরা আশা করব।

কেউ যদি উদ্দেশ্যমূলকভাবে খাল খননে বাধা দিয়ে থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় রাজনৈতিক দলের নাম ভাঙিয়ে প্রভাবশালীরা খাল-বিল ও নদী-নালা দখল করে নেন। প্রশাসনকে ম্যানেজ করে তারা জাল কাগজপত্র তৈরি করে মালিকানাও দাবি করে। এই অন্যায়ের অবসান হওয়া জরুরি।

back to top