alt

উপ-সম্পাদকীয়

কংক্রিট : নির্মাণ শক্তিমত্তার যৌগ

ত্রিয়মা রায়

: শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৩

সমকালীন নগরায়ণ আর অতীতের নগরসভ্যতা গড়ে ওঠার সঙ্গে একটি উপাদান খুব ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত। পরম যত্নের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকা এই উপাদানটি ‘কংক্রিট’। বর্তমান সময়ে কোনো বিলাসীতার আকর্ষণে নয়, জীবনযাত্রার প্রয়োজনে সচেতন প্রায় সবাই মানুষের মুখস্ত শব্দ ‘কংক্রিট’ এক ঐতিহাসিক বিবর্তনের যৌগ।

প্রাচীন সভ্যতায় নির্মাণযজ্ঞে এর দাপটে ব্যবহারের নিদর্শন পাওয়া যায়। মিশরের পিরামিড, রোমান সা¤্রাজ্যের স্থাপত্যশিল্পের গহিনের কলাকৌশলসমূহে নানা নামে, নানাভাবে কংক্রিট ব্যবহার হতো বলে নির্মাণ বিশেষজ্ঞরা তলিয়ে দেখেছেন।

সময়ের বিবর্তনে বর্তমান প্রেক্ষাপটে কংক্রিটের গুণগতমান আর স্থায়িত্ব নিয়ে ব্যাপক গবেষণা করা হচ্ছে। আবিষ্কারের মাধ্যমে সংযুক্ত হচ্ছে কংক্রিটের অন্দরমহলের কথকতা। এর অন্তর্নিহিত চালচ্চিত্রের গূঢ় গোপন রসায়ন যুক্ত হচ্ছে।

সাধারণভাবে সিমেন্ট, ইটের টুকরো বা খোয়া, কিংবা পাথর, বালি এবং পানির নির্দিষ্ট পরিমাণ সংমিশ্রণকে ব্যবহার উপযোগী করলেই তা কংক্রিটে পরিণত হয়। অতীতে মূল রাসায়নিক উপাদান সম্বন্ধে বিস্তারিতভাবে বিশদ জানা না থাকলেও চুনের পরিমাণগত ব্যবহার করে নির্মাণ মিশ্রণকে কঠিন শিলাতে পরিণত করা হতো।

আধুনিক যুগপরিক্রমায় প্রকৌশলবিদ্যায় ব্যাপক উন্নতির ফলে ‘চুন’ পরিবতর্তিত হয়ে ‘সিমেন্ট’ এবং সর্বশেষ ক্যালসিয়াম সিলিকেট, ট্রাইক্যালসিয়াম অ্যালুমিনেট, ক্যালসিয়াম অ্যালুমিনোফেরেট এবং জিপসাম নামক রাসায়নিক মৌলের প্রাণ-প্রকৃতি খোঁজা হয়। দৈর্ঘ্য-প্রস্থ, তাপ-চাপ, মাপ-পরিমাপ করে মিশ্রণ তৈরির মাধ্যমে কংক্রিটের শক্তিমত্তা স্থির করা হয়।

নির্মাণসামগ্রীর অপরিহার্য অনুসঙ্গ নিত্যদিনের ঘরকন্নার অংশ কংক্রিট প্রস্তুতির মিশ্রণ ‘মসলা’ সাধারণত চার ধরনের। সিভিল প্রকৌশলীরা নির্মাণকাঠামো বিশ্লেষণ করে কংক্রিট মিশ্রণ তৈরি করে থাকেন। মেঝে এবং রিটেইনিং ওয়াল, ব্লক ইত্যাদি কাজে ব্যবহারের জন্য সিমেন্ট বালি আর পানির মিশ্রণে ‘সিমেন্ট কংক্রিট’ তৈরি করেন। বিম, কলাম, স্ল্যাব, সানশেড, রেলিং, সিঁড়ি, পানির ট্যাঙ্ক বা সমপর্যায়ভুক্ত কাজে ব্যবহারের জন্য সিমেন্ট, বালি, ইটের খোয়া, অল্প শক্তির রড এবং পানি ব্যবহার করে ‘আরসিসি কংক্রিট’ তৈরি করেন, সাম্প্রতিককালে স্বল্পমাত্রায় ব্যবহারযোগ্য সাধারণত জল ছাদে ব্যবহার করার জন্য চুন, সুরকি, খোয়া, পানির মিশ্রণে তৈরি করেন ‘লাইম কংক্রিট’। ব্রিজ, স্ল্যাব, বিম, কলামসংশ্লিষ্ট কাজে ব্যবহার উপযোগী প্রি-‘স্ট্রেসড কংক্রিট’ তৈরিতে ব্যবহৃত হয় উন্নতমানের স্টিল, সিমেন্ট, বালি, খোয়া আর পানি।

নগরকেন্দ্রিক নান্দনিকতা আর সময়োপযুক্ত আধুনিক নির্মাণশৈলীর কংক্রিট ব্যবহারের তদারকি, পরামর্শ, গবেষণা, শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তিসংযোজন, মাননিশ্চিতকরণ এবং নির্মাণ দৃঢ় করণের অঙ্গীকার নিয়ে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে ‘আমেরিকান কংক্রিট ইনস্টিটিউট’-এসিআই। বিশ্বব্যাপী মানসম্মত নির্মাণ উন্নয়ন চিন্তা করে অলাভজনক প্রযুক্তি সহায়তার এই প্রতিষ্ঠান ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠা করা হয়। আমেরিকার মিশিগান অঙ্গরাজ্যে প্রধান কার্যালয়ের মাধ্যমে সারা বিশ্বের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর সমগ্র শাখা-প্রশাখা নির্মাণসামগ্রী, বিশেষ করে কংক্রিট বিষয়ে গবেষণা, মানযাচাই, শিক্ষা ও সনদ দিয়ে অনন্য অবদান রাখছে। ১৯১০ খ্রিস্টাব্দে এসিআই স্ট্যান্ডার্ড বিল্ডিং কোড প্রণয়ন করে। ১৯১২ খ্রিস্টাব্দে তারা ১৪ দফা নীতিমালা তৈরি করে। পুরো নির্মাণব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন সংযোজন করে। আন্তর্জাতিকতাকে ধারণ করে দীর্ঘ এই সময়ে তাদের কাজের পরিধি ও গতির ডালপালা ব্যাপক-বিস্তৃত হয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই শহরে আঞ্চলিক কার্যালয় স্থাপন, ক্যালফোর্নিয়া ও শিকাগোতে গবেষণা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে নির্মাণের বিশ্ববিবেকে পরিণত হয়েছে।

দেশকাল চিহ্নিত করে বর্তমানে বিশ্বের ১২০টি দেশে এসিআই-এর ৯৪টি প্রধান শাখা, ২৪৪টি ছাত্রশাখায় ৩০ হাজারের অধিক সদস্য টেকসই নির্মাণের দ্যুতি ছড়াচ্ছে। মর্যাদাপূর্ণ এই সংগঠনের চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়-চুয়েটের ছাত্রশাখা সরাসরি সমান্তরালভাবে প্রশংসার সঙ্গে এসিআই-এর কার্যক্রমে সৃষ্টিশীল সব ভূমিকা রাখছে। রূপক-প্রতীকের আদলে নয়। নিষ্ঠাপূর্ণ, যুক্তিযুক্ত, পরিশ্রমী, ত্যাগী আর মানসম্মত কাজের মূল্যায়ন করে জানুয়ারি ২০১৯ খ্রিস্টাব্দে ‘চুয়েট ছাত্রশাখা’কে এসিআই তাদের সহযোগী সংস্থা হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দিয়েছে।

চুয়েট শাখার মৌলিক কর্মকান্ডের ভূয়সী প্রশংসা করে নানাভাবে সহযোগিতা করছে। কংক্রিট নিয়ে আন্তর্জাতিকমানের নির্মাণ জগতে প্রবেশ করতে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান, দক্ষতা, দায়িত্ববোধ, মর্যাদাবোধ সর্বপোরি নেতৃত্বের গুণাবলী অর্জনে বাস্তবানুগধর্মী সহযোগিতা করে যাচ্ছে।

[লেখক: শিক্ষার্থী, পানিসম্পদ কৌশল বিভাগ, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়-চুয়েট]

সর্বজনীন শিক্ষার বলয়ের বাইরে আদিবাসীরা : অন্তর্ভুক্তির লড়াইয়ে বৈষম্যের দেয়াল

শোনার গান, দেখার টান : অনুভূতির ভোঁতা সময়

ছবি

ছিন্নপত্রে বাংলাদেশের প্রকৃতি ও রবীন্দ্র চেতনা

ভেতরের অদৃশ্য অপরাধ : সমাজের বিপন্ন মানসিকতা

দারিদ্র্য ও বৈষম্য নিরসনে খাসজমি ও জলার গুরুত্ব

অবহেলিত কৃষক ও বাজার ব্যবস্থার বৈষম্য

রাক্ষুসে মাছের দাপটে বিপন্ন দেশীয় মাছ : করণীয় কী?

বজ্রপাতের আতঙ্কে জনজীবন

তাহলে কি ঘৃণায় ছেয়ে যাবে দেশ, মানবজমিন রইবে পতিত

কর্পোরেট ও ব্যক্তিগত সামাজিক দায়বদ্ধতা

‘রাখাইন করিডর’ : একটি ভূ-রাজনৈতিক বিশ্লেষণ

ভিন্নমতের ভয়, নির্বাচনের দোলাচল ও অন্তর্বর্তী সরকারের কৌশলী অবস্থান

সমুদ্রসম্পদ সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা

কৃষি শিক্ষা হোক উদ্যোক্তা গড়ার মাধ্যম

রঙ্গব্যঙ্গ : কোটের কেবল রং বদলায়

মে দিবসের চেতনা বনাম বাস্তবতা

শ্রম আইন ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় চাই আন্তরিকতা

বাসযোগ্যতা সূচকে ঢাকা কেন এত পিছিয়ে

সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর মিছিল : নিরাপদ যাত্রার প্রত্যাশা

কর ফাঁকি : অর্থনীতির জন্য এক অশনি সংকেত

১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড় : উপকূলীয় সুরক্ষার শিক্ষা

যখন নদীগুলো অস্ত্র হয়ে ওঠে

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গুণগত মান উন্নয়নে গবেষণা ও উদ্ভাবন

বজ্রপাত ও তালগাছ : প্রাকৃতিক প্রতিরোধ ব্যবস্থা

কুষ্ঠ ও বৈষম্য : মানবাধিকারের প্রশ্নে একটি অবহেলিত অধ্যায়

ছবি

প্রান্তজনের বাংলাদেশ

অতীতের ছায়ায় নতুন বাংলাদেশ : দুর্নীতি, উগ্রপন্থা ও সরকারের দায়

সাইবার নিরাপত্তা : অদৃশ্য যুদ্ধের সামনে আমাদের প্রস্তুতি

ছবি

বাহান্নর গর্ভে জন্ম নেয়া এক ঝড়ের পাখি

প্রবাসী শ্রমিক : অর্থের যন্ত্র নয়, রাষ্ট্রের সহযোদ্ধা

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির এক যুগ

ভোগবাদের বিরুদ্ধে পোপ ফ্রান্সিসের জলবায়ু বার্তা

রম্যগদ্য : হাসি নিষেধ...

পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের আন্দোলন : দাবি ও সমাধানের পথ

সিরিয়ার পতন কিভাবে আমেরিকার স্বার্থকে হুমকিতে ফেলছে

পরিবারতত্ত্ব ও পরিবারতন্ত্র : বিকল্প রাষ্ট্রচিন্তার সন্ধানে

tab

উপ-সম্পাদকীয়

কংক্রিট : নির্মাণ শক্তিমত্তার যৌগ

ত্রিয়মা রায়

শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৩

সমকালীন নগরায়ণ আর অতীতের নগরসভ্যতা গড়ে ওঠার সঙ্গে একটি উপাদান খুব ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত। পরম যত্নের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকা এই উপাদানটি ‘কংক্রিট’। বর্তমান সময়ে কোনো বিলাসীতার আকর্ষণে নয়, জীবনযাত্রার প্রয়োজনে সচেতন প্রায় সবাই মানুষের মুখস্ত শব্দ ‘কংক্রিট’ এক ঐতিহাসিক বিবর্তনের যৌগ।

প্রাচীন সভ্যতায় নির্মাণযজ্ঞে এর দাপটে ব্যবহারের নিদর্শন পাওয়া যায়। মিশরের পিরামিড, রোমান সা¤্রাজ্যের স্থাপত্যশিল্পের গহিনের কলাকৌশলসমূহে নানা নামে, নানাভাবে কংক্রিট ব্যবহার হতো বলে নির্মাণ বিশেষজ্ঞরা তলিয়ে দেখেছেন।

সময়ের বিবর্তনে বর্তমান প্রেক্ষাপটে কংক্রিটের গুণগতমান আর স্থায়িত্ব নিয়ে ব্যাপক গবেষণা করা হচ্ছে। আবিষ্কারের মাধ্যমে সংযুক্ত হচ্ছে কংক্রিটের অন্দরমহলের কথকতা। এর অন্তর্নিহিত চালচ্চিত্রের গূঢ় গোপন রসায়ন যুক্ত হচ্ছে।

সাধারণভাবে সিমেন্ট, ইটের টুকরো বা খোয়া, কিংবা পাথর, বালি এবং পানির নির্দিষ্ট পরিমাণ সংমিশ্রণকে ব্যবহার উপযোগী করলেই তা কংক্রিটে পরিণত হয়। অতীতে মূল রাসায়নিক উপাদান সম্বন্ধে বিস্তারিতভাবে বিশদ জানা না থাকলেও চুনের পরিমাণগত ব্যবহার করে নির্মাণ মিশ্রণকে কঠিন শিলাতে পরিণত করা হতো।

আধুনিক যুগপরিক্রমায় প্রকৌশলবিদ্যায় ব্যাপক উন্নতির ফলে ‘চুন’ পরিবতর্তিত হয়ে ‘সিমেন্ট’ এবং সর্বশেষ ক্যালসিয়াম সিলিকেট, ট্রাইক্যালসিয়াম অ্যালুমিনেট, ক্যালসিয়াম অ্যালুমিনোফেরেট এবং জিপসাম নামক রাসায়নিক মৌলের প্রাণ-প্রকৃতি খোঁজা হয়। দৈর্ঘ্য-প্রস্থ, তাপ-চাপ, মাপ-পরিমাপ করে মিশ্রণ তৈরির মাধ্যমে কংক্রিটের শক্তিমত্তা স্থির করা হয়।

নির্মাণসামগ্রীর অপরিহার্য অনুসঙ্গ নিত্যদিনের ঘরকন্নার অংশ কংক্রিট প্রস্তুতির মিশ্রণ ‘মসলা’ সাধারণত চার ধরনের। সিভিল প্রকৌশলীরা নির্মাণকাঠামো বিশ্লেষণ করে কংক্রিট মিশ্রণ তৈরি করে থাকেন। মেঝে এবং রিটেইনিং ওয়াল, ব্লক ইত্যাদি কাজে ব্যবহারের জন্য সিমেন্ট বালি আর পানির মিশ্রণে ‘সিমেন্ট কংক্রিট’ তৈরি করেন। বিম, কলাম, স্ল্যাব, সানশেড, রেলিং, সিঁড়ি, পানির ট্যাঙ্ক বা সমপর্যায়ভুক্ত কাজে ব্যবহারের জন্য সিমেন্ট, বালি, ইটের খোয়া, অল্প শক্তির রড এবং পানি ব্যবহার করে ‘আরসিসি কংক্রিট’ তৈরি করেন, সাম্প্রতিককালে স্বল্পমাত্রায় ব্যবহারযোগ্য সাধারণত জল ছাদে ব্যবহার করার জন্য চুন, সুরকি, খোয়া, পানির মিশ্রণে তৈরি করেন ‘লাইম কংক্রিট’। ব্রিজ, স্ল্যাব, বিম, কলামসংশ্লিষ্ট কাজে ব্যবহার উপযোগী প্রি-‘স্ট্রেসড কংক্রিট’ তৈরিতে ব্যবহৃত হয় উন্নতমানের স্টিল, সিমেন্ট, বালি, খোয়া আর পানি।

নগরকেন্দ্রিক নান্দনিকতা আর সময়োপযুক্ত আধুনিক নির্মাণশৈলীর কংক্রিট ব্যবহারের তদারকি, পরামর্শ, গবেষণা, শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তিসংযোজন, মাননিশ্চিতকরণ এবং নির্মাণ দৃঢ় করণের অঙ্গীকার নিয়ে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে ‘আমেরিকান কংক্রিট ইনস্টিটিউট’-এসিআই। বিশ্বব্যাপী মানসম্মত নির্মাণ উন্নয়ন চিন্তা করে অলাভজনক প্রযুক্তি সহায়তার এই প্রতিষ্ঠান ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠা করা হয়। আমেরিকার মিশিগান অঙ্গরাজ্যে প্রধান কার্যালয়ের মাধ্যমে সারা বিশ্বের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর সমগ্র শাখা-প্রশাখা নির্মাণসামগ্রী, বিশেষ করে কংক্রিট বিষয়ে গবেষণা, মানযাচাই, শিক্ষা ও সনদ দিয়ে অনন্য অবদান রাখছে। ১৯১০ খ্রিস্টাব্দে এসিআই স্ট্যান্ডার্ড বিল্ডিং কোড প্রণয়ন করে। ১৯১২ খ্রিস্টাব্দে তারা ১৪ দফা নীতিমালা তৈরি করে। পুরো নির্মাণব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন সংযোজন করে। আন্তর্জাতিকতাকে ধারণ করে দীর্ঘ এই সময়ে তাদের কাজের পরিধি ও গতির ডালপালা ব্যাপক-বিস্তৃত হয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই শহরে আঞ্চলিক কার্যালয় স্থাপন, ক্যালফোর্নিয়া ও শিকাগোতে গবেষণা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে নির্মাণের বিশ্ববিবেকে পরিণত হয়েছে।

দেশকাল চিহ্নিত করে বর্তমানে বিশ্বের ১২০টি দেশে এসিআই-এর ৯৪টি প্রধান শাখা, ২৪৪টি ছাত্রশাখায় ৩০ হাজারের অধিক সদস্য টেকসই নির্মাণের দ্যুতি ছড়াচ্ছে। মর্যাদাপূর্ণ এই সংগঠনের চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়-চুয়েটের ছাত্রশাখা সরাসরি সমান্তরালভাবে প্রশংসার সঙ্গে এসিআই-এর কার্যক্রমে সৃষ্টিশীল সব ভূমিকা রাখছে। রূপক-প্রতীকের আদলে নয়। নিষ্ঠাপূর্ণ, যুক্তিযুক্ত, পরিশ্রমী, ত্যাগী আর মানসম্মত কাজের মূল্যায়ন করে জানুয়ারি ২০১৯ খ্রিস্টাব্দে ‘চুয়েট ছাত্রশাখা’কে এসিআই তাদের সহযোগী সংস্থা হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দিয়েছে।

চুয়েট শাখার মৌলিক কর্মকান্ডের ভূয়সী প্রশংসা করে নানাভাবে সহযোগিতা করছে। কংক্রিট নিয়ে আন্তর্জাতিকমানের নির্মাণ জগতে প্রবেশ করতে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান, দক্ষতা, দায়িত্ববোধ, মর্যাদাবোধ সর্বপোরি নেতৃত্বের গুণাবলী অর্জনে বাস্তবানুগধর্মী সহযোগিতা করে যাচ্ছে।

[লেখক: শিক্ষার্থী, পানিসম্পদ কৌশল বিভাগ, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়-চুয়েট]

back to top