alt

মতামত » উপ-সম্পাদকীয়

মানবাধিকার দিবস

শফিকুল এলাহী

: শনিবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩

১০ ডিসেম্বর পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস। দিনটি মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণাপত্র (ইউডিএইচআর) গৃহীত হওয়ার ৭৫তম বার্ষিকীও। ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘের সব সদস্যদের সর্বসম্মতিক্রমে মানবাধিকারের সনদটি গৃহীত হয়েছিল। এর পর থেকে, প্রতি বছরই বিশ্ব মানবাধিকার সমুন্নত রাখার ঘোষণা ও উদ্যোগের প্রতি যথাযথ সম্মানের রেখে দিবসটি উদযাপন হয়ে আসছে।

এ বছর, গাজা সংকট, ইউক্রেন যুদ্ধ, মহামারী পরবর্তী পুনরুদ্ধারের পর্যায়ে চলমান অর্থনৈতিক মন্দাসহ বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে চলমান সংঘাত আমাদের মানবাধিকারের অঙ্গীকারকে হুমকির মুখে ফেলে দিচ্ছে। মানবাধিকার দিবসের এই শুভ উপলক্ষে, মানবাধিকার সমুন্নত রাখার ক্ষেত্রে আমরা যে সমসাময়িক চ্যালেঞ্জগুলোর মুখোমুখি হচ্ছি তা পুনর্বিবেচনা করা মূল্যবান এবং, একই সঙ্গে বিতর্ক তৈরি করছে এবং মানবাধিকার সম্পর্কে আমাদের বোঝাপড়াকে সমৃদ্ধ করছে এমন বিষয়গুলো পর্যালোচনা করা বেশ গুরুত্বপূর্ণ।

বিশ্বের বিভিন্ন অংশে চলমান সংঘাতগুলো বিশ্বের জন্য একটি বড় আপাত চ্যালেঞ্জ। গাজায় স্থল আক্রমণ ইতোমধ্যে দুই মাসের মধ্যে ১৮ হাজার ৮০০ বেসামরিক মানুষের মূল্যবান প্রাণ কেড়েছে। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর নির্বিচারে বিমান হামলা এবং স্থল অভিযান এক মিলিয়নেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে বাস্তুচ্যুত করেছে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় কারাগার হিসেবে খ্যাত গাজায় গত দুই মাস যাবত উল্লেখযোগ্যহারে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে।

গাজা ছাড়াও ইউক্রেনের যুদ্ধ মানবাধিকার নিশ্চিত করার আরেকটি আপাত উদ্বেগ। যুদ্ধের ফলে, ৯৬০০ জনেরও বেশি বেসামরিক হতাহত, ৮০ লাখ উদ্বাস্তু, এবং ৫৩ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হওয়া ছাড়াও, যুদ্ধ এবং পরবর্তী নিষেধাজ্ঞাগুলো বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে। এই সংঘাতটি সাধারণ মানুষের জন্য খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা এবং অর্থনৈতিক চাপে রূপান্তরিত হয়েছে ইতোমধ্যেই।

নাইজার এবং গ্যাবনসহ আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশে সমসময়ে সামরিক অভ্যুত্থান আফ্রিকার গণতন্ত্র এবং মানবাধিকারের জন্য হুমকি নিয়ে এসেছে। সুদানে চলমান গৃহযুদ্ধ গোটা অঞ্চলের পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।

বিশ্বব্যাপী সংঘাতময় পরিস্থিতির বাইরে, ক্রমবর্ধমান অসহিষ্ণুতা, বৈষম্য, উগ্রজাতীয়তাবাদ, আধিপত্যবাদ এবং ডানপন্থী রাজনীতিও আমাদের মানবাধিকার প্রতিশ্রুতির জন্য গুরুতর হুমকি সৃষ্টি করছে। বিশেষ করে পশ্চিমে, অতি-ডানপন্থী রাজনীতির পুনরুজ্জীবন ফিরে পাওয়া, এবং আধিপত্যবাদী ধারণার লালন সমাজে বর্ণসহিংসতা, অসহিষ্ণুতা, জাতিগত বৈষম্য বৃদ্ধি করছে। এবং অভিবাসনবিরোধী নীতিগুলো অসাম্প্রদায়িক ও বহুজাতিক ধারণাকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করছে। ফলে বিভিন্ন জাতিসত্ত্বার মানুষের মধ্যে বাড়ছে দূরত্ব, ঘৃণা এবং অবিশ্বাস।

মানবাধিকারের উন্নয়ন একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। চেতনার দিক দিয়ে, জাতি হিসেবে বাঙালি মানবাধিকারের মূল্যবোধে বিশ্বাসী। ফলে এই মূল্যবোধগুলো বাংলাদেশের সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশ ধীরে ধীরে মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতি করছে। ১৯৭৪ সালে সদস্যপদ লাভের পর থেকে জাতিসংঘে বাংলাদেশের সক্রিয় অংশগ্রহণ রয়েছে।

মৌলিক মানবাধিকারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেক এগিয়েছে। ১৯৭০-এর দশকে একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ থেকে, বাংলাদেশ এখন প্রধান খাদ্য উৎপাদনে- চাল, মাছ এবং শাকসবজিতে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশ হিসেবে উঠে দাঁড়িয়েছে।

অনেক উল্লেখযোগ্য সাফল্যের মধ্যেও, সাংঘর্ষিক রাজনীতি, এবং সহিংসতা বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুতর চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক সহিংসতা যে কোনো প্রগতিশীল সমাজের জন্য অনুপযুক্ত। দুর্নীতি এবং দুর্বল কাঠামো বাংলাদেশের মানবাধিকার প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করছে।

দুর্নীতি এবং দুর্বল প্রশাসন নেতিবাচক প্রভাবে নাগরিকরা অধিকারবঞ্চিত হয়। এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন এই বঙ্গীয় ব-দ্বীপের জন্য আরেকটি উদ্বেগের কারণ।

যদিও বাংলাদেশ অনেক আর্থসামাজিক দিক থেকে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে, তবুও ইউডিএইচআর-এর প্রতিশ্রুতি পূরণের জন্য মানবাধিকার পরিস্থিতির এখনও অনেক উন্নতি করতে হবে। বাংলাদেশের এখনও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার উন্নয়নে আরও কাজ করতে হবে এবং সাংঘর্ষিক রাজনীতি এড়াতে হবে এবং ক্ষমতার অপব্যবহার বন্ধ করতে হবে। উন্নতি ত্বরান্বিত করতে, উন্নয়নের একটি নতুন ধারণা- মানব উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। উন্নয়নশীল দেশের ক্যাটাগরিতে উত্তীর্ণ হবার অপেক্ষায় থাকা দেশ হিসেবে, বাংলাদেশের সামনের দিনগুলোতে মানব উন্নয়নকে চলমান অবকাঠামোগত উন্নয়নের সমান অগ্রাধিকার দিতে হবে।

[লেখক: অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা]

স্বর্ণের মোহ ও মানবিক দ্বন্দ্ব

ভালোবাসার দেহধারণ: বড়দিনের তাৎপর্য

জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট

বিনা-ভাড়ার ট্রেনযাত্রা

ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা কৌশলে এশিয়া

ছবি

নামে ইসলামী, কাজে আবু জাহেল!

জলবায়ু পরিবর্তন: স্বাস্থ্যঝুঁকি

ছবি

অস্থির পেঁয়াজের বাজার: আমদানি কি সত্যিই সমাধান?

মূল্যবৃদ্ধির ঘেরাটোপ: সংকটাক্রান্ত পরিবার ও সামাজিক রূপান্তর

বায়দূষণে অকালমৃত্যু

লাশের বদলে লাশই যদি চুড়ান্ত হয়, তবে রাষ্ট্রের দরকার কী?

ভিক্ষাবৃত্তি যেখানে অন্যতম পেশা

বুদ্ধিজীবী হত্যা ও এর স্বরূপ সন্ধানে

আদিবাসীদের ভূমি অধিকার ও নিরাপত্তা সংকট

“মুনীর চৌধুরীর কবর...”

বুদ্ধিজীবী হত্যা ও এর স্বরূপ সন্ধানে

জলবায়ু সংকট ও খাদ্য নিরাপত্তা

স্বাধীন তদন্ত কমিশন দাবির নেপথ্যে কি দায়মুক্তি?

বুদ্ধিজীবী হত্যা ও এর স্বরূপ সন্ধানে

প্রহর গুনি কোন আশাতে!

বিজয়ের রক্তাক্ত সূর্য ও আমাদের ঋণের হিসাব

বিজয় দিবস: নতুন প্রজন্মের রাষ্ট্রচিন্তার দিকদর্শন

ছবি

আমাদের বিজয়ের অন্তর্নিহিত বার্তা

প্রাণিসম্পদ: দেশীয় জাত, আধুনিক প্রযুক্তি

জমির জরিপ: ন্যায়বিচার প্রসঙ্গ

বুদ্ধিজীবী হত্যা ও এর স্বরূপ সন্ধানে

উন্নয়নের আড়ালে রোগীর ভোগান্তি: আস্থা সংকটে স্বাস্থ্যসেবা

ছবি

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস: অমিত শক্তির উৎস

ছবি

বেগম রোকেয়া এখনো জাগ্রত

পশ্চিমবঙ্গ: বামপন্থীদের ‘বাংলা বাঁচাও’-এর ডাক

সবার বাংলাদেশ কবে প্রতিষ্ঠিত হবে?

বিদেশি বিনিয়োগ : প্রয়োজন আইনের শাসন ও সামাজিক স্থিতি

চিকিৎসা যখন অসহনীয় ব্যয়, তখন প্রতিবাদই ন্যায়

মস্কোর কৌশলগত পুনর্গঠন

“সব শিয়ালের এক রা’ মারা গেল কুমিরের ছা”

ছবি

বিচূর্ণ দর্পণের মুখ

tab

মতামত » উপ-সম্পাদকীয়

মানবাধিকার দিবস

শফিকুল এলাহী

শনিবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩

১০ ডিসেম্বর পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস। দিনটি মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণাপত্র (ইউডিএইচআর) গৃহীত হওয়ার ৭৫তম বার্ষিকীও। ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘের সব সদস্যদের সর্বসম্মতিক্রমে মানবাধিকারের সনদটি গৃহীত হয়েছিল। এর পর থেকে, প্রতি বছরই বিশ্ব মানবাধিকার সমুন্নত রাখার ঘোষণা ও উদ্যোগের প্রতি যথাযথ সম্মানের রেখে দিবসটি উদযাপন হয়ে আসছে।

এ বছর, গাজা সংকট, ইউক্রেন যুদ্ধ, মহামারী পরবর্তী পুনরুদ্ধারের পর্যায়ে চলমান অর্থনৈতিক মন্দাসহ বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে চলমান সংঘাত আমাদের মানবাধিকারের অঙ্গীকারকে হুমকির মুখে ফেলে দিচ্ছে। মানবাধিকার দিবসের এই শুভ উপলক্ষে, মানবাধিকার সমুন্নত রাখার ক্ষেত্রে আমরা যে সমসাময়িক চ্যালেঞ্জগুলোর মুখোমুখি হচ্ছি তা পুনর্বিবেচনা করা মূল্যবান এবং, একই সঙ্গে বিতর্ক তৈরি করছে এবং মানবাধিকার সম্পর্কে আমাদের বোঝাপড়াকে সমৃদ্ধ করছে এমন বিষয়গুলো পর্যালোচনা করা বেশ গুরুত্বপূর্ণ।

বিশ্বের বিভিন্ন অংশে চলমান সংঘাতগুলো বিশ্বের জন্য একটি বড় আপাত চ্যালেঞ্জ। গাজায় স্থল আক্রমণ ইতোমধ্যে দুই মাসের মধ্যে ১৮ হাজার ৮০০ বেসামরিক মানুষের মূল্যবান প্রাণ কেড়েছে। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর নির্বিচারে বিমান হামলা এবং স্থল অভিযান এক মিলিয়নেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে বাস্তুচ্যুত করেছে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় কারাগার হিসেবে খ্যাত গাজায় গত দুই মাস যাবত উল্লেখযোগ্যহারে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে।

গাজা ছাড়াও ইউক্রেনের যুদ্ধ মানবাধিকার নিশ্চিত করার আরেকটি আপাত উদ্বেগ। যুদ্ধের ফলে, ৯৬০০ জনেরও বেশি বেসামরিক হতাহত, ৮০ লাখ উদ্বাস্তু, এবং ৫৩ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হওয়া ছাড়াও, যুদ্ধ এবং পরবর্তী নিষেধাজ্ঞাগুলো বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে। এই সংঘাতটি সাধারণ মানুষের জন্য খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা এবং অর্থনৈতিক চাপে রূপান্তরিত হয়েছে ইতোমধ্যেই।

নাইজার এবং গ্যাবনসহ আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশে সমসময়ে সামরিক অভ্যুত্থান আফ্রিকার গণতন্ত্র এবং মানবাধিকারের জন্য হুমকি নিয়ে এসেছে। সুদানে চলমান গৃহযুদ্ধ গোটা অঞ্চলের পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।

বিশ্বব্যাপী সংঘাতময় পরিস্থিতির বাইরে, ক্রমবর্ধমান অসহিষ্ণুতা, বৈষম্য, উগ্রজাতীয়তাবাদ, আধিপত্যবাদ এবং ডানপন্থী রাজনীতিও আমাদের মানবাধিকার প্রতিশ্রুতির জন্য গুরুতর হুমকি সৃষ্টি করছে। বিশেষ করে পশ্চিমে, অতি-ডানপন্থী রাজনীতির পুনরুজ্জীবন ফিরে পাওয়া, এবং আধিপত্যবাদী ধারণার লালন সমাজে বর্ণসহিংসতা, অসহিষ্ণুতা, জাতিগত বৈষম্য বৃদ্ধি করছে। এবং অভিবাসনবিরোধী নীতিগুলো অসাম্প্রদায়িক ও বহুজাতিক ধারণাকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করছে। ফলে বিভিন্ন জাতিসত্ত্বার মানুষের মধ্যে বাড়ছে দূরত্ব, ঘৃণা এবং অবিশ্বাস।

মানবাধিকারের উন্নয়ন একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। চেতনার দিক দিয়ে, জাতি হিসেবে বাঙালি মানবাধিকারের মূল্যবোধে বিশ্বাসী। ফলে এই মূল্যবোধগুলো বাংলাদেশের সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশ ধীরে ধীরে মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতি করছে। ১৯৭৪ সালে সদস্যপদ লাভের পর থেকে জাতিসংঘে বাংলাদেশের সক্রিয় অংশগ্রহণ রয়েছে।

মৌলিক মানবাধিকারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেক এগিয়েছে। ১৯৭০-এর দশকে একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ থেকে, বাংলাদেশ এখন প্রধান খাদ্য উৎপাদনে- চাল, মাছ এবং শাকসবজিতে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশ হিসেবে উঠে দাঁড়িয়েছে।

অনেক উল্লেখযোগ্য সাফল্যের মধ্যেও, সাংঘর্ষিক রাজনীতি, এবং সহিংসতা বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুতর চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক সহিংসতা যে কোনো প্রগতিশীল সমাজের জন্য অনুপযুক্ত। দুর্নীতি এবং দুর্বল কাঠামো বাংলাদেশের মানবাধিকার প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করছে।

দুর্নীতি এবং দুর্বল প্রশাসন নেতিবাচক প্রভাবে নাগরিকরা অধিকারবঞ্চিত হয়। এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন এই বঙ্গীয় ব-দ্বীপের জন্য আরেকটি উদ্বেগের কারণ।

যদিও বাংলাদেশ অনেক আর্থসামাজিক দিক থেকে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে, তবুও ইউডিএইচআর-এর প্রতিশ্রুতি পূরণের জন্য মানবাধিকার পরিস্থিতির এখনও অনেক উন্নতি করতে হবে। বাংলাদেশের এখনও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার উন্নয়নে আরও কাজ করতে হবে এবং সাংঘর্ষিক রাজনীতি এড়াতে হবে এবং ক্ষমতার অপব্যবহার বন্ধ করতে হবে। উন্নতি ত্বরান্বিত করতে, উন্নয়নের একটি নতুন ধারণা- মানব উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। উন্নয়নশীল দেশের ক্যাটাগরিতে উত্তীর্ণ হবার অপেক্ষায় থাকা দেশ হিসেবে, বাংলাদেশের সামনের দিনগুলোতে মানব উন্নয়নকে চলমান অবকাঠামোগত উন্নয়নের সমান অগ্রাধিকার দিতে হবে।

[লেখক: অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা]

back to top