জাঁ-নেসার ওসমান
“বেইন্না ফজরত, এসব কি নিয়া পড়লেন! সারাদেশ এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে ব্যস্ত, এখানে এখন চালাকি করার সুযোগ কোথায়!”
“বলিস কি, বাংলায় এখন চালাক, সুচতুর কানিং শৃগাল নাই!”
“ধূর্ত শৃগাল থাকলে কি মেট্রোরেলের মতো এতবড় প্রজেক্ট এমনি নির্বিঘেœ-নিরবচ্ছিন্ন রূপে চলিতে পারে! সারা বাংলার মেট্রো যাত্রীরা আজ সকাল-বিকাল-সন্ধ্যা-সাঁঝে জননেত্রী শেখ হাসিনার জয়গানে আকাশ বাতাস মুখরিত। আর আপনি বলেন যে করিবে চালাকি-বুঝিবে তার জ্বালা কী!”
“ও তুমি বুঝ না! কচি রাম পাঁঠা। ইউটিউবে দেখো নাই, চালাকির জ্বালা কি!”
“কার কথা কন, ইউটিউবে তো এখন শত শত কনটেন্ট, বর্ডারলেস বাবলু, হাবাহাসমত হাবলু-মন্দব্যেডি মাহিয়া, শুকনা চতুর সামিয়া-কারডা দেখুম কন ?”
“ও রে স্বর্ণ-গর্দভ, তোকে বলছি আমাদের সাতশ কোটির চালাকটির কথা। যে এতদিন দোর্দ- প্রতাপে তার টেনিউর পার করার পরেই ধরা খাইলো ক্যান ?”
“ধরা খাইলো কারণ অবৈধ পথে হকারদের লাইনের টাকাসহ, ভর্তি বাণিজ্য, চাকরি বাণিজ্য, জামিন বাণিজ্য, রমনা পার্কের বরনারী কমিশনসহ পনেরোটা পাসপোর্ট বানায়া দেশে-বিদেশে, বিশেষ করে ব্যাংককে বাংলাম’পুর কাউসান রোডে এনসিয়েন্ট বডি দলাই মলাই করছে, তাই ধরা খাইছে।”
“ওহে পামর নরাধম, রামগড়–রের ছানা, পনেরোটা পাসপোর্ট কি একদিনে বানাইছে! আর ইমিগ্রেশনের বাবুরা কি তার সরকারি-বেসরকারি পাসপোর্টের মাজেজা বুঝে নাই!”
“বুঝেছে বুঝেছে, কারণ ইমিগ্রেশনের স্যারের তুখোড় অফিসারদের সামনে দিয়া অবৈধ ভাবে কেউ পার হইবো, সম্ভবই না। কোনো মহিলা প্যাসেঞ্জারের তলপেটের ভেতরে থাকা সোনার বার চক্ষুর ইশারায় ধইরা ফেলে, আর এতো একই ব্যাটার পনেরোটা পাসপোর্ট! ”
“তবে বুঝেলীন! এত দিন, এত মাস, এত বছর স্যার বিভিন্ন পাসপোর্টে বিদেশ ঘুরল- কেউ তারে কিছু কইলো না-আর হঠাৎ বিশ বছর পর তোরা জানলি মানে তোগোরে জানানো হলো যে, দেখুন নগর কোতোয়ালের কয়শ কোটি টাকা! তার মেয়ে ও স্ত্রীর কিরাম ঐশ্বর্য! এগুলা যারা বাজারে ছাড়ল তারা কি এসব আগে জানত না! ”
“ঠিক, এতো এতো এজেন্সি, এদেরতো নিশ্চয়ই আগে ভাগেই জানার কথা...”
“ এই যে আবেদ আলী বিসিএস ক্যাডারদের ফ্যাক্টরির শটক চালকের, চালাকির ফসল, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের প্রশ্নপত্র ফাঁস কইরা কুটি কুটি ট্যাকা কামাইয়া অবৈধ চুরির টাকায় ধর্মের জন্য ঘর বানাইলো, কিন্তু এইডা সৃষ্টির্কতা মাইন্না নেয় নাই। ফলে ধর্মের কল বাতাসে নড়লো, হালারপো ধরা খাইলো। আরে ভাই চুরির
টাকায় উপাসনালয় হয়!
“ না না চুরির টাকায়, হারামের টাকায়,ধর্ম-কর্ম এটাঁ কোনো হারামিও মাইন্না নিবো না।”
“তায়লে তোর সৃষ্টিকর্তা ওরে সাত বছর পর ধরলো ক্যান! কও কও, ক্যান ক্যান?”
“আমিও তো জিগাই সাত বছর, সাত তলা বাড়ি, সাতশ কোটি, এসবই সাতে আইসা ধরা খায় ক্যান? ক্যান?”
“নিশ্চয় নিজেগো মইধ্যে কারো লগে চালাকি করছে, তাই সাত বছর পর ওই চালাকির জ্বালা বুঝতাছে। ওই যে তোর পাপিয়া রাজরানী, কার লগে চালাকি করতে যায়া, এখন কুমিল্লা জেলের চাকরানী। ফলে যে করিবে চালাকি-বুঝিবে তার জ্বালা কী...”
“তয় রাম ছাগলের কথাটা কইবেন না?”
“ধূর রাখ তোর রামছাগল, সাদ্দিক্যার চামরী গাই এর কুনো বেইল নাই। আসল কথা তরে কোই, হে মানব সন্তান, জলে-স্থলে-অন্তরীক্ষে তুমি যেখানেই থাকো, যাই করো, যেখানেই করো, যার সঙ্গেই করো, সে আদি গোদরেজ হোক, তানিয়া গোদরেজ হোক, মাসুদ, বিজয় বা পোরোবের সাধারণ জনগণ যেই হোক, কেবল একটা অনুরোধ, কারো সঙ্গে কুনো চালাকি করো না!! চালাকি করেছো কি ধরা খেয়েছো।”
“হেঁঃ হেঁঃ এইডা কি কন? চালাকি না করলে, অবৈধ পথে মাল কামাইবাম ক্যেম্বাই?”
“মাল কামাতে তো আমি বারণ করিনি। আমি শুধু বারণ করছি চালাকি করতে। চালাকি করবি তো ধরা খাবি।”
“কথাটা ঠিক, কিন্তু আমার প্রশ্ন, আপনি ফোনালাপ ফাঁস কইরা, আইলাভ ইয়ু, আই লাভ ইয়ু ঠু, এই সব আপনেরা আগে ভাগেই রের্কড কইরা সময়মতো বাজারে ছাইড়া, ভাইরাল কইরা হালার পুতের-সব দরজা খুইল্লা
পাবলিকের সামনে হ্যেরে উলঙ্গ করেন ক্যান? ক্যান?”
“সোনা তোরে কি দিয়া বুঝামু, চালাকির মানে কত্ত জ্বালা। এই যে তোর সাতশ’ কোটির নগর কোতোয়ালরে, পুলিশে ভেরিফিকেশন কইরা পনেরোটা পাসপোর্ট বানায়া দিল। হ্যেয় ওই সাতশ কোটি টাকা দিয়া সুন্দরী বরনারী লয়া মৌজ করছিল, কিন্তু অধিক কনফিডেন্সের জন্য ধরা খাইলো। সোমরস, আদিরস, বোট ক্লাব, অপ্সরী মনি, ক্ষণিক ইন্দুবালা সব লয়া মৌজ করছিলা। ভালো কথা মৌজকর তয় দুইশ হিন্দু ধর্মালম্বীদের মৌজায় হাত দিলা ক্যান? হালা মালাউনগো বাপ-দাদার শত বছরের পুরানো ভিটা মাটি ক্রসফায়ারের ডর দ্যেখায়া খাইতে গেলি আর লগে লগে দিল্লিকা লাড্ডু মানে দিল্লির মুদি দোকানদার নগর কোতোয়ালের এতদিনের সাজানো বাগান শুকায়া দিল। তুই হালা গুপ্তভাবে এত্তবড় কাম করবি, গরিবের দুই বিঘা জমি খাবি আর লুকায়া গুপ্তো বাবুর অনুমতি নিবি না !”
“গুপ্তো ভাবে গুপ্তো বাবুর অনুমতি নেয়া উচিত ছিল?”
“নিশ্চয়। গুপ্তোর অনুমতি ছাড়া উপেনের জমিতে হাত দিছো কি মরছো। জমিতে হাত, লগে লগে উপেন দলবল লয়া গুপ্তোর দুয়ারে হাজির। গুপ্তো সব শুইন্না লগে লগে মুদির দোকানে বাজে মালের অর্ডার দিলো। কইতে খালি দেরি, এতদিনের শুদ্ধাচারে, প্রাইজ পাওয়া পনেরো পাসপোর্টধারী কতোয়াল সামান্য এক জটাধারী মুদির ত্রিশুলের গুতায়, হালায় বৌ-বাচ্চা লয়া কোই যে প্রকৃতিরে উত্তর দিতাছে সে কেবল ওই হালায় আর ওর ভগবানই জানে। তাই কোই ভাই, যাই করো আর নাই করো, কারো লগে, চালাকি কইরো না। যে করিবে চালাকি-বুঝিবে তার জ্বালা কী...”
“আসলে ভাই ঠিকই বলেছেন, বাঙালি হয়ে বাঙালির সঙ্গে চালাকি!! না না চালাকি করলে আজকে হোক বা কালকে হোক, নতুবা সাত বছর পরে হোক, ধরা তুমি খাবাই। তাই বলি হে বঙ্গবাসী তোমরা সহসা চালাকি ছাড়ো আর নিশচিন্তে ডিজিটলি বাংলাদেশ গড়ো।”
[লেখক : চলচ্চিত্রকার ]
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
জাঁ-নেসার ওসমান
শনিবার, ১৩ জুলাই ২০২৪
“বেইন্না ফজরত, এসব কি নিয়া পড়লেন! সারাদেশ এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে ব্যস্ত, এখানে এখন চালাকি করার সুযোগ কোথায়!”
“বলিস কি, বাংলায় এখন চালাক, সুচতুর কানিং শৃগাল নাই!”
“ধূর্ত শৃগাল থাকলে কি মেট্রোরেলের মতো এতবড় প্রজেক্ট এমনি নির্বিঘেœ-নিরবচ্ছিন্ন রূপে চলিতে পারে! সারা বাংলার মেট্রো যাত্রীরা আজ সকাল-বিকাল-সন্ধ্যা-সাঁঝে জননেত্রী শেখ হাসিনার জয়গানে আকাশ বাতাস মুখরিত। আর আপনি বলেন যে করিবে চালাকি-বুঝিবে তার জ্বালা কী!”
“ও তুমি বুঝ না! কচি রাম পাঁঠা। ইউটিউবে দেখো নাই, চালাকির জ্বালা কি!”
“কার কথা কন, ইউটিউবে তো এখন শত শত কনটেন্ট, বর্ডারলেস বাবলু, হাবাহাসমত হাবলু-মন্দব্যেডি মাহিয়া, শুকনা চতুর সামিয়া-কারডা দেখুম কন ?”
“ও রে স্বর্ণ-গর্দভ, তোকে বলছি আমাদের সাতশ কোটির চালাকটির কথা। যে এতদিন দোর্দ- প্রতাপে তার টেনিউর পার করার পরেই ধরা খাইলো ক্যান ?”
“ধরা খাইলো কারণ অবৈধ পথে হকারদের লাইনের টাকাসহ, ভর্তি বাণিজ্য, চাকরি বাণিজ্য, জামিন বাণিজ্য, রমনা পার্কের বরনারী কমিশনসহ পনেরোটা পাসপোর্ট বানায়া দেশে-বিদেশে, বিশেষ করে ব্যাংককে বাংলাম’পুর কাউসান রোডে এনসিয়েন্ট বডি দলাই মলাই করছে, তাই ধরা খাইছে।”
“ওহে পামর নরাধম, রামগড়–রের ছানা, পনেরোটা পাসপোর্ট কি একদিনে বানাইছে! আর ইমিগ্রেশনের বাবুরা কি তার সরকারি-বেসরকারি পাসপোর্টের মাজেজা বুঝে নাই!”
“বুঝেছে বুঝেছে, কারণ ইমিগ্রেশনের স্যারের তুখোড় অফিসারদের সামনে দিয়া অবৈধ ভাবে কেউ পার হইবো, সম্ভবই না। কোনো মহিলা প্যাসেঞ্জারের তলপেটের ভেতরে থাকা সোনার বার চক্ষুর ইশারায় ধইরা ফেলে, আর এতো একই ব্যাটার পনেরোটা পাসপোর্ট! ”
“তবে বুঝেলীন! এত দিন, এত মাস, এত বছর স্যার বিভিন্ন পাসপোর্টে বিদেশ ঘুরল- কেউ তারে কিছু কইলো না-আর হঠাৎ বিশ বছর পর তোরা জানলি মানে তোগোরে জানানো হলো যে, দেখুন নগর কোতোয়ালের কয়শ কোটি টাকা! তার মেয়ে ও স্ত্রীর কিরাম ঐশ্বর্য! এগুলা যারা বাজারে ছাড়ল তারা কি এসব আগে জানত না! ”
“ঠিক, এতো এতো এজেন্সি, এদেরতো নিশ্চয়ই আগে ভাগেই জানার কথা...”
“ এই যে আবেদ আলী বিসিএস ক্যাডারদের ফ্যাক্টরির শটক চালকের, চালাকির ফসল, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের প্রশ্নপত্র ফাঁস কইরা কুটি কুটি ট্যাকা কামাইয়া অবৈধ চুরির টাকায় ধর্মের জন্য ঘর বানাইলো, কিন্তু এইডা সৃষ্টির্কতা মাইন্না নেয় নাই। ফলে ধর্মের কল বাতাসে নড়লো, হালারপো ধরা খাইলো। আরে ভাই চুরির
টাকায় উপাসনালয় হয়!
“ না না চুরির টাকায়, হারামের টাকায়,ধর্ম-কর্ম এটাঁ কোনো হারামিও মাইন্না নিবো না।”
“তায়লে তোর সৃষ্টিকর্তা ওরে সাত বছর পর ধরলো ক্যান! কও কও, ক্যান ক্যান?”
“আমিও তো জিগাই সাত বছর, সাত তলা বাড়ি, সাতশ কোটি, এসবই সাতে আইসা ধরা খায় ক্যান? ক্যান?”
“নিশ্চয় নিজেগো মইধ্যে কারো লগে চালাকি করছে, তাই সাত বছর পর ওই চালাকির জ্বালা বুঝতাছে। ওই যে তোর পাপিয়া রাজরানী, কার লগে চালাকি করতে যায়া, এখন কুমিল্লা জেলের চাকরানী। ফলে যে করিবে চালাকি-বুঝিবে তার জ্বালা কী...”
“তয় রাম ছাগলের কথাটা কইবেন না?”
“ধূর রাখ তোর রামছাগল, সাদ্দিক্যার চামরী গাই এর কুনো বেইল নাই। আসল কথা তরে কোই, হে মানব সন্তান, জলে-স্থলে-অন্তরীক্ষে তুমি যেখানেই থাকো, যাই করো, যেখানেই করো, যার সঙ্গেই করো, সে আদি গোদরেজ হোক, তানিয়া গোদরেজ হোক, মাসুদ, বিজয় বা পোরোবের সাধারণ জনগণ যেই হোক, কেবল একটা অনুরোধ, কারো সঙ্গে কুনো চালাকি করো না!! চালাকি করেছো কি ধরা খেয়েছো।”
“হেঁঃ হেঁঃ এইডা কি কন? চালাকি না করলে, অবৈধ পথে মাল কামাইবাম ক্যেম্বাই?”
“মাল কামাতে তো আমি বারণ করিনি। আমি শুধু বারণ করছি চালাকি করতে। চালাকি করবি তো ধরা খাবি।”
“কথাটা ঠিক, কিন্তু আমার প্রশ্ন, আপনি ফোনালাপ ফাঁস কইরা, আইলাভ ইয়ু, আই লাভ ইয়ু ঠু, এই সব আপনেরা আগে ভাগেই রের্কড কইরা সময়মতো বাজারে ছাইড়া, ভাইরাল কইরা হালার পুতের-সব দরজা খুইল্লা
পাবলিকের সামনে হ্যেরে উলঙ্গ করেন ক্যান? ক্যান?”
“সোনা তোরে কি দিয়া বুঝামু, চালাকির মানে কত্ত জ্বালা। এই যে তোর সাতশ’ কোটির নগর কোতোয়ালরে, পুলিশে ভেরিফিকেশন কইরা পনেরোটা পাসপোর্ট বানায়া দিল। হ্যেয় ওই সাতশ কোটি টাকা দিয়া সুন্দরী বরনারী লয়া মৌজ করছিল, কিন্তু অধিক কনফিডেন্সের জন্য ধরা খাইলো। সোমরস, আদিরস, বোট ক্লাব, অপ্সরী মনি, ক্ষণিক ইন্দুবালা সব লয়া মৌজ করছিলা। ভালো কথা মৌজকর তয় দুইশ হিন্দু ধর্মালম্বীদের মৌজায় হাত দিলা ক্যান? হালা মালাউনগো বাপ-দাদার শত বছরের পুরানো ভিটা মাটি ক্রসফায়ারের ডর দ্যেখায়া খাইতে গেলি আর লগে লগে দিল্লিকা লাড্ডু মানে দিল্লির মুদি দোকানদার নগর কোতোয়ালের এতদিনের সাজানো বাগান শুকায়া দিল। তুই হালা গুপ্তভাবে এত্তবড় কাম করবি, গরিবের দুই বিঘা জমি খাবি আর লুকায়া গুপ্তো বাবুর অনুমতি নিবি না !”
“গুপ্তো ভাবে গুপ্তো বাবুর অনুমতি নেয়া উচিত ছিল?”
“নিশ্চয়। গুপ্তোর অনুমতি ছাড়া উপেনের জমিতে হাত দিছো কি মরছো। জমিতে হাত, লগে লগে উপেন দলবল লয়া গুপ্তোর দুয়ারে হাজির। গুপ্তো সব শুইন্না লগে লগে মুদির দোকানে বাজে মালের অর্ডার দিলো। কইতে খালি দেরি, এতদিনের শুদ্ধাচারে, প্রাইজ পাওয়া পনেরো পাসপোর্টধারী কতোয়াল সামান্য এক জটাধারী মুদির ত্রিশুলের গুতায়, হালায় বৌ-বাচ্চা লয়া কোই যে প্রকৃতিরে উত্তর দিতাছে সে কেবল ওই হালায় আর ওর ভগবানই জানে। তাই কোই ভাই, যাই করো আর নাই করো, কারো লগে, চালাকি কইরো না। যে করিবে চালাকি-বুঝিবে তার জ্বালা কী...”
“আসলে ভাই ঠিকই বলেছেন, বাঙালি হয়ে বাঙালির সঙ্গে চালাকি!! না না চালাকি করলে আজকে হোক বা কালকে হোক, নতুবা সাত বছর পরে হোক, ধরা তুমি খাবাই। তাই বলি হে বঙ্গবাসী তোমরা সহসা চালাকি ছাড়ো আর নিশচিন্তে ডিজিটলি বাংলাদেশ গড়ো।”
[লেখক : চলচ্চিত্রকার ]