alt

মতামত » উপ-সম্পাদকীয়

পুলিশের সংস্কার হোক জনগণের কল্যাণে

ফয়সাল বিন লতিফ

: মঙ্গলবার, ২৭ আগস্ট ২০২৪

একটা শৃঙ্খল সমাজব্যবস্থার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে পুলিশ বিভাগ। দেশের শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা ও জনগণের অধিকার ভোগে সবচেয়ে সহায়ক ভূমিকায় থাকে দেশের এই গুরুত্বপূর্ণ বাহিনীটি। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে জনকল্যাণ ও জনস্বার্থে নিবেদিত এই প্রতিষ্ঠানটি ধীরে ধীরে মানুষের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়। সমাজ-জনতা ও পুলিশ একে অপরের অবিচ্ছেদ অংশে পরিণত হয়।

কিন্তু এই বিপুল জনসর্মথন থাকা সত্ত্বেও পুলিশ জনগণের আস্থার জায়গাটি ধরে রাখতে পারেনি। এর জন্য দায়ী মূল্যবোধ বিবর্জিত কতিপয় পুলিশ সদস্য। নৈতিকতার অবক্ষয়, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ব্যক্তিস্বার্থ, রাজনীতির অনুপ্রবেশ, লেজুড়বৃত্তিকরণ ও দুর্নীতির মাধ্যমে বিভাগটি তাদের স্বকীয়তা হারায় এবং একই সঙ্গে জনগণের সঙ্গে দূরত্ব বৃদ্ধি পায়। যার চরম পরিণতি পুলিশের প্রতি ক্ষোভ, ঘৃণা, আক্রোশ। দীর্ঘদিন যাবত দলীয় লেজুড়বৃত্তি পুলিশকে সব ধরনের অন্যায় কর্মে সম্পৃক্ত করেছে। মানবাধিকার (গুম, হত্যা) লঙ্ঘনসহ ছোট বড় সব অপকর্মের সঙ্গে পুলিশের সম্পৃক্ততার গুঞ্জন উঠেছে।

সাম্প্রতিক কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ পুলিশকে একটি স্বেচ্ছাচারী বাহিনীতে পরিণত করেছে।

সরকার পতনকে কেন্দ্র করে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিতে কতিপয় স্বার্থন্বেষী গোষ্ঠী দ্বারা চুরি, ছিনতাই, সংখ্যালঘুদের প্রতি আক্রমণের ঘটনায় দেশে পুলিশের অনুপস্থিতি জনগণের সামগ্রিক নিরাপত্তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। এই অবস্থায় সমাজে পুলিশের প্রয়োজনীয়তা তীব্রভাবে অনুভূত হয়।

প্রাচীনকাল থেকেই পুলিশ শব্দটির সঙ্গে মানুষের বহু রকম আবেগ-অভিজ্ঞতা জড়িয়ে। রাগ-ক্ষোভ দুঃখ-আহাজারি, ঘৃণা যেমন আছে একদিকে, তেমনি মুদ্রার উল্টো পিঠে গর্ব, ভালোবাসা ও সম্মান ও আছে। পুলিশ জনগণের বন্ধু এই প্রবাদটির প্রতি আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন প্রচিলত পুলিশিং ব্যবস্থার ব্যাপক সংস্কার এবং সব ধরনের দলীয় লেজুড়বৃত্তিমুক্ত জনকল্যাণমুখী একটি স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠানের। যেখানে স্বাধীনভাবে সেবা প্রদানে কোন বাধা, রাজনৈতিক খবরদারি এবং ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহার থাকবে না।

পুলিশের নিয়োগ থেকে শুরু করে যোগদানের ক্ষেত্রে মেধা, যোগ্যতা এবং বিচক্ষণাতাকে অগ্রাধিকার দেয়া। পদক্রম অনুযায়ী (উচ্চপদ থেকে নিম্নপদ পর্যন্ত) সব সদস্যদের ওপর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার জবাবদিহিতা ও তত্ত্বাবধান নিশ্চিত করা। দেশের চাহিদার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে আধুনীকিকরণ ও আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা। পুলিশ সদস্যদের নায্য দাবি (জীবনের নিরাপত্তা, আর্থিক নিরাপত্তা, অবকাশ) নিশ্চিত করা। পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসার সুবিধার্থে বিশ্বমানের আধুনিক মেডিকেল সার্ভিস গঠন করা। অনলাইন জিডি নেয়াকে আরও সহজতর ও বিস্তৃত করা। নৌ পুলিশ থেকে হাইওয়ে পুলিশ সব বিভাগকে সমৃদ্ধশালীভাবে গড়ে তোলা।

পুলিশ সদস্যদের পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নের লক্ষে আলাদা একটি ইনস্টিটিউট স্থাপন করা। পুলিশকে বিশ্বমানের উপযোগী করে গড়ে তুলতে হলে তাদের দক্ষতা, সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য শিক্ষা, প্রশিক্ষণসহ যা যা প্রয়োজন তার ব্যবস্থা করতে হবে। নারী সদস্যদের আনুষঙ্গিক সব ধরনের নিরাপত্তা প্রদানের মাধ্যমে তাদের নিজ কর্মস্থলের প্রতি উৎসাহী রাখা এবং সামাজিকভাবে নারী পুলিশ সদস্যদের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করা।

মনে রাখতে হবে রাষ্ট্রের ব্যর্থতার দায়ভার বাংলাদেশ পুলিশের নয় বরং দায়ভার আমাদের রাজনীতির। একটি স্বচ্ছ পুলিশিং ব্যবস্থাই পারে সমাজ তথা রাষ্ট্রের শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে। সুতরাং পুলিশের উপস্থিতি উপেক্ষা করা যায় না। পুনরায় দেশে স্থিতিশীলতা ফেরাতে পুলিশকেই ভূমিকা নিতে হবে। স্মরণ করতে হবে তাদের অবদানের ইতিহাস-১৯৭১ সালের হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র বাহিনী হিসেবে তাদের আত্মত্যাগের কথা। জাতিসংঘে শান্তি রক্ষা মিশনে তাদের অবদানের কথা। সেই চেতনাকে ধারণ করে দেশের ক্রান্তিলগ্নে সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সহিত অংশগ্রহণের মাধ্যমে ফিরিয়ে আনতে হবে হারানো আস্থা। স্বাধীনতাত্তোর নানা ঘাত প্রতিঘাতের মধ্যে এ বাহিনীটি তাদের কর্তব্য পালন করে আসছে। নৈতিক, মানবিক এবং দেশপ্রেমে উজ্জীবিত পুলিশই জনগণের প্রত্যাশা। জনগণ ও পুলিশের পারস্পরিক সহায়ক অবস্থানই পারে বাংলাদেশকে নতুন দিগন্তের দিকে ধাবিত করতে। ‘পুলিশ হোক জনতার’Ñ এটাই কাম্য।

[লেখক : ব্যাংকার]

ছবি

বায়ুর অপর নাম জীবন

ছবি

হাওরের জীবন ও সংস্কৃতি

বিখণ্ডিত আত্মপরিচয়: তরল সহানুভূতিতে নৈতিক মূলধনের সমাজতত্ত্ব

প্রভাষকের ‘প্রভা’ যখন ‘শোক’: শিক্ষা ক্যাডারে পদোন্নতি বঞ্চনা

যুদ্ধ বিরতি গাজাবাসীর জন্য জরুরি ছিল

লবলং খালের মৃত্যু: স্মৃতিতে নদী, বাস্তবে দূষণ

বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বাধীনতা: অর্থনৈতিক স্থিতির পূর্বশর্ত

হায় যম! আর কতক্ষণ, হবে অপেক্ষা করিতে মোরে?

পোশাক শিল্প : অগ্রগতি ও শ্রমিকের অধিকার

গণভোটের রাজনৈতিক গুরুত্ব

বামঘরানার বাটখারা...

বাগদা ফার্ম : স্মারকলিপি, অবরোধ, অনশন, আন্দোলন- কিছুতেই বরফ গলেনি

ব্যাটারি-শকট: নতুন সংকট

মতপ্রকাশ কিংবা দ্বিমত পোষণ: নাগরিক অধিকার ও রাজনৈতিক বাস্তবতা

সরকারি কর্মচারীদের জন্য নতুন ব্যাংক কি আদৌ প্রয়োজন

ট্রাম্প ও শি’র ‘কৌশলগত শান্তি’

আশার সমাজতত্ত্ব: বিভ্রান্তির যুগে ভবিষ্যৎ নির্মাণের বিপ্লবী বিজ্ঞান

পিএইচডি: উচ্চ শিক্ষার মানদণ্ড না প্রতীকী মরীচিকা?

ডিম নয় তবু অশ্বডিম্ব!

ছবি

অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও নির্বাচন

পিএইচডি: উচ্চ শিক্ষার মানদণ্ড না প্রতীকী মরীচিকা?

প্রকৃতার্থে ফকির কারা

এনসিপি চায় অবিনাশী জুলাই সনদ

পিএইচডি: উচ্চ শিক্ষার মানদণ্ড না প্রতীকী মরীচিকা?

আলুর প্রাচুর্যে কৃষকের সংকট

তাহলে কী ‘কোটা’ই জয়যুক্ত হবে!

ব্যাংকিং খাতে বিষফোঁড়া: বাংলাদেশের অর্থনীতির ধমনী বিষাক্ত হয়ে উঠছে

ছবি

ঢাকার নদী ও খালের দখল-দূষণ: পুনরুদ্ধার কোন পথে

জমি কী মূলে রেকর্ড হয়েছে, দলিল মূলে না উত্তরাধিকার মূলে?

কার্বন-নিরপেক্ষ শিশুর অনুপ্রেরণায় দেশ

এবার আমরা সভ্য হলাম!

সোনার প্রাসাদের দেয়ালে ঘামের দাগ

নিরাপদ সড়ক চাই কিন্তু কার্যকর উদ্যোগ কোথায়?

অবহেলিত শিক্ষার দুর্দশা বাড়ছে

টেকসই উন্নয়নের পূর্বশর্ত নিরাপদ সড়ক

বাংলার সংস্কৃতি কি মূলধারা হারিয়ে ফেলবে?

tab

মতামত » উপ-সম্পাদকীয়

পুলিশের সংস্কার হোক জনগণের কল্যাণে

ফয়সাল বিন লতিফ

মঙ্গলবার, ২৭ আগস্ট ২০২৪

একটা শৃঙ্খল সমাজব্যবস্থার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে পুলিশ বিভাগ। দেশের শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা ও জনগণের অধিকার ভোগে সবচেয়ে সহায়ক ভূমিকায় থাকে দেশের এই গুরুত্বপূর্ণ বাহিনীটি। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে জনকল্যাণ ও জনস্বার্থে নিবেদিত এই প্রতিষ্ঠানটি ধীরে ধীরে মানুষের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়। সমাজ-জনতা ও পুলিশ একে অপরের অবিচ্ছেদ অংশে পরিণত হয়।

কিন্তু এই বিপুল জনসর্মথন থাকা সত্ত্বেও পুলিশ জনগণের আস্থার জায়গাটি ধরে রাখতে পারেনি। এর জন্য দায়ী মূল্যবোধ বিবর্জিত কতিপয় পুলিশ সদস্য। নৈতিকতার অবক্ষয়, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ব্যক্তিস্বার্থ, রাজনীতির অনুপ্রবেশ, লেজুড়বৃত্তিকরণ ও দুর্নীতির মাধ্যমে বিভাগটি তাদের স্বকীয়তা হারায় এবং একই সঙ্গে জনগণের সঙ্গে দূরত্ব বৃদ্ধি পায়। যার চরম পরিণতি পুলিশের প্রতি ক্ষোভ, ঘৃণা, আক্রোশ। দীর্ঘদিন যাবত দলীয় লেজুড়বৃত্তি পুলিশকে সব ধরনের অন্যায় কর্মে সম্পৃক্ত করেছে। মানবাধিকার (গুম, হত্যা) লঙ্ঘনসহ ছোট বড় সব অপকর্মের সঙ্গে পুলিশের সম্পৃক্ততার গুঞ্জন উঠেছে।

সাম্প্রতিক কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ পুলিশকে একটি স্বেচ্ছাচারী বাহিনীতে পরিণত করেছে।

সরকার পতনকে কেন্দ্র করে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিতে কতিপয় স্বার্থন্বেষী গোষ্ঠী দ্বারা চুরি, ছিনতাই, সংখ্যালঘুদের প্রতি আক্রমণের ঘটনায় দেশে পুলিশের অনুপস্থিতি জনগণের সামগ্রিক নিরাপত্তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। এই অবস্থায় সমাজে পুলিশের প্রয়োজনীয়তা তীব্রভাবে অনুভূত হয়।

প্রাচীনকাল থেকেই পুলিশ শব্দটির সঙ্গে মানুষের বহু রকম আবেগ-অভিজ্ঞতা জড়িয়ে। রাগ-ক্ষোভ দুঃখ-আহাজারি, ঘৃণা যেমন আছে একদিকে, তেমনি মুদ্রার উল্টো পিঠে গর্ব, ভালোবাসা ও সম্মান ও আছে। পুলিশ জনগণের বন্ধু এই প্রবাদটির প্রতি আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন প্রচিলত পুলিশিং ব্যবস্থার ব্যাপক সংস্কার এবং সব ধরনের দলীয় লেজুড়বৃত্তিমুক্ত জনকল্যাণমুখী একটি স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠানের। যেখানে স্বাধীনভাবে সেবা প্রদানে কোন বাধা, রাজনৈতিক খবরদারি এবং ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহার থাকবে না।

পুলিশের নিয়োগ থেকে শুরু করে যোগদানের ক্ষেত্রে মেধা, যোগ্যতা এবং বিচক্ষণাতাকে অগ্রাধিকার দেয়া। পদক্রম অনুযায়ী (উচ্চপদ থেকে নিম্নপদ পর্যন্ত) সব সদস্যদের ওপর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার জবাবদিহিতা ও তত্ত্বাবধান নিশ্চিত করা। দেশের চাহিদার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে আধুনীকিকরণ ও আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা। পুলিশ সদস্যদের নায্য দাবি (জীবনের নিরাপত্তা, আর্থিক নিরাপত্তা, অবকাশ) নিশ্চিত করা। পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসার সুবিধার্থে বিশ্বমানের আধুনিক মেডিকেল সার্ভিস গঠন করা। অনলাইন জিডি নেয়াকে আরও সহজতর ও বিস্তৃত করা। নৌ পুলিশ থেকে হাইওয়ে পুলিশ সব বিভাগকে সমৃদ্ধশালীভাবে গড়ে তোলা।

পুলিশ সদস্যদের পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নের লক্ষে আলাদা একটি ইনস্টিটিউট স্থাপন করা। পুলিশকে বিশ্বমানের উপযোগী করে গড়ে তুলতে হলে তাদের দক্ষতা, সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য শিক্ষা, প্রশিক্ষণসহ যা যা প্রয়োজন তার ব্যবস্থা করতে হবে। নারী সদস্যদের আনুষঙ্গিক সব ধরনের নিরাপত্তা প্রদানের মাধ্যমে তাদের নিজ কর্মস্থলের প্রতি উৎসাহী রাখা এবং সামাজিকভাবে নারী পুলিশ সদস্যদের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করা।

মনে রাখতে হবে রাষ্ট্রের ব্যর্থতার দায়ভার বাংলাদেশ পুলিশের নয় বরং দায়ভার আমাদের রাজনীতির। একটি স্বচ্ছ পুলিশিং ব্যবস্থাই পারে সমাজ তথা রাষ্ট্রের শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে। সুতরাং পুলিশের উপস্থিতি উপেক্ষা করা যায় না। পুনরায় দেশে স্থিতিশীলতা ফেরাতে পুলিশকেই ভূমিকা নিতে হবে। স্মরণ করতে হবে তাদের অবদানের ইতিহাস-১৯৭১ সালের হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র বাহিনী হিসেবে তাদের আত্মত্যাগের কথা। জাতিসংঘে শান্তি রক্ষা মিশনে তাদের অবদানের কথা। সেই চেতনাকে ধারণ করে দেশের ক্রান্তিলগ্নে সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সহিত অংশগ্রহণের মাধ্যমে ফিরিয়ে আনতে হবে হারানো আস্থা। স্বাধীনতাত্তোর নানা ঘাত প্রতিঘাতের মধ্যে এ বাহিনীটি তাদের কর্তব্য পালন করে আসছে। নৈতিক, মানবিক এবং দেশপ্রেমে উজ্জীবিত পুলিশই জনগণের প্রত্যাশা। জনগণ ও পুলিশের পারস্পরিক সহায়ক অবস্থানই পারে বাংলাদেশকে নতুন দিগন্তের দিকে ধাবিত করতে। ‘পুলিশ হোক জনতার’Ñ এটাই কাম্য।

[লেখক : ব্যাংকার]

back to top