alt

উপ-সম্পাদকীয়

বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতির দুর্বলতা

দেলোয়ার জাহিদ

: মঙ্গলবার, ০১ অক্টোবর ২০২৪

বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতি দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার সম্ভাবনা থাকলেও বর্তমানে এটি একাধিক দুর্বলতার সম্মুখীন হচ্ছে। এসব দুর্বলতা ছাত্র রাজনীতির কার্যকারিতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা সংকুচিত করছে। ভারত ও কানাডার ছাত্র রাজনীতির অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে বাংলাদেশ এমন কিছু সংস্কার বাস্তবায়ন করতে পারে, যা স্বায়ত্তশাসন, অন্তর্ভুক্তি এবং একাডেমিক বিষয়গুলিতে মনোযোগ দিতে সহায়তা করবে। সংলাপের ওপর জোর দেওয়া এবং রাজনৈতিক কারসাজি কমানো বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতিকে আরও শক্তিশালী ও কার্যকর করার পথে পদক্ষেপ নিতে পারে।

রাজনৈতিক কারসাজি : বাংলাদেশের ছাত্র সংগঠনগুলো প্রায়শই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জড়িত থাকে। এই সারিবদ্ধতা তাদের স্বায়ত্তশাসনকে ক্ষুণœ করে এবং প্রকৃত ছাত্রদের স্বার্থের প্রতি তাদের সমর্থনকে দুর্বল করে। ফলে ছাত্র নেতাদের দলের প্রভাবশালী নেতাদের প্রক্সি হিসেবে দেখা হয়, যা তাদের কার্যকারিতা হ্রাস করে।

সহিংসতা ও ভীতি প্রদর্শন : রাজনৈতিক আবহাওয়ার কারণে ছাত্র রাজনীতিতে সহিংসতা প্রকট। প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে শারীরিক সংঘর্ষের ফলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণে নিরুৎসাহিত হয়। এভাবে একটি ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি হয়, যা গঠনমূলক সংলাপকে বাধাগ্রস্ত করে।

অন্তর্ভুক্তির অভাব : বাংলাদেশে ছাত্র রাজনীতি সাধারণত নারী, সংখ্যালঘু এবং নিম্ন অর্থনৈতিক পটভূমির ছাত্রদের বাদ দেয়। কিছু প্রতিষ্ঠিত গোষ্ঠীর আধিপত্য বৈচিত্র্যকে সীমিত করে এবং ছাত্রদের স্বার্থের সংকীর্ণ প্রতিনিধিত্বের দিকে ঠেলে দেয়।

দুর্নীতি ও পৃষ্ঠপোষকতা : ছাত্র সংগঠনগুলোতে দুর্নীতি ব্যাপক, যেখানে পদগুলো প্রায়শই যোগ্যতার ভিত্তিতে নয় বরং স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে অর্জিত হয়। এতে ছাত্র নেতাদের বিশ্বাসযোগ্যতা ক্ষুণœ হয় এবং ছাত্র শাসনের প্রতি আস্থা নষ্ট হয়।

একাডেমিক বিষয়গুলোর প্রতি সীমিত ফোকাস : অনেক ছাত্র সংগঠন রাজনৈতিক এজেন্ডাকে অগ্রাধিকার দেয়, যা শিক্ষার মান, মানসিক স্বাস্থ্য ও অবকাঠামোগত সমস্যা মোকাবেলার ক্ষেত্রে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়।

ভারত ও কানাডার সঙ্গে তুলনামূলক বিশ্লেষণ

ভারত : ভারতেও ছাত্র রাজনীতি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জড়িত, কিন্তু এখানে আদর্শগত বৈচিত্র্য বেশি। বিভিন্ন দল ও আন্দোলন ক্যাম্পাসে প্রতিনিধিত্ব করে, ফলে ছাত্র নির্বাচনে গণতান্ত্রিক অংশগ্রহণের সংস্কৃতি বিকশিত হয়। তবে ভারতীয় ছাত্র রাজনীতিও সহিংসতা ও রাজনৈতিক ক্যাম্পাসের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। তবুও ন্যাশনাল সার্ভিস স্কিমের মতো উদ্যোগগুলো ছাত্রদের সামাজিক সমস্যায় সম্পৃক্ত হতে সহায়তা করে।

কানাডা : কানাডায় ছাত্র রাজনীতি সাধারণত বেশি সংগঠিত এবং সহিংসতা কম। এখানে স্বাধীন ছাত্র সরকার রয়েছে, যা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পর্কিত নয় এবং মূলত অ্যাডভোকেসি ও কল্যাণের ওপর ফোকাস করে। এই স্বাধীনতা একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিবেশ তৈরিতে সহায়তা করে, যেখানে বিভিন্ন কণ্ঠস্বর শোনা যায়। কানাডিয়ান ছাত্র সংগঠনগুলো মানসিক স্বাস্থ্য, শিক্ষাগত সংস্কার ও অন্তর্ভুক্তিকে অগ্রাধিকার দেয়।

সংস্কারের প্রস্তাব

রাজনৈতিক দলগুলো থেকে বিচ্ছিন্নতা : ছাত্র সংগঠনগুলোকে রাজনৈতিক দলের সংশ্লিষ্টতা থেকে নিজেদের আলাদা করতে হবে। এর মাধ্যমে স্বাধীন ছাত্র নেতৃত্ব ও প্রকৃত ছাত্রদের কল্যাণকে অগ্রাধিকার দেওয়া সম্ভব হবে।

অন্তর্ভুক্তির প্রচার : সংস্কারগুলোকে অন্তর্ভুক্তিকরণের ওপর জোর দিতে হবে, যাতে সব ছাত্রের কণ্ঠস্বর, বিশেষ করে প্রান্তিক পটভূমির, প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা যায়। বিভিন্ন ছাত্র প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে উপদেষ্টা বোর্ড গঠন করা যেতে পাে

প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো শক্তিশালীকরণ : ছাত্র শাসনের জন্য একটি শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গড়ে তোলা উচিত, যা স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার ওপর জোর দেবে। নিয়মিত অডিট এবং স্বচ্ছ নির্বাচন ছাত্র সংগঠনের প্রতি আস্থা বৃদ্ধি করবে।

একাডেমিক বিষয়গুলোর প্রতি মনোযোগ বৃদ্ধি : ছাত্র সংগঠনগুলোকে একাডেমিক মান, মানসিক স্বাস্থ্য ও অন্যান্য সমস্যা সমাধানের জন্য নিবেদিত কমিটি গঠন করতে হবে। অনুষদ ও প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা এই ফোকাস বাড়াতে সহায়তা করবে।

সংলাপ ও দ্বন্দ্ব সমাধানের সুবিধা : বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের মধ্যে সংলাপের জন্য প্ল্যাটফর্ম স্থাপন করা হলে সহিংসতা হ্রাস পাবে এবং বোঝাপড়ার সংস্কৃতি বিকশিত হবে। মধ্যস্থতার উদ্যোগ বন্ধুত্বপূর্ণভাবে দ্বন্দ্ব সমাধানে সহায়তা করবে।

বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতি শক্তিশালী ও কার্যকর হওয়ার জন্য এখন সময় এসেছে। ভারত ও কানাডার অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে, বাংলাদেশ একটি নতুন দিগন্তের দিকে এগিয়ে যেতে পারেÑ যেখানে ছাত্ররা তাদের স্বার্থে সত্যিকার অর্থে কাজ করতে সক্ষম হবে। সংস্কারগুলো কার্যকর হলে ছাত্র রাজনীতি একটি ইতিবাচক পরিবর্তনের মাধ্যম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে।

[লেখক : সভাপতি, বাংলাদেশ নর্থ মার্কিন জার্নালিস্টস নেটওয়ার্ক]

অতীত থেকে মুক্তি এবং ইতিবাচক জীবনযাপন

মুক্তি সংগ্রামে তিনটি ধারা

বাসযোগ্যতার সূচকে ঢাকা কেন পিছিয়ে

শুধু নিচেই নামছে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর

উপেক্ষিত আটকে পড়া পাকিস্তানিরা

রম্যগদ্য : সিন্দাবাদের বুড়ো ও আমরা

নেই কেনো সেই পাখি

বায়ুদূষণ থেকে মুক্তি কোন পথে

পরিবারতত্ত্ব ও পরিবারতন্ত্র : রাষ্ট্র সংস্কারের দুর্গম পথ

পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্র

বিজয়ের প্রেরণা

মুক্তিযুদ্ধের উত্তরাধিকার পুনর্বীক্ষণ

সিদরাত জেবিনের মৃত্যু অথবা প্রশ্নহীন বায়ুদূষণ

বিজয়ের গৌরব ও সম্ভাবনাময় তরুণ সমাজ

ছবি

মুক্তিযুদ্ধে বিদেশি বন্ধুদের অবদান

ছবি

বিজয় সংগ্রামের সূচনার সন্ধানে

মানসম্মত কনটেন্ট ও টিআরপির দ্বৈরথ

জিকা ভাইরাস রোধে প্রয়োজন সচেতনতা

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক

স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট সেবার গুরুত্ব

ঢাকার বাতাস বিষাক্ত কেন

চরের কৃষি ও কৃষকের জীবন

নিম্ন আয়ের মানুষ ভালো নাই

সবার আগে নিজেকে পরিবর্তন করা দরকার

পুলিশ কবে পুলিশ হবে

জীবন ফিরে আসুক বাংলার নদীগুলোতে

কান্দন সরেন হত্যা ও ভূমি বিরোধ কি এড়ানো যেত না

পরিবারতত্ত্ব ও পরিবারতন্ত্র: রাষ্ট্র বিনির্মাণে সমস্যা কোথায়?

মানবাধিকার দিবস : মানুষের অধিকার নিয়ে কেন এত কথা?

আমলাতান্ত্রিক স্বচ্ছতা : সংস্কারের পথে নাকি পুনরাবৃত্তি?

খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে কিছু কথা

ছবি

বেগম রোকেয়া : নারী জাগরণের অগ্রদূত

দুর্নীতির সর্বগ্রাসী বিস্তার বন্ধ করতে হবে

মা তোর বদনখানি মলিন হলে

ব্যবসায়ী নেতৃত্বশূন্য ই-ক্যাব

মূল্যস্ফীতির হিসাব নির্ণয়ে নতুন পদ্ধতির প্রাসঙ্গিকতা

tab

উপ-সম্পাদকীয়

বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতির দুর্বলতা

দেলোয়ার জাহিদ

মঙ্গলবার, ০১ অক্টোবর ২০২৪

বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতি দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার সম্ভাবনা থাকলেও বর্তমানে এটি একাধিক দুর্বলতার সম্মুখীন হচ্ছে। এসব দুর্বলতা ছাত্র রাজনীতির কার্যকারিতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা সংকুচিত করছে। ভারত ও কানাডার ছাত্র রাজনীতির অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে বাংলাদেশ এমন কিছু সংস্কার বাস্তবায়ন করতে পারে, যা স্বায়ত্তশাসন, অন্তর্ভুক্তি এবং একাডেমিক বিষয়গুলিতে মনোযোগ দিতে সহায়তা করবে। সংলাপের ওপর জোর দেওয়া এবং রাজনৈতিক কারসাজি কমানো বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতিকে আরও শক্তিশালী ও কার্যকর করার পথে পদক্ষেপ নিতে পারে।

রাজনৈতিক কারসাজি : বাংলাদেশের ছাত্র সংগঠনগুলো প্রায়শই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জড়িত থাকে। এই সারিবদ্ধতা তাদের স্বায়ত্তশাসনকে ক্ষুণœ করে এবং প্রকৃত ছাত্রদের স্বার্থের প্রতি তাদের সমর্থনকে দুর্বল করে। ফলে ছাত্র নেতাদের দলের প্রভাবশালী নেতাদের প্রক্সি হিসেবে দেখা হয়, যা তাদের কার্যকারিতা হ্রাস করে।

সহিংসতা ও ভীতি প্রদর্শন : রাজনৈতিক আবহাওয়ার কারণে ছাত্র রাজনীতিতে সহিংসতা প্রকট। প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে শারীরিক সংঘর্ষের ফলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণে নিরুৎসাহিত হয়। এভাবে একটি ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি হয়, যা গঠনমূলক সংলাপকে বাধাগ্রস্ত করে।

অন্তর্ভুক্তির অভাব : বাংলাদেশে ছাত্র রাজনীতি সাধারণত নারী, সংখ্যালঘু এবং নিম্ন অর্থনৈতিক পটভূমির ছাত্রদের বাদ দেয়। কিছু প্রতিষ্ঠিত গোষ্ঠীর আধিপত্য বৈচিত্র্যকে সীমিত করে এবং ছাত্রদের স্বার্থের সংকীর্ণ প্রতিনিধিত্বের দিকে ঠেলে দেয়।

দুর্নীতি ও পৃষ্ঠপোষকতা : ছাত্র সংগঠনগুলোতে দুর্নীতি ব্যাপক, যেখানে পদগুলো প্রায়শই যোগ্যতার ভিত্তিতে নয় বরং স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে অর্জিত হয়। এতে ছাত্র নেতাদের বিশ্বাসযোগ্যতা ক্ষুণœ হয় এবং ছাত্র শাসনের প্রতি আস্থা নষ্ট হয়।

একাডেমিক বিষয়গুলোর প্রতি সীমিত ফোকাস : অনেক ছাত্র সংগঠন রাজনৈতিক এজেন্ডাকে অগ্রাধিকার দেয়, যা শিক্ষার মান, মানসিক স্বাস্থ্য ও অবকাঠামোগত সমস্যা মোকাবেলার ক্ষেত্রে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়।

ভারত ও কানাডার সঙ্গে তুলনামূলক বিশ্লেষণ

ভারত : ভারতেও ছাত্র রাজনীতি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জড়িত, কিন্তু এখানে আদর্শগত বৈচিত্র্য বেশি। বিভিন্ন দল ও আন্দোলন ক্যাম্পাসে প্রতিনিধিত্ব করে, ফলে ছাত্র নির্বাচনে গণতান্ত্রিক অংশগ্রহণের সংস্কৃতি বিকশিত হয়। তবে ভারতীয় ছাত্র রাজনীতিও সহিংসতা ও রাজনৈতিক ক্যাম্পাসের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। তবুও ন্যাশনাল সার্ভিস স্কিমের মতো উদ্যোগগুলো ছাত্রদের সামাজিক সমস্যায় সম্পৃক্ত হতে সহায়তা করে।

কানাডা : কানাডায় ছাত্র রাজনীতি সাধারণত বেশি সংগঠিত এবং সহিংসতা কম। এখানে স্বাধীন ছাত্র সরকার রয়েছে, যা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পর্কিত নয় এবং মূলত অ্যাডভোকেসি ও কল্যাণের ওপর ফোকাস করে। এই স্বাধীনতা একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিবেশ তৈরিতে সহায়তা করে, যেখানে বিভিন্ন কণ্ঠস্বর শোনা যায়। কানাডিয়ান ছাত্র সংগঠনগুলো মানসিক স্বাস্থ্য, শিক্ষাগত সংস্কার ও অন্তর্ভুক্তিকে অগ্রাধিকার দেয়।

সংস্কারের প্রস্তাব

রাজনৈতিক দলগুলো থেকে বিচ্ছিন্নতা : ছাত্র সংগঠনগুলোকে রাজনৈতিক দলের সংশ্লিষ্টতা থেকে নিজেদের আলাদা করতে হবে। এর মাধ্যমে স্বাধীন ছাত্র নেতৃত্ব ও প্রকৃত ছাত্রদের কল্যাণকে অগ্রাধিকার দেওয়া সম্ভব হবে।

অন্তর্ভুক্তির প্রচার : সংস্কারগুলোকে অন্তর্ভুক্তিকরণের ওপর জোর দিতে হবে, যাতে সব ছাত্রের কণ্ঠস্বর, বিশেষ করে প্রান্তিক পটভূমির, প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা যায়। বিভিন্ন ছাত্র প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে উপদেষ্টা বোর্ড গঠন করা যেতে পাে

প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো শক্তিশালীকরণ : ছাত্র শাসনের জন্য একটি শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গড়ে তোলা উচিত, যা স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার ওপর জোর দেবে। নিয়মিত অডিট এবং স্বচ্ছ নির্বাচন ছাত্র সংগঠনের প্রতি আস্থা বৃদ্ধি করবে।

একাডেমিক বিষয়গুলোর প্রতি মনোযোগ বৃদ্ধি : ছাত্র সংগঠনগুলোকে একাডেমিক মান, মানসিক স্বাস্থ্য ও অন্যান্য সমস্যা সমাধানের জন্য নিবেদিত কমিটি গঠন করতে হবে। অনুষদ ও প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা এই ফোকাস বাড়াতে সহায়তা করবে।

সংলাপ ও দ্বন্দ্ব সমাধানের সুবিধা : বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের মধ্যে সংলাপের জন্য প্ল্যাটফর্ম স্থাপন করা হলে সহিংসতা হ্রাস পাবে এবং বোঝাপড়ার সংস্কৃতি বিকশিত হবে। মধ্যস্থতার উদ্যোগ বন্ধুত্বপূর্ণভাবে দ্বন্দ্ব সমাধানে সহায়তা করবে।

বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতি শক্তিশালী ও কার্যকর হওয়ার জন্য এখন সময় এসেছে। ভারত ও কানাডার অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে, বাংলাদেশ একটি নতুন দিগন্তের দিকে এগিয়ে যেতে পারেÑ যেখানে ছাত্ররা তাদের স্বার্থে সত্যিকার অর্থে কাজ করতে সক্ষম হবে। সংস্কারগুলো কার্যকর হলে ছাত্র রাজনীতি একটি ইতিবাচক পরিবর্তনের মাধ্যম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে।

[লেখক : সভাপতি, বাংলাদেশ নর্থ মার্কিন জার্নালিস্টস নেটওয়ার্ক]

back to top