alt

উপ-সম্পাদকীয়

রঙ্গব্যঙ্গ : ভুল সবই ভুল

জাঁ-নেসার ওসমান

: শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

কী ভাই সক্কাল বেলায় ‘অতল জলের আহ্বান’ সিনেমার গৌরীপ্রসন্ন মজুমদারের লেখা গান গাইতাছেন, ‘ভুল সবই ভুল/এই জীবনের পাতায় পাতায় যা লেখা সে ভুল...’।

আরে বাবা আমি তোর ‘অতল জলের আহ্বান’ সিনেমার গৌরীপ্রসন্ন মজুমদারের লেখা গান ভুল সবই ভুল, গান গাইছিনারে। আমি শুধু বলছিলাম, তোরা ক’দিন পর পর এক একটা কা- ঘটাস, আর দুদিন পরই বলিস মনে হয় কাজটা ঠিক হয় নাই, কাজটা ভুল হয়েছে! তাই বলছিলাম, ভুল সবই ভুল।

এইডা আবার কী কন, আমরা ক’দিন পর পর এক একটা কা- ঘটাই আর বলি ভুল হয়েছে? কোন কাজটা করে আমরা পরে বলেছি ভ্রম হয়েছে মানে ভুল হয়েছে?

কেন রে মনু তুমি কি ভুলিয়া গিয়াছো, ১৯৪৭ সালে বলিলে, ব্রিটিশ খেদাও আমরা ভালো থাকিব। আবার বলিলে হিন্দু মুছুলমান আলাদা রাষ্ট্র করিয়া দাও, ভলো থাকিব। তার কদিন পর বলিলি, বর্তমানের চেয়ে, ব্রিটিশ আমলটাই ভালোছিল। কিন্তু দ্বি-জাতি তত্ত্ব যে ভুল ছিল, ধর্মের দোহাই দিয়ে রাষ্ট্র গড়লে হিন্দুস্থান-পাকিস্তান তা টেকে না সে তো বাংলাদেশ জন্মেই প্রমাণ করিল যে, ধর্ম-টর্ম দিয়া দেশ চলে না, দেশ চলে মেহনতি মানুষের মুক্তির সনদে। ওই সব বুর্জুয়াদের নোংরা ব্যবসায়ীদের ফায়দা লোটার কারসাজি বেশি দিন টিকে না। তাহলে মনু তুমি কী কবা, এই যে পাঁচ-ই আগস্টের স্বৈরশাসনের অবসানের নব্বই দিন পার হইছে কী হয়নাই, এর মধ্যেই তোর আম-জনতা বলতে শুরু করেছে, ব্রিটিশরাই ভলোছিল।

তাহলে আপনি কী বলবেন, স্বৈরশাসকরাই ভালোছিল।

নারে গর্দভ, তোর ওই স্বৈরশাসকরাও ভুল করেছিল। তোর মনে নাই কর্টুন আঁকার জন্য তুই ছেলেটির কানচাপাতিতে থাপ্পড় মেরে মেরে ফেললি। আরে ভাই তোর দেশের ছেলে বাঙালি, তুই বাঙালি হয়ে বাঙালি নিধন করবি? যেমন কর্ম করেছিস তেমনি ফলও পেয়েছিস।

তাহলে বর্তমানের জেন-জি কি ভুল করছে?

ভুল না-তো কী, এক তরুণ ছাত্রী তো বলেই দিলেন, আমার মুখ খোলায়েন না। আমি মুখ খুললে সমন্বয়কারীদের তলা থাকবে না। সব ফুটা দেখা যাবে। উপর দিয়ে ফিটফাট ভিতর দিয়া সদরঘাট। আর এক ছাত্রী তো বলেই ফেললেন, মনে হয় এই আন্দোলন করে ভুলই করেছি। তাই আমি ওদের কথার প্রতিধ্বনি করে বলছিলাম, ভুল সবই ভুল।

কিন্তু আমি বলছিলাম কী, গৌরীপ্রসন্ন মজুমদারের লেখা গানের কথা বাদ দিয়ে আসলে কী করবেন, সেটা ভাবেন, এই যে সুযোগটা পেয়েছেন, দেশটাকে নতুন করে গড়ার, এই সুযোগটা নষ্ট করবেন?

আমি কী করব বল, বর্তমানে জনগণ কোনো প্রকার নিপীড়নে ভয় পাচ্ছে না। তুই দেখলি না, স্বৈরশাসকের পুলিশ বলছে, ‘স্যার গুল্লি মারি, একটা পড়ে একটা বাকিগুলি সরে না, খাড়ায়া থাকে’ তার মানে কী?

বলেন তার মানে কী?

তার মানে মানুষ এখন অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে যেয়ে গুলি খেয়েও পিছপা হয় না। ভাবতে পারিস কত বড় বুকের পাঁজর, এই প্রজন্ম গুলিকেও ভয় করে না। তাহলে এই সব অকুতভয় তরুণদের. তুই দেশ গড়ার কাজে নিয়োজিত করবি না! এই যে দ্যেখ, তোদের সম্বনয়ক টকশোতে সরাসরি বলল, যে পুলিশদের যদি পুড়িয়ে না মারতাম, মেট্রোরেল যদি না পোড়াতাম, বিআরটিএ ভবনে যদি আগুন না দিতাম, তাহলে সংগ্রাম হয়তো আরও দীর্ঘায়িত হতো। স্বৈরশাসকের পতনের পর পুলিশ নাই, তখন এই ছাত্র-জনতাই ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব সুচারু রূপে সম্পন্ন করেছে। চোখের সামনে জেন-জি, দেখিয়ে দিল ঘুষঘাস না খেয়েও, উৎকোচ গ্রহণ না করেও, প্রখর তপন-তাপে, সাফল্যের সঙ্গে ট্রাফিক কন্ট্রোল করা যায়। আবার যেই ছাত্ররা লেখাপড়ায় ফিরে গেল, ব্যাস শুরু হয়ে গেল চিরাচরিত ঢাকার ট্র্যাফিক জ্যাম! যেমন কী তেমন অবস্থা।

কিন্তু সবাই যদি একসঙ্গে কাজনা করে তাহলে আপনি কীভাবে দেশটাকে সুচারু রূপে পরিচালনা করবেন?

আমি কী কবা তোদের নামাজ পড়ার পবিত্রতম স্থান বায়তুল মোকাররামের মসজিদের ভেতরে মারামারি করলি ক্যান? এ কোন ইসলামী শিক্ষা! মুসলমান মুসলমান ভাই ভাই, কোথায়। দ্যেখ আমার আব্বা ছিলেন মাদ্রাসার ছাত্র, আমি ঢাকা-বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামের ইতিহাস পড়েছি, সেই ইসলামের জাগরণ আজ কোথায়? এই ফরিয়াদ আমি কার কাছে জানাব। বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব, সিরাজ-উদদৌলার মতো আমারও বলতে ইচ্ছা করে ‘বাংলার ভাগ্যাকাশে আজ দুর্যোগের ঘনঘটা। তার শ্যামল প্রান্তরে আজ রক্তের আলপনা, জাতির সূর্য আজ অস্তাচলগামী, কে তাকে আশা দেবে, কে তাকে ভরসা দেবে, কে শোনাবে জাগরণের সেই অভয় বানী, হে জন্মভূমি মা-তোমার এ-মাটির বুকে যতদিন একটি মানুষের দেহেও সততা থাকবে, দেশ মাতৃকার প্রতি ভালোবাসা থাকবে, ততদিন আমাদের দেশ গড়ার এই সংগ্রাম চলবেই চলবে...’

কিন্তু দেশ গড়ার সংগ্রাম তো পয়সা দেখলেই মানুষ ভুইল্লা যায়, খালি ট্যাকা কামানোর জন্য এরা জিব্লা বাইর কইরা লোল ঝরায়...

না না ভাই, তা বললে তো হবে না, কারণ সব সময় মনে রাখবি সমাজে কিছু লোক থাকবেই যাকে, মহাজনের পুঁজি কিনতে পারবে না...

ঠিক আছে যেদিন আপনেরা লোভ-লালসার ঊর্ধ্বে উঠতে পারবেন সেই দিন আমারে ডাইকেন আমিও আপনের সঙ্গে দেশ গড়ার কাজে হাত মিলামুনে, এখন যাই ‘অতল জলের আহ্বান’ সিনেমার গান ‘ভুল সবই ভুল/এই জীবনের পাতায় পাতায় যা লেখা সে ভুল...’ গাইতে গাইতে বাড়িত যাই। বাইইইইইই গুড বাইইইইইইই।

[লেখক : চলচ্চিত্রকার]

নবজাগরণ : সত্যিই কি জাতি জেগেছে?

গ্রামভিত্তিক কর্মসংস্থানে জোর দিতে হবে

ছবি

কে যাস রে ভাটির গাঙ বাইয়া

লটারিতে ভর্তি : কবে দূর হবে সরকারি স্কুলগুলোর ‘করোনা মহামারী’?

ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য নীতি খুব একটা পরিবর্তন হবে কি

অবমূল্যায়ন, মুদ্রাস্ফীতি, মূল্যস্ফীতি এবং প্রাসঙ্গিক কিছু চিন্তা

মুজিব কি কেবলই ছবি

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে কঠোর নজরদারি প্রয়োজন

আধিপত্যের রাজনীতি আর ঢালাও মামলা

বিচারের আগে মিডিয়া ট্রায়াল

ছবি

ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন-মধ্যপ্রাচ্য সম্পর্ক

শাসনব্যবস্থার যে সংস্কার না করলেই নয়

প্রকৃতির বৈরী আচরণ এবং আমাদের প্রস্তুতি

নবান্ন এবং বিশেষ কিছু ধানের কথা

নিজের পায়ে দাঁড়াও

দলীয় লেজুড়বৃত্তির ছাত্ররাজনীতি বন্ধে করণীয় কী

লালন ফকির : শোষিত-বঞ্চিত মানুষের কণ্ঠস্বর

বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস

ঘরছাড়া করা হয়েছে মুংলু বেসরাকে, দেশে কী তিনি থাকতে পারবেন?

ছবি

জলবায়ু সম্মেলনে সমাধানের আলো দেখতে চাই

ফার্মাসিউটিক্যাল প্যাকেজিংয়ে গ্লাস ব্যবহারের সুবিধা

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে চাই সচেতনতা

হৃদয়ে বাংলাদেশ

এত রক্ত এত অশ্রু, তাও কি স্বর্গ হবে না কেনা!

নদ-নদী দূষণমুক্ত রাখতে হবে

বিব্রত হই, বিব্রত নই

ছবি

ট্রাম্পের বিজয় ও কিছু প্রশ্ন

পোশাক শিল্পের সংকট

রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করা নিয়ে কিছু কথা

ছবি

বিশ্বব্যবস্থায় কী পরিবর্তন আনবেন ডনাল্ড ট্রাম্প?

ফুসফুসের ক্যান্সার ও জনসচেতনতা

বেলাই বিল : জীববৈচিত্র্যের এক আধার

ছাত্র রাজনীতি ও দলীয় লেজুড়বৃত্তি : কোন পথে হাঁটবে শিক্ষার্থীরা?

রাজনৈতিক সংস্কৃতির সংস্কার জরুরি

নদী কখনো একা মরে না

রম্যগদ্য : দারিদ্র্য নয়, শিল্পকলা জাদুঘরে...

tab

উপ-সম্পাদকীয়

রঙ্গব্যঙ্গ : ভুল সবই ভুল

জাঁ-নেসার ওসমান

শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

কী ভাই সক্কাল বেলায় ‘অতল জলের আহ্বান’ সিনেমার গৌরীপ্রসন্ন মজুমদারের লেখা গান গাইতাছেন, ‘ভুল সবই ভুল/এই জীবনের পাতায় পাতায় যা লেখা সে ভুল...’।

আরে বাবা আমি তোর ‘অতল জলের আহ্বান’ সিনেমার গৌরীপ্রসন্ন মজুমদারের লেখা গান ভুল সবই ভুল, গান গাইছিনারে। আমি শুধু বলছিলাম, তোরা ক’দিন পর পর এক একটা কা- ঘটাস, আর দুদিন পরই বলিস মনে হয় কাজটা ঠিক হয় নাই, কাজটা ভুল হয়েছে! তাই বলছিলাম, ভুল সবই ভুল।

এইডা আবার কী কন, আমরা ক’দিন পর পর এক একটা কা- ঘটাই আর বলি ভুল হয়েছে? কোন কাজটা করে আমরা পরে বলেছি ভ্রম হয়েছে মানে ভুল হয়েছে?

কেন রে মনু তুমি কি ভুলিয়া গিয়াছো, ১৯৪৭ সালে বলিলে, ব্রিটিশ খেদাও আমরা ভালো থাকিব। আবার বলিলে হিন্দু মুছুলমান আলাদা রাষ্ট্র করিয়া দাও, ভলো থাকিব। তার কদিন পর বলিলি, বর্তমানের চেয়ে, ব্রিটিশ আমলটাই ভালোছিল। কিন্তু দ্বি-জাতি তত্ত্ব যে ভুল ছিল, ধর্মের দোহাই দিয়ে রাষ্ট্র গড়লে হিন্দুস্থান-পাকিস্তান তা টেকে না সে তো বাংলাদেশ জন্মেই প্রমাণ করিল যে, ধর্ম-টর্ম দিয়া দেশ চলে না, দেশ চলে মেহনতি মানুষের মুক্তির সনদে। ওই সব বুর্জুয়াদের নোংরা ব্যবসায়ীদের ফায়দা লোটার কারসাজি বেশি দিন টিকে না। তাহলে মনু তুমি কী কবা, এই যে পাঁচ-ই আগস্টের স্বৈরশাসনের অবসানের নব্বই দিন পার হইছে কী হয়নাই, এর মধ্যেই তোর আম-জনতা বলতে শুরু করেছে, ব্রিটিশরাই ভলোছিল।

তাহলে আপনি কী বলবেন, স্বৈরশাসকরাই ভালোছিল।

নারে গর্দভ, তোর ওই স্বৈরশাসকরাও ভুল করেছিল। তোর মনে নাই কর্টুন আঁকার জন্য তুই ছেলেটির কানচাপাতিতে থাপ্পড় মেরে মেরে ফেললি। আরে ভাই তোর দেশের ছেলে বাঙালি, তুই বাঙালি হয়ে বাঙালি নিধন করবি? যেমন কর্ম করেছিস তেমনি ফলও পেয়েছিস।

তাহলে বর্তমানের জেন-জি কি ভুল করছে?

ভুল না-তো কী, এক তরুণ ছাত্রী তো বলেই দিলেন, আমার মুখ খোলায়েন না। আমি মুখ খুললে সমন্বয়কারীদের তলা থাকবে না। সব ফুটা দেখা যাবে। উপর দিয়ে ফিটফাট ভিতর দিয়া সদরঘাট। আর এক ছাত্রী তো বলেই ফেললেন, মনে হয় এই আন্দোলন করে ভুলই করেছি। তাই আমি ওদের কথার প্রতিধ্বনি করে বলছিলাম, ভুল সবই ভুল।

কিন্তু আমি বলছিলাম কী, গৌরীপ্রসন্ন মজুমদারের লেখা গানের কথা বাদ দিয়ে আসলে কী করবেন, সেটা ভাবেন, এই যে সুযোগটা পেয়েছেন, দেশটাকে নতুন করে গড়ার, এই সুযোগটা নষ্ট করবেন?

আমি কী করব বল, বর্তমানে জনগণ কোনো প্রকার নিপীড়নে ভয় পাচ্ছে না। তুই দেখলি না, স্বৈরশাসকের পুলিশ বলছে, ‘স্যার গুল্লি মারি, একটা পড়ে একটা বাকিগুলি সরে না, খাড়ায়া থাকে’ তার মানে কী?

বলেন তার মানে কী?

তার মানে মানুষ এখন অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে যেয়ে গুলি খেয়েও পিছপা হয় না। ভাবতে পারিস কত বড় বুকের পাঁজর, এই প্রজন্ম গুলিকেও ভয় করে না। তাহলে এই সব অকুতভয় তরুণদের. তুই দেশ গড়ার কাজে নিয়োজিত করবি না! এই যে দ্যেখ, তোদের সম্বনয়ক টকশোতে সরাসরি বলল, যে পুলিশদের যদি পুড়িয়ে না মারতাম, মেট্রোরেল যদি না পোড়াতাম, বিআরটিএ ভবনে যদি আগুন না দিতাম, তাহলে সংগ্রাম হয়তো আরও দীর্ঘায়িত হতো। স্বৈরশাসকের পতনের পর পুলিশ নাই, তখন এই ছাত্র-জনতাই ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব সুচারু রূপে সম্পন্ন করেছে। চোখের সামনে জেন-জি, দেখিয়ে দিল ঘুষঘাস না খেয়েও, উৎকোচ গ্রহণ না করেও, প্রখর তপন-তাপে, সাফল্যের সঙ্গে ট্রাফিক কন্ট্রোল করা যায়। আবার যেই ছাত্ররা লেখাপড়ায় ফিরে গেল, ব্যাস শুরু হয়ে গেল চিরাচরিত ঢাকার ট্র্যাফিক জ্যাম! যেমন কী তেমন অবস্থা।

কিন্তু সবাই যদি একসঙ্গে কাজনা করে তাহলে আপনি কীভাবে দেশটাকে সুচারু রূপে পরিচালনা করবেন?

আমি কী কবা তোদের নামাজ পড়ার পবিত্রতম স্থান বায়তুল মোকাররামের মসজিদের ভেতরে মারামারি করলি ক্যান? এ কোন ইসলামী শিক্ষা! মুসলমান মুসলমান ভাই ভাই, কোথায়। দ্যেখ আমার আব্বা ছিলেন মাদ্রাসার ছাত্র, আমি ঢাকা-বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামের ইতিহাস পড়েছি, সেই ইসলামের জাগরণ আজ কোথায়? এই ফরিয়াদ আমি কার কাছে জানাব। বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব, সিরাজ-উদদৌলার মতো আমারও বলতে ইচ্ছা করে ‘বাংলার ভাগ্যাকাশে আজ দুর্যোগের ঘনঘটা। তার শ্যামল প্রান্তরে আজ রক্তের আলপনা, জাতির সূর্য আজ অস্তাচলগামী, কে তাকে আশা দেবে, কে তাকে ভরসা দেবে, কে শোনাবে জাগরণের সেই অভয় বানী, হে জন্মভূমি মা-তোমার এ-মাটির বুকে যতদিন একটি মানুষের দেহেও সততা থাকবে, দেশ মাতৃকার প্রতি ভালোবাসা থাকবে, ততদিন আমাদের দেশ গড়ার এই সংগ্রাম চলবেই চলবে...’

কিন্তু দেশ গড়ার সংগ্রাম তো পয়সা দেখলেই মানুষ ভুইল্লা যায়, খালি ট্যাকা কামানোর জন্য এরা জিব্লা বাইর কইরা লোল ঝরায়...

না না ভাই, তা বললে তো হবে না, কারণ সব সময় মনে রাখবি সমাজে কিছু লোক থাকবেই যাকে, মহাজনের পুঁজি কিনতে পারবে না...

ঠিক আছে যেদিন আপনেরা লোভ-লালসার ঊর্ধ্বে উঠতে পারবেন সেই দিন আমারে ডাইকেন আমিও আপনের সঙ্গে দেশ গড়ার কাজে হাত মিলামুনে, এখন যাই ‘অতল জলের আহ্বান’ সিনেমার গান ‘ভুল সবই ভুল/এই জীবনের পাতায় পাতায় যা লেখা সে ভুল...’ গাইতে গাইতে বাড়িত যাই। বাইইইইইই গুড বাইইইইইইই।

[লেখক : চলচ্চিত্রকার]

back to top