জাঁ-নেসার ওসমান
“কি রে ভাই বুইড়া বয়সে এসব আবার কিসের কাহিনী লিখতাছেন, এইসব ব্যক্তিগত বিষয় পাবলিকলি বলা কি আপনার মতো ভদ্রলোকের সাজে? কথা নাই, বার্তা নাই, কোন সমাজে কোন বিষয়ে কাহিনী লিখতে হবে সেটাও কি আপনাকে শিখায় দিতে হবে!”
“ওই পপটু...পুঁপের পো, তোর সব চিন্তা কি খালি তলপেটের মাঝেই ঘুরপাক খায়।”
“বদ্দা, এটা আবার কি বলচেন যে, আসল কতা গুরিয়ে-পিরিয়ে বলার চেষ্টা করেও কোনো লাব হবে না যে, আপনের তলে তলে আদিরস বিক্রীর চেষ্টা যে কেউ বুজবে যে।”
“চোপ শালা পুঁপ...পুঁপের পো, আসল কথা না বুঝেই যাইচ্ছাতাই বলা শুরু করছে। স্ত্রীর ভ্রাতা কোনখানকার!”
“থাক থাক আর শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে হবে না যে, সবাই বুঝতে পারছে, আপনি কী নিয়ে টানাটানি করছেন, মানে কী নিয়ে কাহিনী লিখছেন। হাঃ হাঃ হাঃ...”
“আবে বুড়বক আমি বলছিলাম যে বাংলাদেশের সোনা মানে স্বর্ণের উজ্জ্ব¡লতা কমে গেছে, মানে উজ্জ্ব¡লতা ম্যাড় ম্যাড়ে হয়েছে।”
“ওমা সে কথা বলবেন না! আপনের হেডিং দেখলে যে কেউ মনে করবে ওইটার কাহিনী মানে আমি যেইটার কথা ভাবছি আপনে সেটার কাহিনী লিখছেন। কিন্তু হলফ করে বলতে পারি, আপনি যে আসলে স্বর্ণের কাহিনী লিখছেন, সেটা প্রথম চোটে কেউ বুঝবে না। একটু ভুল বুঝবেই।”
“তুই যতই হলফ কর, ম্যাড় ম্যাড়ে বিষয়টা উজ্জ্ব¡লতার সঙ্গেই সর্ম্পকিত। উজ্জ্ব¡লতার অভাবকেই ম্যাড় ম্যাড়ে বলে, সবলতার অভাবকে ম্যাড় ম্যাড়ে বলে না।”
“বুঝলাম বুঝলাম, সতেজ, দুর্বল, পোতানো, ন্যাতানো সব শব্দ বাদ দিয়ে বলুন তো, আপনি স্বর্ণের ন্যায় একটা মৌলিক ধাতুকে অনুজ্জ্ব¡ল বলছেন ক্যেন যে?”
“মৌলিক হোক আর যৌগিক হোক, আমার কথা হচ্ছে উজ্জ্ব¡লতার অভাবজনিত কারণে আমি যদি স্বর্ণকে ম্যাড় ম্যাড়ে বলি তাহলে, এখানে দোষটা বা ভুলটা কী হচ্ছে শুনি?”
“দোষ ভুলের কথা না, কথা হচ্ছে বাস্তবে স্বর্ণালঙ্কার সব সময় উজ্জ্ব¡ল থেকে উজ্জ্বলতর, সঠিকভাবে লাইটিং করলে স্বর্ণের উজ্জ্বলতায়
আপনের চক্ষু ধান্দায়া যাইব।”
“ঠিক আছে ভাই, সঠিকভাবে লাইটিং করলে স্বর্ণের উজ্জ্বলতায় আমার চক্ষু ধান্দায়া যাইব। কিন্তু কথা হচ্ছে জন্মের পর থেকেই শুনছি যে এবং দেখেছি যে স্বর্ণ একটি উজ্জ্বল ধাতু, কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশের স্বর্ণগুলা যেন ক্যেমন, হাজার তাতালেও কোনো প্রকার উজ্জ্বলতা চোখে পড়ে না। ক্যেমন যেন ম্যাড় ম্যড়ে লাগে।”
“ধূর এটা কখনো হয় নাকি, আনুজ্জ্বল স্বর্ণ?”
“কেন নয়! এই যেমন ধর তোর বিগত সরকারের সব বাঘা বাঘা জাঁদরেল সোনারা কী দোর্দ-প্রতাপে বাংলাদেশ দাপিয়ে বেড়িয়েছে, আর বর্তমানে ওই সোনার ছেলেরাই নিজের হাতে স্বাধীন করা নিজের দেশের জেলে ঘানি টানছে। তাহলে এইসব উজ্জ্বল নক্ষত্ররা এখন উজ্জ্বলতা হারিয়ে ম্যাড় ম্যাড়ে হয়েছে না?”
“সে কথা তো ঠিক, এই উজ্জ্বলতা ওরা ওদের কর্মদোষে হারিয়েছে। খালি টাকা-টাকা, আর ব্যক্তিগত লোভ আর লালসায়, সিনেমার নায়িকাদের সঙ্গে ঘনিষ্টভাবে মেলামেশা, উন্নয়নের নামে অর্থলুঠের কারণে আজ তাদের উজ্জ্বলতা তো ম্যাড় ম্যাড়ে হবেই।”
“আরে ভাই আমি তো সেটার কথাই বলছিলাম, বর্তমানে বাংলাদেশের ধনীরা ঝাড়–র গোড়ায় টিনের পাতের বদলে স্বর্ণ দিয়ে মুড়ছে! অনেকে আবার জুতার ফিতার মাথায় প্লাস্টিকের মোড়ক না দিয়ে স্বর্ণের মোড়ক দিচ্ছে। তাহলে বল এতে স্বর্ণের মর্যাদা কমছে না?”
“আরে না এইটা কি কন, ঝাড়–র গোড়ায় টিনের পাতের বদলে স্বর্ণ দিয়ে মুড়ছে! অনেকে আবার জুতার ফিতায় স্বর্ণের মোড়ক দিচ্ছে। না না ভাই আমি এইটা মানতে পারলাম না!”
“তুই না মানলে কী হবে! অনেক ধনী তো, কামের বুয়ার পোলার কোমোরে কাইতনের লগে স্বর্ণের ঘুনসি বানায়া বাইন্ধা দিছে।”
“হাঁচই, মানে আসলেই ধনীরা এই স্বণের্র অমর্যাদার হোলি খেলায় লিপ্ত!”
“তোকে কী বলব, যে স্বর্ণের রিজার্ভের সঙ্গে তোর দেশের ভাবমূর্তি, মানে দেশের মর্যাদা নির্ভর করে বর্তমানে সেই সোনা দিয়া যদি তুই জুতার ফিতা প্রবেশ করানোর জন্য স্বর্ণের রিপিট লাগাস, বুঝলাম তোর অনেক টাকা, তাই বইলা তুই জুতায় স্বর্ণের রিপিট লাগাইলে, স্বর্ণের মানে সোনার কোনো মর্যাদা থাকে!”
“না থাকে না। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এই পুঁপ পুঁপ ধনীরা কি বুঝতে পারছে না, তারা কি এমন এক হোলি খেলায় মেতেছেন যে তার ফলাফল নিয়ে কিছুই ভাববে না!”
“বর্তমানে প্রতিটা ক্ষেত্রে তোদের মর্যাদাহানী হচ্ছে। তুই গত তেপান্ন বছরে কখোনো শুনেছিস, যে বাংলাদেশে মসজিদ ভাঙচুর করেছে?”
“জ্বি না, এমন ঘটনা কস্মিনকালেও শুনি নাই।”
“কিন্তু বর্তমানে তাই ঘটছে। বাঙালি হয়ে বাঙালি নিধন, ছাত্র হয়ে, ছাত্রদের মোল্লা কলেজ নিধন, মসজিদের ইমামতি নিয়ে মসজিদের ভিতরে মোল্লা হয়ে অপর মোল্লা নিধন আর এটার সমাধানের কোনো লক্ষণও দেখছি না। তাই বলছিলাম আমাদের সব স্বর্ণের গহনা গুলির বা যদি সংক্ষেপে বলি যে আমাদের সব স্বর্ণ বাহিনীর উজ্জ্বলতা কমছে। তারা ম্যাড় ম্যাড়ে হয়ে পড়ছে মানে উজ্জ্বলতা হারাচ্ছে।”
“তা আপনি বলতে পারেন। স্বর্ণের কাজ হচ্ছে গলার হার, হাতের চুড়ি, কোমরের বিছা, মাথার টিকলি এই সব বানানো, এখন কেউ যদি সোনা দিয়ে ঝাড়–র গোড়ায় টিনের পাতের বদলে স্বর্ণদিয়ে মুড়ে, জুতার ফিতায় স্বর্ণ, তাহলে সোনাদের অমর্যাদা তো হচ্ছেই। একথা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। যার যা কাজ তা বাদ দিয়ে, উল্টাপাল্টা কাজ করালে সমাজে তো ভজকট লাগবেই।”
“এখন এই নিয়ে আমি যদি কাহিনী লিখি ম্যাড় ম্যাড়ে সোনা কাহিনী, যেসব সোনাদের উজ্জ্বলতা দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে, তাদের কাহিনীকে ম্যাড় ম্যাড়ে সোনা কাহিনী বললে
কোনো দোষ হবে?”
“না ঠিক আছে, আপনে একদম সঠিক কথা বলছেন, যার যা কাজ তা বাদ দিয়া তারে দিয়া অন্য কিছু করাইলে, উজ্জ্বলতা থাকবে না। এই যেমন ধরেন আপনে যদি হার্টের সার্জেনরে বলেন, ভাই আজকে আমাদের ওস্তাগার আসে নাই আপনে একটু বালু সিমেন্ট মিলায়া দেন। উই হালায় যদি গাঁই-গুঁই করে তখন আপনে বলবেন, আরে ভাই আপনি অতো জটিল ওপেন হার্ট সার্জারি করেন, আপনে পারবেন তিনটা বালু আর একটা সিমেন্ট মিলাইতে? কন এইটা হইব!”
“তাই কোই সোনা দিয়া গহনাই বানান স্বর্ণ দিয়া জুতার ফিতা, আর স্বর্ণ ঝাড়–র গোড়ায় লাগায়েন না। থ্যাংকইয়ু গুরু, আপনে ঠিকই
লিখছেন, ম্যাড় ম্যাড়ে সোনা কাহিনী।”
[লেখক : চলচ্চিত্রকার]
জাঁ-নেসার ওসমান
শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪
“কি রে ভাই বুইড়া বয়সে এসব আবার কিসের কাহিনী লিখতাছেন, এইসব ব্যক্তিগত বিষয় পাবলিকলি বলা কি আপনার মতো ভদ্রলোকের সাজে? কথা নাই, বার্তা নাই, কোন সমাজে কোন বিষয়ে কাহিনী লিখতে হবে সেটাও কি আপনাকে শিখায় দিতে হবে!”
“ওই পপটু...পুঁপের পো, তোর সব চিন্তা কি খালি তলপেটের মাঝেই ঘুরপাক খায়।”
“বদ্দা, এটা আবার কি বলচেন যে, আসল কতা গুরিয়ে-পিরিয়ে বলার চেষ্টা করেও কোনো লাব হবে না যে, আপনের তলে তলে আদিরস বিক্রীর চেষ্টা যে কেউ বুজবে যে।”
“চোপ শালা পুঁপ...পুঁপের পো, আসল কথা না বুঝেই যাইচ্ছাতাই বলা শুরু করছে। স্ত্রীর ভ্রাতা কোনখানকার!”
“থাক থাক আর শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে হবে না যে, সবাই বুঝতে পারছে, আপনি কী নিয়ে টানাটানি করছেন, মানে কী নিয়ে কাহিনী লিখছেন। হাঃ হাঃ হাঃ...”
“আবে বুড়বক আমি বলছিলাম যে বাংলাদেশের সোনা মানে স্বর্ণের উজ্জ্ব¡লতা কমে গেছে, মানে উজ্জ্ব¡লতা ম্যাড় ম্যাড়ে হয়েছে।”
“ওমা সে কথা বলবেন না! আপনের হেডিং দেখলে যে কেউ মনে করবে ওইটার কাহিনী মানে আমি যেইটার কথা ভাবছি আপনে সেটার কাহিনী লিখছেন। কিন্তু হলফ করে বলতে পারি, আপনি যে আসলে স্বর্ণের কাহিনী লিখছেন, সেটা প্রথম চোটে কেউ বুঝবে না। একটু ভুল বুঝবেই।”
“তুই যতই হলফ কর, ম্যাড় ম্যাড়ে বিষয়টা উজ্জ্ব¡লতার সঙ্গেই সর্ম্পকিত। উজ্জ্ব¡লতার অভাবকেই ম্যাড় ম্যাড়ে বলে, সবলতার অভাবকে ম্যাড় ম্যাড়ে বলে না।”
“বুঝলাম বুঝলাম, সতেজ, দুর্বল, পোতানো, ন্যাতানো সব শব্দ বাদ দিয়ে বলুন তো, আপনি স্বর্ণের ন্যায় একটা মৌলিক ধাতুকে অনুজ্জ্ব¡ল বলছেন ক্যেন যে?”
“মৌলিক হোক আর যৌগিক হোক, আমার কথা হচ্ছে উজ্জ্ব¡লতার অভাবজনিত কারণে আমি যদি স্বর্ণকে ম্যাড় ম্যাড়ে বলি তাহলে, এখানে দোষটা বা ভুলটা কী হচ্ছে শুনি?”
“দোষ ভুলের কথা না, কথা হচ্ছে বাস্তবে স্বর্ণালঙ্কার সব সময় উজ্জ্ব¡ল থেকে উজ্জ্বলতর, সঠিকভাবে লাইটিং করলে স্বর্ণের উজ্জ্বলতায়
আপনের চক্ষু ধান্দায়া যাইব।”
“ঠিক আছে ভাই, সঠিকভাবে লাইটিং করলে স্বর্ণের উজ্জ্বলতায় আমার চক্ষু ধান্দায়া যাইব। কিন্তু কথা হচ্ছে জন্মের পর থেকেই শুনছি যে এবং দেখেছি যে স্বর্ণ একটি উজ্জ্বল ধাতু, কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশের স্বর্ণগুলা যেন ক্যেমন, হাজার তাতালেও কোনো প্রকার উজ্জ্বলতা চোখে পড়ে না। ক্যেমন যেন ম্যাড় ম্যড়ে লাগে।”
“ধূর এটা কখনো হয় নাকি, আনুজ্জ্বল স্বর্ণ?”
“কেন নয়! এই যেমন ধর তোর বিগত সরকারের সব বাঘা বাঘা জাঁদরেল সোনারা কী দোর্দ-প্রতাপে বাংলাদেশ দাপিয়ে বেড়িয়েছে, আর বর্তমানে ওই সোনার ছেলেরাই নিজের হাতে স্বাধীন করা নিজের দেশের জেলে ঘানি টানছে। তাহলে এইসব উজ্জ্বল নক্ষত্ররা এখন উজ্জ্বলতা হারিয়ে ম্যাড় ম্যাড়ে হয়েছে না?”
“সে কথা তো ঠিক, এই উজ্জ্বলতা ওরা ওদের কর্মদোষে হারিয়েছে। খালি টাকা-টাকা, আর ব্যক্তিগত লোভ আর লালসায়, সিনেমার নায়িকাদের সঙ্গে ঘনিষ্টভাবে মেলামেশা, উন্নয়নের নামে অর্থলুঠের কারণে আজ তাদের উজ্জ্বলতা তো ম্যাড় ম্যাড়ে হবেই।”
“আরে ভাই আমি তো সেটার কথাই বলছিলাম, বর্তমানে বাংলাদেশের ধনীরা ঝাড়–র গোড়ায় টিনের পাতের বদলে স্বর্ণ দিয়ে মুড়ছে! অনেকে আবার জুতার ফিতার মাথায় প্লাস্টিকের মোড়ক না দিয়ে স্বর্ণের মোড়ক দিচ্ছে। তাহলে বল এতে স্বর্ণের মর্যাদা কমছে না?”
“আরে না এইটা কি কন, ঝাড়–র গোড়ায় টিনের পাতের বদলে স্বর্ণ দিয়ে মুড়ছে! অনেকে আবার জুতার ফিতায় স্বর্ণের মোড়ক দিচ্ছে। না না ভাই আমি এইটা মানতে পারলাম না!”
“তুই না মানলে কী হবে! অনেক ধনী তো, কামের বুয়ার পোলার কোমোরে কাইতনের লগে স্বর্ণের ঘুনসি বানায়া বাইন্ধা দিছে।”
“হাঁচই, মানে আসলেই ধনীরা এই স্বণের্র অমর্যাদার হোলি খেলায় লিপ্ত!”
“তোকে কী বলব, যে স্বর্ণের রিজার্ভের সঙ্গে তোর দেশের ভাবমূর্তি, মানে দেশের মর্যাদা নির্ভর করে বর্তমানে সেই সোনা দিয়া যদি তুই জুতার ফিতা প্রবেশ করানোর জন্য স্বর্ণের রিপিট লাগাস, বুঝলাম তোর অনেক টাকা, তাই বইলা তুই জুতায় স্বর্ণের রিপিট লাগাইলে, স্বর্ণের মানে সোনার কোনো মর্যাদা থাকে!”
“না থাকে না। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এই পুঁপ পুঁপ ধনীরা কি বুঝতে পারছে না, তারা কি এমন এক হোলি খেলায় মেতেছেন যে তার ফলাফল নিয়ে কিছুই ভাববে না!”
“বর্তমানে প্রতিটা ক্ষেত্রে তোদের মর্যাদাহানী হচ্ছে। তুই গত তেপান্ন বছরে কখোনো শুনেছিস, যে বাংলাদেশে মসজিদ ভাঙচুর করেছে?”
“জ্বি না, এমন ঘটনা কস্মিনকালেও শুনি নাই।”
“কিন্তু বর্তমানে তাই ঘটছে। বাঙালি হয়ে বাঙালি নিধন, ছাত্র হয়ে, ছাত্রদের মোল্লা কলেজ নিধন, মসজিদের ইমামতি নিয়ে মসজিদের ভিতরে মোল্লা হয়ে অপর মোল্লা নিধন আর এটার সমাধানের কোনো লক্ষণও দেখছি না। তাই বলছিলাম আমাদের সব স্বর্ণের গহনা গুলির বা যদি সংক্ষেপে বলি যে আমাদের সব স্বর্ণ বাহিনীর উজ্জ্বলতা কমছে। তারা ম্যাড় ম্যাড়ে হয়ে পড়ছে মানে উজ্জ্বলতা হারাচ্ছে।”
“তা আপনি বলতে পারেন। স্বর্ণের কাজ হচ্ছে গলার হার, হাতের চুড়ি, কোমরের বিছা, মাথার টিকলি এই সব বানানো, এখন কেউ যদি সোনা দিয়ে ঝাড়–র গোড়ায় টিনের পাতের বদলে স্বর্ণদিয়ে মুড়ে, জুতার ফিতায় স্বর্ণ, তাহলে সোনাদের অমর্যাদা তো হচ্ছেই। একথা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। যার যা কাজ তা বাদ দিয়ে, উল্টাপাল্টা কাজ করালে সমাজে তো ভজকট লাগবেই।”
“এখন এই নিয়ে আমি যদি কাহিনী লিখি ম্যাড় ম্যাড়ে সোনা কাহিনী, যেসব সোনাদের উজ্জ্বলতা দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে, তাদের কাহিনীকে ম্যাড় ম্যাড়ে সোনা কাহিনী বললে
কোনো দোষ হবে?”
“না ঠিক আছে, আপনে একদম সঠিক কথা বলছেন, যার যা কাজ তা বাদ দিয়া তারে দিয়া অন্য কিছু করাইলে, উজ্জ্বলতা থাকবে না। এই যেমন ধরেন আপনে যদি হার্টের সার্জেনরে বলেন, ভাই আজকে আমাদের ওস্তাগার আসে নাই আপনে একটু বালু সিমেন্ট মিলায়া দেন। উই হালায় যদি গাঁই-গুঁই করে তখন আপনে বলবেন, আরে ভাই আপনি অতো জটিল ওপেন হার্ট সার্জারি করেন, আপনে পারবেন তিনটা বালু আর একটা সিমেন্ট মিলাইতে? কন এইটা হইব!”
“তাই কোই সোনা দিয়া গহনাই বানান স্বর্ণ দিয়া জুতার ফিতা, আর স্বর্ণ ঝাড়–র গোড়ায় লাগায়েন না। থ্যাংকইয়ু গুরু, আপনে ঠিকই
লিখছেন, ম্যাড় ম্যাড়ে সোনা কাহিনী।”
[লেখক : চলচ্চিত্রকার]