জাঁ-নেসার ওসমান
“হিঃ হিঃ হিঃ হৌঃ হৌঃ হৌঃ “পড়লো যে কি কাল/ ছাগলে চাঁটে বাঘের গাল!!” পিরায় হান্ডের্ড পার্সেন্ট মুসলিম রাষ্ট্রে আন্নে কন, আঁরার দেশ হোইবো কলিঙ্গ? আন্নেরে কী পাগলা কুত্তায় চুমা দিছেনী??”
“আরে ভাই পাগলা কুত্তায় আমাকে চুম্বন দিক বা সোহাগ করুক, কিন্তু আমিতো পাগল নই!! আমিতো আর অযথা তোকে বিব্রত করার জন্য বলিনি যে “বঙ্গ হবে কলিঙ্গ...” আমার কথায় নিশ্চয় কোনো যুক্তি আছে!”
“ওই হ¹ল যুক্তি-ফুক্তি আমরারে হুনায়েন না, বুঝছেন! আপনের মিয়া হিউয়েনসাংও জিন্দেগীতে কোইতে পারবো না যে “বঙ্গ হবে কলিঙ্গ...” একবার বিধর্মীর খপ্পর থ্যেইক্কা মহান নেতা কায়েদে আযমের হাত ধইরা বাইর হয়া আবার কেউ জাত খোয়াইবো!! না, মনে লয়না স্যার, মনে লয়না!!”
“তোর মনে না নিলে আমি কি করবো!! জানিসতো “মর্নিং শো’স দ্য ডে” মানে সকালেই বোঝা যায় দিনটা কেমন যাবে।”
“তো হক্কাল হক্কাল বেইন্না ফজরত আন্নে কি দেখলেন, কলিঙ্গ যুদ্ধের মতো লাখ লাখ পাবলিক মরতাছে??”
“আরে আমি বলছিলাম তোরাও সেই রাজা ‘চন্ডাশোকে’র মতোন রাজ্য থেকে নাচ-গান, মদ্যপান সব নিষিদ্ধ করছিস। নিজেরা নিজেরা খুনাখুনি করছিস!! তোরাও পৃথিবীর সব দেশ ছেড়ে ওই রাজা অশোকের পথে চলবি??”
“ওম্মাগো এইডা আন্নে কিয়া কন, রাজা নাচ-গান, মদ্যপান, বাইজী বাড়ী যাওয়া ছাইড়া দিছে!! নানা আপনের এই কথা আমি মানতে পারলাম না।”
“আরে ব্যেটা বুড়বক এইকথাটা আমার না। এটা হচ্ছে চুয়াডাঙ্গার বিখ্যাত চিন্তাবিদ, দেশপ্রিয় ব্যক্তিত্ব, সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া দীপুর সখা, মো. ইব্রাহিম সাহেবের পূত্র পাকিস্তানের করাচি থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাঠ শেষ করে বর্তমানে বাংলাদেশের বিপ্লবী দলের আহ্বায়ক জনাব ম ইনামুল হক সাহেবের লেখা “পূর্বদেশ তত্ত্ব” পুস্তকের ১০৫ পৃষ্ঠার, পঞ্চম-লাইনের কথা; যেটা আমি তোদের সুবিধার জন্য হুবহু লিপিবদ্ধ করলাম; তোরা যাতে মনে না করিস কথাটা আমার। একটু মনোযোগ দিয়ে লেখাটা দেখিস। আমি কিন্তু লেখাটা পড়িস লিখলাম না। লিখলাম দেখিস, অর্থাৎ বিষয়টা গভীর রূপে উপলব্ধির বিষয়। এবার পূর্বদেশ তত্ত্ব বইটার পঙ্ক্তিগুলো দ্যাখ; “অশোক অসংখ্য শিলালিপিতে তাঁর রাজত্বকালের বিবরণ লিখে রেখে গেছেন। তিনি আদেশ দেন জীবহত্যা নির্বিচারে করা চলবে না। তিনি পান ভোজন, নৃত্যগীত নিষিদ্ধ করেন।” সময়টা কখন খ্রিষ্টপূর্ব ২৭৩ সাল থেকে ২৩৬ খ্রিষ্ট পূর্বাব্দে। তাহলে প্রভু যিশুর জন্মেরও প্রায় তিনশ বছর পূর্বের আইন তুই দু’হাজার পঁচিশ সালে প্রচলনের চেষ্টা করছিস!! জীবহত্যা মানে নির্বিচারে বাঙালি হয়ে বাঙালি খুন চলবে না।”
“ আপনে এইডা কি কন? ভালো জিনিস হইলে আমার লমু না!!”
“ আরে ভালো জিনিস হলে তুই দশ লক্ষ হাজার বছরের পুরোনো জিনিস নে, তোকে কে বারণ করছে। যেমন আগুনের ব্যাবহার, আজও চলছে। কিন্তু তুই একটা চন্ডালের মানে নৃশংস রাজা অশোকের দ্যেখানো পথে চলবি!!
তোর বিবেক কি বলে??”
“না না ভাই আমিতো এইডা মাইন্না নিতে পারমু না। আমরা স্বৈরাচার খ্যেদায়া চন্ডাশোকের পথে চলুম!!
ওয়াস্তাগফেরুল্লাহ্, এইডা হয় নাকি!!”
“কিন্তু হচ্ছেতো তাই। আচ্ছা বল মিয়া তানসেন যে স¤্রাট আকবরের নবরতেœর একজন ছিলেন তার ধর্ম কী?”
“হ্যেইয়া আবার কোইতে হবে। মিয়া তানসেনের কবরস্থান দ্যেইক্ষা বুজেন না মুসলমান নাইলে কব্বর হয়!!”
“তো বলতো মিয়া তানসেন স¤্রাট আকবরের দরবারে কি কাজ করতেন?”
“হেঃ হেঃ মনু কওকী? মিয়া তানসেন “দীপক” রাগ গাইয়া দরবারে ও নিজের শরীলে আগুন লাগায়া ফেলছিল আর ওই সময় হ্যের মাইয়া রাগ “মেঘমাল্লার” গাইয়া বৃষ্টি নামাইলো আর মিয়া তানসেন বাঁইচ্চা গেলো গা”।
“বেশতো ইতিহাসের সব খবর রাখিস কিন্তু এখন তুই বল, ওমর খৈয়ামের লেখা “রুবাইয়েত”, বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম বাংলায় অনুবাদ করেছেন। তারপর মীর্জা গালীবের “শের ও শায়েরী” আল্লামা ইকবালের রচিত “শেকোয়া” এ’গুলো কোন ধর্মের লেখকের লেখা??”
“ফালতু প্রশ্ন না জিগায়া কি কইতে চান মিয়া হ্যেইডা কন?”
“বলছিলাম; এই যে তোরা রাজা অশোকের দ্যেখানো পথে, “তিনি পান ভোজন, নৃত্যগীত নিষিদ্ধ করেন।”
তোরাও তার মতো, একের পর এক নাচ-গানের অনুষ্ঠান, ফুল বিক্রি সব বন্ধ করছিস তাহলে আমাদের ইসলামের মহান সব মনিষীদের যেমন, ইবনে খালেদুন, ইবনে সিনা, আল হাইত্তাম, ওমর খৈয়াম-এর চিন্তা মতবাদ, শান্তির বাণী এসব জনসাধারণের মাঝে ছড়াবে কি করে!! তা ছাড়া জাকির নায়েক সাহেব পর্যন্ত ইউটিউবে বলেছেন, ইসলামে বাজনা নিষিদ্ধ নয়!! আনন্দ অনুষ্ঠানে “সাদাব” বাজানোয় ইসলামে কোনো নিষেধ করা হয়নি।”
“ভাইডী আমরাওতো শিল্প সংস্কৃতির বিরুদ্ধে না, তয় কোইলাম কোরাইশীগো মতুন কুনো মুর্তি পূজা চলবো না। শেরেক করা চলোবো না।”
“আরে আমিওতো তোর সঙ্গে একমত। কিন্তু কথা হচ্ছে স্বৈরাচার রাজা অশোকের দ্যেখানো পথে তোরা চলবি ক্যেনো?? এই যে ইবনে খালেদুন, ইবনে সিনা, আল হাইত্তাম, ওমর খৈয়াম’ এঁদের দ্যেখানো মহান পথে কী আমরা অগ্রসর হতে পারি না??”
“বর্তমানে ভারতে পিরায় ২১ কুটি মুসলমানের বসবাস অথচ সে দেশে নাচ-গান সবই চলছে। ঠিক ঠিক স্বৈরাচার রাজা অশোকের দ্যেখানো পথে মানে, পান ভোজন, নৃত্যগীত নিষিদ্ধ করা আমাদের ঠিক না। ঘুষ দুর্নীতি, মিথ্যাচার, ব্যাভিচার এই সব থুয়া, পাইকারি দরে নাচ-গান, সিনেমা, পেইনন্টিং, নাটক, নভেল, শের-শায়েরী সব বন্ধ করা ঠিক হোইবো না। আমার মনে লয়, ইবনে খালেদুন, ইবনে সিনা, আল হাইত্তাম, ওমর খৈয়াম’ মীর্জা গালীব, আল্লামা ইকবাল এদের দ্যেখানো মহান পথটাই জনগণের মইধ্যে ছড়ায় দেওয়া উচিত। নাইলে কুনদিন শুনমু বিগত স্বৈরাচারের চামচারা তাগো পুরান সেøাগান থুয়া নতুন সেøাগান দিতাছে “বঙ্গ হবে কলিঙ্গ...“বঙ্গ হবে কলিঙ্গ...”
“বিষয়টা গভীর রূপে উপলব্ধির রে, গভীর রূপে উপলব্ধির ...”
[লেখক : চলচ্চিত্রকার ]
জাঁ-নেসার ওসমান
শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
“হিঃ হিঃ হিঃ হৌঃ হৌঃ হৌঃ “পড়লো যে কি কাল/ ছাগলে চাঁটে বাঘের গাল!!” পিরায় হান্ডের্ড পার্সেন্ট মুসলিম রাষ্ট্রে আন্নে কন, আঁরার দেশ হোইবো কলিঙ্গ? আন্নেরে কী পাগলা কুত্তায় চুমা দিছেনী??”
“আরে ভাই পাগলা কুত্তায় আমাকে চুম্বন দিক বা সোহাগ করুক, কিন্তু আমিতো পাগল নই!! আমিতো আর অযথা তোকে বিব্রত করার জন্য বলিনি যে “বঙ্গ হবে কলিঙ্গ...” আমার কথায় নিশ্চয় কোনো যুক্তি আছে!”
“ওই হ¹ল যুক্তি-ফুক্তি আমরারে হুনায়েন না, বুঝছেন! আপনের মিয়া হিউয়েনসাংও জিন্দেগীতে কোইতে পারবো না যে “বঙ্গ হবে কলিঙ্গ...” একবার বিধর্মীর খপ্পর থ্যেইক্কা মহান নেতা কায়েদে আযমের হাত ধইরা বাইর হয়া আবার কেউ জাত খোয়াইবো!! না, মনে লয়না স্যার, মনে লয়না!!”
“তোর মনে না নিলে আমি কি করবো!! জানিসতো “মর্নিং শো’স দ্য ডে” মানে সকালেই বোঝা যায় দিনটা কেমন যাবে।”
“তো হক্কাল হক্কাল বেইন্না ফজরত আন্নে কি দেখলেন, কলিঙ্গ যুদ্ধের মতো লাখ লাখ পাবলিক মরতাছে??”
“আরে আমি বলছিলাম তোরাও সেই রাজা ‘চন্ডাশোকে’র মতোন রাজ্য থেকে নাচ-গান, মদ্যপান সব নিষিদ্ধ করছিস। নিজেরা নিজেরা খুনাখুনি করছিস!! তোরাও পৃথিবীর সব দেশ ছেড়ে ওই রাজা অশোকের পথে চলবি??”
“ওম্মাগো এইডা আন্নে কিয়া কন, রাজা নাচ-গান, মদ্যপান, বাইজী বাড়ী যাওয়া ছাইড়া দিছে!! নানা আপনের এই কথা আমি মানতে পারলাম না।”
“আরে ব্যেটা বুড়বক এইকথাটা আমার না। এটা হচ্ছে চুয়াডাঙ্গার বিখ্যাত চিন্তাবিদ, দেশপ্রিয় ব্যক্তিত্ব, সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া দীপুর সখা, মো. ইব্রাহিম সাহেবের পূত্র পাকিস্তানের করাচি থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাঠ শেষ করে বর্তমানে বাংলাদেশের বিপ্লবী দলের আহ্বায়ক জনাব ম ইনামুল হক সাহেবের লেখা “পূর্বদেশ তত্ত্ব” পুস্তকের ১০৫ পৃষ্ঠার, পঞ্চম-লাইনের কথা; যেটা আমি তোদের সুবিধার জন্য হুবহু লিপিবদ্ধ করলাম; তোরা যাতে মনে না করিস কথাটা আমার। একটু মনোযোগ দিয়ে লেখাটা দেখিস। আমি কিন্তু লেখাটা পড়িস লিখলাম না। লিখলাম দেখিস, অর্থাৎ বিষয়টা গভীর রূপে উপলব্ধির বিষয়। এবার পূর্বদেশ তত্ত্ব বইটার পঙ্ক্তিগুলো দ্যাখ; “অশোক অসংখ্য শিলালিপিতে তাঁর রাজত্বকালের বিবরণ লিখে রেখে গেছেন। তিনি আদেশ দেন জীবহত্যা নির্বিচারে করা চলবে না। তিনি পান ভোজন, নৃত্যগীত নিষিদ্ধ করেন।” সময়টা কখন খ্রিষ্টপূর্ব ২৭৩ সাল থেকে ২৩৬ খ্রিষ্ট পূর্বাব্দে। তাহলে প্রভু যিশুর জন্মেরও প্রায় তিনশ বছর পূর্বের আইন তুই দু’হাজার পঁচিশ সালে প্রচলনের চেষ্টা করছিস!! জীবহত্যা মানে নির্বিচারে বাঙালি হয়ে বাঙালি খুন চলবে না।”
“ আপনে এইডা কি কন? ভালো জিনিস হইলে আমার লমু না!!”
“ আরে ভালো জিনিস হলে তুই দশ লক্ষ হাজার বছরের পুরোনো জিনিস নে, তোকে কে বারণ করছে। যেমন আগুনের ব্যাবহার, আজও চলছে। কিন্তু তুই একটা চন্ডালের মানে নৃশংস রাজা অশোকের দ্যেখানো পথে চলবি!!
তোর বিবেক কি বলে??”
“না না ভাই আমিতো এইডা মাইন্না নিতে পারমু না। আমরা স্বৈরাচার খ্যেদায়া চন্ডাশোকের পথে চলুম!!
ওয়াস্তাগফেরুল্লাহ্, এইডা হয় নাকি!!”
“কিন্তু হচ্ছেতো তাই। আচ্ছা বল মিয়া তানসেন যে স¤্রাট আকবরের নবরতেœর একজন ছিলেন তার ধর্ম কী?”
“হ্যেইয়া আবার কোইতে হবে। মিয়া তানসেনের কবরস্থান দ্যেইক্ষা বুজেন না মুসলমান নাইলে কব্বর হয়!!”
“তো বলতো মিয়া তানসেন স¤্রাট আকবরের দরবারে কি কাজ করতেন?”
“হেঃ হেঃ মনু কওকী? মিয়া তানসেন “দীপক” রাগ গাইয়া দরবারে ও নিজের শরীলে আগুন লাগায়া ফেলছিল আর ওই সময় হ্যের মাইয়া রাগ “মেঘমাল্লার” গাইয়া বৃষ্টি নামাইলো আর মিয়া তানসেন বাঁইচ্চা গেলো গা”।
“বেশতো ইতিহাসের সব খবর রাখিস কিন্তু এখন তুই বল, ওমর খৈয়ামের লেখা “রুবাইয়েত”, বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম বাংলায় অনুবাদ করেছেন। তারপর মীর্জা গালীবের “শের ও শায়েরী” আল্লামা ইকবালের রচিত “শেকোয়া” এ’গুলো কোন ধর্মের লেখকের লেখা??”
“ফালতু প্রশ্ন না জিগায়া কি কইতে চান মিয়া হ্যেইডা কন?”
“বলছিলাম; এই যে তোরা রাজা অশোকের দ্যেখানো পথে, “তিনি পান ভোজন, নৃত্যগীত নিষিদ্ধ করেন।”
তোরাও তার মতো, একের পর এক নাচ-গানের অনুষ্ঠান, ফুল বিক্রি সব বন্ধ করছিস তাহলে আমাদের ইসলামের মহান সব মনিষীদের যেমন, ইবনে খালেদুন, ইবনে সিনা, আল হাইত্তাম, ওমর খৈয়াম-এর চিন্তা মতবাদ, শান্তির বাণী এসব জনসাধারণের মাঝে ছড়াবে কি করে!! তা ছাড়া জাকির নায়েক সাহেব পর্যন্ত ইউটিউবে বলেছেন, ইসলামে বাজনা নিষিদ্ধ নয়!! আনন্দ অনুষ্ঠানে “সাদাব” বাজানোয় ইসলামে কোনো নিষেধ করা হয়নি।”
“ভাইডী আমরাওতো শিল্প সংস্কৃতির বিরুদ্ধে না, তয় কোইলাম কোরাইশীগো মতুন কুনো মুর্তি পূজা চলবো না। শেরেক করা চলোবো না।”
“আরে আমিওতো তোর সঙ্গে একমত। কিন্তু কথা হচ্ছে স্বৈরাচার রাজা অশোকের দ্যেখানো পথে তোরা চলবি ক্যেনো?? এই যে ইবনে খালেদুন, ইবনে সিনা, আল হাইত্তাম, ওমর খৈয়াম’ এঁদের দ্যেখানো মহান পথে কী আমরা অগ্রসর হতে পারি না??”
“বর্তমানে ভারতে পিরায় ২১ কুটি মুসলমানের বসবাস অথচ সে দেশে নাচ-গান সবই চলছে। ঠিক ঠিক স্বৈরাচার রাজা অশোকের দ্যেখানো পথে মানে, পান ভোজন, নৃত্যগীত নিষিদ্ধ করা আমাদের ঠিক না। ঘুষ দুর্নীতি, মিথ্যাচার, ব্যাভিচার এই সব থুয়া, পাইকারি দরে নাচ-গান, সিনেমা, পেইনন্টিং, নাটক, নভেল, শের-শায়েরী সব বন্ধ করা ঠিক হোইবো না। আমার মনে লয়, ইবনে খালেদুন, ইবনে সিনা, আল হাইত্তাম, ওমর খৈয়াম’ মীর্জা গালীব, আল্লামা ইকবাল এদের দ্যেখানো মহান পথটাই জনগণের মইধ্যে ছড়ায় দেওয়া উচিত। নাইলে কুনদিন শুনমু বিগত স্বৈরাচারের চামচারা তাগো পুরান সেøাগান থুয়া নতুন সেøাগান দিতাছে “বঙ্গ হবে কলিঙ্গ...“বঙ্গ হবে কলিঙ্গ...”
“বিষয়টা গভীর রূপে উপলব্ধির রে, গভীর রূপে উপলব্ধির ...”
[লেখক : চলচ্চিত্রকার ]