alt

উপ-সম্পাদকীয়

বই পড়ে কী হবে

রেজাউল করিম খোকন

: শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

তবে কি দিন দিন পড়ার অভ্যাস কমছে? তরুণ-তরুণী, কিশোর-কিশোরীরা কম্পিউটার, ইন্টারনেট, ফেসবুক, মোবাইল আর এসএমএস কালচারে যতটা মগ্ন, সে তুলনায় তাদের বই পড়ার সময় যেন একেবারে কমে গেছে। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ক্রমেই প্রযুক্তির প্রতি নির্ভরতা বাড়ছে। আর যুক্তিহীন বহু প্রযুক্তির ভিড়ে ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে যুক্তি-বুদ্ধির রসদ জোগানো বই পড়ার অভ্যাসটি। সোফায় কিংবা নিজের প্রিয় বিছানায় শুরু যেখানে অনায়াসে দু’আড়াই ঘণ্টার একটা জমজমাট মুভি দেখা যায়, যেখানে কানের মধ্যে দুুটো ইয়ারফোন গুঁজে দিয়েই নিমিষেই শুনে ফেলা যায় অনেক অনেক প্রিয় গান, সেখানে এ যুগে বই পড়ার কষ্ট আর কে করতে চায় বলুন।

মুভি দেখে, গান শুনে আপনার বিনোদনের চাহিদা যেভাবে মিটছে, বন্ধুদের আড্ডায় যেখানে সাম্প্রতিক সব মুভি কিংবা গানের আলোচনায় সক্রিয় অংশ নেয়া হচ্ছে সেখানে বই পড়ে লাভটাইবা কি? আজকাল তেমন চিন্তা-ভাবনা পোষণ করেন অনেকেই। আবার কারও মনে এমন ভাবনার জন্ম হতে পারে যে, বই পড়াটা আসলে ওল্ড ফ্যাশনের।

আজকের সময় ব্যস্তবতার আলোকে এসব চিন্তা-ভাবনা হয়তো সঠিক মনে হতে পারে অনেকের ক্ষেত্রে। তাই বলে এসব অজুহাত দিয়ে বই পড়ব না বা বই পড়ার প্রয়োজন নেই এমন ভাবাও ঠিক নয়। ইউটিউব, এফএম রেডিও কিংবা ডিভিডি, ইন্টারনেট, ফেসবুকের এই যুগেও মননশীল বই, গল্প উপন্যাস নতুন কিছু সন্ধান দিতে পারে।

প্রতিটি গল্প-উপন্যাসের বই মনের জানালাটাকে যেভাবে প্রশস্ত করে সেই জানালা গলিয়ে পৃথিবীটাকে দেখা যায় ছোট পর্দায় চাইতেও বড় আঙ্গিকে। আবার আজ আপনার যে বন্ধুরা সবার আগে কোন মুভি দেখে গর গর করে কাহিনীর ‘টুইস্ট’ বলে বাহবা কুড়াচ্ছে তাদের সামনে একবার আপনার বই পড়–য়া জ্ঞানটা জাহির করেই দেখুন না। নেহায়েত বোকা কিংবা অহঙ্কারী কেউ না হলে আপনার এই জ্ঞান বন্ধুদের মুগ্ধ করতে বাধ্য। আবার পড়ার অভ্যাসটা ভাল করে রপ্ত করতে পারলে সেটা আখেরে কাজ দেবে আপনার একাডেমিক পারফরমেন্সেও। এ কথা হয়তো ঠিক যে আজকালকার প্রযুক্তিনির্ভর বিনোদনের মাঝে বই সংগ্রহ করে বা বই কিনে পড়াটা মোটেও সহজসাধ্য কাজ নয়। কিন্তু একবার চেষ্টা করে হলেও নিজের রুচিমতো একটা বই যদি আপনি পড়তে পারেন তবে ‘বই পড়া’র প্রেমে না পড়ার কোন কারণই নেই। এক্ষেত্রে আপনার পাল্টা যুক্তি থাকতে পারে, এত কিছু থাকতে বইয়ের প্রেমেই কেন জোর করে পড়তে হবে। উত্তরটা যদি একবাক্যে জানতে চান তাহলে বলব, একটা ভাল বই আপনাকে যেভাবে জীবন নিয়ে ভাবতে শেখাবে মুভি কিংবা ফেসবুকে ঢুঁ মেরে, হেডফোন লাগিয়ে এফএম রেডিও কিংবা এমপি থ্রি শুনে তা পারবেন না কোনভাবেই সেগুলোর সে সাধ্য নেই বললেই চলে।

টিএনএজ বয়সের হৈ-হুল্লোড়ের মাঝে জীবন নিয়ে ভাববার প্রয়োজনও হয়তো আপনাদের নেই; কিন্তু বই পড়া মানেই মুখ গম্ভীর করে ইন্টেলেকচুয়াল ভাব নেয়া কিন্তু নয়। বরং একটা অ্যাকশন মুভির পরিবর্তে ফেলুদা, জেমস বন্ড বা মাসুদ রানা সিরিজের বইগুলো কিন্তু কম রোমাঞ্চকর নয়। একইভাবে এফএম রেডিওর গানের চাইতে কোন অংশে কম রোমান্টিক নয় আমাদের লেখকদের লেখা গল্প-উপন্যাগুলো। তাছাড়া বই পড়তে গিয়ে টিভি, মুভি, গান, ফেসবুক ইত্যাদিকে নির্বাসনে পাঠাতে হবে তারও কোন যুক্তি নেই। বরং এসব কিছুর পাশাপাশিই বই পড়া চলতে পারে। যেখানে আপনার আর সব বন্ধু-বান্ধবীই মুভি আর গানের ভাবনায় আপনার চাইতে কোন অংশে কম যায় না। সেখানে বই পড়া আপনাকে একটা দিকে হলেও এগিয়ে রাখতে পারে অন্য সবার চেয়ে; আর বই কেন পড়বেন এ নিয়ে যদি তারপরও আপনার মনে দ্বিধা থাকে তাহলে দ্বিধা কাটাতে আপনি না হয় আপনার নিজের পছন্দের আর ভালোলাগার একটা ব্যতিক্রমধর্মী জায়গা তৈরি করতে বরং এসবের পাশাপাশি অন্য কোন বই একবার পড়েই দেখুন না।

এতক্ষণ যে কথাগুলো বলা হলো সেগুলোকে দয়া করে উপদেশ বলে মনে করবেন না। যারা মনে করে আমাদের লাইফস্টাইলে বই পড়ার অভ্যাসটি থাকা জরুরি অথচ বই পড়তে গেলেই আলসেমি লাগে, ঘুম পায় তাদের জন্য কিছু পরামর্শ রইলো।

এক বসায় পড়া শেষ করতে হবেÑ বই পড়া বিষয়টাকে মোটেও এভাবে রুটিন হিসেবে নেয়া চলবে না। বরং কেন কাজের ক্ষতি না করে যখন যতটুকু পড়তে ভালো লাগে ততোটুকু পড়–ন। একটা দুটো বই পড়ার পর যদি বিষয়টা আপনার মনে ধরে যায় তাহলে আপনার পড়া বইগুলোর নাম এবং লেখকের নাম একটা খাতায় টুকে রাখুন। চাইলে এ বইগুলো থেকে আপনার ভালো লাগা কিছু লাইনেও একটা খাতায় লিখে রাখতে পারেন। একটা গল্প বা উপন্যাস পড়ে আপনার ভালো না লাগা মানেই কিন্তু এই নয় যে, বিশ্বের যাবতীয় বই-ই একই রকম একঘেঁয়ে। কাজেই বই পড়াকে অর্থহীন বলার আগে কয়েকরকম বই পড়ে দেখুনÑ কোনটি আপনার কতটা ভালো এক উপলব্ধিতে জাগিয়ে তুলুন। মনে রাখবেন, বই আপনার মনের আকাশকে অনেক বড় করে তুলতে পারে। আপনাকে সত্যিকার ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারে।

আমাদের প্রাত্যহিক জীবনযাপনে আমরা কত সমস্যার মুখোমুখি হই নিত্যদিন। সেই সব সমস্যা মোকাবেলায় নিজের মনের মধ্যে আত্মবিশ্বাস জাগিয়ে তোলার জন্য বই আপনাকে নানাভাবে শক্তি জোগাতে পারে।

[লেখক : অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংকার]

জনস্বাস্থ্যের আরেক আতঙ্কের নাম ডিমেনশিয়া

ভারতে সঙ্ঘের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য

রম্যগদ্য : “বঙ্গ হবে কলিঙ্গ”

আদিবাসী ভাষা সংরক্ষণে উদ্যোগ নিন

ছবি

ভাষা আন্দোলনের পটভূমি ও চেতনার অন্বেষণে

প্রযুক্তি, জলবায়ু ও জনসংখ্যার মোকাবিলায় উন্নয়নশীল অর্থনীতির

চাই একটি জাতীয় ভাষানীতি

অস্বাভাবিকের চেয়ে অস্বাভাবিক বায়ুদূষণ

আদিবাসীদের কাঁটাতারে বন্দি জীবন

জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে অভিযোজন : বাংলাদেশের কৌশল

শিক্ষক আন্দোলন প্রসঙ্গে

আর জি কর ঘিরে শাসক কৌশল প্রসঙ্গে

নিজের পথে ইউরোপ

ছবি

এই দাহ্য আগুন কি বিপ্লবী হতাশার বাহ্য রূপ

ভূমিজ বাঁওড় মৎস্যজীবীদের সমাজভিত্তিক সমবায় মালিকানা

মব থামাবে কে?

ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের সংস্কার

ফিরে দেখা বসন্ত উৎসব

এক যে ছিল স্বৈরাচারের আশির দশক!

রম্যগদ্য : কানামাছির রাজনীতি

চেকের মামলায় জেল খাটলেও টাকা আদায়ের আইনি প্রক্রিয়া

প্রতিক্রিয়াশীলতার ছায়াতলে কেবলই অন্ধকার

স্মরণ : গুরু রবিদাস জী

মাঘী পূর্ণিমা : সম্প্রীতির মধুময় স্মৃতি

ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনার বিপজ্জনক বাস্তবতা

পুলিশে কেমন সংস্কার চাই?

সত্যিই কি ইউএসএআইডি বন্ধ হয়ে যাবে

রম্যগদ্য: “গো টু দ্য ডেভিল”

এত ক্রোধ, প্রতিহিংসা আর অস্থিরতাÑ সবই কি স্বৈরাচারের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!

কীভাবে আইন মেনে চলার সংস্কৃতি গড়ে তোলা যায়?

কেন এই ধ্বংস?

প্রসঙ্গ: সংবিধান সংস্কার কমিশনের সুপারিশ

পশ্চিমবঙ্গ : রাজনৈতিক হিন্দুত্বের নয়া গবেষণাগার

দাবি আদায়ে জনদুর্ভোগ : উত্তরণের উপায়

কুষ্ঠ : স্বাস্থ্য খাতের সংস্কারে ইস্যুটি কেন গুরুত্বপূর্ণ

ঔপনিবেশিকতা নাকি মানবতার অবমূল্যায়ন?

tab

উপ-সম্পাদকীয়

বই পড়ে কী হবে

রেজাউল করিম খোকন

শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

তবে কি দিন দিন পড়ার অভ্যাস কমছে? তরুণ-তরুণী, কিশোর-কিশোরীরা কম্পিউটার, ইন্টারনেট, ফেসবুক, মোবাইল আর এসএমএস কালচারে যতটা মগ্ন, সে তুলনায় তাদের বই পড়ার সময় যেন একেবারে কমে গেছে। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ক্রমেই প্রযুক্তির প্রতি নির্ভরতা বাড়ছে। আর যুক্তিহীন বহু প্রযুক্তির ভিড়ে ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে যুক্তি-বুদ্ধির রসদ জোগানো বই পড়ার অভ্যাসটি। সোফায় কিংবা নিজের প্রিয় বিছানায় শুরু যেখানে অনায়াসে দু’আড়াই ঘণ্টার একটা জমজমাট মুভি দেখা যায়, যেখানে কানের মধ্যে দুুটো ইয়ারফোন গুঁজে দিয়েই নিমিষেই শুনে ফেলা যায় অনেক অনেক প্রিয় গান, সেখানে এ যুগে বই পড়ার কষ্ট আর কে করতে চায় বলুন।

মুভি দেখে, গান শুনে আপনার বিনোদনের চাহিদা যেভাবে মিটছে, বন্ধুদের আড্ডায় যেখানে সাম্প্রতিক সব মুভি কিংবা গানের আলোচনায় সক্রিয় অংশ নেয়া হচ্ছে সেখানে বই পড়ে লাভটাইবা কি? আজকাল তেমন চিন্তা-ভাবনা পোষণ করেন অনেকেই। আবার কারও মনে এমন ভাবনার জন্ম হতে পারে যে, বই পড়াটা আসলে ওল্ড ফ্যাশনের।

আজকের সময় ব্যস্তবতার আলোকে এসব চিন্তা-ভাবনা হয়তো সঠিক মনে হতে পারে অনেকের ক্ষেত্রে। তাই বলে এসব অজুহাত দিয়ে বই পড়ব না বা বই পড়ার প্রয়োজন নেই এমন ভাবাও ঠিক নয়। ইউটিউব, এফএম রেডিও কিংবা ডিভিডি, ইন্টারনেট, ফেসবুকের এই যুগেও মননশীল বই, গল্প উপন্যাস নতুন কিছু সন্ধান দিতে পারে।

প্রতিটি গল্প-উপন্যাসের বই মনের জানালাটাকে যেভাবে প্রশস্ত করে সেই জানালা গলিয়ে পৃথিবীটাকে দেখা যায় ছোট পর্দায় চাইতেও বড় আঙ্গিকে। আবার আজ আপনার যে বন্ধুরা সবার আগে কোন মুভি দেখে গর গর করে কাহিনীর ‘টুইস্ট’ বলে বাহবা কুড়াচ্ছে তাদের সামনে একবার আপনার বই পড়–য়া জ্ঞানটা জাহির করেই দেখুন না। নেহায়েত বোকা কিংবা অহঙ্কারী কেউ না হলে আপনার এই জ্ঞান বন্ধুদের মুগ্ধ করতে বাধ্য। আবার পড়ার অভ্যাসটা ভাল করে রপ্ত করতে পারলে সেটা আখেরে কাজ দেবে আপনার একাডেমিক পারফরমেন্সেও। এ কথা হয়তো ঠিক যে আজকালকার প্রযুক্তিনির্ভর বিনোদনের মাঝে বই সংগ্রহ করে বা বই কিনে পড়াটা মোটেও সহজসাধ্য কাজ নয়। কিন্তু একবার চেষ্টা করে হলেও নিজের রুচিমতো একটা বই যদি আপনি পড়তে পারেন তবে ‘বই পড়া’র প্রেমে না পড়ার কোন কারণই নেই। এক্ষেত্রে আপনার পাল্টা যুক্তি থাকতে পারে, এত কিছু থাকতে বইয়ের প্রেমেই কেন জোর করে পড়তে হবে। উত্তরটা যদি একবাক্যে জানতে চান তাহলে বলব, একটা ভাল বই আপনাকে যেভাবে জীবন নিয়ে ভাবতে শেখাবে মুভি কিংবা ফেসবুকে ঢুঁ মেরে, হেডফোন লাগিয়ে এফএম রেডিও কিংবা এমপি থ্রি শুনে তা পারবেন না কোনভাবেই সেগুলোর সে সাধ্য নেই বললেই চলে।

টিএনএজ বয়সের হৈ-হুল্লোড়ের মাঝে জীবন নিয়ে ভাববার প্রয়োজনও হয়তো আপনাদের নেই; কিন্তু বই পড়া মানেই মুখ গম্ভীর করে ইন্টেলেকচুয়াল ভাব নেয়া কিন্তু নয়। বরং একটা অ্যাকশন মুভির পরিবর্তে ফেলুদা, জেমস বন্ড বা মাসুদ রানা সিরিজের বইগুলো কিন্তু কম রোমাঞ্চকর নয়। একইভাবে এফএম রেডিওর গানের চাইতে কোন অংশে কম রোমান্টিক নয় আমাদের লেখকদের লেখা গল্প-উপন্যাগুলো। তাছাড়া বই পড়তে গিয়ে টিভি, মুভি, গান, ফেসবুক ইত্যাদিকে নির্বাসনে পাঠাতে হবে তারও কোন যুক্তি নেই। বরং এসব কিছুর পাশাপাশিই বই পড়া চলতে পারে। যেখানে আপনার আর সব বন্ধু-বান্ধবীই মুভি আর গানের ভাবনায় আপনার চাইতে কোন অংশে কম যায় না। সেখানে বই পড়া আপনাকে একটা দিকে হলেও এগিয়ে রাখতে পারে অন্য সবার চেয়ে; আর বই কেন পড়বেন এ নিয়ে যদি তারপরও আপনার মনে দ্বিধা থাকে তাহলে দ্বিধা কাটাতে আপনি না হয় আপনার নিজের পছন্দের আর ভালোলাগার একটা ব্যতিক্রমধর্মী জায়গা তৈরি করতে বরং এসবের পাশাপাশি অন্য কোন বই একবার পড়েই দেখুন না।

এতক্ষণ যে কথাগুলো বলা হলো সেগুলোকে দয়া করে উপদেশ বলে মনে করবেন না। যারা মনে করে আমাদের লাইফস্টাইলে বই পড়ার অভ্যাসটি থাকা জরুরি অথচ বই পড়তে গেলেই আলসেমি লাগে, ঘুম পায় তাদের জন্য কিছু পরামর্শ রইলো।

এক বসায় পড়া শেষ করতে হবেÑ বই পড়া বিষয়টাকে মোটেও এভাবে রুটিন হিসেবে নেয়া চলবে না। বরং কেন কাজের ক্ষতি না করে যখন যতটুকু পড়তে ভালো লাগে ততোটুকু পড়–ন। একটা দুটো বই পড়ার পর যদি বিষয়টা আপনার মনে ধরে যায় তাহলে আপনার পড়া বইগুলোর নাম এবং লেখকের নাম একটা খাতায় টুকে রাখুন। চাইলে এ বইগুলো থেকে আপনার ভালো লাগা কিছু লাইনেও একটা খাতায় লিখে রাখতে পারেন। একটা গল্প বা উপন্যাস পড়ে আপনার ভালো না লাগা মানেই কিন্তু এই নয় যে, বিশ্বের যাবতীয় বই-ই একই রকম একঘেঁয়ে। কাজেই বই পড়াকে অর্থহীন বলার আগে কয়েকরকম বই পড়ে দেখুনÑ কোনটি আপনার কতটা ভালো এক উপলব্ধিতে জাগিয়ে তুলুন। মনে রাখবেন, বই আপনার মনের আকাশকে অনেক বড় করে তুলতে পারে। আপনাকে সত্যিকার ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারে।

আমাদের প্রাত্যহিক জীবনযাপনে আমরা কত সমস্যার মুখোমুখি হই নিত্যদিন। সেই সব সমস্যা মোকাবেলায় নিজের মনের মধ্যে আত্মবিশ্বাস জাগিয়ে তোলার জন্য বই আপনাকে নানাভাবে শক্তি জোগাতে পারে।

[লেখক : অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংকার]

back to top