জিল্লুর রহমান
বাংলাদেশে কর ফাঁকি একটি সাধারণ প্রবণতায় পরিণত হয়েছে, যা দেশের অর্থনীতিতে গভীর সংকট সৃষ্টি করছে। অনেক ব্যক্তি, কর্পোরেট সংস্থা, এবং সুপ্রতিষ্ঠিত কোম্পানি কর ফাঁকি দিয়ে পণ্য ও সেবা ক্রয়-বিক্রয় করে, যা সরকারের রাজস্ব আয়ে ঘাটতি সৃষ্টি করে এবং উন্নয়ন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে। এই ‘ভদ্রবেশী অপরাধ’Ñযেমন আয়কর ফাঁকি, ভ্যাট জালিয়াতি, আমদানি শুল্ক কম পরিশোধ, বা আবগারি শুল্ক এড়ানোÑসামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে মারাত্মক প্রভাব ফেলছে।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)-এর একটি সাম্প্রতিক গবেষণা প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে কর ফাঁকির কারণে সরকার আনুমানিক ২ লাখ ২৬ হাজার ২৩৬ কোটি টাকার রাজস্ব হারিয়েছে। এর মধ্যে কর্পোরেট কর ফাঁকির পরিমাণ প্রায় ১ লাখ ১৩ হাজার ১১৮ কোটি টাকা, যা মোট ফাঁকির প্রায় ৫০%। তুলনায়, ২০১২ সালে কর ফাঁকির পরিমাণ ছিল ৯৬ হাজার ৫০৩ কোটি টাকা, অর্থাৎ গত ১১ বছরে এই পরিমাণ দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে। সিপিডি’র গবেষণায় আরও উঠে এসেছে যে, ৪৫% কোম্পানি করপোরেট কর দেয়ার সময় কর কর্মকর্তাদের কাছে ঘুষের দাবি পেয়েছে, এবং ৮২% কোম্পানি বিদ্যমান কর হারকে অন্যায্য বলে মনে করে।
কর ফাঁকির মূল কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে উচ্চ কর হার, দুর্বল নজরদারি, জটিল আইন-কানুন, এবং কর ব্যবস্থায় ব্যাপক দুর্নীতি। সিপিডি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, কর ফাঁকি সৎ করদাতাদের নিরুৎসাহিত করে এবং আইন মেনে চলা নাগরিকদের ওপর করের বোঝা বাড়ায়। উন্নত দেশগুলোতে কঠোর আইন, তাদের যথাযথ প্রয়োগ, এবং জনসচেতনতার মাধ্যমে কর ফাঁকি অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়। কিন্তু বাংলাদেশে দুর্বল প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো, অপ্রতুল নজরদারি, এবং অটোমেশনের অভাব এই সমস্যাকে আরও জটিল করেছে।
কর ফাঁকির ক্ষতিকর প্রভাব
কর ফাঁকি দেশের অর্থনীতি ও সমাজে বহুমুখী ক্ষতি সাধন করছে:
রাজস্ব হ্রাস : কর সরকারের প্রধান আয়ের উৎস। ফাঁকির কারণে রাজস্ব কমে যাওয়ায় শিক্ষা, স্বাস্থ্য, এবং অবকাঠামো উন্নয়নে বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হয়।
উন্নয়ন প্রকল্পে বাধা : সরকারি প্রকল্পগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের ঘাটতি দেশের সার্বিক উন্নয়নকে মন্থর করে।
অসাধু প্রতিযোগিতা : কর ফাঁকি দেয়া ব্যবসায়ীরা সৎ ব্যবসায়ীদের তুলনায় বাজারে অসাধু সুবিধা পায়, যা বাজারের সুস্থ প্রতিযোগিতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
সামাজিক বৈষম্য : ধনী ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মধ্যে কর ফাঁকির প্রবণতা বেশি, যা সামাজিক সেবা ও পুনর্বণ্টনের সুযোগকে সীমিত করে।
আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি : কর ফাঁকির উচ্চ হার দেশের অর্থনৈতিক সুশাসন ও স্বচ্ছতার ওপর প্রশ্ন তুলে, যা বিদেশি বিনিয়োগকে নিরুৎসাহিত করে।
কর ফাঁকি রোধে করণীয় :
কর ফাঁকি রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি। সিপিডি এবং অর্থনীতিবিদদের সুপারিশের ভিত্তিতে নিম্নলিখিত ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে :
জনসচেতনতা বৃদ্ধি : মিডিয়া, সামাজিক মাধ্যম, এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কর প্রদানের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো।
প্রক্রিয়া সহজীকরণ : অনলাইন কর প্রদানের সুবিধা বৃদ্ধি, তথ্য ও সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে কর ব্যবস্থাকে স্বচ্ছ ও ব্যবহারবান্ধব করা।
কঠোর নজরদারি ও শাস্তি : কর ফাঁকির বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা এবং নিয়মিত নিরীক্ষার মাধ্যমে দৃষ্টান্ত স্থাপন।
প্রণোদনা প্রদান : নিয়মিত করদাতাদের জন্য ছাড়, পুরস্কার, বা সম্মাননার ব্যবস্থা করা।
প্রযুক্তিগত উন্নয়ন : কর ব্যবস্থায় সম্পূর্ণ অটোমেশন প্রবর্তন এবং ডিজিটাল অবকাঠামোর উন্নয়ন।
উদাহরণ ও শিক্ষা
বাংলাদেশের শীর্ষ করদাতা কাউছ মিয়ার উদাহরণ অনুপ্রেরণাদায়ক। হাকিমপুরী জর্দার স্বত্বাধিকারী এই ব্যবসায়ী ২০ বার সেরা করদাতা নির্বাচিত হয়েছেন, যা তার সততা ও দেশপ্রেমের প্রতিফলন। অন্যদিকে, এনবিআরের সাবেক কর্মকর্তা মতিউর রহমানের ছাগলকা- এবং তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ কর ব্যবস্থার দুর্বলতাকে উন্মোচিত করেছে। সম্প্রতি, দুদক তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে এবং তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া, এনবিআরের আরও দুই কর্মকর্তাকে দুর্নীতির অভিযোগে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনাগুলো কর ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার প্রয়োজনীয়তাকে সামনে এনেছে।
ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ ও সমাধান
স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তরণের প্রক্রিয়ায় থাকা বাংলাদেশের জন্য কর ফাঁকি একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এলডিসি উত্তরণের পর বহুজাতিক কোম্পানির বিনিয়োগ বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যা কর ফাঁকি ও কর পরিহারের ঝুঁকি বাড়াবে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি, ডিজিটাল অবকাঠামো উন্নয়ন, এবং নীতিগত সংস্কার অপরিহার্য। সিপিডি আরও সুপারিশ করেছে, বিনিয়োগের নামে দেয়া কর ছাড় সম্পূর্ণ বন্ধ করা উচিত, কারণ এটি রাজস্ব হ্রাসের আরেকটি বড় কারণ।
এনবিআরের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে লোকবল সংকট, অসৎ কর্মকর্তা, এবং অটোমেশনের অভাব বড় বাধা। অটোমেশন প্রকল্পগুলো বারবার ব্যর্থ হওয়ায় কর ফাঁকি রোধে প্রযুক্তিগত অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এজন্য লোকবলের দক্ষতা বৃদ্ধি, প্রযুক্তিগত সক্ষমতা উন্নয়ন, এবং স্বচ্ছ নীতি প্রণয়ন জরুরি।
কর ফাঁকি বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য একটি গুরুতর হুমকি। এটি শুধু রাজস্ব হ্রাসই নয়, সামাজিক বৈষম্য, অসাধু প্রতিযোগিতা, এবং আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তির ক্ষতিও ডেকে আনে। সরকারের পাশাপাশি জনগণের সচেতনতা ও দায়িত্বশীল আচরণ এই সমস্যা মোকাবিলায় অপরিহার্য। কর প্রদানের মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করা আমাদের সকলের নৈতিক দায়িত্ব।
[লেখক : ব্যাংকার]
জিল্লুর রহমান
মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
বাংলাদেশে কর ফাঁকি একটি সাধারণ প্রবণতায় পরিণত হয়েছে, যা দেশের অর্থনীতিতে গভীর সংকট সৃষ্টি করছে। অনেক ব্যক্তি, কর্পোরেট সংস্থা, এবং সুপ্রতিষ্ঠিত কোম্পানি কর ফাঁকি দিয়ে পণ্য ও সেবা ক্রয়-বিক্রয় করে, যা সরকারের রাজস্ব আয়ে ঘাটতি সৃষ্টি করে এবং উন্নয়ন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে। এই ‘ভদ্রবেশী অপরাধ’Ñযেমন আয়কর ফাঁকি, ভ্যাট জালিয়াতি, আমদানি শুল্ক কম পরিশোধ, বা আবগারি শুল্ক এড়ানোÑসামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে মারাত্মক প্রভাব ফেলছে।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)-এর একটি সাম্প্রতিক গবেষণা প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে কর ফাঁকির কারণে সরকার আনুমানিক ২ লাখ ২৬ হাজার ২৩৬ কোটি টাকার রাজস্ব হারিয়েছে। এর মধ্যে কর্পোরেট কর ফাঁকির পরিমাণ প্রায় ১ লাখ ১৩ হাজার ১১৮ কোটি টাকা, যা মোট ফাঁকির প্রায় ৫০%। তুলনায়, ২০১২ সালে কর ফাঁকির পরিমাণ ছিল ৯৬ হাজার ৫০৩ কোটি টাকা, অর্থাৎ গত ১১ বছরে এই পরিমাণ দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে। সিপিডি’র গবেষণায় আরও উঠে এসেছে যে, ৪৫% কোম্পানি করপোরেট কর দেয়ার সময় কর কর্মকর্তাদের কাছে ঘুষের দাবি পেয়েছে, এবং ৮২% কোম্পানি বিদ্যমান কর হারকে অন্যায্য বলে মনে করে।
কর ফাঁকির মূল কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে উচ্চ কর হার, দুর্বল নজরদারি, জটিল আইন-কানুন, এবং কর ব্যবস্থায় ব্যাপক দুর্নীতি। সিপিডি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, কর ফাঁকি সৎ করদাতাদের নিরুৎসাহিত করে এবং আইন মেনে চলা নাগরিকদের ওপর করের বোঝা বাড়ায়। উন্নত দেশগুলোতে কঠোর আইন, তাদের যথাযথ প্রয়োগ, এবং জনসচেতনতার মাধ্যমে কর ফাঁকি অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়। কিন্তু বাংলাদেশে দুর্বল প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো, অপ্রতুল নজরদারি, এবং অটোমেশনের অভাব এই সমস্যাকে আরও জটিল করেছে।
কর ফাঁকির ক্ষতিকর প্রভাব
কর ফাঁকি দেশের অর্থনীতি ও সমাজে বহুমুখী ক্ষতি সাধন করছে:
রাজস্ব হ্রাস : কর সরকারের প্রধান আয়ের উৎস। ফাঁকির কারণে রাজস্ব কমে যাওয়ায় শিক্ষা, স্বাস্থ্য, এবং অবকাঠামো উন্নয়নে বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হয়।
উন্নয়ন প্রকল্পে বাধা : সরকারি প্রকল্পগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের ঘাটতি দেশের সার্বিক উন্নয়নকে মন্থর করে।
অসাধু প্রতিযোগিতা : কর ফাঁকি দেয়া ব্যবসায়ীরা সৎ ব্যবসায়ীদের তুলনায় বাজারে অসাধু সুবিধা পায়, যা বাজারের সুস্থ প্রতিযোগিতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
সামাজিক বৈষম্য : ধনী ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মধ্যে কর ফাঁকির প্রবণতা বেশি, যা সামাজিক সেবা ও পুনর্বণ্টনের সুযোগকে সীমিত করে।
আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি : কর ফাঁকির উচ্চ হার দেশের অর্থনৈতিক সুশাসন ও স্বচ্ছতার ওপর প্রশ্ন তুলে, যা বিদেশি বিনিয়োগকে নিরুৎসাহিত করে।
কর ফাঁকি রোধে করণীয় :
কর ফাঁকি রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি। সিপিডি এবং অর্থনীতিবিদদের সুপারিশের ভিত্তিতে নিম্নলিখিত ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে :
জনসচেতনতা বৃদ্ধি : মিডিয়া, সামাজিক মাধ্যম, এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কর প্রদানের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো।
প্রক্রিয়া সহজীকরণ : অনলাইন কর প্রদানের সুবিধা বৃদ্ধি, তথ্য ও সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে কর ব্যবস্থাকে স্বচ্ছ ও ব্যবহারবান্ধব করা।
কঠোর নজরদারি ও শাস্তি : কর ফাঁকির বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা এবং নিয়মিত নিরীক্ষার মাধ্যমে দৃষ্টান্ত স্থাপন।
প্রণোদনা প্রদান : নিয়মিত করদাতাদের জন্য ছাড়, পুরস্কার, বা সম্মাননার ব্যবস্থা করা।
প্রযুক্তিগত উন্নয়ন : কর ব্যবস্থায় সম্পূর্ণ অটোমেশন প্রবর্তন এবং ডিজিটাল অবকাঠামোর উন্নয়ন।
উদাহরণ ও শিক্ষা
বাংলাদেশের শীর্ষ করদাতা কাউছ মিয়ার উদাহরণ অনুপ্রেরণাদায়ক। হাকিমপুরী জর্দার স্বত্বাধিকারী এই ব্যবসায়ী ২০ বার সেরা করদাতা নির্বাচিত হয়েছেন, যা তার সততা ও দেশপ্রেমের প্রতিফলন। অন্যদিকে, এনবিআরের সাবেক কর্মকর্তা মতিউর রহমানের ছাগলকা- এবং তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ কর ব্যবস্থার দুর্বলতাকে উন্মোচিত করেছে। সম্প্রতি, দুদক তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে এবং তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া, এনবিআরের আরও দুই কর্মকর্তাকে দুর্নীতির অভিযোগে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনাগুলো কর ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার প্রয়োজনীয়তাকে সামনে এনেছে।
ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ ও সমাধান
স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তরণের প্রক্রিয়ায় থাকা বাংলাদেশের জন্য কর ফাঁকি একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এলডিসি উত্তরণের পর বহুজাতিক কোম্পানির বিনিয়োগ বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যা কর ফাঁকি ও কর পরিহারের ঝুঁকি বাড়াবে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি, ডিজিটাল অবকাঠামো উন্নয়ন, এবং নীতিগত সংস্কার অপরিহার্য। সিপিডি আরও সুপারিশ করেছে, বিনিয়োগের নামে দেয়া কর ছাড় সম্পূর্ণ বন্ধ করা উচিত, কারণ এটি রাজস্ব হ্রাসের আরেকটি বড় কারণ।
এনবিআরের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে লোকবল সংকট, অসৎ কর্মকর্তা, এবং অটোমেশনের অভাব বড় বাধা। অটোমেশন প্রকল্পগুলো বারবার ব্যর্থ হওয়ায় কর ফাঁকি রোধে প্রযুক্তিগত অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এজন্য লোকবলের দক্ষতা বৃদ্ধি, প্রযুক্তিগত সক্ষমতা উন্নয়ন, এবং স্বচ্ছ নীতি প্রণয়ন জরুরি।
কর ফাঁকি বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য একটি গুরুতর হুমকি। এটি শুধু রাজস্ব হ্রাসই নয়, সামাজিক বৈষম্য, অসাধু প্রতিযোগিতা, এবং আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তির ক্ষতিও ডেকে আনে। সরকারের পাশাপাশি জনগণের সচেতনতা ও দায়িত্বশীল আচরণ এই সমস্যা মোকাবিলায় অপরিহার্য। কর প্রদানের মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করা আমাদের সকলের নৈতিক দায়িত্ব।
[লেখক : ব্যাংকার]