alt

উপ-সম্পাদকীয়

অবশেষে ‘হাসিনা’ গ্রেফতার

আনোয়ারুল হক

: বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ চিকিৎসার উদ্দেশ্যে ঢাকা বিমানবন্দর দিয়ে ভিআইপি মর্যাদায় দেশত্যাগের ঘটনার পরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নাখোশ হয়ে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার হুঁশিয়ারিতে কাজ হয়েছে। এমন জোরদার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে যে, আওয়ামী বা কথিত ‘মুজিববাদী’ পিঁপড়ারও আর বিমানবন্দর দিয়ে দেশত্যাগ করার সুযোগ নেই।

কিন্তু সেই তিনি যেন কেমন করে কোথা দিয়ে টুক করে দেশে এসে আবার চট করে বিমানবন্দর দিয়ে উড়ে যেতে চাইলেন। এবার যাবে কোথায়! সদা জাগ্রত ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের কাছে এবার ‘কট’। এক ঘোরতর অপরাধী ধরা পড়লো। যে কিনা হাসিনা না হয়েও হাসিনা সেজে অভিনয় করার দুঃসাহস দেখিয়েছে। আদালতে তার পিপি বলেছেনÑ তিনি শুধু অভিনয় করেই ক্ষান্ত হননি, দর্পের সাথে ঘোষণা করেছেন- ‘ঘুমিয়ে আছে শেখ হাসিনা সব নারীরই অন্তরে’।

১০টা খুনের অপরাধ থেকেও তার এ ঘোষণা অনেক বড় ফৌজদারি অপরাধ। তিনি যে বিমানবন্দর থেকে অবশেষে বিচারের জন্য আদালত প্রাঙ্গণ পর্যন্ত আসতে পেরেছেন এটাই তো তার বিরাট সৌভাগ্য! পথেই যে তার ‘শরিয়াহ আইনে’ বিচার সম্পন্ন হয়ে যায়নি, সেই কারণে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে না কেঁদে বরং তার শুকরিয়া আদায় করা উচিত। এমন করিৎকর্মা ও বিজ্ঞ পিপি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ছাড়া আর কেউ কখনো নিয়োগ দিতে পেরেছেন?

কিন্তু গোল বাঁধিয়ে দিলেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তিনি বললেন, নুসরাত ফারিয়ার গ্রেপ্তার বিব্রতকর একটা ঘটনা হয়ে থাকলো আমাদের জন্য। যদিও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেছেন, ওটা ফারুকীর ব্যক্তিগত মত। একবার হামিদ সাহেব ফসকে গেছেন। আর কোনো ছাড় নেই; কিন্তু ফারুকীর তো উপায় নেই। ফারুকীর নিজ গৃহের বাসিন্দাই তো একই ছবিতে পাকিস্তান ভাঙার ‘ফ্যাসিস্ট কারিগর’ শেখ মুজিবের জায়ার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। এটাও তো মারাত্মক অপরাধ! তাই তাকে ভূমিকা নিতেই হলো।

পিপি মহোদয় জামিনের বিরোধিতা করে ‘হাসিনা’ ওরফে নুসরাত ফারিয়াকে কারাগারে পাঠাতে সক্ষম হলেও রাতটা পার হতেই নুসরাত ফারিয়া জামিনে মুক্ত হলেন। নুসরাত ফারিয়ার গ্রেপ্তারি, জামিন, ফারুকীর বা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বক্তব্যÑ এসব কিছু থেকে গুরুত্বপূর্ণ-আদালতে পিপি মহোদয়ের বক্তব্য। পিপি মহোদয় আদালতে এবং সাংবাদিকদের যা বললেন তার সংক্ষিপ্তসার হলোÑ অভিনয় শিল্পী, কলাকুশলী বা যে-ই শেখ হাসিনার গুণগান করেছে কাউকে রেহাই দেওয়া হবে না। তার বক্তব্য শুনে আমার মনে পড়ছিল পতনের আগে আগে শেখ হাসিনার তথ্যমন্ত্রী আরাফাতের এক প্রেস ব্রিফিংয়ের কথা। ছাত্র গণআন্দোলন নিয়ে তিনি বললেনÑ ‘ওরা কী ভেবেছে, আমাদের কাছে আন্দোলন দমনের জন্য তিন বছরের গুলি মজুত আছে’; কিন্তু আমরা তো দেখলাম তিন বছরের গুলি ফুরিয়ে যেতে তিন দিনও লাগলো না।

জুলাই অভ্যুত্থান থেকে আমরা কি শিক্ষা নিলাম! সেই একই ভাষা, সেই একই দেহ ভঙ্গিমা সেই একই ঔদ্ধত্য। এক্ষেত্রে সব থেকে এগিয়ে আছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব। তার কথা-বার্তায় মনে হয় ওনারা রোজ কেয়ামত পর্যন্ত যা খুশি তা করার ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় বসেছেন। আইনের শাসন কি সোনার হরিণ রয়ে যাবে?

নুসরাত ফারিয়ার জামিনের আবেদনে বলা হয়েছে, তিনি ঘটনার সময় দেশে ছিলেন না। বলা হয়েছে বিদেশে থেকে তিনি আন্দোলনের সমর্থনে এবং হত্যার বিরুদ্ধে পোস্ট দিয়েছিলেন। এ সবই ঠিক; কিন্তু আমার প্রশ্ন তিনি যদি দেশেও থাকতেন এবং আন্দোলনের সমর্থনে কোনো পোস্ট না দিতেন তাহলেও কি তাকে দোষী সাব্যস্ত করা যায়? যায় না। কেউ জুলাই আন্দোলনকে সমর্থন করেছেন কী করেননিÑ এর ভিত্তিতে তো কেউ আসামি না ‘ফেরেশতা’ এটা নির্ধারণ করা যায় না। সমর্থন না করে কেউ নীরব থাকতে পারেন। কারো কাছে আন্দোলনের দাবিসমূহ যুক্তিযুক্ত বা সন্দেহজনক মনে হতে পারে। কেউ আওয়ামী লীগের সমর্থক হয়ে থাকতে পারেন। তাই হত্যা, আক্রমণ, নিপীড়ন তার পছন্দ না হলেও নিশ্চুপ ছিলেন। এর কোনটাই তো ফৌজদারি অপরাধ নয়; কিন্তু এ ধরনের সব মানুষকেই জুলাইয়ের প্রতিপক্ষ বানিয়ে জুলাই অভ্যুত্থানকারীরা কি অর্জন করবেন?

অন্তর্বর্তী সরকার বলছেন কারো নামে মিথ্যা খুনের মামলা দেয়া যাবে না। সরকারের এ কথার কোনো মান্যতা আমরা দেখছি না। মিথ্যা মামলা বা শত্রুতামূলকভাবে কাউকে আসামি করার জন্য আজ পর্যন্ত কি কেউ শাস্তি পেয়েছে? এখন তো আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের পর নতুন আরেকটি সুযোগ সৃষ্টি হলো। যে কাউকে ধরে অভিযোগ করলেই হলো যে, তিনি নিষিদ্ধ কার্যক্রম করার পরিকল্পনা করছিলেন! শেখ হাসিনার সরকারকে বিদায় করা গেলো, কিন্তু ১০ মাসেও আইনের শাসনের দিকে দেশ অগ্রসর হচ্ছে না। পিপি সাহেবের কাছ থেকে সিনেমায় ‘হাসিনা’ নামধারী আসামি রাত পার হতেই ফসকে যাওয়ার মতো গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকারও কি ফসকে যাবে!

[লেখক : সাবেক ছাত্র নেতা]

ভূমি মালিকানা ও ব্যবস্থাপনায় যুগোপযোগী আমূল সংস্কার জরুরি

বরেন্দ্রর মাটিতে আমের বিপ্লব : সম্ভাবনা ও সতর্কবার্তা

স্ক্যাবিস সংক্রমণের কারণ ও প্রতিরোধে করণীয়

বাস্তবমুখী বাজেটের প্রত্যাশা : বৈষম্যহীন অর্থনীতির পথে কতটা অগ্রগতি?

কৌশল নয়, এবার প্রযুক্তিতে সৌদি-মার্কিন জোট

সিউল : স্বর্গ নেমেছে ধরায়

নাচোল বিদ্রোহ ও ইলা মিত্র সংগ্রহশালা : সাঁওতাল স্মৃতি কেন উপেক্ষিত?

ছবি

অন্ধকার সত্য, শেষ সত্য নয়!

বিয়েতে মিতব্যয়িতা

এমপিওভুক্ত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের বঞ্চনার কথা

রোহিঙ্গা সমস্যা : বাহবা, ব্যর্থতা ও ভবিষ্যতের ভয়

ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয়

প্রযুক্তির ফাঁদে শৈশব : স্ক্রিন টাইম গিলে খাচ্ছে খেলার মাঠ

রমগদ্য : সিরাজগঞ্জে ‘ব্রিটিশ প্রেতাত্মা’

বামপন্থা : নীতির সঙ্গে নেতৃত্বের ভূমিকা

দাবি আদায়ে জনদুর্ভোগ : জনশিক্ষা ও সুশাসনের পথ

ইমাম রইস উদ্দিন হত্যাকাণ্ড : সুবিচার নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব

কারাগার, সংশোধনাগার ও ভবঘুরে কেন্দ্রগুলোর সংস্কার কি হবে

জ্বালানির বদল, জীবিকার ঝুঁকি

প্রসঙ্গ : রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী ও চট্টগ্রামে এস্কর্ট ডিউটি

দেশটা কারো বাপের নয়!

বুদ্ধের বাণীতে বিশ্বশান্তির প্রার্থনা

আর কত ধর্ষণের খবর শুনতে হবে?

সংস্কারের স্বপ্ন বনাম বাস্তবতার রাজনীতি

মধুমাসের স্মৃতি ও দেশীয় ফলের রসাল সমারোহ

মুর্শিদাবাদে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট

লিঙ্গের রাজনীতি বা বিবাদ নয়, চাই মানবিকতার নিবিড় বন্ধন

বাজেট : বাস্তবতা, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা

যুক্তরাষ্ট্র-ইরান পারমাণবিক আলোচনার স্থবিরতা

রম্যগদ্য: “বাঙালি আমরা, নহি তো মেষ...”

সর্বজনীন শিক্ষার বলয়ের বাইরে আদিবাসীরা : অন্তর্ভুক্তির লড়াইয়ে বৈষম্যের দেয়াল

শোনার গান, দেখার টান : অনুভূতির ভোঁতা সময়

ছবি

ছিন্নপত্রে বাংলাদেশের প্রকৃতি ও রবীন্দ্র চেতনা

ভেতরের অদৃশ্য অপরাধ : সমাজের বিপন্ন মানসিকতা

দারিদ্র্য ও বৈষম্য নিরসনে খাসজমি ও জলার গুরুত্ব

অবহেলিত কৃষক ও বাজার ব্যবস্থার বৈষম্য

tab

উপ-সম্পাদকীয়

অবশেষে ‘হাসিনা’ গ্রেফতার

আনোয়ারুল হক

বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ চিকিৎসার উদ্দেশ্যে ঢাকা বিমানবন্দর দিয়ে ভিআইপি মর্যাদায় দেশত্যাগের ঘটনার পরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নাখোশ হয়ে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার হুঁশিয়ারিতে কাজ হয়েছে। এমন জোরদার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে যে, আওয়ামী বা কথিত ‘মুজিববাদী’ পিঁপড়ারও আর বিমানবন্দর দিয়ে দেশত্যাগ করার সুযোগ নেই।

কিন্তু সেই তিনি যেন কেমন করে কোথা দিয়ে টুক করে দেশে এসে আবার চট করে বিমানবন্দর দিয়ে উড়ে যেতে চাইলেন। এবার যাবে কোথায়! সদা জাগ্রত ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের কাছে এবার ‘কট’। এক ঘোরতর অপরাধী ধরা পড়লো। যে কিনা হাসিনা না হয়েও হাসিনা সেজে অভিনয় করার দুঃসাহস দেখিয়েছে। আদালতে তার পিপি বলেছেনÑ তিনি শুধু অভিনয় করেই ক্ষান্ত হননি, দর্পের সাথে ঘোষণা করেছেন- ‘ঘুমিয়ে আছে শেখ হাসিনা সব নারীরই অন্তরে’।

১০টা খুনের অপরাধ থেকেও তার এ ঘোষণা অনেক বড় ফৌজদারি অপরাধ। তিনি যে বিমানবন্দর থেকে অবশেষে বিচারের জন্য আদালত প্রাঙ্গণ পর্যন্ত আসতে পেরেছেন এটাই তো তার বিরাট সৌভাগ্য! পথেই যে তার ‘শরিয়াহ আইনে’ বিচার সম্পন্ন হয়ে যায়নি, সেই কারণে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে না কেঁদে বরং তার শুকরিয়া আদায় করা উচিত। এমন করিৎকর্মা ও বিজ্ঞ পিপি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ছাড়া আর কেউ কখনো নিয়োগ দিতে পেরেছেন?

কিন্তু গোল বাঁধিয়ে দিলেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তিনি বললেন, নুসরাত ফারিয়ার গ্রেপ্তার বিব্রতকর একটা ঘটনা হয়ে থাকলো আমাদের জন্য। যদিও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেছেন, ওটা ফারুকীর ব্যক্তিগত মত। একবার হামিদ সাহেব ফসকে গেছেন। আর কোনো ছাড় নেই; কিন্তু ফারুকীর তো উপায় নেই। ফারুকীর নিজ গৃহের বাসিন্দাই তো একই ছবিতে পাকিস্তান ভাঙার ‘ফ্যাসিস্ট কারিগর’ শেখ মুজিবের জায়ার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। এটাও তো মারাত্মক অপরাধ! তাই তাকে ভূমিকা নিতেই হলো।

পিপি মহোদয় জামিনের বিরোধিতা করে ‘হাসিনা’ ওরফে নুসরাত ফারিয়াকে কারাগারে পাঠাতে সক্ষম হলেও রাতটা পার হতেই নুসরাত ফারিয়া জামিনে মুক্ত হলেন। নুসরাত ফারিয়ার গ্রেপ্তারি, জামিন, ফারুকীর বা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বক্তব্যÑ এসব কিছু থেকে গুরুত্বপূর্ণ-আদালতে পিপি মহোদয়ের বক্তব্য। পিপি মহোদয় আদালতে এবং সাংবাদিকদের যা বললেন তার সংক্ষিপ্তসার হলোÑ অভিনয় শিল্পী, কলাকুশলী বা যে-ই শেখ হাসিনার গুণগান করেছে কাউকে রেহাই দেওয়া হবে না। তার বক্তব্য শুনে আমার মনে পড়ছিল পতনের আগে আগে শেখ হাসিনার তথ্যমন্ত্রী আরাফাতের এক প্রেস ব্রিফিংয়ের কথা। ছাত্র গণআন্দোলন নিয়ে তিনি বললেনÑ ‘ওরা কী ভেবেছে, আমাদের কাছে আন্দোলন দমনের জন্য তিন বছরের গুলি মজুত আছে’; কিন্তু আমরা তো দেখলাম তিন বছরের গুলি ফুরিয়ে যেতে তিন দিনও লাগলো না।

জুলাই অভ্যুত্থান থেকে আমরা কি শিক্ষা নিলাম! সেই একই ভাষা, সেই একই দেহ ভঙ্গিমা সেই একই ঔদ্ধত্য। এক্ষেত্রে সব থেকে এগিয়ে আছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব। তার কথা-বার্তায় মনে হয় ওনারা রোজ কেয়ামত পর্যন্ত যা খুশি তা করার ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় বসেছেন। আইনের শাসন কি সোনার হরিণ রয়ে যাবে?

নুসরাত ফারিয়ার জামিনের আবেদনে বলা হয়েছে, তিনি ঘটনার সময় দেশে ছিলেন না। বলা হয়েছে বিদেশে থেকে তিনি আন্দোলনের সমর্থনে এবং হত্যার বিরুদ্ধে পোস্ট দিয়েছিলেন। এ সবই ঠিক; কিন্তু আমার প্রশ্ন তিনি যদি দেশেও থাকতেন এবং আন্দোলনের সমর্থনে কোনো পোস্ট না দিতেন তাহলেও কি তাকে দোষী সাব্যস্ত করা যায়? যায় না। কেউ জুলাই আন্দোলনকে সমর্থন করেছেন কী করেননিÑ এর ভিত্তিতে তো কেউ আসামি না ‘ফেরেশতা’ এটা নির্ধারণ করা যায় না। সমর্থন না করে কেউ নীরব থাকতে পারেন। কারো কাছে আন্দোলনের দাবিসমূহ যুক্তিযুক্ত বা সন্দেহজনক মনে হতে পারে। কেউ আওয়ামী লীগের সমর্থক হয়ে থাকতে পারেন। তাই হত্যা, আক্রমণ, নিপীড়ন তার পছন্দ না হলেও নিশ্চুপ ছিলেন। এর কোনটাই তো ফৌজদারি অপরাধ নয়; কিন্তু এ ধরনের সব মানুষকেই জুলাইয়ের প্রতিপক্ষ বানিয়ে জুলাই অভ্যুত্থানকারীরা কি অর্জন করবেন?

অন্তর্বর্তী সরকার বলছেন কারো নামে মিথ্যা খুনের মামলা দেয়া যাবে না। সরকারের এ কথার কোনো মান্যতা আমরা দেখছি না। মিথ্যা মামলা বা শত্রুতামূলকভাবে কাউকে আসামি করার জন্য আজ পর্যন্ত কি কেউ শাস্তি পেয়েছে? এখন তো আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের পর নতুন আরেকটি সুযোগ সৃষ্টি হলো। যে কাউকে ধরে অভিযোগ করলেই হলো যে, তিনি নিষিদ্ধ কার্যক্রম করার পরিকল্পনা করছিলেন! শেখ হাসিনার সরকারকে বিদায় করা গেলো, কিন্তু ১০ মাসেও আইনের শাসনের দিকে দেশ অগ্রসর হচ্ছে না। পিপি সাহেবের কাছ থেকে সিনেমায় ‘হাসিনা’ নামধারী আসামি রাত পার হতেই ফসকে যাওয়ার মতো গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকারও কি ফসকে যাবে!

[লেখক : সাবেক ছাত্র নেতা]

back to top